
Home যশোর জেলা / Jessore District > বাকড়ী মাধ্যমিক বিদ্যালয় (১৯৩৭)
এই পৃষ্ঠাটি মোট 96475 বার পড়া হয়েছে
বাকড়ী মাধ্যমিক বিদ্যালয় (১৯৩৭)
বাঘারপাড়া উপজেলার ঐতিহ্যবাহী এগার খানের মধ্যবতী বাকড়ী গ্রামের এক মনোরম পরিবেশে বৃহৎ বটবৃক্ষের ছায়াতলে ৮.৯৬ একর জমির উপর মোট ১২ কক্ষ বিশিষ্ট পাকা ও আধাপাকা ভবনসহ ১টি বৃহৎ পুকুর নিয়ে বিদ্যালয়টি অবস্থিত। পার্শ্ববতী মালিয়াটি গ্রামের মালিয়াটি বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষকের সাথে কর্তৃপক্ষের অর্ন্তদ্বন্দের সূত্রপাত হলে তারা মালিয়াটি বিদ্যালয় ত্যাগ করে নিজ গ্রামে একটি বিদ্যালয় স্থাপনের পরিকল্পনা করেন। এ ঘটনা থেকেই বাকড়ী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের জন্ম। মালিয়াটি বিদ্যালয় ত্যাগী শিক্ষকগণের মধ্যে বাবু জীবন গোপাল গুপ্ত, বাবু রাজেন্দ্র নাথ শিকদার, বাবু রাজেন্দ্র নাথ পাল, বাবু ভরত চন্দ্র পাঠক ও বাবু সন্তোষ কুমার পাঠক এই পাঁচজন শিক্ষক বিশেষ উল্লেখযোগ্য। প্রথম পর্যায়ে উচ্চ প্রাথমিক বিদ্যালয়কে কেন্দ্র করে বিদ্যালয়টির শ্রেণী কার্যক্রম চলতে থাকে। এই সময় বিদ্যালয়টির নাম ছিল “বাকড়ী রাজ মোহন বিদ্যামন্দির”। কলিকাতা ব্রাক্ষ সমাজের রাজমোহন নামক এক শিক্ষিত ধনাট্য ব্যক্তির নামেই এই নামকরণ করা হয়। পরবর্তীতে শক্তি রঞ্জন চক্রবর্ত্তী ও কমরেড অমল সেনের প্রচেষ্টায় এক দল স্বেচ্ছাসেবকের মাধ্যমে গ্রামে গ্রামে ঘুরে বিদ্যালয়ের উন্নতির জন্য চাঁদা সংগ্রহ করা হত। এই কারণে ১৯৩৭ সালে শক্তি বাবু ও অমল বাবু বিদ্যালয়টির নাম রাখেন বাকড়ী সেবা সংঘ বিদ্যা মন্দির। পরবর্তীতে বিদ্যালয়টি (এম, ই) মধ্য ইংরেজী স্কুলে উন্নীত হয় এবং ১৯৪৫ সালে এইচ. ই ( উচ্চ ইংরেজী বিদ্যালয়) স্কুলে উন্নীত হয়। এই সময় বিদ্যালয়টির নাম পরিবর্তন করে নতুন নাম রাখা হয় বাকড়ী বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যায়তন এবং ষাটের দশকে বিদ্যালয়টির আবার নাম পরিবর্তন করে নতুন নাম রাখা হয় বাকড়ী বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়। বিদ্যালয়টির উন্নয়নের জন্যে যাদের ত্যাগ ও অপরিসীম অবদানের কথা ভোলার নয়, তাঁদের মধ্যে বাবু মোহন চন্দ্র বিশ্বাস, তৎকালীন প্রধান শিক্ষকদ্বয় বাবু অমল কান্তি সেন ও বাবু শক্তি রঞ্জন বিশ্বাসের নাম বিশেষ উল্লেখযোগ্য। প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন বাবু জীবন গোপাল গুপ্ত। বিদ্যালয়টি অত্র এলাকার একটি প্রাচীনতম ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা নিকেতন।
তথ্য সূত্র :
শিক্ষালয়ের ইতিকথায় যশোর
লেখক : কাজী শওকত শাহী
সম্পাদনা :
মোঃ হাসানূজ্জামান বিপুল
আপডেট :
মুকুল তরফদার