
Home মাগুরা জেলা / Magura District > নদ-নদীর কথা / River-River Lyrics
এই পৃষ্ঠাটি মোট 100203 বার পড়া হয়েছে
নদ-নদীর কথা / River-River Lyrics
নদ-নদীর কথা
River-River Lyrics
River-River Lyrics
সাবেক ও বর্তমানে মধুমতি/গড়াই, কুমার, নবগঙ্গা, চিত্রা, ফটকি/যদুখালী, হানু, মুচিখালী ও ব্যাঙ নদী বিধৌত ইতিহাস খ্যাত এই মাগুরা জেলা। এককালে দেশে ও বিদেশে এসকল নদীপথে নৌকা ও জাহাজে করে দেশী ও বিদেশী পণ্য সামগ্রী আমদানি ও রফতানি হয়েছে। এই সকল নদী পথেই আরাকানী মগ দস্যুরা এক সময় নদীকূলবর্তী লোকজনের সর্বস্ব লুণ্ঠন করেই ক্ষান্ত হয়নি, ঐ সাথে লুণ্ঠিত হয়েছে অস্থাবর সম্পত্তির ন্যায় অগণিত নারীপুরুষ। বিশেষ করে সুন্দরী কুলবধু ও কুলনারীদের জোর করে ধরে নিয়ে তারা বিদেশে বিক্রি করেছে। এ সকল অঞ্চলে মগদের কারণে বহু পরিবার সমাজে নিগৃহীত হয়েছে। মগদের স্পর্শে বাড়িঘর অপবিত্র হত। যেসকল বাড়িতে মগেরা আক্রমণ করত, সে সকল লোকদের ‘মগো’ আখ্যা দিয়ে নিগৃহীত করা হত। যথাঃ- মগো কায়েত, মগো বামুন, মগো নাপিত, মগো নমঃ, মগো ঘোষ ইত্যাদি। ঘৃণ্য অপরাধের শিকার হয়ে বহু লোক সমাজচ্যুত হয়েছে। পাক আমলের প্রথম দিকেও এসব অপবাদ উল্লিখিত নদীকূলবর্তী অঞ্চলে চালু ছিল। এসকল নদীর কারণেই মাগুরা মগের মুল্লুকে পরিণত হয়েছিল। সপ্তদশ শতাব্দীর মধ্যভাগে অর্থাৎ ১৬৬৩ সালে তৎকালে মাগুরার রাজধানী শহর ভূষণা মগদের দ্বারা লুণ্ঠিত হয়। অন্য সব পণ্য সামগ্রীর সাথে ভূষণার জনৈক রাজকুমার লুণ্ঠিত হয়েছিল। ভারতের গোয়াতে নিয়ে তাকে খৃষ্টান ধর্মে দীক্ষিত করা হয় এবং তার নাম রাখা হয় পাদরি ‘দোম আস্তনীয়’। ১৬৭৪ খ্রিঃ রাজকুমার কর্তৃক একখানি বাংলা গদ্যগ্রন্থ গোয়া হতে প্রকাশিত হয়।
ষোড়শ শতকের মাঝামাঝি সময়ে এই নদী পথেই একদিন এসেছিল সুদূর পর্তুগাল হতে তামাক ও তামাকের বীজ। মাগুরাসহ বাংলার সর্বত্র ধূমপানে অভ্যাস বিস্তার লাভ করেছিল। এর পূর্বে বাঙালিদের কাছে ধূমপান অজ্ঞাত ছিল। অষ্টাদশ শতকে দেশী তামাক হুক্কা ও গড়গড়িতে নলের মাধ্যমে সেবন শুরু হয়। আজ সেই তামাক দ্রব্য ধূমপান হিসেবে অতিথি আপ্যায়নে হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
বসতির প্রথম থেকে এ সকল খরস্রোতা নদীর স্বচ্ছ ও সুপেয় জলের কারণে নদী তীরে গড়ে উঠেছিল বহু জনপদ। পূর্বে রাস্তাঘাট না থাকায় নদীগুলো ছিল লোকের যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম। কালের পরিবর্তনে নদীগুলো ধীরে ধীরে মজে যাচ্ছে এবং সঙ্গে সঙ্গে উন্নত রাস্তা গড়ে উঠছে। তবুও নদী পথের গুরুত্ব একেবারে কমেনি। জেলার পূর্ব ও দক্ষিণ অঞ্চলে আজও বর্ষা মৌসুমে নদী পথে যাতায়াত চলে। বিশেষ করে মধুমতি, নবগঙ্গা, কুমার, চিত্রা, ফটকি ও যদুখালী ইত্যাদি নদীর ভাটি অঞ্চলে লঞ্চ, যান্ত্রিক নৌকা, মালবাহী নৌকা, টাপুরে নৌকা নিয়মিত যাতায়াত করে থাকে। এ ছাড়া এসব নদীর জল দিয়ে আধুনিক পদ্ধতিতে সেচের মাধ্যমে বিভিন্ন ফসলাদি উৎপাদন করা হচ্ছে। তবে মুচিখালী, নবগঙ্গার উজান অংশ, হানুনদী সম্পূর্ণ মজে গেছে। ব্যাঙ নদীর পুরাটাই মজে গেছে।
নদীর গতিপথঃ
গড়াই / মধুমতিঃ
জেলার বৃহত্তম নদী কুষ্টিয়া জেলার উত্তরে পদ্মা নদী হতে উৎপন্ন হয়ে গড়াই নামে কুষ্টিয়া জেলা শহরের উত্তর পাশ দিয়ে দক্ষিণ-পূর্বমুখী গতি নিয়ে ঝিনেদা রাজবাড়ি জেলার সীমানা ঘেঁষে ও পরে মাগুরা জেলার সীমানা ঘেঁষে পূর্বমুখী গতি নিয়ে অগ্রসর হয়েছে। অত্র জেলার মহম্মদপুর উপজেলার এলাকা হতে মধুমতি নামে ফরিদপুর জেলার সীমানা ঘেঁষে পরে নড়াইল ও গোপালগঞ্জ সীমানা দিয়ে বালেশ্বর ও হরিণঘাটা নামে বঙ্গোপসাগরে পতিত হয়েছে। ইহা মাগুরা জেলার বৃহত্তম নদী। এ নদীর তীরে অত্র জেলার লাঙ্গলবাঁধ, আমলসার, নাকোল, পার্লা, মহম্মদপুর, ঝামা, হরেকৃষ্ণপুর বাজার অবস্থিত।
কুমার নদঃ
অত্র জেলার উত্তরাংশে এককালের স্রোতসিনী নদ। চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার প্রায় ১৫ কিঃ মিঃ পশ্চিমে মাথাভাঙ্গা নদী হতে উৎপন্ন হয়ে পূর্বমুখী গতি নিয়ে আলমডাঙ্গার নিকট রেললাইন অতিক্রম করে শ্রীপুর থানার পশ্চিম পাশ দিয়ে শ্রীপুর ও গয়েশপুর ইউনিয়নের মধ্য দিয়ে অত্র জেলায় প্রবেশ করে পূর্ব-দক্ষিণ মুখী গতি নিয়ে এঁকে বেঁকে অগ্রসর হয়। আঠারোখাদা ইউনিয়নের সীমানা হতে দক্ষিণমুখী গতি নিয়ে রামনগরের নিকট মুচিখালীর সাথে মিলিত হয়েছে। এই মিলিত ধারা পশ্চিমমুখী গতি নিয়ে পারনান্দুয়ালী ও নিজনান্দুয়ালী গ্রামের মধ্য দিয়ে দক্ষিণমুখী গতি নিয়ে মাগুরা জেলা শহরের উত্তর পূর্ব কোনে নবগঙ্গার সাথে মিলিত হয়েছে। এই মিলিত ধারা এঁকে বেঁকে জেলার সীমানা অতিক্রম করেছে। কুমার নদের তীরে অত্র জেলার শ্রীকোল, শ্রীপুর থানার খামারপাড়া, গাংনালিয়া, টেংঙ্গাখালী, কাজলী, মধুপুর, আবালপুর বাজার অবস্থিত।
জনশ্রুতি আছে, পূর্বে কুমার নদ মুচিখালী হয়ে গড়াই নদীতে পতিত হয়েছিল। তৎকালীন স্থানীয় লবণ ব্যবসায়ীরা কাটাখালী রামনগর গ্রামের নিকট হতে খাল কেটে মাগুরা নিকট নবগঙ্গার সাথে মিলিত করে দেয়। ফলে নদের মুচিখালী অংশ ধীরে ধীরে মুক্ত হতে থাকে আর কাটা অংশ পুর্ণাঙ্গ নদীতে পরিণত হয়ে পড়ে। বর্তমানে নদের কাটা অংশ কুমার নদে পরিণত হয়েছে।
মুচিখালীঃ
শ্রীপুর উপজেলার রায়নগর নামক গ্রামের মধ্য দিয়ে গড়াই নদী হতে উৎপন্ন হয়ে রামনগর এসে কুমার নদীর সাথে মিলিত হয়েছে। মুচিখালীর উৎসমুখ হতে প্রায় ৪/৫ কিঃ মিঃ বালিতে ভরাট হয়ে গেছে। নদীর উৎসমুখে বর্তমানে দ্বিতল ভবন নির্মিত হয়েছে। বর্তমানে এটি মুচিখালী খাল নামে পরিচিত।
নবগঙ্গাঃ
চুয়াপাঙ্গা জেলা শহরের ৫ কিঃ মিঃ উত্তরে বোয়ালমারী গ্রামের উত্তর প্রান্তে বর্তমান কমলাপুর পিটিআই- এর সামান্য দক্ষিণে মাথাভাঙ্গা নদী হতে উৎপন্ন হয়েছিল। বৃটিশ আমলে সাবেক উৎসমুখ বন্ধ করে ২ কিঃ মিঃ দক্ষিণে হাজরাহাটি গ্রামের মধ্য দিয়ে নতুন উৎসমুখ কেটে দেয়া হয়। রেল ব্রীজের কারণে নদী ধীরে ধীরে মজে যেতে থাকে এবং অনেক স্থান চাষযোগ্য জমিতে পরিণত হয়।
নদীর জন্ম থেকে পূর্বমুখী গতি নিয়ে ঝিনাইদহ জেলা শহরের উত্তর-পূর্ব কোণে কুমার ও মুচিখালীর মিলিত ধারার সাথে মিলিত হয়। এরপর নবগঙ্গা নামে পূর্বমুখী গতি নিয়ে অগ্রসর হয়ে বিনোদপুর হতে দক্ষিণমুখী গতি নিয়ে এঁকে বেঁকে জেলার সীমানা অতিক্রম করেছে। এই নদীর তীরে গড়ে উঠেছিল সাবেক বাংলার বৃহত্তম নীল কারখানা হাজরাপুর নীলকুঠি। এই নদীর তীরে বীজগণিত প্রণেতা কে, পি, বসুর বাড়ি ঝিনাইদহ জেলার হরিশঙ্করপুরে অবস্থিত। অত্র জেলার আলমখালী, ইছাখাদা, মাগুরা জেলা শহর, আলোকদিয়া, বিনোদপুর, চাউলিয়া, রাজাপুর, গোয়ালবাথান, শত্রুজিতপুর, নহাটা, পলিতা ও গঙ্গারামপুর বাজার অবস্থিত।
ব্যাঙ/ফটকি/বেগবতী/যদুখালীঃ
একই নদী তিন নামে পরিচিত। ঝিনাইদহ জেলা শহরের উত্তর-পশ্চিম কোণে মথুরাপুরের সন্নিকটে ব্যাঙ নামক একটি জলধারা নবগঙ্গা হতে উৎপন্ন হয়ে এঁকে বেঁকে বেগবতী নামে ঝিনাইদহ জেলার বিষয়খালী নামক স্থানে ঢাকা রোড অতিক্রম করেছে। পরে নলডাঙ্গা রাজবাড়ির পাশ দিয়ে ধনেশ্বরগাতি ইউনিয়নের মধ্য দিয়ে মাগুরা জেলায় প্রবেশ করে ফটকি নামে পূর্ব-দক্ষিণমুখী গতি নিয়ে কুচিয়ামোড়া, পারকুলিস্নয়া ও নুতনগ্রাম স্কুলের উত্তর দিয়ে বলুগ্রাম, বিজয়খালী, জেলেভিটা, বেরইল গ্রামের মধ্য দিয়েম, চাঁদপুর নীলকুঠি ও বেরইল কলেজের উত্তর দিয়ে পলিতা বাজারের মধ্য দিয়ে নবগঙ্গার সাথে মিলিত হয়। ১৭১০ খ্রিঃ সালে রাজা সীতারাম রায়ের দেওয়ান যদুনাথ মজুমদার যশোরের সামন্ত রাজা মনোহর রায়ের সাথে মহম্মদপুর আক্রমনকারী সৈন্যদের বাধা দেওয়ার উদ্দেশ্যে বেলদার বাহিনী দিয়ে কুচিয়ামোড়া হতে খাল কেটে কুয়াতপুর ও সোনাকুড়ের মধ্য দিয়ে চিত্রা নদীর সাথে মিশিয়ে দেন। এই খননকৃত খাল ধীরে ধীরে বড় হতে থাকে আর ফটকির আসল ধারা দুর্বল হতে থাকে। কালক্রমে যদু মজুমদারের কাটা খালটি প্রশস্ত নদীতে পরিণত হয়। যদু মজুমদারের কাটা অংশ ‘যদুখালী’ নামে আজও পরিচিত। যদুখালী বর্তমানে পূর্ণাঙ্গ নদীতে পরিণত হয়েছে।
ফটকির আসল অংশ মজে গিয়েছে। তবে গতিপথের সর্বত্রই নদীর খাত স্পষ্ট দেখা যায়। নদীর সাবেক গতিপথে ঝড়ুরদোহা (কুচিয়ামোড়া) ভাঙ্গাখালের শ্মশান আশ্রম, বৈদ্যবাড়ির খেয়াঘাট ইত্যাদি স্থানের খাত নদীর সাবেক গতিপথের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। নদী মজে যাওয়ার ফলে বিজয়খালী ও জেলেভিটা বাজারের বিলুপ্তি ঘটেছে। এই নদীর তীরে চাঁদপুর নীলকুঠি ছিল। কুঠিয়ালদের বজরা (মালবাহী নৌকা) এই নদী পথে কলকাতার সাথে যোগাযোগ রক্ষা করত। বর্তমানে নদীটির চার অংশ চার নামে পরিচিত। এই নদীর তীরে লক্ষীপুর, ধনেশ্বরগাতী, রাঘবদাইড়, ভাবনহাটি, আড়পাড়া, সলই, বরইসারা, সোনাকুড় বাজার অবস্থিত।
চিত্রা নদীঃ
চুয়াডাঙ্গা জেলার মাথভাঙ্গা নদী হতে উৎপন্ন হয়ে কালিগঞ্জ বাজারের মধ্য দিয়ে ঢাকা রোড অতিক্রম করেছে। নদী পূর্ব দিকের গতি নিয়ে এঁকে বেঁকে রায়গ্রাম, খাজুরা, সীমাখালী, নারকেলবাড়িয়া হয়ে শালিখা উপজেলার উত্তর পাশ দিয়ে শরুশুনা ও বুনাগাতি বাজারের পাশ দিয়ে যদুখালীর সাথে মিলিত হয়ে চিত্রা নামে দক্ষিণমুখী গতি নিয়ে ঘোড়াখালীর কাছে নড়াইল জেলায় প্রবেশ করেছে।
কাজলাঃ
চিত্রা নদীর ভাটি অংশ গড়ের হাট হতে উৎপন্ন হয়ে পশ্চিমমুখী গতি নিয়ে জেলার দক্ষিণ সীমা বরাবর অগ্রসর হয়ে পরে দক্ষিণমুখী গতি নিয়ে নড়াইল জেলায় প্রবেশ করেছে। এরপর এঁকে বেঁকে বহু জনপদ পেরিয়ে বঙ্গোপসাগরে পতিত হয়েছে। নদীর উৎস মুখের নিকট গড়ের হাট অবস্থিত।
হানুনদীঃ
এক কালের স্রেতম্বিনী ও নিরাপদ হিসেবে এ নদী পরিচিত ছিল। বর্তমানে শীর্ণকায়া মরা নদীতে পরিণত হয়েছে এ নদী। বর্তমানে এ নদী নৌ চলাচলের সম্পূর্ণ অযোগ্য। অত্র জেলার সীমান্তে প্রবাহিত গড়াই নদীর তীরে অবস্থিত জেলার প্রাচীনতম বাজার লাঙ্গলবাঁধের প্রায় ২ কি.মি.পূর্ব পার্শে বদনপুর স্থানে গড়াই নদী হতে উৎপন্ন হয়ে প্রথমে দক্ষিণে ও পরে দক্ষিণ-পূর্বমুখী গতি নিয়ে নাকোল বাজারের পাশ দিয়ে আবার গড়াই নদীতে পতিত হয়েছে। পতিত মুখে জি.কে. প্রজেক্টের কারণে ব্রীজ নির্মিত হওয়ায় নদীর মোহনা ভরাট হয়ে গেছে এবং এই একই কারণে নদী মজে গেছে। নদীর গতিপথে অন্য একটি ধারা রাধানগর বাজারের পাশ দিয়ে দক্ষিণমুখী গতিতে প্রবাহিত হয়ে দেবীনগর গ্রামের মধ্য দিয়ে কুমার নদীর সাথে মিলিত হয়েছে। বর্তমানে এ ধারার নাম দেবীনগরের খাল।
এ নদীর ধারে নহাটা গ্রামে পীরে কামেল গরীব শাহ্ দেওয়ানের মাজার অবস্থিত। হানুনদীর তীরে অত্র জেলার একাধিক বৃহৎ বাজার অবস্থিত। যথা:- সবদালপুর, রাধানগর, নাকোল, রাজাপুর, সাচিলাপুর, ত্রখলপুর, দারিয়াপুর।
কুমার নদঃ
অত্র জেলার উত্তরাংশের এক কালের স্রোতসিন্দী নদ। চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা থানার প্রায় ১৫ মিঃ কিঃ পশ্চিমে মাথাডাঙ্গা নদী হতে উৎপন্ন হয়ে পূর্বমুখী গতি নিয়ে আলমডাঙ্গা থাকার নিকট রেল লাইন অতিক্রম করে শ্রীপুরের পশ্চিম পার্শ্বে দিয়ে শ্রীপুর ও গয়েশপুর ইউনিয়নের মধ্য দিয়ে অত্র জেলায় প্রবেশ করে পূর্ব দক্ষিণ মূখী গতি নিয়ে এঁকে বেঁকে অগ্রসর হয়ে আঠারখাদা ইউনিয়নের সীমানা হতে দক্ষিণ মুখী গতি নিয়ে রামনগরের নিকট মুচিখালির সাথে মিলিত হয়েছে। এই মিলিত ধারা পশ্চিম মুখী গতি নিয়ে পারনান্দুয়ালী ও নিজনান্দুয়ালী গ্রামের মধ্য দিয়ে দক্ষিণমুখী গতি নিয়ে মাগুরা জেলা শহরের উত্তরপূর্ব কোনে নবগঙ্গার সাথে মিলিত হয়েছে। এই মিলিত ধারা এঁকে বেঁকে জেলার সীমানা অতিক্রম করেছে। কুমার নদের তীরে অত্র জেলার শ্রীপুর থানা শহর খামার পাড়া, গাংনালিয়া, টেঙ্গাখালী, কাজলী, মধুপুর, আবালপুর বাজার অবস্থিত। জনশ্রুতি আছে, পূর্বে কুমার নদ মুচিখালী হয়ে গড়াই নদীতে পতিত হয়েছিল। তৎকালীন স্থানীয় লবণ ব্যবসায়ীরা কাটাকালী ও রামনগর গ্রামের নিকট হতে খাল কেটে মাগুরা নিকট নবগঙ্গার সাথে মিলিত করে দেয়। ফলে নদের মুচিখালী অংশ ধীরে ধীরে মজে যেতে থাকে আর কাটা অংশ পূর্ণাঙ্গ নদীতে পরিণত হয়ে পড়ে। বর্তমানে নদের কাটা অংশ কুমার নদে পরিণত হয়েছে।
তথ্য সংগ্রহেঃ
আবু বাসার আখন্দ
জেলা প্রতিনিধি
মাছরাঙ্গা টেলিভিশন / ভোরের কাগজ
দি এডিটর (অনলাইন নিউজ পেপার)