
Home মাগুরা জেলা / Magura District > মাগুরা সদর উপজেলা / Magura Sadar upazila
এই পৃষ্ঠাটি মোট 91324 বার পড়া হয়েছে
মাগুরা সদর উপজেলা / Magura Sadar upazila
মাগুরা সদর উপজেলার দর্শনীয় স্থান
Sightseeing of Magura Sadar Upazila |
||
ঢাকা থেকে মাগুরা যাবার উপায় ঢাকার গাবতলী বাসস্ট্যান্ড থেকে খুলনা, সাতক্ষীরা ও বেনাপোলগামী হানিফ, সোহাগ, ঈগলসহ যেকোন পরিবহনের বাসে মাগুরা নামতে হবে। ভাড়া: চেয়ার কোচ- ৪০০ টাকা, সাধারণ- ২০০ টাকা। সময়: ৫ থেকে ৬ ঘন্টা। |
||
---------------------------------------------------------------------------------------------------- | ||
![]() ![]() |
ভাত ভিটা
ভাতের ভিটা স্থানটি দেখতে টিলার মত। কিংবদন্তি এই যে-কোন এক অলৌকিক ক্ষমতার অধিকারী দরবেশ রাতের বেলা এই পথে ভ্রমণের সময় এখানে এসে মসজিদ নির্মাণ শুরু করেন। নির্মাণ কাজে নিয়োজিতদের জন্য ভাত রাধা যখন শেষ নির্মাণ কাজ তখনও শেষ হয়নি। এর মধ্যে ভোরের পাখ-পাখালীর কূঞ্জনে মুখরিত হয়ে ওঠে রাতের নিস্তব্ধতা। নির্মাণ কাজ অসমাপ্ত রেখে দরবেশ চলে যান। ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারি এলাকায় দিয়ে যাওয়ার সময় পথিমধ্যে বুঝতে পারেন রাত তখনো শেষ হয়নি। সেখানে তখন নতুন করে একটি মসজিদ নির্মাণ শুরু করেন এবং সেখানেই নামাজ আদায় করেন। এদিকে রাত শেষে লোকজন দেখতে পায় এখানে গ্রামের মধ্যে অসমাপ্ত মসজিদ, রান্না করা ভাত আর ভাতের ফ্যান গড়িয়ে পাশে পুকুরের মত তৈরি হয়েছে। সেই থেকে উঁচু টিলার নাম হয় ভাতের ভিটা। বিস্তারিত....
অবস্থান: মাগুরা সদর উপজেলা হতে প্রায় ১২ কিলোমিটার দক্ষিণে মঘি ইউনিয়নের টিলা গ্রামে অবস্থিত এই ভাত ভিটা। যেভাবে যেতে হবে: মাগুরা শহর থেকে যশোর রোড ধরে যাত্রিবাহি যেকোন পরিবহনে যাওয়া সম্ভব। তাছাড়া অটো টেম্পু / ভ্যানযোগেও সেখানে পৌঁছনে যেতে পারে। সময়: ২০ থেকে ৩০ মিনিট।
প্রয়োজনে ফোন করুন
আবু বাসার আখন্দ - ০১৭১৬২৩২৯৬২ (সাংবাদিক) |
|
---------------------------------------------------------------------------------------------------- | ||
![]() ![]() ![]() ![]() |
হজরত মোকাররম আলী শাহ (র:) এর দরগাহ
হজরত খান জাহান আলী (র:) এর অন্যতম শিষ্য হজরত পীর মোকররম শাহ (র:)। সম্ভবত: বারবাজার হতে উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে ইছাখাদা গ্রামে এসে ইসলাম প্রচারে ব্রতী হন। তিনি এখানে একটি মসজিদ নির্মাণ করেন। মসজিদের ভগ্নাবশেষ মাত্র এখন বিদ্যমান আছে। ঐ সময় নির্মিত ঈদগাহের মেহরাব এখনও বিদ্যমান। তিনি এখানে দু’টি পুকুর খনন করেন যা কালের পরিক্রমায় এখন অনেকাংশে ভরাট হয়ে যায়। সম্প্রতি এই পুকুর দুটি খননসহ মাজারের পবিত্রতার প্রতি লক্ষ্য রেখে পরিচ্ছন্নতা ও সৌন্দর্য বৃদ্ধি করা হয়েছে। মহান সাধক হজরত পীর মোকররম আলী শাহ (র:) এর অনেক অলৌকিক ক্ষমতার কথা জনশ্রুতি থেকে জানা যায়। প্রতি বছর ৩রা মাঘ এখানে পবিত্র ইসালে সওয়াব অনুষ্ঠিত হয়। এখানে একটি মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বর্তমানে আলীম শ্রেণী পযর্ন্ত এখানে লেখা পড়ার সুযোগ রয়েছে। হজরত পীর মোকাররম আলী শাহ্ (র:) দরগাহ মাগুরা সদর উপজেলার এক ঐতিহাসিক ও ঐতিহ্যিক মহিমামন্ডিত দর্শনীয় স্থান। পত্রপল্লবের স্নিগ্ধতায় নবগঙ্গার তীর ঘেঁষে এই দরগাহ শরীফের শান্ত নির্জনতা মরমীভাবনায় ভাবুকচিত্তকে ভরিয়ে তোলে। ভক্ত হৃদয়ের আশা আকাঙ্খাকে ধারণ করে এই দরগাহ মাগুরার ঐতিহ্যের এক অনুপম নিদর্শন। বিস্তারিত....অবস্থান: মাগুরা শহর হতে প্রায় সাত কিলোমিটার পশ্চিমে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের উত্তর পাশে ইছাখাদা গ্রামে ডান দিকে নবগঙ্গা নদীর তীরে হজরত পীর মোকাররম আলী শাহ (র:) এর দরগাহ অবস্থিত। যাতায়াতের মাধ্যম: বাস, টেম্পু ও ভ্যানযোগ যাতায়াত করা যায়। |
|
---------------------------------------------------------------------------------------------------- | ||
![]() |
ইছাখাদা নীলকুঠি মাগুরার প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনাগুলোর মধ্যে ইছাখাদা নীলকুঠি অন্যতম। সংস্কারের অভাবে যা এখন ধ্বংসপ্রায়। এ কারণে দর্শনার্থীর কাছে হয়তোবা এটি খুব একটা আকর্ষণীয় হবে না। তবে এর আশপাশে ইছাখাদাসহ হাজরাপুর ইউনিয়নের ১০টি গ্রামে লিচুসহ বিভিন্ন ফলের শত শত বাগান নীলকুঠি দেখতে আসা দর্শনার্থীদের মন কেড়ে নেবে। অবস্থান: হাজরাপুর ইউনিয়নের ইছাখাদা এলাকায় মাগুরা-ঝিনাইদহ বিশ্বরোডের উত্তর দিকে এই নীলকুঠিটি। দূরত্ব: জেলা সদর থেকে মাত্র পাঁচ কিলোমিটার পশ্চিমে। যেভাবে যেতে হবে: ঢাকা থেকে মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গার যেকোনো পরিবহনে এখানে খুব সহজেই আসা সম্ভব। সময় লাগে চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা। ভাড়া ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা। ইছাখাদা বাজারে পৌঁছে যে কাউকে জিজ্ঞেস করলেই নীলকুঠিটি দেখিয়ে দেবে। আর লিচু কিংবা অন্যান্য ফলের বাগান দেখার জন্য কারো সাহায্যের প্রয়োজন হবে না। কারণ, যেতে যেতেই নজরে আসবে অনেক বাগান। |
|
---------------------------------------------------------------------------------------------------- | ||
![]() |
সিদ্ধেশ্বরী মঠ
মাগুরা সিদ্ধেশরী মন্দির অতি প্রাচীনকালে স্থাপিত হয়েছে যার সঠিক স্থাপত্য সন জানা যায় না। কে বা কারা এই মন্দির নির্মাণ করেন তাও জানা যায় না। সিদ্ধেম্বরী মঠ প্রাঙ্গণে নতুন একটি মন্দির নির্মানের উদ্দেশ্যে খনন করে প্রায় ১০ ফিট মাটির নিচে পাওয়া গেছে প্রায় হাজার বছর আগের মন্দিরের ধ্বংশাবশেষের কিছু নিদর্শন। সেখান থেকে উদ্ধার হয়েছে কারুকার্যময় নকশা করা বিভিন্ন আকারের ইট। আরো পাওয়া গেছে একটি পুরাতন প্রচীর। হাজার বছর আগের এ নিদর্শন দেখতে সিদ্ধেশ্বরী মঠপ্রাঙ্গণে প্রতি দিন ভিড় করছেন শত শত নারী পুরুষ। বিস্তারিত....
অবস্থান: মাগুরা শহর হতে ৩ কি.মি. উত্তরে আঠারখাদা গ্রামে নবগংগা নদীর তীরে সিদ্ধেশ্বরী মঠ।
যাতায়াতের মাধ্যম: টেম্পু, রিক্সা ও ভ্যানযোগে যাতায়াত করা যায়। |
|
---------------------------------------------------------------------------------------------------- | ||
শত্রুজিৎপুর মদনমোহন মন্দির বারভূঁইয়ার অন্যতম ভূষণা অধিপতি মুকুন্দ রায়ের পুত্র রাজা সত্রাজিৎ রায় ১৬৩৬ খ্রীষ্টাব্দে শত্রুজিৎপুর এসে এখানে রাজধানী স্থাপন করে রাজ্য পরিচালনা করতে থাকেন। মোগল শাসক কর্তৃক রাজা সত্রাজিৎ রায় প্রাণদন্ডে দন্ডিত হন। রাজা সত্রাজিৎ রায় এর প্রাণদন্ডের পর তাঁর বংশের রাজ গৌরব ও স্বাধীনতা বিলুপ্ত হয়। রাজা সত্রাজিৎ রায় এর উত্তরাধীকারী কৃষ্ণ প্রসাদ বরাটের গোষ্ঠীপতি রাম হরি গুহ রায়ের কন্যা স্বরসতী দেবীকে বিবাহ করেন এবং উক্ত রামহরির পুত্র রঘুদেব গুহকে তরফ কুজবাড়িয়ার অধীন জয়পুর গ্রাম মহাত্রাণ দান করিয়া তাঁহার বাসস্থান নির্মাণ করিয়া দেন। রঘুদেব প্রায়ই সত্রাজিৎপুরের বাড়ীতে বাস করিতেন। এবং তাঁহারই যত্নে কৃষ্ণ প্রসাদ সত্রাজিৎপুরের মদন মোহন বিগ্রহ প্রতিষ্ঠা করিয়া তাঁহার জন্য একটি কারুকার্য- খচিত সুন্দর মন্দির নির্মাণ করেন, ঐ মন্দিরটি এখনও সত্রাজিৎপুরের ঐতিহ্যের ন্বাক্ষ্য বহন করছে। ১৬৯৮ খ্রীষ্টাব্দে এই মন্দির গঠিত হয়। অবস্থান: মাগুরা জেলা শহর হতে মাগুরা-নড়াইল সড়কে প্রায় ১৪ কিলোমিটার পূর্ব দক্ষিণ কোণে শত্রুজিৎপুর গ্রামে নবগঙ্গা নদীর তীরে মদনমোহন মন্দিরটি অবস্থিত। যাতায়াতের মাধ্যম: বাস, টেম্পু ও ভ্যানযোগ যাতায়াত করা যায়। |
||
---------------------------------------------------------------------------------------------------- | ||
![]() ![]() |
নেংটা বাবার আশ্রম ও মন্দির
নদী তীরের গভীর জঙ্গালাকীর্ণ শ্মশাণভূমির প্রান্তবর্তী লতাগুল্মতলে একদিন পরিধেয়বিহীন এক সাধক পুরুষের আবির্ভাব লক্ষ করে স্থানীয় অধিবাসীগণ বিস্মিত ও চমৎকৃত হন। ক্রমশ: এই সাধক পুরুষের নানা অলৌকিক ক্ষমতা ও আধ্যাত্মিক গুণাবলীর পরিচয় চতুর্দিকে ব্যাপ্ত ও প্রচারিত হওয়ার সাথে সাথে ভক্ত সম্প্রদায়ের আগমন ঘটতে থাকে এখানে। বাকসিদ্ধ মহাপুরুষ হিসেবে ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে স্থানীয় জনমনে পরম শ্রদ্ধার আসনে অভিষিক্ত আজীবন অকৃতদার এই সাধক পুরুষের নাম জীতেন্দ্রনাথ চক্রবর্ত্তী। যশোর জেলার অভয়নগর থানাধীন ভবানীপুর গ্রামে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। ভাষায় কোন অভিব্যক্তি প্রকাশ করতেন না। তাঁর যা কিছু প্রকাশ তা আকার ইঙ্গিতে বুঝে নিত ভক্ত সম্প্রদায়। স্বচ্ছতোয়া নবগঙ্গা নদীর তীর ঘেঁষে এই আশ্রমের আঙ্গিনায় নেংটা বাবার রোপিত পঞ্চবটীতরু আজ মহীরূহে পরিণত হয়েছে। এখানে অগণিত ভক্তের নিত্য সমাগম হয়। তারা পঞ্চবটীতরুমূল হতে ধূলিকণা সংগ্রহ করে পরম শ্রদ্ধাভরে আস্বাদন করেন বা মস্তমকোপরি ধারণ করেন রোগমুক্তি বা মনোবাঞ্ছনা পূরণের আশায়। ল্যাংটা বাবার স্মৃতিধন্য সাতদোহা আশ্রমে নিত্য পূজার্চনা অনুষ্ঠিত হয়। এই মহান সাধক পুরুষ বাংলা ১৩৭০ সালের ৩০ শে বৈশাখ মঙ্গলবার আসনে উপবিষ্ঠ অবস্থায় অগণিত ভক্তকূলকে অশ্রসাগরে ভাসিয়ে দেহত্যাগ করেন। এখানেই তাঁকে সমাহিত করা হয়। বিস্তারিত....অবস্থান: মাগুরা জেলা শহর হতে প্রায় ০১ কিলোমিটার পূর্বদিকে নবগঙ্গা নদীর দক্ষিণ তীরে অবস্থিত। যাতায়াতের মাধ্যম: রিক্সা ও ভ্যানযোগ যাতায়াত করা যায়। |
|
---------------------------------------------------------------------------------------------------- | ||
নান্দুয়ালি শিবমন্দির এটি নির্মাণ করেন শ্রীকৃষ্ণচন্দ্র দাস। তিনি নলডাঙ্গার রাজা রামদেবের মিত্র ছিলেন। তিনি রামদেবের রাজ্য রক্ষা করেন এবং পুরস্কারস্বরূপ মন্দির নির্মাণের জন্য অর্থ পান। পরবর্তীতে ১৭৩৮ খ্রি. তিনি এই মন্দির নির্মাণ করেন। মন্দিরটি ২৭-৩০ ফুট উঁচু। এর দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ ১২ ফুট ৩ ইঞ্চি ও ১২ ফুট ৬ ইঞ্চি। এর গায়ে ফুল-পাতা-দেবদেবীর ছবি আঁকা আছে। মন্দিরের পশ্চিমে একটি ইস্টক লিপি আছে। অবস্থান: মাগুরা শহর থেকে ১ কি.মি. উত্তর-পশ্চিমে নবগঙ্গা নদীর তীরে নান্দুয়ালি গ্রামে অবস্থিত। |
||
---------------------------------------------------------------------------------------------------- | ||
রায়নগর মঠ মঠটির পূর্ব ও দক্ষিণের দেয়াল ভেঙ্গে গেছে। বাইরের মাপ ২২’-৩” ও ২২’-৪”, ভিতরের মাপ ১৩’-৫”। ভেতরে উচ্চতা ২৫’। এখানে একটি ইস্টকলিপি আছে। বাইরের মঠটি (১৫৮৮ খ্রি.) নির্মিত। রাজা প্রতাপাদিত্যের রাজত্বকালে বিশ্বনাথ নামক স্থানীয় ধনাঢ্য ব্যক্তির পুত্র কর্তৃক এটি নির্মিত হয়। অবস্থান: মাগুরা থেকে ৭/৮ মাইল উত্তর-পূর্বে গড়াই নদীর তীরে নাকোলে অবস্থিত এ মঠ। |
||
সংগ্রহের চেষ্টা চলছে দেবাল রাজা ব্যাপারীপাড়া জামে মসজিদ (পারনান্দুয়ালি) |
||