
Home দর্শনীয় স্থান / Sightseeing > রাজধানী ঢাকার দর্শণীয় স্থান সমুহ
এই পৃষ্ঠাটি মোট 97501 বার পড়া হয়েছে
রাজধানী ঢাকার দর্শণীয় স্থান সমুহ
|
৭৩৯১১২২, ৭৩৯৩৮৬৬ | |
|
৮৮১৪০৩০, ৮৮১৪০২৮ | |
|
৮০১৮৯২, ৮০১৯১৩৬ | |
|
৮৬১৯৩৯৬-৯, ৫০৫২৬৯ এক্স ২২৮/২০৫ | |
|
৯০০২৯৫৪, ৯০০২০২০ | |
|
৮৬১৯৩৯৬-৯, ৫০৫২৬৯ এক্স ২২৮/২০৫ | |
|
৮৬২৩৩০৪ | |
|
ঢাকার আগারগাঁও এলাকার জ্ঞান-বিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয়ভিত্তিক উপাদান নিয়ে গঠিত হয়েছে বিজ্ঞান জাদুঘর। সপ্তাহের প্রায় প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত সকলের জন্য খোলা থাকে। শুধু শুক্রবার দিন বিকাল ৩টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত খোলা থাকে। বিজ্ঞান যাদুঘরের সাপ্তাহিক বন্ধের দিন হচ্ছে বৃহস্পতিবার। | |
|
বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় চিড়িয়াখানা অবস্থিত ঢাকার মিরপুর অঞ্চলে। শুধু আকার বা আয়তনের দিক থেকেই নয়। এখানে রয়েছে বিভিন্ন বিরল প্রজাতির জীব-জানোয়ার পাশেই রয়েছে বোটানিক্যাল গার্ডেন। এটি প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধা ৬টা পর্যন্ত খোলা থাকে। বোটানিক্যাল গার্ডেনে প্রবেশ মূল্য দিয়ে প্রবেশ করতে হয়। | |
|
ঢাকার শাহবাগে অবস্থিত শিশুপার্কটি বাংলাদেশের অন্যান্য শিশুতোষ পার্কের মধ্যে অন্যতম। এটা প্রতিদিন দুপুর ২টা থেকে সন্ধা ৭টা পর্যন্ত খোলা থাকে। রবিবার বন্ধ। উল্লেখ্য যে, বৃহস্পতিবার শুধু ছিন্নমূল শিশুদের জন্য খোলা রাখা হয়। সামান্য প্রবেশ মূল্য দিয়ে এই শিশুপার্কে প্রবেশ করতে হয়। এই শিশুপার্কের বিভিন্ন মেশিনে উঠতে ভিন্ন ভিন্ন পরিমাণের মূল্য প্রদান করতে হয়। তবে তা খুব বেশী নয়। | |
|
উঁচু দালানে ঘেরা বলধা গার্ডেন নামের এই উদ্ভিদ উদ্দ্যানটি অবস্থিত পুরানো ঢাকার ওয়ারীতে। সপ্তাহের প্রতিদিন খোলা থাকে। সময় সকাল ৮টা থেকে ১১টা এবং দুপুর ২টা হতে বিকাল ৫টা। এই বাগানে প্রবেশ করতে সামান্য প্রবেশ প্রদান করতে হয়। | |
|
ঢাকার সেগুন বাগিচায় মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘর অবস্থিত। রবিবার সাপ্তাহিক বন্ধ। এছাড়া সপ্তাহের অন্যান্য দিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধা ৬টা পর্যন্ত খোলা থাকে। শুক্রবার বিকাল ৩টা থেকে ৬টা পর্যন্ত খোলা থাকে। যাদুঘরে সামান্য প্রবেশ মূল্য দিয়ে প্রবেশ করতে হয়। | |
|
ঢাকা শহরের নাগরিক কোলাহল থেকে একটু শান্তির প্রত্যাশায় কোথাও যেতে চান। তাহলে চলে যান ঢাকার রমনা পার্কে। এই পার্কটি সকাল থেকে সন্ধা পর্যন্ত খোলা থাকে। ঢাকা শাহাবাগের মোড় থেকে একটু এগিয়ে শিশুপার্কের সামনে এই পার্কের অবস্থান। এতে প্রবেশ করতে কোনো অর্থের প্রয়োজন হয় না। | |
|
ঐতিহাসিক ময়দানটি এখন সোহ্রাওয়ার্দী উদ্যান হিসাবে খ্যাত। এই উদ্যানটির গুরুত্ব ও ঐতিহাসিক পটভূমি রয়েছে। একসময় এটি ঘোড়দৌড়ের মাঠ হিসাবে বিখ্যাত ছিল। এখন সেখান গাছের ছায়া ঘেরা সবুজ বৃক্ষরাজিতে ভরপুর সবুজ চত্বর। | |
|
এটি ঢাকার শ্যামলীতে অবস্থিত। বেসরকারী সংস্থা পরিচালিত শিশুদের পার্ক। প্রতিদিন সকাল ৩টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকে। সাপ্তাহিক কোনো বন্ধ নেই। | |
|
এটি মিরপুরে অবস্থিত। সকাল ১০-৩০মিঃ থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত খোলা থাকে। | |
|
বুড়িগঙ্গার তীরে অবস্থিত আহসান মঞ্জিল এক ঐতিহাসিক ভবন। এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে ইতিহাসের স্মৃতি। প্রাচীন সভ্যতার ধারক ও বাহক হিসেবে আহসান মঞ্জিল জাদুঘরের গুরুত্ব অপরিসীম। আহসান মঞ্জিল এক সময় ব্রিটিশ ভারতীয় উপাধিপ্রাপ্ত ঢাকার নবাবদের বাসগৃহ ছিল। বিল্ডিংটি স্থাপত্য দৃষ্টিনন্দন। যে কোনো মানুষের হৃদয়কে আকর্ষণ করে এর স্থাপত্য কৌশল। জাদুঘরটির প্রথমতলা ও দ্বিতীয়তলায় রয়েছে নবাবদের ঐতিহ্যপূর্ণ জীবনযাত্রার চিত্র। জাদুঘরটি সর্বমোট ২টি গ্যালারীতে ভাগ করে বিভিন্ন বিষয়কে উপস্থাপন করা হয়েছে। | |
|
ঢাকা সিটি করপোরেশনের সুরম্য বিশালাকার স্থাপত্য খচিত বিল্ডিং-এর ৬ষ্ঠ তলায় এই নগর জাদুঘরটি অবস্থিত। ঢাকার গুলিস্থান এলাকার ফুলবাড়িয়া বাসষ্ট্যান্ডের নিকট বিশালাকার এই বিল্ডিংটি অবস্থিত। যে কোনো ব্যক্তি এই নগর ভবনে অবস্থিত যাদুঘরটি সহজেই দর্শন করতে পারবেন। | |
|
রাজধানী ঢাকা শহরের দর্শনীয় স্থানের মধ্যে জাতীয় যাদুঘরটি অন্যতম। ঢাকার প্রাণকেন্দ্র শাহবাগে এই উন্নতমানের যাদুঘুরটি অবস্থিত। পিজি হাসপাতালের উল্টোদিকে এবং জাতীয় গ্রন্থাগারের পাশে মনোরম পরিবেশে আধুনিক কারুকার্য ও নকশায় নির্মিত এই যাদুঘরটি অগণিত মানুষের হৃদয় করেছে জয়। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন এবং সবুজ বাগানে ঘেরা চত্বরটি সহজেই দর্শকের হৃদয়কে আকর্ষণ করে। এই যাদুঘর একবার মন দিয়ে দেখলে বাংলাদেশ সম্পর্কে একটি মোটামুটি ধারণা পাওয়া যায়। সাধারণত বৃহস্পতিবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন ছাড়া জাতীয় যাদুঘর গ্যালারী শনিবার থেকে বুধবার পর্যন্ত সকাল ১২:৩০মিনিট হতে বিকাল ৪:৩০মিনিট পর্যন্ত খোলা থাকে এবং শুক্রবার বিকাল ৩:৩০মিনিট থেকে সন্ধা ৭:০০টা পর্যন্ত খোলা থাকে। জাতীয় জাদুঘরে প্রবেশের জন্য জনপ্রতি দশ টাকা ফি নেয়া হয়। তিন বছরের নিচের বয়সের শিশুদের কোনো ফি প্রয়োজন হয় না। | |
|
জাদুঘরের ভিতরে প্রতি তলায় যেসব জিনিস আছে - সেগুলো সম্পর্কে নির্দেশিকা দেয়া রয়েছে। এই নির্দেশিকা অনুসারে যে কোন পর্যটক জাদুঘর প্রদর্শন করতে পারবেন। | |
|
ব্যস্ততম ঢাকা শহরের সন্নিকটে জিয়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রবেশ করতে হাতের বামপার্শ্বে এবং অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরের ঠিক উল্টোদিকে লেকের মনোরম পরিবেশে একটি দ্বীপের মধ্যে আধুনিক স্থাপত্য নকশায় নির্মিত ওয়াটার ফ্রন্ট রেস্তোরার অবস্থান। এই রেস্তোরাটি মূল ভূখন্ড থেকে একটি কাঠের সেতু দিয়ে আলাদাভাবে যোগোযোগের ব্যবস্থা করা হয়েছে। | |
|
তিন শতকের পুরান ঐতিহাসিক স্থান লালবাগের কেল্লা, যাকে দুর্গও বলা হয়। মোঘল সম্রাট আওরঙ্গজেবের তৃতীয় পুত্র শাহজাদা আজম ১৬৭৮খ্রিষ্টাব্দে এই কেল্লা নির্মাণ করেন। কেল্লার অভ্যন্তরে তিনটি পুরাকীর্তি রয়েছে। একটি হল পরী বিবির মাজার, একটি হল দরবার হল ও হাম্মাম এবং তৃতীয়টি হল তিন গম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদ। এ কেল্লার চারটি ফটকের মধ্যে প্রধান ফটক যেটি একশ টাকার নোটে মুদ্রিত সেটি এখন বন্ধ। তার বিপরীত দিকের চারটি ফটকের মাঝখানের ইট এখন প্রধান ফটক হিসেবে স্বীকৃত। এ ফটকটিই দর্শনার্থীদের জন্য ব্যবহৃত হয়। লালবাগ কেল্লা বা দুর্গ জাদুঘরটিতে প্রবেশ মূল্য হিসেবে দর্শনার্থীদের কাছ থেকে ২ টাকা করে রাখা হয়। কেল্লাটি শনিবারে বন্ধ থাকে। এছাড়া সপ্তাহের বাকি ছয়দিন সকাল ১০টা থেকে একটা এবং দুইটা থেকে সন্ধা ছয়টা পর্যন্ত এটি দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকে। | |
|
অনেক ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষী বাহাদুর শাহ্ পার্ক। আঠার শতকের শেষের দিকে এটি ছিল ঢাকার তদনীন্তন আর্মেনীয়দের ক্লাব। তবে ঢাকাবাসী এর নাম দেয় অন্টাঘর। ১৮৫৭ সালে রাণী ভিক্টোরিয়া ভারতের শাসনভার গ্রহণ করার পর আন্টাঘর ময়দান ভিক্টোরিয়া পার্কে পরিণত হয়। ১৮৫৭ সালে সিপাহী বিদ্রোহের শতবার্ষিকী পালনকালে এই পার্কে একটি স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা হয়। ১৮৫৭ সালের স্বাধীনতা সংগ্রামীদের স্মরণে দ্বিতীয় বাহাদুর শাহের নামানুসারে ভিক্টোরিয়া পার্কের নতুন নামকরণ হয় বাহাদুর শাহ্ পার্ক। | |
|
প্রাকৃতিক শোভামন্ডিত ও নগরীর কোলাহলমুক্ত একটি দর্শনীয় স্থানের নাম সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধ। ঢাকা-আরিচা হাইওয়ে রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় নবীনগর নামক স্থানে গাড়ী হাতের বামদিকে তাকালে নজরে পড়ে যায় লাল সিরামিক ইটের বিশাল চত্বর সবুজ গাছপালা, সুন্দর সুন্দর ফুলের বাগান, পানিতে পরিপূর্ণ লেক ও ফোয়ারা সব মিলিয়ে আকর্ষণ করে দৃষ্টিকে। সাভার স্মৃতিসৌধটি শুধুমাত্র বেড়ানো বা বিনোদন কেন্দ্র হিসেবে বিবেচনা করা যায় না। কারণ এটির গুরুত্ব বাঙ্গালী জাতির কাছে অপরিসীম। লাখো শহীদের ইতিহাসের পাতায় অম্লান হয়ে রয়েছে। | |
|
ঢাকার আশেপাশে যে সমস্ত পিকনিক স্পট রয়েছে এর মধ্যে মৌচাক, গাজীপুর, ভাওয়াল পুষ্পদাম (পিকনিক স্পট ও শুটিং স্পট, বাঘর বাজার গাজীপুর), রাজেন্দ্রপুর, মধুপুর, শফিপুর, শ্রীপুর, বোটানিক্যাল গার্ডেন, চন্দ্রা, সালনা, কুমিল্লার বার্ড, লালমাই পাহাড়, কোটবাড়ী ইত্যাদি স্থান উল্লেখ্যযোগ্য। | |