
Home নড়াইল জেলা / Narail District > পান চাষ বর্জন আন্দোলন / Boycott the betel leaf cultivation movement ***
এই পৃষ্ঠাটি মোট 99997 বার পড়া হয়েছে
পান চাষ বর্জন আন্দোলন / Boycott the betel leaf cultivation movement ***
পান চাষ বর্জন আন্দোলন
Boycott the betel leaf cultivation movement
তৎকালীন যশোর জেলা বোর্ডের চেয়ারম্যান লোহাগড়ার কৃতি সন্তান রায় বাহাদুর যদুনাথ মজুমদারকে (CIE- Compaction of Indian Empire) নির্বাচনে পরাজিত করে সৈয়দ নওশের আলী জেলা বোর্ডের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। যদুনাথ মজুমদারের সাথে সৈয়দ নওশের আলীর প্রতিদ্বন্দিতা হয়েছিল বেশ তুঙ্গে। রায়বাহাদুর যদুনাথ মজুমদার ছিলেন বারুজীবি সমপ্রদায়ের লোক। বারুজীবিদের জীবিকা নির্বাহ হয় পান ও সুপারী চাষ করে।
সৈয়দ নওশের আলী হিন্দু সমপ্রদায়ের বারুজীবিদের প্রভাব ও তাদেরকে আর্থিকভাবে দূর্বল করতে এবং পরোক্ষভাবে যদুনাথ মযুমদারের উপর চাপ সৃষ্টির জন্য মহাত্মা গান্ধীর মত বিলাতী কাপড় ও বিদেশী লবন বর্জনের আন্দোলনের ন্যায় পান খাওয়া বর্জনের ডাক দিয়েছিলেন। সৈয়দ নওশের আলী অনুগত সমর্থক ও অনুসারীগণ পান-সুপারী ক্রয় বন্ধ করে দেয়। হাট-বাজারে কেহ পান কিনতে গেলে তা ছিনিয়ে পদদলিত করা হতো। ১৯২৩ সালে নড়াইল অঞ্চলে এই পান বর্জন আন্দোলন বেশ জেগে উঠেছিল। সৈয়দ নওশের আলীর ভগ্নিপতির বাড়ী ছিল জেলার লোহাগড়া উপজেলার কুমড়ী গ্রামে। যার ফলে দিঘলিয়া বাজার, বড়দিয়া বাজার, চাচুড়ি বাজার ও বর্তমান নড়াইল জেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে বহু লোক পান বর্জন আন্দোলনে শরীক হয়েছিলেন এবং বহু লোক পান খাওয়া বন্ধ করেছিলেন। এই আন্দোলন দু’বছর চলার পর ধীরে ধীরে বন্ধ হয়ে যায়।
তথ্য সূত্র :
নড়াইল জেলার অতীত ও বর্তমান
লেখক : আকরামুজ্জামান মিলু
সম্পাদনা :
মোঃ হাসানূজ্জামান বিপুল
আপডেট :
এপ্রিল ২০১২
সৈয়দ নওশের আলী হিন্দু সমপ্রদায়ের বারুজীবিদের প্রভাব ও তাদেরকে আর্থিকভাবে দূর্বল করতে এবং পরোক্ষভাবে যদুনাথ মযুমদারের উপর চাপ সৃষ্টির জন্য মহাত্মা গান্ধীর মত বিলাতী কাপড় ও বিদেশী লবন বর্জনের আন্দোলনের ন্যায় পান খাওয়া বর্জনের ডাক দিয়েছিলেন। সৈয়দ নওশের আলী অনুগত সমর্থক ও অনুসারীগণ পান-সুপারী ক্রয় বন্ধ করে দেয়। হাট-বাজারে কেহ পান কিনতে গেলে তা ছিনিয়ে পদদলিত করা হতো। ১৯২৩ সালে নড়াইল অঞ্চলে এই পান বর্জন আন্দোলন বেশ জেগে উঠেছিল। সৈয়দ নওশের আলীর ভগ্নিপতির বাড়ী ছিল জেলার লোহাগড়া উপজেলার কুমড়ী গ্রামে। যার ফলে দিঘলিয়া বাজার, বড়দিয়া বাজার, চাচুড়ি বাজার ও বর্তমান নড়াইল জেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে বহু লোক পান বর্জন আন্দোলনে শরীক হয়েছিলেন এবং বহু লোক পান খাওয়া বন্ধ করেছিলেন। এই আন্দোলন দু’বছর চলার পর ধীরে ধীরে বন্ধ হয়ে যায়।
তথ্য সূত্র :
নড়াইল জেলার অতীত ও বর্তমান
লেখক : আকরামুজ্জামান মিলু
সম্পাদনা :
মোঃ হাসানূজ্জামান বিপুল
আপডেট :
এপ্রিল ২০১২