
Home দৃষ্টিপাত (Visibility) > নড়াইলে ১ সপ্তাহে ৮০ ঘরবাড়ি নদী গর্ভে
এই পৃষ্ঠাটি মোট 3938 বার পড়া হয়েছে
নড়াইলে ১ সপ্তাহে ৮০ ঘরবাড়ি নদী গর্ভে
জেলার কালিয়া উপজেলার সালামাবাদ ইউনিয়নের দেবীপুর ও পাটনা গ্রামে গত তিন সপ্তাহে নবগঙ্গা নদীর ভাঙ্গণে ৮০টি ঘর-বাড়ি নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে আরও ১৫০টি ঘর ও দেবীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ইতিমধ্যে এই এলাকায় আধা কিলোমিটার এলাকা নদীগর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। নদীর তীর থেকে ১শ গজ দূরে নির্মাণ করা রিংবাঁধ উপচে জোয়ারের পানি লোকালয় ও বিলে প্রবেশ করায় পানের বরজ, মাছের ঘের এবং ফসল তলিয়ে যাচ্ছে। সরকারিভাবে কোন সাহায্য না আসায় ক্ষতিগ্রস্থ কয়েকটি পরিবার রাস্তার ওপর মানবেতর জীবন-যাপন করছেন। অনেকে আতœীয় স্বজনের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন। স্থানীয় মেম্বর লোরান শেখসহ গ্রামবাসি জানান, তিন সপ্তাহে পংকজ দাস, বিমল দাস, শংকর দাস, নিখিল দাস, তুষার দাস, গৌর দাস, ,জাহিদুল শেখ, রেজাউল শেখ, সালাম, সদর উদ্দিন, দুখল শেখ, মিজানুর শেখ, জাহাঙ্গীর শেখসহ ৬০টি পরিবারের দুই শতাধিক বাড়ি এখন নদীগর্ভে। সরেজমিনে ভাঙ্গণ কবলিত এলাকায় গেলে দেবীপুর গ্রামের বিমল, শংকর ও পংকজ দাস বলেন, সর্বস্ব হারিয়ে এখন রাস্তার ওপর মানবেতর জীবন-যাপন করছি। সালামাবাদ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নাজমুল ইসলাম প্রিন্স বলেছেন, পাটনা গ্রামের রিং বাঁধ দিয়ে জোয়ারের, লোনা পানি লোকালয় ও বিলে প্রবেশ করায় ৩০টি পানের বরজ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে এবং ২০টির মতো মাছের ঘের ও বিলে রোপা আমনের ক্ষেত তলিয়ে যাচ্ছে। এ বাঁধের ১ হাজার ফুট জায়গার রিং বাঁধ মাটি দিয়ে দুই ফুট উঁচু করলে এবং ভাঙ্গণ কবলিত ৬ শ ফুট জায়গায় বাঁশ ও বালির বস্তা ফেলা হলে হয়ত ভাঙ্গণ রোধ করা সম্ভব বলে তিনি মন্তব্য করেন। তিনি আরো বলেছেন ক্ষতিগ্রস্থদের সাহায্যের জন্য প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জুলফিকার আলী বলেছেন, ভাঙ্গণ দেখা গেলেও এমুহূর্তে অস্থায়ী বা স্থায়ী কোন প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা নেয়ার পরিকল্পনা নেই। রিং বাঁধ-এ মাটি দেয়ার বিষটি খোঁজ খবর নেয়া হবে বলে তিনি জানান।
যশোর নিউজ ২৪. কম
(বাংলাটাইমস টুয়েন্টিফোর)