
Home যশোর জেলা / Jessore District > আব্দুস সামাদ মেমোরিয়াল একাডেমী (১৯৩৮)
এই পৃষ্ঠাটি মোট 99986 বার পড়া হয়েছে
আব্দুস সামাদ মেমোরিয়াল একাডেমী (১৯৩৮)
যশোর শহরের প্রাণকেন্দ্রে আব্দুস সামাদ মেমোরিয়াল একাডেমীর অবস্থান। যশোরের শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিবর্গের প্রচেষ্টায় ১৯৩৮ সালে স্কুলটি প্রতিষ্ঠিত হয়। ৩ একর জমির উপর অবস্থিত ১১ কক্ষ বিশিষ্ট দ্বিতীয় ভবনের সামনে বৃহৎ খেলার মাঠ।
১৯৩৮ সালের পূর্বে যশোর শহরে টাউন একাডেমী ভোলাতলা ট্যাংক রোডস্থ (বর্তমান সমাজকল্যাণ অফিসের নিকটবর্তী এলাকায়) ও নিউ মডেল (বর্তমান ইসলামিয়া বালিকা বিদ্যালয়ের নিকটবর্তী) নামক ২টি উচ্চ ইংরেজী স্কুল নিকটবর্তী এলাকায় অবস্থিত হওয়ায় স্কুল দুইটি পরিচালনার ক্ষেত্রে ব্যাপক সমস্যা দেখা দেয়। এই সমস্যা সমাধান কল্পে ১৯৩৮ সালে যশোর শহরের শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিবর্গের প্রচেষ্টায় স্কুল দুইটিকে একত্রিত করে গড়ে উঠে “দি নিউ মডেল টাউন একাডেমী”। প্রথম অবস্থায় এই বিদ্যালয়টি শ্রেণী কার্যক্রম চলতে থাকে তৎকালীন মডেল স্কুলের গৃহে।
১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের পর এদেশের বহু সংখ্যক হিন্দু দেশ ত্যাগ করে ভারতে চলে যান। এ সময়ে ব্যারিষ্টার পিয়ারী চাঁদ গুহও এদেশ ত্যাগ করে ভারতে চলে যান। তাঁরই পরিত্যক্ত বাসভবনে বর্তমান স্থানে বিদ্যালয়টিকে স্থানান্তরিত করা হয়। ১৯৫৭ সালে বিদ্যালয়টির নাম পরিবর্তন করে এর নামকরণ করা হয় “কায়েদে আযম মেমোরিয়াল একাডেমী”। কিন্তু বিদ্যালয়টি উক্ত নামে স্বীকৃতি না পাওয়ায় পূর্বের নামেই চলতে থাকে। কিন্তু দীর্ঘদিন যাবৎ বিদ্যালয়টি অবহেলিত অবস্থায় চলতে থাকে। ১৯৬৪ সালে যশোরের খ্যাতনামা শিল্পপতি এস, এম, এ আহাদ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সম্পাদকের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। তিনি প্রথম পর্বেই বিদ্যালয়টির উন্নয়ন কল্পে ২০,০০০ (বিশ হাজার) টাকা অনুদান প্রদান করেন। তাঁর এই অনুদানে সন্তুষ্ট হয়ে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাঁর পিতার নামে বিদ্যালয়টির নামকরণ করেন “আব্দুস সামাদ মেমোরিয়াল একাডেমী”। পরবর্তীতে এস, এম, এ আহাদ বিদ্যালয়টির পুরাতন ভবনটি ভেঙ্গে নতুন ভবন নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ, ইট প্রভৃতি সরবরাহ করে ব্যাপক সাহায্য করেন। এস, এম, এ আহাদসহ বিদ্যালয়টি উন্নয়নের জন্য যাদের অবদান অবিস্মরণীয় তাঁদের মধ্যে মরহুম মোঃ সামসুর রহমান (খোকা মিয়া), গণ-প্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রাক্তন প্রতি মন্ত্রী খালেদুর রহমান টিটো, মরহুম খন্দকার জহুরুল হক, সহকারী প্রধান শিক্ষক এ, এফ, এম, শামসুজ্জামান, মোঃ হাসান আলী, এ্যাডভোকেট তৌহিদুর রহমান (আয়কর) বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোঃ আনোয়ার হোসেন ও বর্তমান প্রধান শিক্ষক রিয়াজুর রহিম খন্দকার সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।
১৯৯০ সাল থেকে বিদ্যালয়টি উন্নতমানের শিক্ষা ও শিক্ষা সম্প্রসারনের লক্ষ্যে কে, জি, ক্লাস থেকে ১০ম শ্রেণী পর্যন্ত কয়েকটি শিফটে সকাল আট-টা হতে রাত্র নয়টা ত্রিশ মিনিট পর্যন্ত বিভিন্ন পর্যায়ে শ্রেণী কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। বিদ্যালয়টি যশোরের একটি প্রচীনতম ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। বিদ্যালয়টির প্রথম প্রধান শিক্ষক সুশীল কুমার রায় (এম, এ, বি, এল)।
তথ্য সূত্র :
শিক্ষালয়ের ইতিকথা
লেখক : কাজী শতকত শাহী
সম্পাদনা :
শামিউল আমিন (শান্ত)
মোঃ হাসানূজ্জামান (বিপুল)