
Home যশোর জেলা / Jessore District > মধুসূদন তারা প্রসন্ন উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় (১৯২৬)
এই পৃষ্ঠাটি মোট 99878 বার পড়া হয়েছে
মধুসূদন তারা প্রসন্ন উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় (১৯২৬)
যশোর জেলার অবহেলিত নারী সমাজের মাঝে জ্ঞান দানের লক্ষ্যে রায় বাহাদুর যদুনাথ মজুমদার ও অত্র এলাকার বিদ্যেৎসাহী ব্যক্তিবর্গের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ১৯২৬ খৃষ্টাব্দে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। ১ একর ৮২ শতক জমির উপর অবস্থিত বিদ্যায়টির ২৫ কক্ষ বিশিষ্ট দ্বিতল ভবন রয়েছে এবং সম্মুখে বৃহৎ খেলার মাঠ।
পূর্বে অত্র এলাকার বিদেৎসাহী ব্যক্তিবর্গ একটি উচ্চ প্রাথমিক বালিকা বিদ্যালয় স্থাপন করেন। মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের নামানুসারে বিদ্যালয়টির নামকরণ করা হয় ‘মধুসূদন দত্ত প্রাথমিক বালিকা বিদ্যালয়’। অপর একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন করেন রায় বাহাদুর যদুনাথ মজুমদার। তাঁর পিতার নামানুসারে বিদ্যালয়টির নাম দেওয়া হয় “তারাপ্রসন্ন প্রাথমিক বালিকা বিদ্যালয়”। বিদ্যালয় দুটি পৃথক ভাবে পরিচালনার ক্ষেত্রে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেওয়ায় বিদ্যালয় দুটিকে একত্রিকরণ করে একটি মধ্য ইংরাজী বালিকা বিদ্যালয়ে উন্নীত করা হয়। বিদ্যালয়টির জন্যে স্থান নির্ধারণ করা হয় বেজপাড়ার শ্রীধরপুরে। এটা সম্ভবতঃ জমিদার শ্রীধর বাবুর কাছারী বাড়ী ছিল। প্রথম পর্যায়ে প্রাথমিক স্কুল দুইটির অবস্থান সম্পর্কে সঠিক কোন তথ্য পাওয়া যায় না। বিদ্যালয়টি ১৯৩২ সালে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে উন্নীত হয়। ইংরাজী অদ্যক্ষরে বিদ্যালয়টির সংক্ষিপ্ত নামকরণ করা হয় এম, এস, টি, পি, অর্থাৎ মধুসূদন তারপ্রসন্ন বালিকা বিদ্যালয় (১৯৪৮ সালের পূর্বে এম, টি ব্যবহার করা হত)। ১৯৪৭ সালে দেশ বিভক্ত হবার পর বহু প্রতিষ্ঠিত হিন্দু সম্প্রদায় দেশ ত্যগের ফলেই বিদ্যালয়টির দুরাবস্থা দেখা দেয়। পরবর্তী পর্যায়ে সরকারী সহযোগিতায় ও এই এলাকার বিদ্যোৎসাহী ব্যক্তিবর্গের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় বিদ্যালয়টি তার দুরাবস্থা কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হয়। এই পুরাতন বালিকা বিদ্যালয়টি সুদীর্ঘকাল ধরে নারী শিক্ষার ক্ষেত্রে বিশেষ ঐতিহ্য বহন করে চলেছে।
তথ্য সূত্র :
শিক্ষালয়ের ইতিকথা
লেখক : কাজী শওকত শাহী
সম্পাদনা :
শামিউল আমিন (শান্ত)
মোঃ হাসানূজ্জামান (বিপুল)