
Home যশোর জেলা / Jessore District > নিউ টাউন উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় (১৯৬৩)
এই পৃষ্ঠাটি মোট 99957 বার পড়া হয়েছে
নিউ টাউন উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় (১৯৬৩)
ঢাকা খুলনা মহাসড়কের উত্তর পার্শ্বে, যশোর শিক্ষা বোর্ডের নিকটবর্তী, বিশ হাজার লোক অধ্যুষিত উপশহর এলাকার একমাত্র নারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান “নিউ টউন উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়।” ১.৭৫ একর জমিতে ৮ কক্ষ বিশিষ্ট একতলা ভবনের চারিদিকে পাকা প্রাচীর বেষ্টিত উন্মুক্ত খেলার মাঠ।
যশোর হাউজিং এষ্টেট প্রতিষ্ঠার সময় এই এলাকার ছেলে মেয়েদের শিক্ষাদানের লক্ষ্যে হাউজিং এষ্টেটের নিজেস্ব জমিতে হাউজিং এষ্টেট কর্তৃক বিদ্যালয়ের মূল ভবন তৈরী করা হয়। ১৯৬৩ সালে ঐ ভবনেই সর্বপ্রথম উপশহর প্রাথমিক বিদ্যালয়টির সূচনা হয়। এই সময় প্রাথমিক বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব নিয়োজিত ছিলেন মোঃ আবদুর জলিল ও সম্পাদকের দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন কাজী মোফাক্কার হোসেন। বিদ্যালয়টি দীর্ঘদিন চলার পর ১৯৬৯ সালে নিজ স্থানে (বর্তমানে স্থানে) স্থানান্তরিত করা হয়। ১৯৬৪ সালে ঐ ভবনেই শুরু করা হয় উপশহর জুনিয়র স্কুল। তখন বিদ্যালয়টিতে সহ শিক্ষা কার্যক্রম চালু ছিল। এই স্কুলটির প্রথম প্রধান শিক্ষক ছিলেন, মোঃ সামছুজোহা ও বিদ্যালয়টির পরিচালনার ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখেন সেখহাটির মোঃ জয়নাল আবেদীন বিশ্বাস (প্রাক্তন চেয়ারম্যান, নওয়াপাড়া ইউনিয়ন), মোঃ আলী কদর, খন্দকার নূরুল হোসেন, ওয়াহেদ আলী আনসারী, মোঃ আনোয়ারুল হক (প্রাক্তন ডেপুটি সেক্রেটারী) মোঃ মোজাম্মেল হক (প্রাক্তন অধ্যক্ষ শাহীন কলেজ), এ, কে, এম, আমজাদ (প্রাক্তন শিক্ষক), মরহুম কাজী মতিয়ার রহমান রহমান, মোঃ নজরুল ইসলাম (উপ সচিব শিক্ষা বোর্ড) এবং এ্যাডভোকেট মোঃ রফিউদ্দিন প্রমুখ ব্যক্তিবর্গ। ১৯৬৭ সালে এই জুনিয়র স্কুলটিকে স্থনান্তরিত করা হয় উপশহরের আমতলা নামক স্থানে।
১৯৬৭ সালে এই এলাকার নারী শিক্ষার সমস্যার সমাধান কল্পে এলাকার বিদ্যেৎসায়ী ব্যক্তিবর্গের প্রচেষ্টায় ঐ ভবনেই শুরু করা নিউটাউন উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়টি। এই সময় বিদ্যালয়টির নামকরণ করা হয় “নবনাগরী বালিকা বিদ্যালয়।” ২৬/৫/১৯৬৯ সালে বিদ্যালয়টি নিন্ম মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় হিসাবে সরকারী অনুমোদন লাভ করে এবং ১৯৭৪ সালে মাধ্যমিক বিদ্যালয় হিসাবে যশোর শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক স্বীকৃতি লাভ করে। পরবর্তীতে বিদ্যালয়টির নামকরণ করা হয় “নিউ টাউন উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়।”
নিউ টাউন উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়টি যাদের সাহায্য সহযোগিতায় আজকের পর্যায়ে উন্নীত হয়েছে তাঁদের মধ্যে বিশেষ উল্লেখযোগ্য মরহুম জয়নাল আবেদীন বিশ্বাস, মরহুম খন্দকার মোঃ নূরুল হোসেন, মোঃ আলী কদর, মরহুম কাজী মতিয়ার রহমান, মোঃ আনোয়ারুল হক, কে এম সরোয়ার উদ্দীন, মোঃ শওকত আলী, মোঃ খুরশিদ আলম, ডাঃ মোঃ ইউসুফ আলী, শেখ আব্দুল হান্নান (প্রাক্তন ডেপুটি সেক্রেটারী), মরহুমা বেগম আয়েশা সরদার, মরহুম মোঃ মুজিবুর রহমান, এ্যাডভোকেট মোঃ হাবিবুর রহমান, মরহুম মাওলানা মোঃ সামছুল হক প্রমুখ। এছাড়াও পরবর্তী পর্যায়ে বিদ্যালয়টির উন্নয়নে ভূমিকা রাখেন এই বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষায়িত্রীগণের মধ্যে প্রাক্তন প্রধান শিক্ষায়িত্রী মোছাঃ মনোয়ারা খাতুন, মোঃ শহিদুজ্জামান, মোঃ আবুল বাসার, মিসেস শাহিদা খাতুন, মমতা রায় ও প্রাক্তন প্রধান শিক্ষয়িত্রী মিসেস জাহানারা বেগম সহ এলাকার বিদ্যানুরাগী ব্যক্তিবর্গ। বিদ্যালয়টি যশোর শহরের নারী শিক্ষার একটি গৌরবময় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
তথ্য সূত্র:
শিক্ষালয়ের ইতিকথা
লেখক: অধ্যাপক কাজী শওকত শাহী
সম্পাদনা:
শামিউল আমিন (শান্ত)
মোঃ হাসানূজ্জামান বিপুল