
Home ঐতিহ্য (Tradition) > রেজিস্ট্রেশন
এই পৃষ্ঠাটি মোট 5817 বার পড়া হয়েছে
রেজিস্ট্রেশন
যশোর শহরেই যশোর জেলার প্রথম রেজিস্ট্রেশন (নিবন্ধীকরণ) অফিস প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ১৭৯৭ সালে। ১৯০৮ সালের রেজিস্ট্রেশন অ্যাক্ট অনুযায়ী বিগত আগষ্ট ১৯৭১ পর্যন্ত সাবেক যশোর জেলার ডেপুটি কমিশনার পদাধিকার বলে ডিষ্ট্রিক্ট বা জেলা রেজিষ্ট্রার হিসাবে দায়িত্ব পালন করতেন। পরবর্তীতে সরকারী সিন্ধান্ত অনুযায়ী বিভাগীয় কর্মকর্তাদের মধ্যে থেকে পদোন্নতির মাধ্যমে জেলা/ডিষ্ট্রিক্ট রেজিষ্টার নিয়োগ করার নিয়ম প্রবর্তন করা হয়। ১৯৮৩ সাল পর্যন্ত বৃহত্তর যশোর জেলার জন্য একজন জেলা রেজিষ্ট্রার ছিল। বর্তমানে যশোর অঞ্চলে ৩টি রেজিষ্ট্রেশন জেলা রয়েছে-(১) মাগুরা রেজিষ্ট্রেশন জেলা, (২) নড়াইল রেজিষ্ট্রেশন জেলা ও (৩) যশোর রেজিষ্ট্রশন জেলা। মাগুরা রেজিষ্ট্রেশন জেলায় রয়েছে মাগুরা ও ঝিনাইদহ জেলা। জেলাদ্বয়ের জন্য রয়েছে একজন জেলা রেজিষ্ট্রার (পদবী: জেলা রেজিষ্ট্রার, মাগুরা)। সদর দপ্তর মাগুরায় অবস্থিত। অপর দিকে যশোর ও নড়াইল জেলাদ্বয়ের জন্য পৃথক দুটি রেজিষ্ট্রেশন অফিস রয়েছে। এছাড়া প্রতি থানায় একটি, সাব-রেজিষ্ট্রি অফিস আছে। একজন সাব-রেজিস্ট্রার এই সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের দায়িত্ব রয়েছে।
সাবেক যশোর জেলায় ১৯৮৩ সাল পর্যন্ত ১৬টি সাব-রেজিস্ট্রী অফিস ছিল। ১৯৭২সালে রেজিস্ট্রীকৃত দলিল সংখ্যা সহ রেজিস্ট্রী অফিসগুলোর নাম নিচে উল্লেখ করা হলোঃ
সাব-রেজিস্ট্রী অফিস | প্রতিষ্ঠার তারিখ | ১৯৭২সালে রেজিস্ট্রীকৃত দলিল সংখ্যা | ||
১। যশোর সদর | ১৭৯৭ | ১৭,৫২৯ | ||
২। ঝিকরগাছা | ১৯১৬ | ১৫,৫৩৩ | ||
৩। মনিরামপুর | ১৮৭৪ | ৬,৮৮২ | ||
৪। নোয়াপাড়া | ১৯৩৩ | ৪,৫৮৭ | ||
৫। কেশবপুর | ১৮৭৪ | ৬,৬৯৯ | ||
৬। চৌগাছা | ১৯৫৮ | ৬,৯০৪ | ||
৭। মাগুরা | ১৮৬৩ | ১২,০১৮ | ||
৮। শ্রীপুর | ১৮৮১ | ২,২৩৪ | ||
৯। মোহাম্মদপুর | ১৯৭৪ | ৪,২২৮ | ||
১০। নড়াইল | ১৮৭৩ | ৩,৪৩৬ | ||
১১। কালিয়া | ১৮৭৪ | ৩,৩২৭ | ||
১২। লক্ষ্মীপাশা | ১৮৭৫ | ৪,৯৯৭ | ||
১৩। ঝিনাইদহ | ১৯৭৩ | ১৩,৩৮৩ | ||
১৪। শৈলকুপা | ১৮৭৫ | ৭,২২৪ | ||
১৫। কোটচাঁদপুর | ১৯৭৫ | ৯,১১৯ | ||
১৬। আলফাডাংগা | ১৮৯৪ | |||
উল্লেখ্য মোহাম্মদপুর থানার ৪টি ইউনিয়ন বর্তমানে ফরিদপুর জেলার সংগে যুক্ত। আরো উল্লেখ্য, আলফাডাংগা থানা বিগত ১-৮-১৯৬০তারিখ থেকে ফরিদপুর জেলার সংগে রয়েছে।
জেলা রেজিস্ট্রার জেলার সাব-রেজিষ্ট্রী অফিসগুলোর প্রশাসনিক প্রধান। তিনি অধীনস্থ সাব-রেজিষ্ট্রী অফিসগুলো বছরে একবার বা দুবার পরিদর্শন করেন। নিবন্ধীকরণ আইন, ১৯০৮-এর আওতায় তিনি রেজিস্ট্রেশন বা নিবন্ধীকরণ সংক্রান্ত মামলার আপীল শোনেন। যাবতীয় অভিযোগের ভিত্তি অনুসন্ধান করেন এবং বাংলাদেশের যে কোন স্থানের দলিল নিবন্ধন করেন।
সাব-রেজিষ্ট্রারের কাজ হলো জায়গা-জমি হস্তান্তর সংক্রান্ত আবশ্যকীয় ও ঐচ্ছিক দলিলপত্র রেজিস্ট্রী করার মাধ্যমে গেইনট্যাক্স, ষ্ট্যাম্প ডিউটি, কোর্ট ফি এবং রেজিষ্ট্রশন ফি আদায় করা। নিবন্ধীকরণের পূর্বে সাব-রেজিষ্ট্রার দলিলগুলো পরীক্ষা করে দেখেন। নির্বোধ, পাগল ও অপ্রাপ্ত বয়স্কদের দলিল রেজিষ্ট্রী করার ক্ষেত্রে বিচার বিবেচনা করার দায়িত্ব তাঁর উপর ন্যস্ত করা হয়েছে।
তথ্য সূত্র :
যশোর গেজেটিয়ার