
Home যশোর জেলা / Jessore District > যশোর মহিলা কলেজ (১৯৬৫)
এই পৃষ্ঠাটি মোট 99795 বার পড়া হয়েছে
১৯৬৫ সনের সেপ্টম্বর মাসে মাত্র ৪৭জন ছাত্রী নিয়ে যশোর মহিলা কলেজের কার্যক্রম শুরু হয়। স্থানীয় মাইকেল মধুসুদন কলেজ ভবনের একটি অংশ প্রথমে কলেজটি চালু হয়। সেখানে ১৯৬৬ সনের ২০ জুলাই পর্যন্ত ক্লাশ চলার পর কলেজটিতে নিজস্ব নবনির্মিত দ্বিতল ভবনে স্থানান্তরিত করা হয়। কলেজটি প্রতিষ্ঠিত হয় প্রধানতঃ জনসাধারণের প্রদত্ত চাঁদা ও স্থানীয় বিদ্যোৎসাহী ব্যক্তিবর্গের উদ্যোগে। অতঃপর সরকার কলেজটির উন্নয়ন কল্পে ১৯৬৫ সনে ৩,২০০ টাকা এবং ১৯৬৭-৬৮ সনে ৭০,০০০ টাকা প্রদান করেন। ১৯৬৬-৬৭সনে কলেজের আবর্তক ব্যয় নির্বাহের জন্য ১৮,০০০ টাকা প্রদান করেন।
১৯৬৭ সনে স্নাতক শ্রেণীতে “মানবিক” এবং পরবর্তী বৎসরে উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণীতে ‘বিজ্ঞান’ পাঠ্যক্রম প্রবর্তিত হওয়ায় কলেজটি প্রথম শ্রেণীর মর্যদা লাভ করে। উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণীর জন্য যশোর শিক্ষা বোর্ড এবং স্নাতক শ্রেণীর জন্য রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক কলেজটি অনুমোদিত।
অধ্যাপনার কাজ প্রাথমিক পর্যায়ে স্থানীয় মাইকেল মধুসুদন কলেজের শিক্ষকদের দ্বারা সম্পন্ন হয়। তাঁরা ছিলেন খন্ডকালীন অধ্যাপক। কলেজে ৩ জন পূর্ণকালীন অধ্যাপিকাও সে সময় ছিলেন। অতঃপর কলেজের সর্বাঙ্গীন সমপ্রসারণ ঘটে। কলেজের সীমানার মধ্যে ছাত্রীদের জন্য একটি মনোরম দ্বিতল ছাত্রী নিবাস নির্মিত হয়। ২জন অধ্যাপিকা ছাত্রীদের তত্বাবধায়কের পদে নিযুক্ত হন। ১৯৭৩-৭৪ সনে কলেজের মোট ছাত্রী সংখ্যা ছিল ২১৯ জন। শিক্ষক সংখ্যা ছিল ২১ জন। ১৯৯২ সনে ছাত্রী সংখ্যা ছিল ১,১৯৭জন। শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং প্রদর্শকের সংখ্যা ছিল ৪১ জন। কলেজের ছাত্রীরা বিভিন্ন সময় খেলাধুলায় অংশ গ্রহণ করে বেশ কৃতিত্ব অর্জন করে। কলেজের পরীক্ষার ফলাফল বেশ সন্তোষজনক। মেধা তালিকায় স্থান পায়।
তথ্য সূত্র :
বাংলাদেশ জেলা গেজেটীয়ার বৃহত্তর যশোর
ওয়েব সম্পাদনা :
মোঃ হাসানূজ্জামান (বিপুল)
শামিউল আমিন (শান্ত)
আর্থিক সহযোগিতায় :
মোস্তফা ফারুক মোহাম্মদ
সাবেক সচিব ও রাষ্ট্রদূত