
Home ঝিনাইদহ জেলা / Jhenidah District > ঝিনাইদহের রাজা ও জমিদার / The king and landlord of Jhenaidah district
এই পৃষ্ঠাটি মোট 99776 বার পড়া হয়েছে
ঝিনাইদহের রাজা ও জমিদার / The king and landlord of Jhenaidah district
ঝিনাইদহের রাজা ও জমিদার
The king and landlord of Jhenaidah district
আজকের বিদ্যুতায়িত আধুনিক সুযোগ সুবিধা সমৃদ্ধ এক কালের জঙ্গলাকীর্ণ ঝিনাইদহের শ্রীবৃদ্ধিতে নলডাঙ্গা রাজাদের অবদান অনেকের চেয়ে বেশী। ষোড়শ শতকের শেষ বছরেও ঝিনাইদহের অধিকাংশ অঞ্চল ছিল জঙ্গলাকীর্ণ। জমিদারী সনদ প্রাপ্তির পর রাজারা পতিত জমি উদ্ধারের প্রয়াস চালান, কালক্রমে জনপদের পত্তন ঘটে। পঞ্চদশ শতকে ঢাকা জেলার ভবরাসুরা গ্রামে হলধর ভট্টাচার্য নামীয় এক ব্রাহ্মণ সেবাইত পেশায় নিয়োজিত ছিলেন। তার ৫০ম অধঃস্তন বিষ্ণুদাস হাজরা দৈবশক্তির অধিকারী হয়ে পিতৃগৃহ ত্যাগ করে বর্তমান হাজরাহাটি (সূত্রগুনি) জঙ্গলে আস্তানা গেড়ে বসেন। ১৫৯০ সালে সম্রাট আকবরের প্রধান সেনাপতি মানসিংহ ঢাকা পরিদর্শন শেষে নৌকা পথে রাজধানী রাজমহলে ফিরছিলেন। খাদ্য ঘাটতির কারণে সেনাপতির আদেশে জনৈক অফিসার ক’জন সিপাই নিয়ে খাদ্যান্বেষণে নৌকা থেকে নামলেন। হঠাৎ তাঁরা এক সন্যাসীর আশ্রমে উপস্থিত হলেন।
অফিসার- নতজানু হয়ে বললেন, ‘প্রভু’।
সন্যাসী- তোমার জয় হোক। বৎস বল, তুমি কে এবং কি চাও?
অফিসার- আমি বাংলার মহামান্য সুবেদারের প্রতিনিধি। ঢাকা থেকে রাজমহল যাচ্ছি। খাদ্যের অভাব ঘটেছে। তীরে খাদ্যান্বেষণে এসেছি।
সন্যাসী- উত্তম, তুমি তোমার মনিবকে বল, আমি সকল চাহিদা পূরণ করবো। কিন্তু তাঁকে আমার আতিথ্য গ্রহণ করতে হবে।
মানসিংহ তার গৃহে এলেন। সন্যাসী তাকে সসম্মানে গ্রহণ করলেন। আপ্যায়নের পর অবশিষ্ট প্রচুর খাদ্য নিয়ে যেতে বললেন। রাজপূত সেনাপতি মানসিংহ কৃতজ্ঞতার কারণে তাকে ৫ খানা গ্রাম দান করলেন। নলডাঙ্গা জমিদারীর এই পাঁচখানা গ্রামই হলো জমিদারীর ভিত। তিনি আরো বললেন তিনি বা তার পক্ষে যে কোন ব্যক্তি পার্শ্ববর্তী সকল গ্রামের দায়িত্ব পেতে পারেন। যশোর জেলায় এটাই প্রথম জমিদারী।
বিষ্ণুদাসের মানসপুত্র শ্রীমন্ত লোকজন নিয়ে জঙ্গল পরিস্কার করলেন এবং আজকের কোটচাঁদপুর অধীনে স্বরূপপুর হতে পাঠানদের বিতাড়িত করে নিজ জমিদারীর অন্তর্ভূক্ত করলেন। ১৫৯৮ সালে আকবর পূর্বাঞ্চলের বিদ্রোহ দমনে মানসিংহকে ঢাকায় পাঠান। বিদ্রোহ দমন করে শ্রীমন্তকে বড় জমিদারীর সনদ দেন এবং তাকে রণবীর খা উপাধিতে ভূষিত করেন। উপাধি হয় দেবরায়। একদিন শিকারে গিয়ে শ্রিমন্ত দেবরায় এক সন্যাসীর সাক্ষাৎ পেলেন, সন্যাসী তাকে শিষ্যত্ব গ্রহণের আহবান জানান এবং স্নান করে আসতে বলেন। তিনি নিকটে জল না পেয়ে ফিরে এলেন এবং সন্যাসীকে বললেন। সন্যাসী তাকে একটি কুশোর আংটি দিলেন এবং জঙ্গলের বাইরে গিয়ে ছুড়ে দিতে বললেন। শ্রীমন্ত দেবরায় তাই করলেন এবং একটি গভীর জলাশয় দেখতে পেয়ে স্নান সেরে শিষ্যত্ব গ্রহণ করলেন। সেই জলাশয়ই কালিকাতলা জলাশয় নামে খ্যাত। এই সন্যাসীই জমিদার বাড়ীর উন্নতি চালিকা শক্তি। সন্যাসীর নাম ব্রক্ষ্মান্ডগিরি। এই ঘটনার পর শ্রীমন্ত দেবরায় বেশিদিন জীবিত ছিলেন না। শ্রীমন্তের দুই পুত্রের মদ্যে বড় পুত্রের (গোপী দেবরায়) প্রপৌত্র চন্ডিচরণ দেবরায় (১৬৪৩ সাল পর্যন্ত) একজন জ্ঞানী, চরিত্রবান ও প্রভাবশালী পুরুষ ছিলেন। তিনিই বংশের রাজা উপাধি অর্জন করেন। বিচক্ষণ রাজা অনেক ফিরিঙ্গি পালোয়ান, তীরন্দাজ এবং গোলন্দাজ দলভূক্ত করেন এবং দাপটের সাথে রাজত্ব করেন। তার সময় নিকটবর্তী জমিদার রাজা কেদারেশ্বরের মনোবিবাদে তাকে পরাজিত করে তা বাটীর গোপাল নিজ বাড়ীতে প্রতিষ্ঠা করেন। কালক্রমে তিনি সমগ্র মামুদশাহী পরগণার অধিশ্বর হন। তার আমলেই ঝিনাইদহের চাকলায় কাচারীবাড়ী প্রতিষ্ঠা করা হয়। তার জমিদারীর কালে পুত্র ইন্দ্র নারায়ণের সময়ে সন্যাসী ব্রক্ষ্মান্ডগিরির আদেশে কাশী হতে ভাস্কর এনে কালীমূর্তি প্রস্তুত করে সুন্দর পঞ্চরত্ন মন্দিরে স্থাপন করা হয়। দেবীর নাম রাখা হয় ‘ইন্দ্রেশ্বরী’। চন্ডিচরণ দেবরায়ের ৩য় অধঃস্তন উদয় নারায়ণ (১৬৮৫-১৬৯৮) রাজত্ব করেন। তার আমলে রাজ্যের সবিশেষ ক্ষতি হয় এবং অনেক রাজস্ব বকেয়া পড়ে। দ্বিতীয় পুত্র রামদেব দেবরায় নবাবের সহায়তায় ১৬৯৮ সালে রাজতক্তে বসেন এবং দীর্ঘকাল জমিদারী পরিচালনা করেন। (১৬৯৮-১৭২৭) রামদেবের রাজত্বকালে রাজা সীতারামের আবির্ভাব। মামুদশাহীর কিছু অংশ রাজা সীতারাম দখল করেন। রামদেব তার সাথে আপোষ করে জমিদারী রক্ষা করেন। সীতারামের অনেক সৈন্য পালিত হইত জমিদারী রক্ষার জন্য। ফলে রাজস্ব বাকী পড়ে। ১৭০৪ সালে মুরশীদ কুলি খাঁ বঙ্গের সুবেদার ঢাকা হতে রাজধানী মুর্শিদাবাদ স্থানান্তর করেন। অনেক ঘটনার পর জমিদারী রক্ষা পায়। কৃষ্ণচন্দ্র দাস তাকে সহায়তা করেন এবং পুরস্কার স্বরূপ কিছু জমি দান করেন। মাগুরা জেলার নান্দুয়ালী গ্রামে তার বাস। রামদেবের (১৭২৭) মৃত্যুর পর রঘুদেব রাজত্ব পান। রঘুদেব (১৭২৭-১৭৪৮) রাজ্য পরিচালনা করেন। অপুএক রঘুদেবের ভ্রাতা কৃষ্ণদেব রাজ্য (১৭৪৮-১৭৭৩) চালান। এই সময় ’৭৬ এর মন্বন্তর হয়। কৃষ্ণদেব ছোট রাণী রাজরাজেশ্বরীর পুত্র ২ জনকে ২/৫ অংশ এবং বড় রাণী লক্ষ্মীপ্রিয়ার ছেলে গোবিন্দকে ১/৫ অংশ দিয়ে যায়। বৃটিশ ভারতে ১৮০০ সালে গোবিন্দর অংশ বিক্রি হয়ে যায় এবং বহু হাত ঘুরে ১৮৪০ সালে নড়াইল জমিদাররা তা কিনে নেন। ছোটরাণীর ছোট ছেলে রামশংকর দেব রায় (১৭৭৩-১৮১২) জমিদারী পরিচালনা করেন। ১৮১২ সালে রামশংকরের মৃত্যু হলে পত্নী রাণী রাধামতি স্বামীর চিতায় আত্মত্যাগ করেন। প্রপৌত্র শশীভূষণ সাবালক হয়ে (১৮১২-১৮৩৪) পর্যন্ত জমিদারী পরিচালনা করেন। ইতিমধ্যে হারানো রাজা উপাধি তিনি পুনরুদ্ধার করেন। জমিদারী নাবালক দত্তক পুত্র ১৮৭১ সালে প্রমথভূষণ পরিচালনার ক্ষমতা প্রাপ্ত হন। ৪০ বছর জমিদারী চালিয়ে তিনি বিশেষ প্রশংসা কুড়ান। গভর্ণমেন্ট তাকে রাজা বাহাদুর উপাধি দেন। তিনিই যশোর-খুলনার মধ্যে একমাত্র সনদধারী রাজা। রাজা শশীভূণের সময় নলডাঙ্গা জমিদারী সম্প্রসারিত হয়। এই সময় পিতাহী রাণী তারামণি দেবী রাজবাড়ী নলডাঙ্গা হতে জগন্নাথপুর গ্রামে স্থানান্তরিত করেন। প্রমথভূষণ জনপদের উন্নতি করেন এবং জনহিতকর কাজে হাত দেন।
নলডাঙ্গা হাই স্কুল, চর্তুপাটি, দাতব্য-চিকিৎসালয়, অসংখ্য জলাশয় খননসহ পিতার নামে ইন্দুভূষণ এবং মাতার নামে মধুমতি বৃত্তি প্রতিষ্ঠা করেন। প্রমথ ভূষণের ৪ মেয়ে ২ ছেলে। ৩০ অধঃস্তনে জমিদারীর পরিসমাপ্তি ঘটে।
বাৎসরিক আয় ছিল ৩,০০,১৩১/০০ টাকা। ব্যায়ান্তে লাভ হতো ১,৩৮,০৯৮/০০ টাকা। শেষ রাজা প্রমথ ভূষণ ছিলেন প্রজবৎসল, দয়ালু ও সমদর্শী ব্যাক্তি।
বিষ্ণুদাসের তপ বলে জমিদারী পত্তন হলেও সন্যাসী ব্রক্ষ্মান্ডগিরির কৃপাবলে বংশের রাজ্যশ্রী ঘটে। তার সম্পর্কে বঙ্গেশ্বর লর্ড কারমাইকেলের প্রশংসা বাক্যের কিয়দংশ নিম্নরূপ- "You have always been ready to help the local authorities with advice on your ripe experience and intimate knowledge of the District to which you belong. You like the life of a Country gentlemen of the type and as a resident landlord you have made good use of your opportunities and have taken an enlightened interest in the well-being of your tenantry and in the encouragement of indigenous industrial enterprises. You have well merited the higher personal title of Raya Bahadur which I hope you will long live to enjoy! (484)
নলডাঙ্গা রাজ বাড়ীর উত্তরে ক্ষেত্রসুনি, পুর্বে শ্রীমন্তপুর, দূর্গাপুর ও বেগবতী (ব্যাং) নদী, দক্ষিণে কাশিমা, পশ্চিমে পাইকপাড়া (আনন্দবাগ) ভাটাপাড়া এবং খেদাপাড়া। নলডাঙ্গা কিছু ছোট ছোট গ্রামের সমষ্টি নলডাঙ্গা মঠবাড়ী, কাদিরপুর, গুঞ্জনগর জগন্নাথপুর, লেহার বিল, কালিকাতলা দোহা ইত্যাদি। মোট জনবসতি ছিল প্রায় ৭০০। রংমহল রাজা শশীর্ভূষনের তৈরী। পরিবারের দেবতা ভক্তি ছিল। মঠবাড়ীর ৮টি মন্দির, তৈলকুপিতে জগন্নাথ মন্দির। রাজবাড়ীর সামান্য দূরে রাজা বাহাদুরের মূর্তি এবং পিলখানা দর্শনীয় বস্তু ছিল।
এই বংশ জাতি ধর্ম নির্বিশেষে ভুমিদান করেছে। জনপদের ইতিহাসে ঐতিহাসিক কাহিনী হিসাবে রাজপরিবার উল্লেখযোগ্য।
ব্রক্ষ্মান্ডগিরি নলডাঙ্গার ইষ্টদেবতা। সিদ্ধেশ্বরী দেবীর প্রতিষ্ঠা করেন। নলডাঙ্গার সর্বত্র তার নাম কীর্তিত হয়। তিনি মানুষের কুলে আঠারোখাদা অন্তর্গত কালিকাপুর আশ্রমে অবস্থান করতেন। কালিতালার শ্মশান নামে কালিকাপুর পরিচিত। শোনা যায় প্রচীন কাল হতে এই শ্মশানে একটি মঠ এবং সিদ্ধেশ্বরী মাতার যন্ত্রদিত শিলাখন্ড ও কালীমূর্তি প্রতিষ্ঠিত ছিল।
এই স্থানটি ছিল সন্যাসীদের তপস্যাস্থল। সপ্তদশ শতকে এবং তার আগে পূন্যাত্না ব্যক্তিরা নবগঙ্গা ধরে এখান থেকে তীর্থে কামাক্ষা যেতেন। সে কারণে ঐ সময় হতে স্থানটিতে সাধূসজ্জনদের সমাগম ঘটত। ঋষি বঙ্কিম চন্দ্র চট্টোপাধ্যায় এর বিখ্যাত উপন্যাস “আনন্দ মঠ” - এ এই শ্মশানের নিখুত চিত্র চিত্রায়িত আছে। সন্যাসী ব্রক্ষান্ডগিরি শ্রীমন্ত দেবরায়ের দীক্ষা গুরু ছিলেন। ব্রক্ষান্ডগিরি এই শ্মশানে থাকতেন। মঠস্বামী ছিলেন র্যাঙগামাচার্য। ঋষি র্যাঙগামাচার্যের শিষ্য ছিলেন। ব্রক্ষান্ডগিরির আদেশে শ্রীমন্ত দেবরায় তখন মায়ের প্রকান্ড মন্দির এবং সাধুদের থাকার আশ্রম তৈরী করে দেন। উপরন্ত সকল ব্যয় নির্বাহের জন্য ২৫০ বিঘা নিস্কর জমি দেবোত্তর দান করেন। রাজা চন্ডীচরণ রাজা ইন্দ্রনারায়ণ ও রাজা সুনারায়ণ ব্রক্ষান্ডগিরির শিষ্য ছিলেন। জমিদার বংশের ৫ম পুরুষ রাজা চন্ডীচরনের মাধ্যমে রাজোপাধি আসে। গুরুর আদেশে রাজা ইন্দ্রনারায়ণ কাশী হতে ভাস্কর এনে অপূর্ব কালীমূর্তি তৈরী করে মঠে প্রতিষ্ঠা করেন। মায়ের নাম রাখেন ইন্দ্রেশ্বরী। কখন মা সিদ্ধেশ্বরী সাজলেন তা অজানা। সন্যাসী ব্রক্ষান্ডগিরির অনত্মর্ধানের পর রাজ পরিবারের এই মঠ এর উপর আকর্ষণ কমে আসে। মঠের পূজা ও সেবার কাজে একজন সেবাইত নিয়োগ করা হয়। গোমস্তার কুকর্মে মঠের সার্বিক ক্ষতি ঘটে এবং শেষে পূজার সাথে মঠের সমস্ত ধর্মানষ্ঠা লোপ পায়। সামান্য দিনের ব্যবধানে গোমস্তার বংশও লোপ পায়। বিষয়াষক্ত ব্যক্তি বর্গ এ ঘটনার পরেও মঠ সম্পত্তির দিকে হাত বাড়ালে সর্বিশেষ ক্ষতিগ্রস্থ হয়। তার আমলেই মায়ের মুর্তিসহ মঠটি ভেঙ্গে ধ্বংস এবং দেবীর যন্ত্রাংকিত শিলাখন্ড অপহৃত হয়। মঠ প্রাঙ্গন বন্য ভূমিতে পরিনত হয়। সুচতুর অধিকারী সম্পত্তির লোভে মঠের ঘটটি বাড়ীতে নিয়ে যেয়ে মায়ের পূজা করতে থাকেন। অবশেষে সেচকর বসিয়ে দেবোত্তর সম্পত্তি নিজ নামে লিখে নেন। দীর্ঘকাল মঠস্থল জঙ্গলে বেষ্ঠিত হয়ে পড়ে। ১৯১৩ সালে কোন এক রাতে আবার দৈব ঘটনা প্রকাশ পায়। সিদ্ধেশ্বরী মা সশরীরে আঠারোখাদার অমলানন্দ ব্রক্ষচারীর সামনে হাজির হয়ে সেবা করবার আদেশ দেন। পূন্যাত্না অমলান্দ মহাশয় তার গুরুদেব সাধকাচার্য শ্রীমদ বিমলান্দ স্বরস্বতী স্বামী মহারাজের সহায়তায় জনহীন শ্মশান প্রান্তরে মঠবাড়ীর জঙ্গল পরিস্কার করে আদেশমত সেবাকার্য পালনে রত হন। চলতি শতকের ২য় দশকে (১৯৩৪) প্রশাসনের সহযোগিতায় নতুন মঠ নির্মাণ করা হয়। ব্রক্ষচারী মহাশয় শান্তিপুর হতে ভাস্কর এনে নতুন কাপড়ের মোড়কে আড়াই মাস ধরে এক অপুর্ব মৃন্ময় মূর্তি তৈরী করে ২০০ বছরের অধিককাল পরে চৈত্র মাসের মহাবিষ্ণু সংক্রান্তির শুভলগ্নে মঠে দ্বিতীয় বারের মত মায়ের মূর্তি স্থাপন করেন।
অনেক কারণে আবার মঠবাড়ী পরিত্যক্ত হয়। ১৯৮০ সালের ১৩ মে বাংলা ৩০ বৈশাখ ১৩৮৭ ‘কল্যাণদায়িনী মাতা’ সিদ্ধেশ্বরী পুস্পিত চরনের স্পর্শে আবার মঠের ধুলিকনা ধণ্য হয়। মঠপাগলী বিশাখা সুন্দরী জাগতিক সকল আকর্ষণ ত্যাগ করে মঠের সেবা করে যাচ্ছেন। কোন ব্যক্তি মঠে উপস্থিত হলেই হাসিমুখে বিশাখা উপস্থিত হন তার কাছে। নিরাসক্ত লোকের আকর্ষণ এখনো আছে। (সিদ্ধেশ্বরী মঠ,মনোরঞ্জন বিশ্বাস, পৃঃ-৩৫)
1. Westland- যশোর প্রতিবেদন
2. Naldanga & Naldanga Raj Family- Aw¤^KvPib মুখার্জী
3. সতীশ মিত্র, যশোর খুলনার ইতিহাস
তথ্য সূত্র:
ঝিনাইদহের ইতিহাস
লেখক: মীর্জা মোহাম্মদ আল-ফারুক
সাবেক জেলা প্রশাসক, ঝিনাইদহ
সর্বশেষ আপডেট:
২১.০৮.২০১১