
Home মাগুরা জেলা / Magura District > মাগুরার ইতিহাস / History of Magura
এই পৃষ্ঠাটি মোট 100387 বার পড়া হয়েছে
মাগুরার ইতিহাস / History of Magura
মাগুরার ইতিহাস
History of Magura
মাগুরার প্রাচীন ইতিহাস সমৃদ্ধ। ১৮৪৫ সালে মাগুরা যশোর এর অন্তর্গত একটি মহকুমা হয়। তখন থেকেই মাগুরার নাম গেজেটে আসে এবং এই অঞ্চলের কেন্দ্র বিন্দুতে পরিণত হয়। মহকুমা হওয়ার আগে মাগুরা ভূষণা ও মুহম্মদপুর নামেই সুবিখ্যাত ছিল। পাল রাজত্বের সময় এ অঞ্চলের উত্তর ও উত্তর পূর্ব অংশ শ্রীপুর ও রাজাপুর নামে পরিচিত ছিল। দক্ষিণ ও দক্ষিণ পুর্ব অংশ ভূষণা।
মাগুরার নামকরণ হয় মুঘল যুগে। মগ-জলদস্যুদের স্মৃতি বহন করছে এই মাগুরা। ইতিহাস সূত্রে জানা যায়, এই স্থানে পূর্বে মগ ফিরিংগী দস্যুদের উৎপাত ছিল। ধর্মদাস নামে জনৈক মগ আরাকান থেকে এসে গড়াই নদী কূলে খুলুম বাড়ী মৌজা দখল করে নেয়। লোকে তাকে মগ জায়গীর বলতো। মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেব আমলে ধর্মদাস ধৃত হয়ে মুসলমান হতে বাধ্য হয়। পরবর্তীকালে তার নাম হয় নিজাম শাহ।
ইতিহাসের তথ্য অনুযায়ী বলা যেতে পারে যে, মগ জনপদ অর্থাৎ মাগ-রা যেখানে বসবাস করতো সেই স্থানই মাগুরা নামে পরিচিত হয়ে উঠেছে। আবার কেউ কেউ বলেন, মুঘল নবার মুর্শীদ কুলী খাঁর আমলে মগদের অগ্রযাত্রাকে যেখানে প্রতিহত করে ঘুরিয়ে দেয়া হয় সেই স্থানের নাম মগ-ঘুরা। মগ-ঘুরাই পরবর্তীতে মাগুরা হয়েছে।
মাগুরা তথা যশোর ফরিদপুর এলাকায় মগ দস্যুদের অত্যাচার ও লুন্ঠনের কাহিনী আজও ইতিহাসের এক বেদনাময় অধ্যায়। ব্রিটিশ রেল বিভাগ থেকে ১৯৪০ সালে প্রকাশিত বাংলায় রেল ভ্রমণ গ্রন্থের একটি বিবরনে বলা হয়েছে ষোড়শ শতাব্দীতে বঙ্গোপসাগরের উপকূল ভাগে মগ ও পর্তূগীজ বা ফিরিংগী জলদস্যুদের অত্যাচার বহুগুন বৃদ্ধি পায়। দস্যুদের লুন্ঠনে ও অত্যাচারে এ অঞ্চল অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিল। তারা বহু স্ত্রী পুরুষ ধরে নিয়ে ক্রীতদাস হিসাবে বিক্রি করতো এবং ওলন্দাজ ফরাসী ও ইংরেজ বনিকের নিকট বিক্রি করতো। স্থল বন্দর হতে বন্দীদের ধরে নিয়ে হাতের তালুতে ছিদ্র করে তার মধ্যে সরু বেত ঢুকিয়ে হালি করে বেঁধে তাদেরকে জাহাজের পাটাতনে ফেলে রাখা হত। খাদ্যের জন্য সকাল বিকাল কাঁচা চাল ছড়িয়ে রাখা হত। ভাগীরথী হতে চট্টগ্রাম পর্যন্ত সর্বত্র তাদের এই রূপ উপদ্রব চলতো। পর্তূগীজ বা ফিরিংগী দস্যুগণ পূর্বে হারমাদ নামে পরিচিত ছিলো। কবি কংকন চন্ডীতে এর উল্লেখ আছে এভাবে- ‘রাত্রি দিন বহে ডিঙ্গা হারমাদের ডরে।’
‘ছেলে ঘুমালো পাড়া জুড়ালো বর্গী এলো দেশে’ প্রচলিত এই ছড়াটিও সে সময়ের প্রকৃতচিত্রই তুলে ধরেছে।
মুহাম্মদপুরের রাজা সীতারাম রায় ও যশোরের রাজা প্রতাপাদিত্য মগ বর্মী দমনে কার্যকর ভূমিকা রাখেন। বলা চলে দস্যুদেরকে এই দুই রাজা প্রতিহত ও পরাজিত করেন।
বহু মগ বর্গী রাজা সীতারাম এর কাছে আত্নসমর্পন করে এবং সেনাবাহিনী ও রাজকর্মচারী হিসাবে নিয়োগ পায়। আজকের মাগুরা শহরে তাদের নিবাসের ব্যবস্থাও করা হয়।
যশোর মাগুরা অঞ্চল ঐতিহাসিক জনপদ হিসাবে সূচিত হয় খৃষ্টিয় চতুর্থ ও পঞ্চম শতাব্দীতে। ঐতিহাসিক ডাঃ রমেশ চন্দ্র মজুমদারের মতে খৃষ্টীয় চতুর্থ ও পঞ্চম শতাব্দীতে গুপ্ত বংশীয় রাজগণ ভারতে বিশাল সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠা করেন। এ বংশের আদি পুরুষ শ্রীগুপ্ত খৃষ্টীয় তৃতীয় শতাব্দীর শেষে অথবা চতুর্থ শতাব্দীর প্রারম্ভে কোনো ক্ষুদ্র রাজ্যের অধিপতি ছিলেন। আদি গুপ্ত রাজ্যের অবস্থিতি সম্পর্কে সুনিশ্চিত কিছু জানা না গেলেও অনেক ঐতিহাসিক মনে করেন, শ্রীগুপ্ত মগধে (বিহার) রাজত্ব করতেন। চীন দেশীয় পরিব্রাজক ইতসিং লিখেছেন, মহারাজ শ্রীগুপ্ত চীন দেশীয় ভ্রমণদের জন্য মৃগ স্থাপন স্তুপের নিকট একটি মন্দির নির্মাণ করেছিলেন।
কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় গ্রন্থাগারে সংরক্ষিত একটি বৌদ্ধ পান্ডুলিপি থেকে জানা যায়, মৃগ স্থাপন স্তুপ বরেন্দ্রে অবস্থিত ছিল। অতএব শ্রীগুপ্ত যে বরেন্দ্রে বা তার নিকটবর্তী কোনো প্রদেশে রাজত্ব করতেন তাতে কোনো সন্দেহ নেই। কোনো কোনো ঐতিহাসিকের মতে গুপ্ত রাজগণ বাঙ্গালী ছিলেন। বাংলাদেশের এক অংশ আদি গুপ্ত রাজ্যের অন্তর্গত ছিল।
শ্রী গুপ্ত ও তার পুত্র ঘটৎকচ সন্বন্ধে বিশদকিছু জানা না গেলেও ঘটৎকচের পুত্র সমুদ্র গুপ্ত ও পৌত্র দ্বিতীয় চন্দ্র গুপ্ত বিভিন্ন রাজ্য জয় করে বিশাল সামা্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন। গুপ্ত বংশীয় সম্রাটগণ প্রায় খৃষ্টীয় ষষ্ঠ শতাব্দীর মাঝামাঝি পর্যন্ত রাজত্ব করেন। বাংলার সাথে গুপ্ত বংশের গোড়া থেকে যোগ ছিল। এ ছাড়া সমতট নামে একটি রাজ্যও গড়ে উঠেছিল। সমুদ্র গুপ্তের প্রশন্তিতে এর উল্লেখ আছে। চন্দ্রবর্মার রাজ্য বাঁকুড়া থেকে ফরিদপুর পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। কোটালীপাড়ায় (ফরিদপুর) চন্দ্রবর্মার একটি স্বর্ণমুদ্রা পাওয়া যায়। সমুদ্রগুপ্ত চন্দ্রবর্মাকে পরাজিত করে পশ্চিম ও দক্ষিণ বাংলা দখল করেছিলেন। গুপ্ত যুগে বাংলার আর্থিক উন্নতি হয়েছিল বলে প্রমান পাওয়া যায়।
যশোর মাগুরা অঞ্চল যুগে সূচিত হলেও তার আগেও এখানে রাজ শাসন ছিল বলে অনেক ঐতিহাসিক উল্লেখ করেছেন। ষষ্ঠ শতাব্দীতে বাংলাদেশে দুটি শক্তিশালী স্বাধীন রাজ্যে প্রতিষ্ঠা হয়। সাধারণভাবে দক্ষিণ বাংলা ও পশ্চিম বাংলার দক্ষিণাঞ্চল নিয়ে গঠিত হয় স্বাধীন বঙ্গ রাজ্য। আর উত্তর বাংলা ও পশ্চিম বাংলা নিয়ে গঠিত হয় স্বাধীন গৌঢ় রাজ্য। তবে উভয় রাজ্যের মধ্যে কোন সীমারেখা ছিলনা। পুরাতন নামগুলো যথা পুন্ড্র, সুক্ষ্ণ, সমতট এখন থেকে লোপ পায়। বাংলার বঙ্গ ও গৌঢ় এই নামেই এর পর থেকে পরিচিত হয়।
গুপ্ত যুগে মাগুরা অঞ্চল পরিচিত হয়ে উঠে। তবে এ অঞ্চলের উন্নয়ন শুরু হয় পাল রাজত্বে। গৌঢ়াধিপতি শশাংকের মৃত্যুর পর পাল বংশের উত্থান ঘটে। আনুমানিক ৬৩৮ সালে হিউয়েন সাং বাংলাদেশে এসেছিলেন। তার বর্ননায় বাংলাদেশের বিভিন্ন রাজ্য ও তাদের রাজধানীর নাম উল্লেখ আছে।
পাল বংশ প্রায় ৪(চার) বছর রাজত্ব করেন। এ বংশের রামপাল সাময়িকভাবে পাল সাম্রাজ্যের হারানো গৌরব ফিরিয়ে এনেছিলেন। তার মৃত্যুর সাথে সাথে পাল সাম্রাজ্যের ধ্বংস সুনিশ্চিত হয়।
মাগুরার শ্রীপুর পালের শ্রীপুর বলা হয়। পাল রাজাদের আমলে শ্রীপুর রাজধানী হয়। শ্রীপুর নামও হয় রাজ মহিষীর নামে। কুমার নদের তীরে এই রাজধানী স্থাপিত হয়। রাজার নিবাস ছিল গড়াই কূল রাজাপুরে। রাজাপুর থেকে গড়াই এখন দু্ই কিলোমিটার উত্তরে সরে গেছে।
কুমার একটি প্রাচীন নদ। মনে করা হয় পাল সম্রাট কুমার পালের নামে এর নামকরণ করা হয়। শ্রীপুরের নিকটে মদনপুর বলে একটি গ্রাম আছে। মদন পাল ছিলেন পাল বংশের শেষ অধিপতি।
বাংলাদেশ ইতিহাস পরিক্রমা গ্রন্থ রচয়িতা কে, এম রাইচ উদ্দীন খান লিখেছেন, রামপালের চার পুত্রের নাম হল- বিত্ত পাল, রাজ্য পাল, কুমার পাল ও মদন পাল। রাম চরিতে উক্ত হয়েছে, রাম পালের দুই পুত্র বিত্ত পাল ও রাজ্য পাল বরেন্দ্রের বিদ্রোহ দমনে পিতাকে যথেষ্ট সাহায্য করেছে। কিন্তু তাদেরকে অতিক্রম করে কিভাবে কুমার পাল সিংহাসনে বসেন তা জানা যায়নি। রাম পালের চার পুত্রেরকে সকলের বড় ছিল তাও জানা যায়নি। কুমার পাল সম্ভবত শক্তি প্রয়োগ করে সিংহাসন অধিকার করেন।
কুমার পালের রাজত্বকালের (১১৩০-১১৪০) দুটি ঘটনা বৈদ্য দেবের কমৌলী তাম্র শাসনে উল্লেখিত হয়েছে। কুমার পালের রাজত্বকালে পাল রাজাদের অন্তবিরোধ খুব ব্যাপক আকার ধারণ করে।
কুমার পালের পর তার পুত্র তৃতীয় গোপাল রাজা হন। তার রাজত্বকাল (১১৪০-১১৪৪) খৃষ্টাব্দ। তিনি ৪ বছর রাজত্ব করেন। তবে ডঃ আব্দুল মতিন চৌধূরীর মতে গোপাল অন্তত: ১৪ বছর রাজত্ব করেন। শ্রীপুরের কোল ঘেষেই গোপালপুর নামে একটি গ্রাম এখনও পাল রাজাদের স্মৃতি বহন করছে।
মদন পাল অন্তত: আঠার বছর রাজত্ব করেন। তার রাজত্বের অষ্টম বছরে গৌঢ় তার একাংশ তার রাজ্যভূক্ত ছিল। মদন পালই সম্ভবত শেষ পাল সম্রাট। মদন পালের সময় বেশ কিছু সামন্ত রাজা ছিল। বিজয় সেন বাংলায় পাল সাম্রাজ্যের বিলুপ্তি ঘটিয়ে সেন বংশীয় শাসন প্রতিষ্ঠা করেন।
মাগুরার ইতিহাস পাল শাসন আমলের বিভিন্ন কাগজ পত্র দলিল দস্তাবেজে লুকিয়ে আছে। এগুলো উদ্ধার করা গেলে মাগুরার একটি পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস রচনা করা সম্ভব হবে।
সুলতানী আমলে মাগুরা অঞ্চলের উন্নয়ন ও খ্যাতি প্রতিষ্ঠিত হয়। আলাউদ্দীন হোসেন শাহ এই এলাকায় বেশ কয়েকবার এসেছেন বলে জানা যায়। এখানে তার একটি প্রতিরক্ষা দূর্গও ছিলো। শ্রীপুর অঞ্চলে যেমন পাল রাজাদের নামের সাথে সংশ্রব রেখে বিভিন্ন বসতির বা গ্রামের নাম ঠিক তেমনি ভাবে হোসেন শাহের নাম ও শাসন কালের সাথেও রয়েছে অনেক গ্রাম এলাকার নাম।
হোসেন উদ্দীন হোসেন লিখেছেন, ১৪৯৪ খ্রিষ্টাব্দে হাবশী রাজাদের অত্যাচারে প্রজারা বিদ্রোহ ঘোষণা করে সুলতান শামসুদ্দিন মুজাফ্ফর শাহকে নিহত করে রাজ্যের প্রধানগণ আলাউদ্দীন হোসেন শাহকে সুলতান নির্বাচিত করেন। ইনি আরব দেশ থেকে আগত ও সৈয়দ বংশীয়।
আলাউদ্দীন হোসেন শাহের সাথে যশোর জেলা ওৎপ্রোতভাবে জড়িত। তার শৈশবের স্মৃতি বহন করছে বেনাপোলের পুকুরিয়া গ্রাম। তিনি সেখানে এক ব্রাহ্মণের গৃহে আশ্রয় লাভ করেন। পরবর্তীকালে গৌড় বাংলার সিংহাসনের অধিকারী হন।
ব্লাকম্যান বলেন সুলতান আলাউদ্দীন হোসেন শাহ সিংহাসনে আরোহন করে ফতেহাবাদ থেকে স্বীয় নামে সর্বপ্রথম মুদ্রা প্রচলন করেন। মাগুরা অঞ্চল তখন ফতেহাবাদের অধীনে ছিলো। তিনি উল্লেখ করেন, হোসেন শাহতদীয় ভ্রাতা ইউসুফ শাহ নিজ পুত্র নসরত শাহও মোহাম্মদ শাহের নামে যশোর-খুলনা ও ফরিদপুরে নসরত শাহী মোহাম্মদ শাহী ও ইউসুফ শাহী পরগণা সৃষ্টি করেন। মাগুরা তৎকালে ফতেয়াবাদ এর অন্তর্ভূক্ত ছিলো। মাগুরার বিভিন্ন পরগণার নাম হোসেন শাহর আমলের স্মৃতি আজও বহন করছে।
মাগুরা অঞ্চলে অসংখ্য সামান্ত জমিদার ও রাজাদের বাস ছিলো। তারা প্রায় সকলেই ছিলেন স্বাধীন। এলাকার প্রজা পালন ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে তাদের উল্লেখযোগ্য অবদান আছে।
পদ্মা নদীর পললে সৃষ্টি হয়েছে এই ভূমি। এখানকার জমি অত্যন্ত উর্বর। পদ্মা এবং তার প্রধান দুটি শাখা মাথা ভাঙ্গা, গড়াই বা মধুমতি। মাগুরা শহরের পাশ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে কুমার নদ এবং নবগংগা কুমারের উৎসস্থল মাথাভাঙ্গা পদ্মা থেকে উৎসারিত হয়েই এসব নদ-নদী বঙ্গোপসাগরে গিয়ে পৌঁছেছে।
মাগুরা বহু কীর্তিমান পুরুষের জন্মস্থান। একদিকে মগ পর্তুগীজরা যেমন এখানে এসে বসবাস নিয়েছে অপর দিকে ভারত বর্ষের বিভিন্ন স্থান থেকেও এসেছে অনেক কুলীন অভিজাত পরিবার। এসেছে আরব দেশ থেকে সুফী সাধকের দল। মাগুরার শ্রীপুর অংশে বেশীয় ভাগ লোক এসেছেন গৌড় তথা উত্তর বঙ্গের পাবনা, বগুড়া ও রাজশাহী অঞ্চল থেকে। ফরিদপুর ঢাকা থেকেও এসেছেন অনেকে। সাতক্ষীরা চব্বিশ পরগণা তথা খুলনা অঞ্চল থেকেও এসেছেন নামী-দামী পরিবার।
হাজার প্রতিভা সমন্বয়ে শ্রীপুর ধন্য হয়েছে। মাগুরা অঞ্চলেও ব্রিটিশযুগে অনেক শিক্ষিত লোকের আগমন ঘটে। লালকুঠিয়ালদের আমলে চাকুরি সূত্রে বর্ধমান বীরভূম এলাকা থেকে অনেকে এখানে আসেন এবং স্থায়ী বাসিন্দা হন।
আজো এই আশা যাওয়ার প্রবাহ রয়েছে মাগুরায়।
তথ্য সূত্র:
মাগুরা জেলা সমিতির স্মরণিকা
সম্পাদনা: আবু সালেহ
সংগ্রহ:
মাহফুজুর রহমান
অনুষ্ঠান সহযোগি
বাংলাদেশ টেলিভিশন
সম্পাদনা:
মোঃ হাসানূজ্জামান বিপুল
শামিউল আমিন শান্ত