
Home মাগুরা জেলা / Magura District > মাগুরা জেলার আর্থ-সামাজিক অবস্থা / The social and economic condition of Magura
এই পৃষ্ঠাটি মোট 100042 বার পড়া হয়েছে
মাগুরা জেলার আর্থ-সামাজিক অবস্থা / The social and economic condition of Magura
মাগুরা জেলার আর্থ-সামাজিক অবস্থা
The social and economic condition of Magura district
আমরা যে স্থানে জন্মগ্রহণ করি, যেখানকার আবহাওয়া, জলবায়ু ও পরিবেশে বেড়ে উঠি তা শেকড়ে রূপ নেয় এবং জীবন বৃক্ষের কান্ড, ডালপালা, পত্রপল্লবে রসদ যোগায়। প্রকৃতিগতভাবেই এটা গড়ে উঠে, এর জন্য কোন কসরতের প্রয়োজন হয় না। জন্মস্থান সে যেখানেই হোক, ভাল-মন্দ, উর্বর-অনুর্বর, গ্রামশহর, মরুদ্যান-মরুভূমি, সমৃদ্ধ অবহেলিত যে কোন জনপদ, তা জন্মগ্রহণকারীর কাছে সমান আকর্ষণের এ যেন পূন্যস্থান। এজন্যই-
(“জননী জন্মভূমি মা স্বর্গদপী গরিয়সী”) তবে সার্থক মানব জীবনের জন্য জন্মই যথেষ্ট নয়। সুস্থ্য, সুন্দর হয়ে বেড়ে উঠা, মানবিক গুণাবলী ও চরিত্রের অধিকারী হওয়া, দেশ প্রেম গড়ে উঠা অত্যাবশকীয় এবং অবশ্য ভিন্ন ভিন্ন ব্যাপার। এগুলো অর্জন করতে হয়। এখানেই মানুষে মানুষে ভেদাভেদ গড়ে উঠে।
শিক্ষা মানুষকে জীবন ও জগত সম্পর্কে ধারণা দেয়। ব্যস্তজীবনে আমরা অপর্যাপ্ত সময় দিয়ে কিছু কিছু বিষয়ে সামান্য জ্ঞান অর্জন করি যা অনেকাংশেই অসম্পূর্ন। আবার এই জ্ঞানের উপর নির্ভর করে কোন বিষয়ে যে ধারণা গড়ে তুলি তার বড় একটা অংশ কল্পনা প্রসূত। স্কুল কলেজে যে পাঠ্যক্রম অনুসরণ করে ছেলেমেয়রা জ্ঞান অর্জন করে তার একটি সার্বজনীন দিক থাকে। অর্থাৎ পাঠ্যক্রম এমনভাবে দাঁড় করানো হয় যে, যেন সবার মনের কথা, দেশের কথা, পৃথিবীর কথা, বিজ্ঞানের কথা, দেশ দেশান্তরের কথা ইত্যাদি নানা কথা জানতে পারে, বুঝতে পারে। কিন্তু শিক্ষার্থীরা যে পরিবেশ ও আর্থ-সামাজিক ও সাংস্কৃতিক পরিমন্ডলের মধ্য দিয়ে বড় হয়ে উঠে সে সম্পর্কে ধারণা গড়ে উঠার বিষয়াবলী পাঠ্যের অন্তর্ভূক্ত সামান্যই থাকে। তাই, পৃথিবীর নানান কথা তার জানা থাকলেও একেবারে ঘরের কাছে, নিজের এলাকা, উপজেলা বা জেলা সম্পর্কে তার ধারণা থাকে স্বল্প। বস্তুত অনেকে বিস্তার লেখাপড়া করে উঁচু পদে আসীন থেকেও নিজ এলাকা, গ্রাম, ইউনিয়ন, উপজেলা ভিত্তিক অনেক তথ্য সম্পর্কে তাদের ধারণা থাকে আবছা আবছা। এলাকা ভিত্তিক উন্নয়ন কার্যক্রম গড়ে তুলতে বা সেখানকার মাটি ও মানুষের সমস্যাকে সুক্ষ্ণভাবে দেখার তাগিদ তারা খুব কমই অনুভব করেন। ফলে সামগ্রীকভাবে উন্নয়নে অংশগ্রহণ বিষয়টি উপেক্ষিত থাকে।
বৃটিশ আমল বা তারও আগে থেকে যশোহর জেলা একটি বহুল পরিচিত জনপদ। এই জেলার একটি প্রাচীন ঐতিহ্য রয়েছে, সমৃদ্ধ এর ঐতিহাসিক পরিচিত। বৃটিশ আমলে বাংলাসহ পূর্ব ও উত্তর ভারতের কেন্দ্র বিন্দু ছিল কলকাতা। সাবেক যশোহর জেলা কলকাতার কাছেই অবস্থিত। একারণে এ জেলার অধিবাসীরা শিক্ষা, সংস্কৃতি, শিল্প, কারখানা ইত্যাদি ক্ষেত্রে উন্নয়ন সহযোগিতা ও সুবিধা পেত। চাকুরী, ব্যবসা, শিল্প কারখানায় অধিক সুবিধাভোগী ছিল। পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর তারা এ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়। উল্লেখ্য ১৭৮৬ সালে যশোহর জেলা গঠন করা হয়। আরবী শব্দ যশোহর মানে সাঁকো বা সেতু। ১৭৮৬ সালে মুরলীতে জেলা সদরের গোড়া পত্তন করা হলেও মাত্র ৪ বছর পর ১৭৯০ সালে মুরলী থেকে বর্তমানে যশোহর জেলার সদর স্থাপন করা হয়।
১৮৬০-৬১ সালে খুলনা, ঝিনাইদহ, মাগুরা, নড়াইল ও যশোহর সদর মহকুমার সৃষ্টি করা হয়েছিল। পুরাতন যশোহর জেলার অন্তর্গত চারটি মহকুমাকে নতুন চারটি জেলাতে রূপান্তরিত করা হয় ১৯৮৪ সালে। নতুন জেলা সমূহের আয়তন হলঃ
জেলার নাম | আয়তন (কিঃ মিঃ) | উপজেলার সংখ্যা | ইউনিয়নের সংখ্যা | |||
যশোহর | ২৫৬৭ | ৮ | ৯১ | |||
ঝিনাইদহ | ১৯৬১ | ৬ | ৬৮ | |||
মাগুরা | ১০৪৯ | ৪ | ৩৬ | |||
নড়াইল | ৯৯০ | ৩ | ৩৭ |
বাংলাদেশের অনেক জেলার মত মাগুরা জেলা মূলত একটি কৃষি প্রধান অঞ্চল। ১৯৮৩ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী এ জেলার মোট জমির শতকরা ৭৮ ভাগ ছিল কৃষি ভূমি, যেখানে সমগ্র বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এ হার ছিল শতকরা ৬২ ভাগ। স্বাভাবিক কারণে কৃষি জেলার অধিবাসীদের মুখ্য পেশা। কৃষি কাজে নিয়োজিত পরিবারের সংখ্যা শতকরা ৫৭ ভাগ, যা সমগ্র বাংলাদেশের ক্ষেত্রে ৪৫ ভাগ।
মাগুরা জেলার জমিতে উৎপাদিত ফসলের মধ্যে ধান, পাট, তৈলবীজ, গম, আখ, শাক-সবজি প্রধান। এ জেলাতে তুলার চাষও সম্প্রসারিত হয়েছে। এ জেলার অংশ বিশেষে গঙ্গা কপোতাক্ষ সেচ প্রকল্পের অন্তর্ভূক্ত থাকায় কৃষকগণের মধ্যে আধুনিক চাষ পদ্ধতির প্রসার ঘটেছে। তবে তুলনামূলকভাবে উন্নত জেলার চাষাবাদের তুলনায় এ উত্তরণের হার কম। এ জেলাতে এক সময় প্রচুর পাট উৎপন্ন হতো। দেশী ও বিদেশী দুই শ্রেণীর পাটের চাষই হোত। কোন কোন এলাকার উন্নত মানের পাট বিদেশের বাজারে সুখ্যাতি অর্জন করেছিল। কিন্তু বর্তমানে সে অবস্থা আর নেই। এ জেলাসহ বাংলাদেশে পাট চাষ অনেক কমে গেছে। বরং ধানের চাষ অধিকতর লাভজনক বিবেচিত।
বর্তমানে যে সব এলাকার চাষাবাদ সমৃদ্ধি বহন করে এনেছে সেখানে ফসলের ধরণের ব্যাপক পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। বস্তুত যে এলাকায় আধুনিক চাষাবাদ যত বাড়ছে অর্থাৎ উন্নতজাতের ও মানের কৃষি উপকরণ ও প্রযুক্তির উত্তরণ ঘটেছে, সেখানেই কৃষিকাজ তত সমৃদ্ধি বয়ে এনেছে। চাষীরা ব্যবসায়িক দৃষ্টিকোণ থেকে বিচার করে উৎপাদন পরিকল্পনা তৈরী করেন।
এ জেলার কৃষি পরিবারের অধিকাংশই গবাদী পশু পালন করেন। এখানে প্রচুর পরিমাণ ছাগল, ভেড়া, মহিষ, হাঁস ও মুরগী পালিত হয়ে থাকে। অপেক্ষাকৃতভাবে উঁচু এলাকা হওয়ায় এবং বন্যাকবলের বাইরে অবস্থিত বলে কৃষক পরিবার এ সুবিধা নিতে পারে। খাল, বিল, নদী নালায় ঘেরা এ জেলাতে একসময় প্রচুর মাছ পাওয়া যেতো। অনেক এলাকা জলমগ্নও থাকতো। কিন্তু পরবর্তী সময়ে চাষাবাদের গুরুত্ব বেড়ে যাওয়ায় এবং বিভিন্ন সংস্কার কাজ গ্রহণের ফলে এখন বিল এলাকা বা জলাবদ্ধতা নেই বললেই চলে। মাছের চাষ কমে গেছে। তুলনামূলকভাবে এ জেলাতে পুকুর কম। আধুনিক মাছ চাষের সম্ভাবনাকে এ জেলাবাসী কাজে লাগাতে পারে।
মাগুরা জেলার অধিবাসীগণের কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে কৃষির উপর নির্ভরশীলতা বেশি। আধুনিক চাষাবাদের প্রসার ঘটাতে পারলে এ জেলার কৃষি আরো বেশী অবদান রাখতে পারবে। সম্প্রতি বছরগুলোতে তরিতরকারী ও শাক-সবজির চাষ বেড়ে গেছে এবং এর একটি বড় অংশ ট্রাকযোগে ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য শহরে বা এলাকায় প্রেরিত হচ্ছে। নতুন নতুন এলাকাকে তরিতরকারী ও শাক-সবজি চাষের আওতায় এনে এই ধারাকে আরো বেগবান করা যেতে পারে। একইভাবে তাজা তরিতরকারী ও শাক-সবজি যা বিদেশের বাজারে স্থান পাচ্ছে তা বৃদ্ধি পেতে পারে। উল্লেখ্য যে বাংলাদেশের অনেক জেলার তুলনায় মাগুরা যোগাযোগ ও যাতায়াত ব্যবস্থা ভাল। কৃষি, শিল্প ও সেবাখাতের উন্নয়নে এ ব্যবস্থাকে অধিকহারে কাজে লাগানো উচিত।
মাগুরা জেলার জেলাশহরটি একমাত্র পৌরসভার রূপ নিয়েছে। জেলাতে আর কোন পৌরসভা নেই। নেই কোন গ্রোথ সেন্টার। ফলে শহরবাসী বলতে অতি ক্ষুদ্র একটি অংশ। শহুরে সুবিধাভোগী অধিবাসীগণ নগণ্য সংখ্যক। উপজেলা শহরগুলো পৌরসভার অন্তর্ভূক্ত করা হলে উন্নয়নের ছোঁয়া পেতো। ছোটখাটো শিল্প কারখানা ও সেবামূলক কাজের প্রসার ঘটতো। কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পেতো।
বর্তমানে এ জেলাতে উল্লেখযোগ্য কোন শিল্প কারখানা নেই। এক সময় নানান পেশাজীবি যেমন- তাঁতী, জেলে, কামার, কুমার, কাঠমিস্ত্রি, মিষ্টান্ন তৈরী, কারীগর, বাঁশ ও বেতের কারখানাসহ ছোট ছোট গ্রামীণ শিল্পে এ জেলার খ্যাতি ছিল। কৃষির সাথে সাথে এ সব শিল্প পূর্ণকালীন বা খন্ডকালীন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতো এবং সামগ্রীকভাবে সমৃদ্ধি বয়ে আনতো। কিন্তু অন্যান্য জেলার মতো এ জেলাতেও পেশাজীবীর অনেকেই পূর্ব পুরুষের পেশা ছেড়ে অন্য কাজে চলে গেছে। উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় নানান ধরণের কর্মসংস্থানের সুযোগ থাকে, তবে সেগুলো ব্যবহারকারী একদল উদ্যোক্তার প্রয়োজন হয়। উদ্যোক্তা সৃষ্টির লক্ষ্যে ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা রয়েছে। সনাতন ধরণের শিক্ষা ও চিন্তার গন্ডি পেরিয়ে উদ্যোক্তাগণ কর্মমুখী শিক্ষার প্রসারে এগিয়ে আসতে পারেন। বেসরকারী সংস্থা NGO দের মাধ্যমেও এ লক্ষ্য পূরণ হতে পারে।
বস্তুত কৃষিক্ষেত্রে বেসরকারী ও ব্যাক্তিগত উদ্যোগে এদেশে আশাব্যঞ্জক সাফল্য অর্জিত হয়েছে। কিন্তু শিল্প, বিশেষ করে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প অবহেলিত। এক্ষেত্রে এ উন্নয়নের জন্য সরকারী উদ্যোগ ও সহযোগিতা অত্যাবশ্যকীয়। মাগুরা জেলাতে কোন ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প সংস্থা বিসিক শিল্পনগরী গড়ে উঠেনি। আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর ক্ষুদ্র ও মাঝারী শিল্প গড়ে তোলায় বিসিক ও বেসিক ব্যাংক বিশেষ ভূমিকা পালন করতে পারে। বয়ন শিল্পে বাংলাদেশের কোন কোন জেলা উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে। আমাদের এ জেলার তাঁতীদেরকে সংগঠিত করে তাঁত শিল্পের অতীত গৌরব অর্জন উদ্যোগ নেয়া উচিৎ। একটা আশার কথা যে মাগুরাতে একটি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট স্থাপন হতে যাচ্ছে। বিবিধ ট্রেডকোর্সে শিক্ষিত যুবকগণ এখান থেকে শিক্ষা নিয়ে দেশে বিদেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ পাবে।
যে কোন জেলা, অঞ্চল বা দেশের অধিবাসীগণের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের বুনিয়াদ গড়ে উঠে শিক্ষার বিস্তার এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি করায়ত্তের উপর। শিক্ষার আলোক থেকে বঞ্চিত এবং দরিদ্র এদেশের সকল সমস্যার মূল। কার্যকরীভাবে দারিদ্র বিমোচন এবং অব্যাহত উন্নয়ন ধরে রাখতে হলে, শিক্ষার প্রসারের মাধ্যম দিয়েই সম্ভব। বাংলাদেশের ৬৪টি জেলার মধ্যে ৪র্থ স্থান অধিকারী নিরক্ষরমুক্ত “বিকশিত মাগুরা জেলা”। এই গৌরব অক্ষুন্ন রাখতে অব্যাহত শিক্ষা কার্যক্রম চালু করতে হবে এবং সেই সংগে প্রত্যেক কর্মক্ষম লোকের হাতকে কর্মীর হাতে রূপান্তরিত করতে হবে। এই লক্ষ্যে গ্রাম ভিত্তিক জরিপ কাজ পরিচালনা করে কাকে কোন ধরণের কাজে লাগানো যেতে পারে তা চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় সুবিধা তার জন্য সম্প্রসারিত করতে হবে। ফলে শিক্ষা হয়ে উঠবে জীবনাশ্রয়ী। উল্লেখ্য মাগুরা জেলাতে বেসরকারী সাহায্য সংস্থা (এনজিও) কার্যক্রম তুলনামূলকভাবে কম। এ কাজে প্রয়োজনীয় সংখ্যক উদ্যোক্তার অভাব রয়েছে।
এ জেলার আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্যে সরকারী উদ্যোগ ও সহযোগিতা বৃদ্ধি অত্যাবশ্যক। এর পাশাপাশি বেসরকারী ও ব্যক্তিগত সংস্থা যারা শিক্ষা ও গণসচেতনতা বৃদ্ধি, স্বাস্থ্যসেবা, ঋণ প্রদান, মানবাধিকার সংরক্ষণ ইত্যাদি কার্যক্রম পরিচালনা করছেন তাদেরকে পৃষ্ঠপোষকতা বৃদ্ধি করতে হবে, আরো সেবাধর্মী সংস্থার সৃষ্টি হবে, ফলশ্রুতিতে জনগণের সাথে একাত্ত্বতা বৃদ্ধি পাবে। কর্মসংস্থান (আত্মকর্মসংস্থান সহ) বৃদ্ধির লক্ষ্য নিয়ে সরকারী সহযোগিতা নিয়ে উপযুক্ত কর্মমুখী শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে বেসরকারী ও ব্যক্তিগত সংস্থা কর্মসংস্থান গড়ে তুলতে এবং কর্মের জন্য অধিকতর উপযোগী জনশক্তি সৃষ্টি করতে পারেন। কেননা বর্তমান প্রেক্ষিতে কর্মসংস্থান সৃষ্টিই উন্নয়ন প্রয়াসের প্রধান লক্ষ্য হওয়া উচিত। এভাবেই ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ ও দেশকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিতে পারি এবং আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের নব-দিগন্তের সূচনা করতে পারি।
প্রফেসর ডঃ এম.এ. জলিল