
Home যশোর জেলা / Jessore District > মুসলিম একাডেমী (১৯৪৬)
এই পৃষ্ঠাটি মোট 100121 বার পড়া হয়েছে
মুসলিম একাডেমী (১৯৪৬)
ভারত বিভক্তির পূর্বে হিন্দু প্রাধান্য যশোর শহরে কোন মুসলিম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান না থাকায় অবহেলিত মুসলিম ছাত্রদের পড়াশুনার জন্য যেতে হত হিন্দু সম্প্রদায় প্রতিষ্ঠিত সম্মিলনী বিদ্যালয়ে। সেখানে সম্প্রদায় গত দ্বন্দ্বের কারণে মুসলমান ছাত্রদের জন্য একটা স্বতন্ত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিশেষ প্রয়োজন দেখা দেয়। এই প্রয়োজনীয়তা থেকেই ১৯৪৬ সালে জন্মলাভ করে মুসলিম একাডেমী বিদ্যালয়টি।
বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখেন প্রাক্তন শিক্ষক মরহুম কাজী মুজিবর রহমান, মুহাম্মদ ওয়াহেদ আলী আনসারী, মরহুম ভিকু মিঞা, মরহুম বজলুর রহমান ও মরহুম জাবেদুর রহিম। তাঁদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ও তৎকালীন ম্যাজিষ্ট্রেট আই আলীর বিশেষ সহযোগিতায় বিদ্যালয়টির প্রথম শ্রেণী কার্যক্রম শুরু হয় অল্প সংখ্যক ছাত্র নিয়ে (বর্তমান পুলিশ সুপারের অফিসের পূর্বপার্শ্বে) দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরিত্যক্ত সৈনিক ব্যারাকে। জেলা ম্যাজিস্ট্রিট পরবর্তী সময়ে বর্তমান স্থানে সরকারী খাস জমিতে এই বিদ্যালয়ের নিজস্ব ভবনের কাজ শুরু করার ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। যেখানে আজ যশোর জেলার বৃহত্তম শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ২’২৫ একর জমির উপর ২৬ কক্ষ বিশিষ্ট মনোরম দ্বিতল ভবন ও প্রধান শিক্ষকের বাসভবন নিয়ে বিদ্যালয়টি অবস্থান। বিদ্যালয়টি ১৯৪৬ সালে উচ্চ ইংরেজী বিদ্যালয়ে হিসেবে সরকারী অনুমোদন লাভ করে। বিদ্যালয়টি যশোর জেলার একটি গৌরবময় ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
তথ্য সূত্র:
শিক্ষালয়ের ইতিকথা
লেখক : কাজী শওকত শাহী
সম্পাদনা:
শামিউল আমিন শান্ত
মোঃ হাসানূজ্জামান বিপুল