Visitor Count
From 11-11-11
From 11-11-11
Home যশোর জেলা / Jessore District > সম্মিলনী ইন্সটিটিউশন যশোর (১৮৮৯)
এই পৃষ্ঠাটি মোট 99969 বার পড়া হয়েছে
সম্মিলনী ইন্সটিটিউশন যশোর (১৮৮৯)
Sammilani Institution, Jessore
বিশিষ্ট সমাজসেবক ও বিদ্যানুরাগী ব্যক্তি রায় বাহাদুর যদুনাথ মজুমদার অনুভব করেছিলেন যে, বৃটিশ শাসিত ভারত বর্ষের
জ
নগণকে জ্ঞানালোকের দ্বারা উদ্বুদ্ধ করতে পারে না পারলে সামাজিক অগ্রগতি সম্ভব নয়। এই উদ্দেশ্যকে বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে তিনি ১৮৮৯ খৃঃ কতিপয় বিদ্যোৎসাহী ব্যক্তির ঐকান্তিক আনুকুল্যে যশোর শহরের খুলনা সড়কের পুরাতন বাস ষ্ট্যান্ডের দক্ষিণ পার্শ্বে বেজপাড়ায় এম, ই, স্কুল (মধ্য ইংরেজী) হিসেবে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেন। প্রথম পর্যায়ে বিদ্যালয়টির একটি মাত্র টিনের ঘর ছাড়া আর কিছুই সম্বল ছিল না। কিন্তু কয়েক বছর অতিক্রান্ত হবার পর স্থানীয় দুস্কৃতিকারীগণ বিদ্যালয়টিতে অগ্নি সংযোগ করে। ফলে বিদ্যালয়টির সর্বস্ব ভস্মীভূত হয়ে যায়। কিন্তু এই দুর্দিনে রায় বাহাদুর যদুনাথ মজুমদার 
মনোবল হারাননি। তিনি তাঁর লোন অফিস পাড়াস্থ নিজস্ব জমিতে বিদ্যালয়টি স্থানান্তরিত করেন এবং ঐ সময় হতে বিদ্যালয়টি এইচ, ই, (উচ্চ ইংরেজী) স্কুলে উন্নীত হয়। বর্তমানে বিদ্যালয়টি ৯০ শতক জমি ২০ কক্ষ বিশিষ্ট ত্রিতল ভবন, মসজিদ, মন্দির ও ৪ কক্ষ বিশিষ্ট সেমি পাকা বিল্ডিং নিয়ে অবস্থান করছে।রায় বাহাদুর যদুনাথ মজুমদার কর্তৃক নির্মিত পুরাতন ভবনটি ব্যবহারের অযোগ্য হওয়ায় কর্তৃপক্ষ তা ভেঙ্গে নতুন ত্রিতল ভবন নির্মাণ করেন। বিদ্যালয়টির প্রবেশ পথের দক্ষিণে কারুকার্য খন্ডিত সরস্বতীর মন্দীরটি অতীত দিনের
স্মৃতি বহন করে চলেছে। বিদ্যালয় সীমার পশ্চিম প্রান্তে একটি মসজিদ অবস্থিত। দক্ষিণ দিকে উম্মুক্ত ময়দান তার পাশেই রয়েছে শহীদ মিনার। বিদ্যালয়টি বেষ্টনী প্রাচীর দিয়ে ঘেরা সম্মুখে বৃহৎ গেট।১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের পূর্ব পর্যন্ত বিদ্যালয়টি স্থানীয় হিন্দু জনসাধারণের সাহায্যে পরিপুষ্ট ছিল। তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিরা হলেন রায় বাহাদুর মজুমদার যদুনাথ, ধারনী ধর হালদার, হৃদয়নাথ দত্ত (প্রথম প্রধান শিক্ষক) ও সকুমার দাস গুপ্ত। কিন্তু দেশ বিভাগের ফলে বহু প্রভাবশালী হিন্দু অধিবাসী দেশ ত্যাগ করে ভারতে চলে যাওয়ায় বিদ্যালয়টির দুরাবস্থা দেখা দেয়। এই দুর্দিনে যে সকল মহৎ প্রাণ ব্যক্তি বিদ্যালয়টির হাল ধরেন
তাঁদের মধ্যে মোঃ মোমতাজুল করিম, সুধীর কুমার ঘোষ, দেবী প্রসাদ দাস, এস. এম. বদরুল আলা, মনোরঞ্জন বিশ্বাস ও মো আব্দুল ওহাব খাঁন বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।সম্মিলনী ইনস্টিটিউশনের একটি বৈশিষ্ট্য যে, বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে কোনদিন সরকারী সাহায্য গ্রহণ করেনি। জনগনের সাহায্যে পরিপুষ্ট। অবশ্য পরবর্তী পর্যায়ে ১৯৬৭ সালে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সরকারী সাহায্য গ্রহণ করেন। সম্মিলনী ইনস্টিটিউশনটি যশোর জেলার একটি আদর্শ শিক্ষা মন্দির এবং অসংখ্য কৃতি ছাত্রের জনক।
তথ্য সূত্র : শিক্ষালয়ের ইতিকথা
লেখক : কাজী শওকত শাহী
সম্পাদনা :
শামিউল আমিন (শান্ত)
মোঃ হাসানূজ্জামান বিপুল
সর্বশেষ আপডেট:
জানুয়ারী ২০১২
 |
||
 |
 |
 |
.jpg)
