
Home অতীতের শিক্ষা ব্যবস্থা / Past educational system > অতীতের শিক্ষা ব্যবস্থা
এই পৃষ্ঠাটি মোট 17931 বার পড়া হয়েছে
অতীতের শিক্ষা ব্যবস্থা
যশোর জেলার অতীতের শিক্ষা ব্যবস্থা ও শিক্ষার অগ্রগতি আলোচনা প্রসঙ্গে যশোর জেলা গেজেটিয়ারে (১৯১২) ও’ম্যালী উল্লেখ করেছেন যে সমগ্র জেলায় ১৮৯০-৯১সনে বিদ্যালয়ের সংখ্যা ছিল ১,০৬৩ এবং শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল সর্বমোট ৩০,৩৭৯জন।
১৯০০-০১ সনে বিদ্যালয়ের সংখ্যা হ্রাস পেয়ে ৯৭৯টিতে দাঁড়ায় কিন্তু শিক্ষার্থীর সংখ্যা পূর্বাপেক্ষা বৃদ্ধি পেয়ে ৩৪,৮৭৮ জন হয়। পরবর্তী দশকে ১৯১০-১১সনে বিদ্যালয়ের সংখ্যা পুনরায় বৃদ্ধিপেয়ে ১, ৪৫০টি হয় এবং আলোচ্য সময়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বিশেষভাবে বৃদ্ধি পেয়ে ৫৩,০৭০জন হয়।
১৯০০-০১সনে ও’ম্যালীর গেজেটিয়ারে উল্লেখ করা হয়েছে যে, বিদ্যালয়ে যাওয়ার মত বয়ঃপ্রাপ্ত বালকদের মধ্যে শতকরা ৩০.৩৬জন এবং বালিকাদের মধ্যে শতকরা ৪.২জন অধ্যয়নরত ছিল। প্রতি ৩.৩টি গ্রামের মধ্যে ১টি করে বিদ্যালয় ছিল। সমগ্র জেলার বিদ্যালয় প্রশাসনের জন্য নিয়োজিত কর্মকর্তাদের মধ্যে একজন ডিপুটি ইন্সপেক্টর এবং তাকে সহায়তা করার জন্য ১জন অতিরিক্ত ডিপুটি ইন্সপেক্টর, ৯জন সাব-ইন্সপেক্টর, ৯জন সহকারী সাব ইন্সপেক্টর ও ৭জন ইন্সপেক্টিং পন্ডিত ছিলেন। উচ্চ শিক্ষাক্ষেত্রে উল্লেখিত সময়ে ও সমগ্র জেলার ১টি মাত্র কলেজ নড়াইল মহকুমায় অবস্থিত ছিল-নাম ভিক্টোরিয়া কলেজ। কলেজটি নড়াইলের বাবু রামরতন রায় কর্তৃক মূলতঃ একটি উচ্চ ইংরেজী বিদ্যালয় হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৮৮৬সনে উক্ত-বিদ্যালয় উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণীসমূহ প্রবর্তন করার ফলে বিদ্যালয়টি একটি দ্বিতীয় শ্রেণীর কলেজে রূপান্তরিত হয়। এভাবে চার বছর চলার পর ১৮৯০সনে স্নাতক শ্রেণীর বিষয়সমূহ পড়ানো হলে প্রথম শ্রেণীর কলেজে উন্নীত হয়। আলোচ্য শতাব্দীর সমাপ্তি পর্যন্ত কলেজটির উক্ত মান অক্ষুন্ন থাকে। অতঃপর স্নাতক শ্রেণীসমূহ বন্ধ হয়ে যায় কিন্তু উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণীসমূহ পূর্বের ন্যায় চালু থাকে। কলেজের শিক্ষক মন্ডলীতে ছিলেন ১জন অধ্যক্ষ, ১জন ইংরেজী সাহিত্যের অধ্যাপক, ১জন অঙ্ক শাস্ত্রের অধ্যাপক ও ২জন সংস্কৃতের অধ্যাপক। কলেজ সংলগ্ন ১টি ছাত্রাবাস ও ১টি উচ্চ ইংরেজী বিদ্যালয় ছিল। কলেজের অধ্যক্ষ এ দুটির তত্ত্বাবধায়ন করতেন।
তথ্য সূত্র :
বাংলাদেশ জেলা গেজেটীয়ার বৃহত্তর যশোর
ওয়েব সম্পাদনা :
মোঃ হাসানূজ্জামান বিপুল