
Home যশোর জেলা / Jessore District > রাজগঞ্জ মাধ্যমিক বিদ্যালয় (১৯১৬)
এই পৃষ্ঠাটি মোট 96521 বার পড়া হয়েছে
রাজগঞ্জ মাধ্যমিক বিদ্যালয় (১৯১৬)
যশোর জেলার মনিরামপুর থানার একটি অন্যতম প্রাচীন বিদ্যাপীঠ রাজগঞ্জ মাধ্যমিক বিদ্যালয়। অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরা ঝাঁপা বাওড়ের তীরে ৯.৭৪ একর জমির উপর ১৩ কক্ষ বিশিষ্ট দ্বিতল ভবন, দুইটি একতলা ভবন, ৫ কক্ষ বিশিষ্ট ছাত্রবাস ও বিশাল খেলার মাঠ নিয়ে বিদ্যালয়টির অবস্থান। ১৯১৬ সালে রাজগঞ্জ এলাকাস্থ অধিবাসীদের মধ্যে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দেয়ার লক্ষ্যে মোঃ তবিবুর রহমান, মোঃ ইউছুফ আলী ও মোঃ আসমাতুল্ল্যা গাজীর প্রচেষ্টায় রাজগঞ্জ মধ্য ইংরেজী (এম. ই) বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রথম পর্বে মোঃ আসমাতুল্ল্যা গাজীর বাজারস্থ একটি টিনের চালায় বিদ্যালয়টির কার্যক্রম শুরু হয়। কয়েক বছর পর তৎকালীন স্থানীয় জমিদার নড়াইল নিবাসী শ্রীযুক্ত ধীরেন্দ্র নাথ রায় তাঁর সদর কাচারী রামপুরে বিদ্যালয়টি স্থানান্তর করেন। এরপর বিদ্যালয়টির অবস্থা শোচনীয় হয়ে পড়লে ১৯২৫ সালে স্থানীয় শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিদের সহযোগিতায় বিদ্যালয়টি রামপুর হতে রামগঞ্জের সরকারী পরিত্যাক্ত জরিপ অফিস গৃহে স্থানান্তরিত করা হয়। পরবর্তী পর্যায়ে একটা খড়ের ঘরে স্থায়ীভাবে বিদ্যালয়টির কার্যক্রম শুরু হয়। ১৯২৯ সালে বিদ্যালয়টি সরকারী অনুমোদন লাভ করে। এই সময় বিদ্যালয়টির উন্নয়নের জন্য কোলকাতা নিবাসী মোঃ আব্দুল আলী (এম. এ. এল. এল. বি) ১০০ (একশত) টাকা দান করেন। তৎকালীন সেক্রেটারী শ্রীযুক্ত হেমনাথ মুখোপাধ্যায়, রাখাল চন্দ্র দাস, শ্রীযুক্ত বাব শিশির কুমার সিংহ, মোঃ বাবুল্যা গাজী, মোঃ এলাহী বক্স বিশ্বাস এ সময়ে বিদ্যালয়টির উন্নয়নের জন্য ব্যাপক প্রচেষ্টা চালান।
১৯৪৬ সালে বিদ্যালয়টিকে উচ্চ ইংরাজী (এইচ. ই) বিদ্যালয়ে উন্নীত করা হত। স্বর্গীয় বাবু কালীপদ পাল ৯১ শতাংশ নিজস্ব জমি দান করে বিদ্যালয়টির ইতিহাসে অমর হয়ে আছেন। এছাড়াও বিদ্যালয়টির উন্নয়নে বিভিন্নভাবে যারা সহযোগিতায় ছিলেন তাদের মধ্যে অন্যতম ডাঃ আহাদ আলী খান, মোঃ মোজাম সরদার, মোঃ এলাহী বক্স বিশ্বাস, বাবুল গাজী, বাবু ফনীভূষন দীন, মতিলাল সরকার, লক্ষ্ণী চাঁদ কাস্ট, মোঃ এরশাদ আলী সরদার, শ্রী কালিপদ পাল, মোঃ বরকত উল্লাহ, মরহুম মোঃ জাহা বক্স সরদার প্রমুখ। বর্তমানে ৬০০ এর বেশি শিক্ষার্থী এখানে অধ্যয়ণরত, যেখানে সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি কারিগরী (ভোকেশনাল) শিক্ষা কার্যক্রম চালু রয়েছে। বিদ্যালয়টিতে প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রীদের দ্বারা পরিচালিত একটি এক্স স্টুডেন্টস এসোসিয়েশন চালু রয়েছে। এসোসিয়েশনটি বিদ্যালয়ের বিভিন্ন সহায়ক কার্যক্রমে অংশ গ্রহণ করে থাকে। ঐতিহ্যবাহী এ বিদ্যানিকেতনটি এ অঞ্চলের একমাত্র আদর্শ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে সর্বজন স্বীকৃত।
তথ্য সূত্র :
শিক্ষালয়ের ইতিকথায় যশোর
লেখক : কাজী শওকত শাহী
/
অমল কুমার পাল
ছাত্র, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
সম্পাদনা :
মোঃ হাসানূজ্জামান বিপুল