
Home যশোর জেলা / Jessore District > মাহামুদুর রহমান বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয় (১৯৬৭)
এই পৃষ্ঠাটি মোট 99849 বার পড়া হয়েছে
মাহামুদুর রহমান বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয় (১৯৬৭)
যশোরের কিছু বিদ্যোৎসাহী ব্যক্তির উদ্যোগে ১৯৬৭ সালে শহরের ঘোপ এলাকায় ৬০ একর জমির উপর “মাহমুদুর রহমান বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি” প্রতিষ্ঠা পায়। বিদ্যালয়টিতে এল আকৃতির ৩টি আলাদা ভবনে সর্বমোট ১৩টি কক্ষ আছে।
১৯৬৬ সালে ১৮ সেপ্টেম্বর যশোর ইন্সটিটিউটের সভাকক্ষে তৎকালীন যশোরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ তাফাজ্জল হোসেন, অধ্যাপক মোঃ শরীফ হোসেন (প্রাক্তন অধ্যক্ষ সরকারী এম, এম, কলেজ), অধ্যাপক কাজী আব্দুর রউফ, মরহুম ডাঃ আহাদ আলী খাঁন, মরহুমা বেগম আয়েশা সরদার, সৈয়দ আহম্মদ, হাফেজ জি, আর, মাহমদী, মোঃ নূরুজ্জামান, এ, এফ, এম, শামসুজ্জামান, মোঃ আক্কাছ আলী এস, এ, জাবের, মোঃ নূর জালাল, মাষ্টার ইমান আলী, সৈয়দ মোঃ মুশাররফ আলী, এস, এম, আজিজুল হক, (প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক) বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ এক সভায় উপস্থিত হয়ে যশোর শহরে একটি নৈশ বিদ্যালয় (প্রাথমিক বিভাগসহ) ও একটি মহাবিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সিন্ধান্ত গ্রহণ করেন।
এই উদ্দেশ্যকে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে প্রথম পর্যায়ে নৈশ বিদ্যালয়ের ক্লাশ শুরু হয় “সেবা সংঘ বালিকা বিদ্যালয়ের” শ্রেণী কক্ষে। ১৯৬৭ সালের মে মাসে বিদ্যালয়টির শুভ উদ্বোধন করেন অধ্যাপক মোঃ শরীফ হোসেন। তিনি নৈশ বিদ্যালয়টিকে “রাতের সূর্য” বলে অভিহিত করেন। এই সময় বিদ্যালয়টিকে সূচারুরূপে পরিচালনার জন্য এগিয়ে আসেন তৎকালীন জেলা প্রশাসকদ্বয় এ, কে, এম কামাল উদ্দীন চৌধুরী ও এনাম আহমেদ চৌধুরী। এছাড়া আরও এগিয়ে আসেন অধ্যাপক মোঃ শরীফ হোসেন, অধ্যাপক কাজী আব্দুর রউফ, মাষ্টার ইমান আলী, এস, এম আজিজুল হক, মোছাঃ মরহুমা বেগম আয়েশা সরদার, ডাঃ আহাদ আলী খাঁন, সৈয়দ মোঃ মশাররফ আলী, শ্রী বিমল কুমার রায় চৌধুরী, হাফেজ জি, আর, মাহমদী, মোঃ সিরাজুল হক মন্টু প্রমুখ ব্যক্তিবর্গ। কিন্তু বিদ্যালয়টি কিছু দিন উক্ত স্থানে চলার পর বিভিন্ন সমস্যার কারণে ১৯৬৮ সালে ঘোপ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে (বর্তমান স্থানে) স্থানান্তরিত করা হয়। এই সময় বিদ্যালয়টিকে স্থানান্তরিত করে নৈশ বিদ্যালয়ের সংঙ্গে দিবা বিভাগও চালু করা হয়। বিদ্যালয়টির উন্নয়নের জন্য ঘোপ নিবাসী বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মাহমুদুর রহমান বিদ্যালয়টিতে ১৭ হাজার ৫’শ টাকা অনুদান প্রদান করায় বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিদ্যালয়টি তাঁরই নামে নামকরণ করেন “মাহমুদুর রহমান মাধ্যমিক বিদ্যালয়”। বিদ্যালয়টি প্রথম প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পান এস, এম, আজিজুল হক (বি, এ, বি-এড)।
এখানে বিদ্যালয়টিকে স্থানান্তরিত করে উহার উন্নয়নের ক্ষেত্রে যারা বিশেষ অবদান রাখেন তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য পূর্ব কমিটির সদস্যবৃন্দসহ বদরুদ্দীন আহম্মদ, মরহুম মোঃ আব্দুর রউফ, ডাঃ মাহাবুবুর রহমান, প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক মোঃ রজব আলী, মোঃ ইয়াকুব বক্স, মোছাঃ রিজিয়া সুলতানা, মোছাঃ রাফিয়া খাতুন, আলী ইমাম, সৈয়দ গোলাম নকীর ও তৎকালীন মহকুমা প্রশাসক এ, কে, এম, সোলায়মান সহ এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালে বিদ্যালয়টির ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়। ১৯৭২ সালে বিদ্যালয়টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় হিসেবে যশোর শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক স্বীকৃতি লাভ করে। এই সময় থেকে ক্ষতিগ্রস্থ বিদ্যালয়টির উন্নয়নের জন্য বিদ্যালয়টির হিতাকাঙ্খিদের সংগে পর্যায়ক্রমে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন, মোঃ আলী রেজা রাজু (প্রাক্তন সংসদ সদস্য), মোঃ মখলেসুর রহমান (খোকন), সাবেক মন্ত্রী মোঃ তরিকুল ইসলাম ও তৎকালীন জেলা প্রশাসক মহিউদ্দিন খাঁন আলমগীর, মোঃ শহিদুল ইসলাম, মোঃ শরিফুল ইসলাম। বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে শুধু দিবা বিভাগেই শিক্ষা কার্যক্রম প্রচলিত আছে। ১৯৭৫ সালের পূর্ব পর্যন্ত বিদ্যালয়টিতে নৈশ বিভাগের শিক্ষা কার্যক্রম প্রচলিত ছিল। বিদ্যালয়টি যশোর শহরের একটি উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
তথ্য সূত্র:
শিক্ষালয়ের ইতিকথা
লেখক : কাজী শওকত শাহী
সম্পাদনা:
শামিউল আমিন শান্ত
মোঃ হাসানূজ্জামান বিপুল