
Home যশোর জেলা / Jessore District > অভয়নগর উপজেলা / Abhaynagar Upazila
এই পৃষ্ঠাটি মোট 100067 বার পড়া হয়েছে
অভয়নগর উপজেলা / Abhaynagar Upazila
সংক্ষিপ্ত ইতিহাস :
নওয়াপাড়া খ্যাত হলেও নাম অভয়নগর। কারণ থানা ছিল আভয়নগর গ্রামে। থানা স্থাপনকাল ১৬ মার্চ ১৯৭৫। অভয়নগর নামটি চাঁচড়া রাজবাড়ীর কন্যা “অভয়ারাণীর” নামধরে এসেছে। রাজা জামাতাকে তালুকটি উপহার স্বরূপ প্রদান করেন। বৃটিশ ভারতে গ্রামটি নগরের রূপ লা

ভৌগোলিক অবস্থান :
২৪৭.১৯ বর্গ কিলোমিটার আয়তন বিশিষ্ট অভয়নগর উপজেলা উত্তরে যশোর সদর উপজেলা, দক্ষিণে ডুমুরিয়া, খান জাহান আলী, দিঘলিয়া ও ফুলতলা উপজেলা, পূর্বে নড়াইল সদর ও কালিয়া উপজেলা, পশ্চিমে যশোর সদর এবং মনিরামপুর উপজেলা দ্বারা বেষ্টিত।
শহরের আয়তন ও জনসংখ্যা :
তিনিটি মৌজা নিয়ে অভয়নগর শহর গঠিত। শহরের আয়তন ১০.৩৪ বর্গ কিঃ মিঃ।
শহরের জনসংখ্যা প্রায় ৩০ হাজার। এর মধ্যে পুরুষ ৫৩.৬৭% ও মহিলা ৪৬.৩৩%। জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গ কিলোমিটারে প্রায় ২ হাজার। শহরের অধিবাসীদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৩৯%। শহরে একটি ডাকবাংলা আছে।
প্রশাসন :
১টি পৌরসভা, ১টি উপজেলা, ৮টি ইউনিয়ন, ৮৯টি মৌজা এবং ১২১টি গ্রাম নিয়ে অভয়নগর উপজেলা গঠিত। সংসদীয় এলাকার সংখ্যা ৩টি (অভয়নগর, বসুন্দিয়া, বাঘারপাড়া)। প্রথম চেয়ারম্যান জনাব মোঃ নূরুল হক এবং প্রথম নির্বাহী অফিসার জনাব মোঃ শেখ শহীদুল্লাহ।
স্থাপত্য ঐতিহ্য এবং প্রত্নতাত্তিক নিদর্শন :
সিদ্দিপাশা রাজবাড়ী, পুকুর ও মন্দির, ১১ দুয়ারী মন্দির, মধুপুর নীলকুঠি, শ্রীধরপুর জমিদার বাড়ী, নওয়াপাড়া পীরবাড়ী মাজার, রাম সারা ধাম সুন্দলী ইউনিয়ন।
জনসংখ্যা :
মোট জনসংখ্যা প্রায় ২ লক্ষ ২০ হাজার। এর মধ্যে পুরুষ ৫২%, নারী ৪৮%, মুসলমান ৭৬.২১%, হিন্দু ২৩.৬৩% এবং অন্যান্য ০.১৬%।
নদ-নদী ও বিল :
প্রধান নদীর মধ্যে রয়েছে ‘ভৈরব’। বাওড় রয়েছে মোট ৬টি।
উল্লেখযোগ্য বিলের মধ্যে রয়েছে সিংরা বিল, ডাকাতিয়া বিল এবং কুড়াখালী বিল।
ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান :
মসজিদ ২২৭টি, মন্দির ৬৬টি, গীর্জা ২টি, সমাধি ও পবিত্র স্থান ২টি।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান :
কলেজ ৬টি, হাইস্কুল ৩০টি, জুনিয়র স্কুল ১৬টি, মাদ্রাসা ৩৪টি, প্রাইমারী স্কুল ২০৬টি, কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ১টি।
সাক্ষরতা :
গড় শিক্ষিতের হার ৩৯.৯%। এর মধ্যে পুরুষ ৫৩.২% এবং মহিলা ২৬.৫%।
সংস্কৃতিক সংগঠন :
ক্লাব ২২টি, গণগ্রন্থাগার ২টি, থিয়েটার গ্রুপ ৭টি, থিয়েটার মঞ্চ ১টি, সিনেমা হল ১টি, সাহিত্য সমিতি ৩টি ও খেলার মাঠ ৩২টি।
দৈনিক সংবাদপত্র ও সাময়িকী :
মাসিক মুকুল, সাপ্তাহিক মুক্তি ও উদ্দীপন।
প্রধান পেশা :
কৃষি ৩১.৪৮%, কৃষি শ্রমিক ১৭.১৬, দিন মজুর ৪.১১%, ব্যবসা বাণিজ্য ১২.৩২, চাকরি ২২.০৪, মৎস্যচাষ ১.৪৯%, শিল্প ১.২%, পরিবহন ১.৯৩% এবং অন্যান্য ৮.২৭%।
ব্যবহৃত জমি :
মোট আবাদযোগ্য জমি ১৮৩৮৮ হেক্টর, পতিত জমি ১৫৪০ হেক্টর, একক ফসল ২২%, দ্বৈত ফসল ৪২% এবং ত্রিফসল ৩৬%। সেচের আওতায় চাষযোগ্য জমি ৫৬.৮৭%।
ভূমি নিয়ন্ত্রণ :
কৃষকদের মধ্যে ২৩% ভূমিহীন, ১২% ক্ষুদ্র, ৩৩ মাঝারী এবং ৩২% ধনী।
প্রধান ফসল :
ধান, গম, পাট, আলু, রসুন, সরিষা, পান, সুপারী, বেগুন ও তরিতরকারী। বিলুপ্ত অথবা প্রায় বিলুপ্ত ফসলের মধ্যে তিসি, তিল, মসীনা, বার্লি ও অরহর।
প্রধান ফল :
আম, কাঁঠাল, কলা, লিচু, কালোজাম, পেঁপে, তরমুজ ও নারিকেল।
যোগাযোগ সুবিধা :
পাকা সড়ক ৪৬.৫৯ কিঃ মিঃ, আধাপাকা ২৫.৯২ কিঃ মিঃ, কাঁচা রাস্তা ৩০০.২৪ কিঃ মিঃ, জলপথ ১৫ কিঃ মিঃ এবং রেলপথ ১৩কিঃ মিঃ। ঐতিহ্যগত পরিবহনের মধ্যে রয়েছে পাল্কি (বিলুপ্ত), ঘোড়ার গাড়ী ও গরম্নর গাড়ী (প্রায় বিলুপ্ত)।
শিল্প কারখানা :
বৃহৎ শিল্প ও কলকারখানার মধ্যে রয়েছে পাটকল ৪টি, বস্ত্র কল ৪টি, চামড়া কারখানা ২টি, লবন কারখানা ২টি, চাউল কল ৭৮টি, বরফ কারখানা ৭টি এবং সিমেন্ট কারখানা ৭টি। কুটির শিল্পের মধ্যে তাঁত, স্বর্ণকার, কুম্ভকার ও ওয়েল্ডিং।
হাট বাজার ও মেলা :
হাট বাজারের মোট সংখ্যা ২২টি এবং মেলার সংখ্যা ৬টি।
প্রধান রপ্তানী :
নারিকেল, কলা, পাট, খেজুরের গুড়, তরমুজ এবং সুপারী।
এনজিও তৎপরতা :
তৎপরতা চালাচ্ছে এমন এনজিওগুলো হচ্ছে পল্লী উন্নয়ন, আশার আলো সংস্থা, ব্র্যাক, কেয়ার, আর আর সি ও গ্রামীণ ব্যাংক।
স্বাস্থ্য কেন্দ্র :
উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্র ১টি, ইউনিয়ন ইউনিয়ন ও পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র ৮টি এবং স্যাটেলাইট ক্লিনিক ৩টি।
তথ্য সূত্র :
বাংলা পিডিয়া ওয়েবসাইট
ও
যশোর ইতিবৃত্ত (মনোরঞ্জন বিশ্বাস)
অনুবাদ :
কামাল নাসের, আরটিভি।
সম্পাদনা :
মোঃ হাসানূজ্জামান বিপুল
সর্বশেষ আপডেট :
নভেম্বর ২০১১
২৪৭.১৯ বর্গ কিলোমিটার আয়তন বিশিষ্ট অভয়নগর উপজেলা উত্তরে যশোর সদর উপজেলা, দক্ষিণে ডুমুরিয়া, খান জাহান আলী, দিঘলিয়া ও ফুলতলা উপজেলা, পূর্বে নড়াইল সদর ও কালিয়া উপজেলা, পশ্চিমে যশোর সদর এবং মনিরামপুর উপজেলা দ্বারা বেষ্টিত।
শহরের আয়তন ও জনসংখ্যা :
তিনিটি মৌজা নিয়ে অভয়নগর শহর গঠিত। শহরের আয়তন ১০.৩৪ বর্গ কিঃ মিঃ।
শহরের জনসংখ্যা প্রায় ৩০ হাজার। এর মধ্যে পুরুষ ৫৩.৬৭% ও মহিলা ৪৬.৩৩%। জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গ কিলোমিটারে প্রায় ২ হাজার। শহরের অধিবাসীদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৩৯%। শহরে একটি ডাকবাংলা আছে।
প্রশাসন :
১টি পৌরসভা, ১টি উপজেলা, ৮টি ইউনিয়ন, ৮৯টি মৌজা এবং ১২১টি গ্রাম নিয়ে অভয়নগর উপজেলা গঠিত। সংসদীয় এলাকার সংখ্যা ৩টি (অভয়নগর, বসুন্দিয়া, বাঘারপাড়া)। প্রথম চেয়ারম্যান জনাব মোঃ নূরুল হক এবং প্রথম নির্বাহী অফিসার জনাব মোঃ শেখ শহীদুল্লাহ।
স্থাপত্য ঐতিহ্য এবং প্রত্নতাত্তিক নিদর্শন :
সিদ্দিপাশা রাজবাড়ী, পুকুর ও মন্দির, ১১ দুয়ারী মন্দির, মধুপুর নীলকুঠি, শ্রীধরপুর জমিদার বাড়ী, নওয়াপাড়া পীরবাড়ী মাজার, রাম সারা ধাম সুন্দলী ইউনিয়ন।
জনসংখ্যা :
মোট জনসংখ্যা প্রায় ২ লক্ষ ২০ হাজার। এর মধ্যে পুরুষ ৫২%, নারী ৪৮%, মুসলমান ৭৬.২১%, হিন্দু ২৩.৬৩% এবং অন্যান্য ০.১৬%।
নদ-নদী ও বিল :
প্রধান নদীর মধ্যে রয়েছে ‘ভৈরব’। বাওড় রয়েছে মোট ৬টি।
উল্লেখযোগ্য বিলের মধ্যে রয়েছে সিংরা বিল, ডাকাতিয়া বিল এবং কুড়াখালী বিল।
ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান :
মসজিদ ২২৭টি, মন্দির ৬৬টি, গীর্জা ২টি, সমাধি ও পবিত্র স্থান ২টি।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান :
কলেজ ৬টি, হাইস্কুল ৩০টি, জুনিয়র স্কুল ১৬টি, মাদ্রাসা ৩৪টি, প্রাইমারী স্কুল ২০৬টি, কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ১টি।
সাক্ষরতা :
গড় শিক্ষিতের হার ৩৯.৯%। এর মধ্যে পুরুষ ৫৩.২% এবং মহিলা ২৬.৫%।
সংস্কৃতিক সংগঠন :
ক্লাব ২২টি, গণগ্রন্থাগার ২টি, থিয়েটার গ্রুপ ৭টি, থিয়েটার মঞ্চ ১টি, সিনেমা হল ১টি, সাহিত্য সমিতি ৩টি ও খেলার মাঠ ৩২টি।
দৈনিক সংবাদপত্র ও সাময়িকী :
মাসিক মুকুল, সাপ্তাহিক মুক্তি ও উদ্দীপন।
প্রধান পেশা :
কৃষি ৩১.৪৮%, কৃষি শ্রমিক ১৭.১৬, দিন মজুর ৪.১১%, ব্যবসা বাণিজ্য ১২.৩২, চাকরি ২২.০৪, মৎস্যচাষ ১.৪৯%, শিল্প ১.২%, পরিবহন ১.৯৩% এবং অন্যান্য ৮.২৭%।
ব্যবহৃত জমি :
মোট আবাদযোগ্য জমি ১৮৩৮৮ হেক্টর, পতিত জমি ১৫৪০ হেক্টর, একক ফসল ২২%, দ্বৈত ফসল ৪২% এবং ত্রিফসল ৩৬%। সেচের আওতায় চাষযোগ্য জমি ৫৬.৮৭%।
ভূমি নিয়ন্ত্রণ :
কৃষকদের মধ্যে ২৩% ভূমিহীন, ১২% ক্ষুদ্র, ৩৩ মাঝারী এবং ৩২% ধনী।
প্রধান ফসল :
ধান, গম, পাট, আলু, রসুন, সরিষা, পান, সুপারী, বেগুন ও তরিতরকারী। বিলুপ্ত অথবা প্রায় বিলুপ্ত ফসলের মধ্যে তিসি, তিল, মসীনা, বার্লি ও অরহর।
প্রধান ফল :
আম, কাঁঠাল, কলা, লিচু, কালোজাম, পেঁপে, তরমুজ ও নারিকেল।
যোগাযোগ সুবিধা :
পাকা সড়ক ৪৬.৫৯ কিঃ মিঃ, আধাপাকা ২৫.৯২ কিঃ মিঃ, কাঁচা রাস্তা ৩০০.২৪ কিঃ মিঃ, জলপথ ১৫ কিঃ মিঃ এবং রেলপথ ১৩কিঃ মিঃ। ঐতিহ্যগত পরিবহনের মধ্যে রয়েছে পাল্কি (বিলুপ্ত), ঘোড়ার গাড়ী ও গরম্নর গাড়ী (প্রায় বিলুপ্ত)।
শিল্প কারখানা :
বৃহৎ শিল্প ও কলকারখানার মধ্যে রয়েছে পাটকল ৪টি, বস্ত্র কল ৪টি, চামড়া কারখানা ২টি, লবন কারখানা ২টি, চাউল কল ৭৮টি, বরফ কারখানা ৭টি এবং সিমেন্ট কারখানা ৭টি। কুটির শিল্পের মধ্যে তাঁত, স্বর্ণকার, কুম্ভকার ও ওয়েল্ডিং।
হাট বাজার ও মেলা :
হাট বাজারের মোট সংখ্যা ২২টি এবং মেলার সংখ্যা ৬টি।
প্রধান রপ্তানী :
নারিকেল, কলা, পাট, খেজুরের গুড়, তরমুজ এবং সুপারী।
এনজিও তৎপরতা :
তৎপরতা চালাচ্ছে এমন এনজিওগুলো হচ্ছে পল্লী উন্নয়ন, আশার আলো সংস্থা, ব্র্যাক, কেয়ার, আর আর সি ও গ্রামীণ ব্যাংক।
স্বাস্থ্য কেন্দ্র :
উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্র ১টি, ইউনিয়ন ইউনিয়ন ও পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র ৮টি এবং স্যাটেলাইট ক্লিনিক ৩টি।
তথ্য সূত্র :
বাংলা পিডিয়া ওয়েবসাইট
ও
যশোর ইতিবৃত্ত (মনোরঞ্জন বিশ্বাস)
অনুবাদ :
কামাল নাসের, আরটিভি।
সম্পাদনা :
মোঃ হাসানূজ্জামান বিপুল
সর্বশেষ আপডেট :
নভেম্বর ২০১১