
Home যশোর জেলা / Jessore District > পাঁজিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় (১৮৯৭)
এই পৃষ্ঠাটি মোট 96487 বার পড়া হয়েছে
পাঁজিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় (১৮৯৭)
১৮৯৭ সালে কেশবপুর উপজেলার প্রাণকেন্দ্র পল্লীর এক মনোরম পরিবেশে পাঁজিয়া উচ্চ ইংরেজী স্কুলটি স্থাপিত হয়। এর বহুপূর্বে পাঁজিয়া গ্রামে তৎকালীন জমিদার স্বর্গীয় যোগেন্দ্র নাথ বসুর নেতৃত্বে একটি মধ্য ইংরাজী স্কুল (এম, ই) পরিচালিত হত। এই স্কুলে মাধ্যমিক শিক্ষার অভাব দুরিভুত না হওয়ায় মাধ্যমিক শিক্ষার সমস্যার সমাধান কল্পে উচ্চ ইংরাজী স্কুলটি প্রতিষ্ঠা করেন তৎকালীন জমিদার স্বর্গীয় শ্রীনাথ বসু। তাঁর পুরাতন বাড়ীতে স্কুলটির প্রথম শ্রেণী কার্যক্রম শুরু হয়। স্কুলটি ১৮৯৯ সালে কোলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক অনুমোদন লাভ করে। একই গ্রামে দুটি স্কুলে (এম, ই) ও উচ্চ ইংরাজী স্কুল থাকায় স্কুল দুটির মধ্যে প্রতিযোগিতা চলতে থাকে। আসলে একই গ্রামে দু’টি স্কুলের কোন প্রয়োজন ছিল না। কিন্তু গ্রামের প্রভাবশালী ব্যক্তিদের দলাদলির কারণেই স্কুল দুটিকে একত্রিকরণের ব্যাপারে অন্তরায় সৃষ্টি হয়। অবশেষে ১৯০৬ সালে স্কুল দুটিকে একত্রিকরণ করা সম্ভব হয়। এই সময় উচ্চ ইংরেজী স্কুলটিকে এম, ই স্কুলে গৃহে স্থানান্তরিত করা হয়। ১৯২০ সালে পাঁজিয়া গ্রামের প্রাণকেন্দ্র ২.৪৫ একর জমি অধিগ্রহণ করে স্কুলটিকে নিজস্ব জমিতে অস্থায়ী ছাউনীতে স্থানান্তরিত করা হয়। বর্তমানে ৯ একর জমির উপর ৫ কক্ষ বিশিষ্ট ১ তলা পাকা ভবন, ১১ কক্ষ বিশিষ্ট আধাপাকা ভবন, ২ কক্ষ বিশিষ্ট টালির ছাউনিযুক্ত ঘর ও ৬ কক্ষ বিশিষ্ট নির্মাণাধীন একতলা পাকা ভবন নিয়ে বিদ্যালয়টি অবস্থিত।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালীন বহু প্রতিষ্ঠিত শিক্ষক উন্নত চাকুরীর আশায় স্কুল ত্যাগ করায় স্কুলটির শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হয়। কিন্তু সংকটকালে স্কুলটিকে দৃঢ় ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠা করেন তৎকালীন স্কুলটির প্রধান শিক্ষক স্বর্গীয় নিখিল কৃষ্ণ মিত্র এবং অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দ। ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের ফলে বহু বর্ণ হিন্দু ছাত্র ও শিক্ষক এদেশ ত্যাগ করায় স্কুলটির অনুমোদন প্রত্যাহার করা হয়। কিন্তু কিছুদিন পর স্কুলটির গুরুত্ব বিবেচনা করে স্কুলটিকে আবার স্থায়ীভাবে অনুমোদন দেয়া হয়। তখন থেকেই স্কুলটির সর্বক্ষেত্রে উন্নয়ন সাধিত হয়। সুদীর্ঘ ৯৩ বছরের এই ঐতিহ্যবাহী স্কুলটি বহু ঘটনা প্রবাহের মধ্য দিয়ে তার গৌরবময় ঐতিহ্যকে ধারণ করে চলেছে।
তথ্য সূত্র:
শিক্ষালয়ের ইতিকথায় যশোর।
লেখক: কাজী শওকত শাহী
সম্পাদনা :
মো: হাসানূজ্জামান বিপুল