
Home যশোর জেলা / Jessore District > টাওরা আজিজুর রহমান মাধ্যমিক বিদ্যালয় (বৃটিশ আমল)
এই পৃষ্ঠাটি মোট 99803 বার পড়া হয়েছে
টাওরা আজিজুর রহমান মাধ্যমিক বিদ্যালয় (বৃটিশ আমল)
ঝিকরগাছা উপজেলার গদখালীর নিকটবর্তী টাওরা গ্রামে ২.২০ একর জমির উপর ৮ কক্ষ বিশিষ্ট দ্বিতল ভবন নিয়ে টাওরা আজিজুর রহমান মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি অবস্থিত। বিদ্যালয়টি কখন কাদের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল সে সম্পর্কে সঠিক কোন ইতিহাস পাওয়া যায় না। তবে অনুমান করা হয়ে থাকে বৃটিশ আমলে হিন্দু জমিদারদের দ্বারাই বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। তখন বিদ্যালয়টি মধ্য ইংরেজী (এম, ই) স্কুল হিসেবে চালু ছিল। ১৯৫৮ সালের দিকে স্কুলটির পরিচালনার জন্যে বিশেষ অবদান রাখেন মীর মোঃ খলিলুর রহমান। তাঁকে সাহায্যে করেন তৎকালীন প্রধান শিক্ষক স্বর্গীয় শচীন্দ্রনাথ সুর। পরবর্তী পর্যায়ে বিদ্যালয়টি গদখালি রেল স্টেশনের নিকট স্থানান্তরিত হয় এবং বিদ্যালয়টিকে নিন্ম মাধ্যমিক বিদ্যালয় হিসাবে চালু করা হয়। ১৯৭৩ সালে নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় হিসাবে সরকারী স্বীকৃতি লাভ করে।
দীর্ঘদিন যাবৎ বিদ্যালয়টি অবহেলিত অবস্থায় চলে আসছিল। পরবর্তীকালে বিদ্যালয়টি এই এলাকার সুসন্তান ও দানবীর আলহাজ্ব মোঃ গোলাম মোস্তফার সুনজরে পড়ে। তিনি তার ছোট ভাই মোঃ আলমগীরের মাধ্যমে বিদ্যালয়টির উন্নয়নের সার্বিক প্রচেষ্টা চালান এবং বিদ্যালয়টিকে মাধ্যমিক পর্যায়ে উন্নয়নের জন্য এক লক্ষ টাকা দান করেন। বিদ্যালয়টির তৎকালীন পরিচালনা পরিষদ তাঁদের এই নিঃস্বার্থ দানে সন্তুষ্ট হয়ে বিদ্যালয়টি তাঁর পিতা মরহুম মোঃ আজিজুর রহমান এর নামে নামকরণ করেন ‘টাওরা আজিজুর রহমান মাধ্যমিক বিদ্যালয়’। যশোর শিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষ তাঁদের এই দানে সন্তুষ্ট হয়ে ১৯৮৫ সালে বিদ্যালয়টিকে মাধ্যমিক বিদ্যালয় হিসাবে স্বীকৃতি প্রদান করেন। আলহাজ্ব মোঃ গোলাম মোস্তফা ও মোঃ আলমগীর, এই দুই ভাই বিদ্যালয়টি তাঁর পিতার নামে নামকরণ করায় এবং এই এলাকাবাসীদের শিক্ষার পথ সুগম করার লক্ষ্যে গদখালী রেল স্টেশন ও বাজারের মধ্যবর্তী স্থানে সত্তর শতক জমি ক্রয় করে নিজ খরচে একটি মনোরম দ্বিতল ভবন নির্মাণ করে বিদ্যালয়টির নামে উৎসর্গ করেন। যার আনুমানিক ব্যয় প্রায় ষোল লক্ষ টাকা। বর্তমানে বিদ্যালয়টি ঐ ভবনেই তার শ্রেণী কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এখানে মোঃ আজিজুর রহমানের নামে প্রতি শ্রেণীতে, প্রতি সেমিস্টারে ও বার্ষিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদেরকে আলহাজ্ব মোঃ গোলাম মোস্তফা কর্তৃক উচ্চ হারে বৃত্তি প্রদান করা হয়ে থাকে। নির্ভৃত পল্লীর এই বিদ্যালয়ে অসংখ্য ছাত্র-ছাত্রী জ্ঞান লাভের সুযোগ লাভ করছে। বিদ্যালয়টি এই এলাকার একটি আদর্শ বিদ্যাপীঠ।
তথ্য সূত্র :
শিক্ষালয়ের ইতিকথায় যশোর
লেখক : কাজী শওকত শাহী
সম্পাদনা :
মোঃ হাসানূজ্জামান বিপুল