
Home অতীতের শিক্ষা ব্যবস্থা / Past educational system > জেলা শিক্ষা প্রশাসন
এই পৃষ্ঠাটি মোট 17925 বার পড়া হয়েছে
জেলা শিক্ষা প্রশাসন
শিক্ষা প্রশাসন :
জেলা শিক্ষা প্রশাসনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ শিক্ষা পরিদপ্তরের অধীনে প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত শিক্ষার প্রধান দায়িত্ব ছিল জেলা শিক্ষা অফিসারের। তিনি জুনিয়র হাইস্কুল এবং হাই স্কুলসমূহের উন্নয়ন কার্যাবলীর সমন্বয় সাধন করেন। ১জন জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক, ৪জন মহকুমা শিক্ষা অফিসার, ১৪জন থানা শিক্ষা অফিসার এবং ১৭জন উপ-সহকারী বিদ্যালয় পরিদর্শক নিয়ে তাঁর পরিদর্শক মন্ডলী গঠিত। শিক্ষা পরিদপ্তরে সাথে যুক্ত ছিল ১জন জেলা ক্রীড়া সাংগঠনিক অফিসার যিনি জেলার সমস্ত বিদ্যালয়ে শরীরচর্চা বিষয়ক শিক্ষা তদারক করতেন।
জেলা কাউন্সিল গ্রামাঞ্চলের জুনিয়র হাইস্কুল, মাদ্রাসা ও টোলসমূহের জন্য অর্থ মঞ্জুরী (Grants) এবং জেলার চারটি পৌরসভা নিজ নিজ শহর এলাকার প্রাথমিক বিদ্যালয় সমূহের আর্থিক সাহায্য দিতেন। প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন ও নিয়ন্ত্রণ করতেন বিদ্যালয় পরিদর্শক।
জেলার মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়সমূহের অনুমোদনদানের ক্ষমতা ১৯৬৩ সন পর্যন্ত ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের উপর ন্যস্ত ছিল। তাছাড়া পাঠ্যক্রম নির্ধারণ এবং পরীক্ষাসমূহ পরিচালনা করার দায়িত্ব এ বোর্ডের উপর ছিল। ১৯৬৩ সনে যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বোর্ড স্থাপিত হওয়ার পর উক্ত দায়িত্বসমূহ এ বোর্ডের উপর ন্যস্ত হয়।
১৯৫৩ সনে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হওয়ার পর অনুরূপভাবে স্নাতক পরীক্ষার দায়িত্ব ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবর্তে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপর ন্যস্ত হয়। দেশ বিভাগের পূর্বে (১৯৪৭) উল্লিখিত দায়িত্বসমূহ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপর ন্যস্ত ছিল।
বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড জেলার সিনিয়র মাদ্রাসা সমূহের অনুমোদন প্রদান, পাঠ্যক্রমে প্রণয়ন ও পরীক্ষা পরিচালনার দায়িত্ব পালন করে।
জেলার কারিগরী ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের অনুমোদন প্রদান ও পরীক্ষা গ্রহণের দায়িত্ব বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের। বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা পরিচালক উক্ত প্রতিষ্ঠানসমূহ নিয়ন্ত্রণ করেন।
জেলার কলেজসমূহ বাংলাদেশ জনশিক্ষা মহাপরিচলকের সরাসরি নিয়ন্ত্রণাধীন। তিনি সহকারী কলেজের শিক্ষক ও কর্মচারী নিয়োগ ও বদলী করেন এবং বেসরকারী কলেজসমূহের আর্থিক মঞ্জুরী দিয়ে থাকেন।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের মহাবিদ্যালয়সমূহের স্নাতক (পাস, সম্মান) এবং স্নাতকোত্তর পর্যায়ে পরীক্ষাসমূহ পরিচালনা করে থাকে।
পরবর্তীতে ১৯৯২ সনে প্রাথমিক ও গণ-শিক্ষা বিভাগ নামে পৃথক একটি বিভাগ সৃষ্টি হয়। এই বিভাগ প্রাথমিক ও গণ-শিক্ষা বিষয়ক যাবতীয় শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা ও তদারকীর দায়িত্ব পালন করে থাকে।
তথ্য সূত্র :
বাংলাদেশ জেলা গেজেটীয়ার বৃহত্তর যশোর
সম্পাদনা :
মোঃ হাসানূজ্জামান বিপুল