
Home মাগুরা জেলা / Magura District > শ্রীপুর উপজেলা / Sreepur Upazila
এই পৃষ্ঠাটি মোট 19011 বার পড়া হয়েছে
শ্রীপুর উপজেলা / Sreepur Upazila
শ্রীপুর উপজেলার দর্শনীয় স্থান
Sightseeing of Sreepur Upazila |
||
হযরত গরিব শাহ দেওয়ানের মাজার
প্রখ্যাত ধর্মগুরু ও আধ্যাত্নিক সাধক হযরত গরীব শাহ দেওয়ানের আধ্যাত্না, সাধনা, অলৌকিক কাহিনী, সুগভীর পান্ডিত্বের কথা মাগুরাবাসী শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে। ১৭৫৩ সালে গরীব শাহ দেওয়ান শ্রীপুরের মাটিতে জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৮২০ সালে মৃত্যুবরণ করেন। বাংলায় যে কয়েকজন সূফী সাধক ছিলেন তন্মধ্যে গরীব শাহ দেওয়ানের নামও শোনা যায়। তাঁর বহু অলৌকিক ঘটনা এখনও এলাকার মানুষের মধ্যে কিংবদন্তী হয়ে আছে। যেমন: নদীতে ফেলে দেওয়া মুদ্রা তুলে আনা, ডাঙ্গায় দোয়ার বসিয়ে মাছ ধরা, গাছের উপরে দোয়ার পেতে মাছ ধরা, নদীর ওপর দিয়ে হেঁটে যাওয়া, কলেরা থামানো, হিংস্র বন্যপশুকে পোষ মানানোসহ হাজারো অলৌকিক ক্ষমতার কথা এখনো লোকমুখে শোনা যায়। গরীব শাহের হাতে লাগানো কয়েকটি তালগাছ ছিল। সেগুলো গত কয়েক বছর আগে কেটে স্থানীয় মসজিদের কাজে লাগানো হয়েছে। এছাড়া তাঁর ব্যবহৃত খড়ম, লাঠি, জায়নামাজ এবং তিনি যে নৌকায় চড়ে বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে বেড়াতেন সেটি আজো রয়েছে। আশ্চার্যের বিষয় হলো যে নৌকায় তিনি ভ্রমণ করতেন সেটি মাত্র দেড় হাত লম্বা। প্রতি বছর ২ মাঘ বার্ষিক ওরসের সময় কয়েক হাজার ভক্ত ও মুরিদের সামনে এগুলো প্রদর্শন করা হয়। মাগুরার নৌহাটা গ্রামে অবস্থিত তাঁর মাজারটি বর্তমানে অযত্ন আর অবহেলায় কৃত্তিমান এ পুরুষটির স্মৃতি হারাতে বসেছে।
অবস্থান: শ্রীপুর উপজেলার ছপদরপুর-নৌহাটা গ্রামে হযরত গরিব শাহ দেওয়ানের মাজার। দূরত্ব: মাগুরা শহর থেকে ২০ কি.মি. উত্তরে। যাতায়াতের মাধ্যম: |
||
---------------------------------------------------------------------------------------------------- | ||
![]() ![]() ![]() ![]() |
দ্বারিয়াপুর পীরের মাজার শ্রীপুর উপজেলার দ্বারিয়াপুর গ্রাম। সেই প্রাচীন আমলের একটি মুসলিম পরিবারের উত্তর পুরুষদের বসবাস রয়েছে এখানে। পরিবারটি পীর পরিবার নামে খ্যাত। এই পরিবারের পীর ছিলেন হযরত মাওলানা শাহ সুফী তোয়াজদ্দীন আহমদ। তিনি সানাউল্লাহ ওরফে রণ গাজীর বংশধর। ইসলামের যুদ্ধে যারা জয়ী হয়ে বেঁচে থাকেন তারাই তো গাজী নামে পরিচিত হন। গাজীরা যোদ্ধা, তাই পীর সাহেব তোয়াজদ্দীন আহমদ সাহেবের বংশধররা যে একটি শক্তিশালী বংশধর থেকে এসেছেন। পীর সাহেব তোয়াজদ্দীন আহম্মদ ১৯০৯ সালে জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি স্কুল ও মাদ্রাসা থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে ফুরফুরায় গমন করেন। ফুরফুরা শরীফে হযরত শাহ সুফী মাওলানা আবু বকর সিদ্দিকীর কাছ থেকে ইলমে তাছাউফের শিক্ষা গ্রহণ করেন এবং খিরকা ও খেলাফত প্রাপ্ত হয়ে দ্বারিয়াপুরে ফিরে আসেন। তিনি ইসলামের একনিষ্ঠ একজন খাদেম। তাঁর প্রচেষ্টায় শ্রীপুর অঞ্চলে ইসলাম প্রচারে ব্যাপক সাড়া জেগেছে। তিনি ভারত বাংলাদেশে পীর নামে খ্যাতি অর্জন করেছেন। এই দু ’দেশে তাঁর লক্ষ লক্ষ মুরিদান রয়েছেন। বিস্তারিত.... অবস্থান: দূরত্ব: যেভাবে যেতে হবে: |
|
---------------------------------------------------------------------------------------------------- | ||
![]() ![]() |
কাজী কাদের নেওয়াজ-এর বাসভবন
মা কথাটি ছোট্ট অতি
কিন্তু জেনো ভাই, ইহার চেয়ে নাম যে মধুর তিনি ভুবনে নাই। সত্য ন্যায়ের ধর্ম থাকুক মাথার পরে আজি অন্তরে ‘মা’ থাকুক মম ঝরুক স্নেহ - রাজি। এই বিখ্যাত কবিতাটির রচয়িতা বাংলা সাহিত্যের খ্যাতিমান কবি কাজী কাদের নওয়াজ ১৯০৯ সালের ১৫ই জানুয়ারী মুর্শিদাবাদ জেলার তালিবপুর গ্রামে মাতুলালয়ে জন্মগ্রহণ করেন। নিজ বাড়ী মাগুরা জেলার শ্রীপুর থানার মুজদিয়া গ্রামে। কবি দেশ বিভাগের পর মুর্শিদাবাদ থেকে এখানে এসে বসবাস শুরু করেন। এই নীতিবাদী সাহিত্যিকের কবিতার উচ্ছ্বাসিত প্রশংসা করে কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁকে নিকেতনে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। তাঁর এই সাহিত্যিক জীবনে তিনি পেয়েছেন অভাবিত সম্মান ও ভূষিত হয়েছেন বিভিন্ন পদকে। শিশু সাহিত্যে অবদানের জন্যে ১৯৬৩ সালে পেয়েছেন ‘বাংলা একাডেমী পুরস্কার’ পাকিস্তান সরকার কর্তৃক তিনি ‘প্রেসিডেন্ট পুরস্কার’প্রাপ্ত হন। পরবর্তীকালে তিনি ‘মাদার বক্স’ সাহিত্য পুরস্কারে ভূষিত হন। ১৯৮৩ সালের ৩ জানুয়ারী সকাল ১০টা ৩৫ মিনিটে ছান্দসিক কবি কাদের নওয়াজ যশোর সদর হাসপাতালের ১নং কেবিনে ইন্তেকাল করেন। কবিকে শ্রীপুর তাঁর গ্রামের বাড়ি মুজদিয়ার পারিবারিক গোরস্থানে পিতার কবরের পাশে পাশে দাফন করা হয়। অবস্থান: মাগুরা জেলার শ্রীপুর থানার মুজদিয়া গ্রামে দূরত্ব: যেভাবে যেতে হবে: |
|
---------------------------------------------------------------------------------------------------- | ||
প্রাচীন দুর্গামন্দির ১৮৯০ সালের পরে ছাচিলাপুর গ্রামের শাহপাড়ার কিছু গণ্যমান্য ব্যক্তির সহায়তায় দুর্গামন্দিরটি নির্মাণ করা হয়। সে সময় শুধু হিন্দু জমিদার বাড়িতেই মন্দির থাকত। তাই সাধারণ মানুষের পূজার সুবিধার্থে এ দুর্গামন্দিরটি নির্মিত হয়। পুরো শ্রীপুর উপজেলায় বর্তমানে এটিই সবচেয়ে প্রাচীন মন্দির। শত বছরের অনেক মন্দির ধ্বংস হয়ে গেলেও এ মন্দিরটি এখনো বহাল তবিয়তে টিকে আছে। অবস্থান: মাগুরা শহর থেকে ২৫ কি.মি. উত্তরে শ্রীপুর উপজেলার হাট ছাচিলাপুর গ্রাম। এ গ্রামে রয়েছে শত বছরের প্রাচীন দুর্গামন্দির। দূরত্ব: মাগুরা হতে ২৫ কি:মি: / শ্রীপুর হতে ------ কি: মি: যাতায়াতের মাধ্যম: |
||
---------------------------------------------------------------------------------------------------- | ||
![]() |
শ্রীপুর জমিদার বাড়ী শ্রীপুর উপজেলা সদরের ১ কি.মি. এর মধ্যে পাল রাজার রাজপ্রাসাদের ধ্বংশাবশেষ রয়েছে। এখানে জমিদারী প্রতিষ্ঠা করেন সারদারঞ্জন পাল চৌধুরী। শ্রীপুর ও পার্শ্ববর্তী এলাকা জমিদারীর আওতাধীন এলাকা ছিল। শ্রীপুর জমিদার বাড়ির বিশাল প্রাসাদতুল্য মন কাড়ার মত দৃষ্টি নন্দন বাড়ি এখন বাড়ির প্রবেশদ্বার তথা সিংহদ্বার ভগ্ন অবস্থায় পড়ে আছে। জমিদারীর ইতিহাস সম্পর্কে জানা যায় নবাব আলীবর্দ্দি খার নিকট হতে এ জমিদারী খরিদ করা হয়। বৈবাহিক সূত্রে বাংলার বারো ভূইয়ার অন্যতম যশোরের মহারাজা প্রতাপাদিত্যের সংগে সারদারঞ্জন পাল চৌধুরীর সম্পর্ক ছিল। মহারাজা প্রতাপাদিত্যের ছেলে উদয়াদিত্যের সংগে জমিদার সারদারঞ্জন পাল চৌধুরীর মেয়ে বিভাপাল চৌধুরীর বিবাহ হয়েছিল। এ সূত্র ধরে মহারাজ প্রতাপাদিত্য শ্রীপুরে এসেছিলেন। আরো জনশ্রুতি আছে এ বিভাপাল চৌধুরীকে কেন্দ্র করে কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বৌঠাকুরানীর হাট' উপন্যাস রচনা করেন। বর্তমানে বাড়ীর প্রবেশদ্বার তথা সিংহদ্বার ভগ্ন অবস্থায় বিরাজমান। অবস্থান: মাগুরা > শ্রীপুর উপজেলা সদর। দূরত্ব: মাগুরা সদর হতে উত্তরে ১৫ কি.মি. উত্তরে। কিভাবে যাওয়া যায়: মাগুরা হতে বাসযোগে শ্রীপুর স্ট্যান্ডে নেমে ১ কি.মি. শ্রীপুর-সাচিলাপুর রাস্তায় গেলে বামপার্শ্বে জমিদার বাড়ী। |
|
---------------------------------------------------------------------------------------------------- | ||
বিরাট রাজার রাজধানী নবম শতাব্দীতে মাগুরার জেলার শ্রীপুর এলাকা পাল রাজাদের অন্যতম নগর হিসেবে খ্যাতি অর্জন করে। শ্রীপুর বৌদ্ধ ধর্মের প্রভাবে প্রভাবিত ছিল। ধর্মপালের রাজত্বকালেই শ্রীপুর পাল রাজাদের কোন অধস্তন বিরাট রাজার রাজধানী ছিল। কথিত আছে যে, বিরাট রাজার স্ত্রীর নাম ছিল ‘শ্রী’। ‘শ্রী’ নাম থেকেই শ্রীপুরের নামকরণ হয়েছে বলে শোনা যায়। শ্রীপুরের অদূরে রাজাপুর গ্রামে ছিল বিরাট রাজার রাজমহল। কালের গর্ভে বিরাট রাজার কীর্তিসমূহ বিনষ্ট হয়ে গেছে। তবে নাট্যশালা, কয়েদ খানা ও ধনাগারের চিহ্ন আজও পরিদৃষ্ট হয়। মহাকালের অমোঘ বিধানানুসারে শ্রীপুরের বিরাট রাজারও পতন হয়। কিন্তু কিভাবে কখন কার নিকট বিরাট রাজার পতন ঘটে তা সঠিকভাবে বলা কঠিন। ইতিহাসে জানা যায় মাজুদয়ার রণাঙ্গণে পরাজিত হয়ে বিরাট রাজা আত্মহত্যা করেন। কালের সাক্ষী হিসেবে ‘মুজদিয়া’ গ্রাম মাজুদিয়া যুদ্ধের স্মৃতি বহন করছে। বিস্তারিত.... অবস্থান: দূরত্ব: যাতায়াতের মাধ্যম: |
||