
Home যশোর জেলা / Jessore District > উপশহর বাদশাহ ফয়সাল স্কুল (১৯৮৫)
এই পৃষ্ঠাটি মোট 99833 বার পড়া হয়েছে
উপশহর বাদশাহ ফয়সাল স্কুল (১৯৮৫)
যশোর শহর থেকে ৩ কিলোমিটার দূরে উপশহরের উত্তরের উত্তর পার্শে ছোট বড় প্রচুর গাছ দ্বারা আবৃত একটি মনোরম পরিবেশে স্কুলটি অবস্থিত। ১৯৮৫ খৃষ্টাব্দে এ্যাডভোকেট আনসার উদ্দীন, সলেমান শেখ, উপশহর ইউনিয়ন পরিষদ ও এলাকা বাসীর সহযোগিতায় স্কুলটি প্রতিষ্ঠা পায়। ৩ একর জমিতে অবস্থিত ২৫ কক্ষ বিশিষ্ট স্কুলটির একটি তিন তলা ভবন, একটি দুইতলা ভবন ও দুটি একতলা ভবন আছে। স্কুলটির পূর্ব পার্শে একটি বড় লেক, উপশহর পার্ক, মসজিদ ও উত্তর পার্শে কিছু বসতি রয়েছে। দক্ষিণে বড় ঈদগাহ ময়দান, খেলার মাঠ ও ইউনিয়ন পরিষদ এবং পশ্চিমে আছে উপশহর ডিগ্রী কলেজ। জমিটি পাকিস্তান আমলেই স্কুলের জন্য বরাদ্দ ছিল। দীর্ঘদিন জায়গাটি খালি পড়ে থাকার পর ১ জানুয়ারী ১৯৮৫ সালে এ্যাডভোকেট আনসার উদ্দীন ও সলেমান শেখ এর উদ্যোগে এবং এলাকার কিছু বিদ্যেৎসাহী ব্যক্তিবর্গের সহোযোগিতায় স্কুলটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। স্কুলটির উন্নয়নের জন্য বিশেষ ভূমিকা রাখেন স্কুলের প্রথম সভাপতি এ্যাডভোকেট রফিউদ্দীন, বর্তমান সভাপতি এ্যাডভোকেট সাহাবুদ্দিন সাবু, এ্যাডভোকেট আনসার উদ্দীন, এলাকাবাসী এবং স্কুলের শিক্ষক গণ।
স্কুলটিতে সরকারী অনুদানের পরিমান মাত্র ৫০০০০ টাকা, যেটা উন্নয়নের তুলনায় অতি সামান্য। উন্নয়নের জন্য অধিকাংশ ব্যয়ভার স্কুলের নিজস্ব তহবিল থেকে সংগৃহীত হয়েছে এবং স্কুলের শিক্ষকদেরও অবদান প্রচুর রয়েছে। স্কুল কর্তৃপক্ষ ও শিক্ষকদের প্রচেষ্টায় প্রায় ২৫/৩০ লক্ষ টাকা ব্যয় করে স্কুলের বিশাল ভবনগুলি গড়ে তোলা হয়েছে।
বর্তমানে এখানে নার্সারী থেকে এস, এস, সি পর্যন্ত শিক্ষা ব্যবস্থা চালু রয়েছে। বিজ্ঞান, কমার্স, কম্পিউটার, কলা ইত্যাদি সমস্ত বিষয়ই আছে। স্কুলের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত এস, এস, সি পরীক্ষায় ছাত্র ছাত্রীদের পাশের গড় রেজাল্ট ৮৬%। বর্তমান ছাত্র সংখ্যা ১০০০ এর উপরে। শিক্ষক আছে মোট ২৪ জন।
স্কুলটি লেখাপড়া, বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড ও খেলাধুলায় যশোরের অন্যান্য স্কুলের তুলনায় অনেক এগিয়ে। ১৬ ডিসেম্বর ষ্টেডিয়ামে প্যারেড গ্রাউন্ডে এই স্কুলের ছাত্র ছাত্রীরা প্রায় প্রতি বৎসরই ১ম স্থান অধিকার করে থাকে। ২০০০ সাল থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত ক্রিকেট খেলায় পর পর ৩ বার জেলা চ্যাম্পিয়ান এবং সমগ্র বাংলাদেশ তৃতীয় স্থান অধিকার করেছে। ফুটবল খেলায়ও ২০০-- সালে চাম্পিয়ন। স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক প্রধান শিক্ষক জনাব আশরাফুল গাজী মনে করেন যে প্রতিটি স্কুলের শিক্ষকরা যদি তাদের মত অন্তরিক ভাবে নিজেদের স্কুল উন্নয়নের চেষ্টা করে তা হলে সরকারের উপর নির্ভরশীলতা কমবে।
সম্পাদনা :
মোঃ হাসানূজ্জামান বিপুল
সহযোগিতা :
ইকরামুল বাসার লিটন