Homeদৃষ্টিপাত (Visibility) > সরকারের লাখ লাখ টাকার অপচয়, মাগুরা মসলা গবেষনা কেন্দ্র এক যুগেও সফলতার মুখ দেখেনি
এই পৃষ্ঠাটি মোট 7840 বার পড়া হয়েছে
সরকারের লাখ লাখ টাকার অপচয়, মাগুরা মসলা গবেষনা কেন্দ্র এক যুগেও সফলতার মুখ দেখেনি
কর্মকর্তাদের গাফিলতি দূর্নীতি ও লোক দেখানো কর্মকান্ডের কারনে মাগুরা মশলা গবেষনা কেন্দ্র গত এক যুগ ধরেও দেশে চাষযোগ্য মশলা উদ্ভাবনে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়ে আসছে। অথচ সরকারের লাখলাখ টাকা অপচয় হচ্ছে। দেশের মশলা জাতীয় ফসলের উন্নতজাত উদ্ভাবন এবং চাষের মাধ্যমে উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রকল্পের আওতায় মাগুরায় মশলা গবেষনা কেন্দ্র, বগুড়ার শিবগঞ্জে প্রধান মশলা গবেষনা কেন্দ্র ,জয়দেবপুর ও কুমিল্লাতে আঞ্চলিক মশলা গবেষনা কেন্দ্র এবং লালমনিরহাট, খাগড়াছড়ি, ফরিদপুর, সিলেটের জয়ন্তপুর, বরিশাল, দেবীগঞ্জে ও মৌলভীবাজারের আকরামপুরে উপ-মশলা গবেষনা কেন্দ্র স্থাপন করা হয়। মাগুরা মশলা গবেষনা উপ কেন্দ্রকে কেন্দ্রে রুপান্তরিত করা হলেও গত এক যুগে পিয়াজ ,হলুদ, ধনিয়া, মেথী ও আদার বেশ কয়েকটি উন্নত জাত উদ্ভাবনে সফল হয়। কিন্তু বিদেশ থেকে জিরা, লবঙ্গ, দারুচিনি, গোলমরিচ ও এলাচের জাত সংগ্রহ করেও বাংলাদেশে চাষযোগ্য জাত উদ্ভাবনের জন্য গবেষনা শুরু করে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। ফলে সরকারের লাখ লাখ টাকা অপচয় হলেও কোন সফলতা দেখাতে পারেনি। বিশেষ করে মাগুরা মশলা গবেষনা কেন্দ্র নানান কর্মসুচীর নামে হাজার হাজার টাকা ব্যায় এবং বিভিন্ন গবেষনার নামে ভুয়া ভাওচারের মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করার কাজে লিপ্ত রয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে । অন্যান্য কেন্দ্র ও উপ কেন্দ্রে গোল মরিচের চাষে সফলতা আনতে সম হলেও মাগুরা কেন্দ্র ব্যর্থতার পরিচয় দিয়ে আসছে। দারুচিনি গাছ হিসেবে পরিচর্যা করেও বড় করে দেখতে পায় গাছের বাকল থেকে দারুচিনি হয়নি। গাছগুলো দারুচিনির গাছ নয়। অথচ এর পিছনে একযুগ পরিচর্যা করে হাজার হাজার টাকা ব্যয় দেখিয়েছে। জিরার আদি জম্ম স্থান ভ’মধ্যসাগর তীরবর্তী দেশ মিশর ও সিরিয়া। ইরান ভারত মরক্কো চীন ইন্দোনেশিয়া তুরস্ক জাপান শ্রীলংকা দক্ষিন রাশিয়া প্রভৃতি দেশে জিরার চাষ হলেও বাংলাদেশে এখনো সফলতা আসেনি। প্রতি বছর গবেষনা কেন্দ্রগুলোর গবেষনা প্লটে জিরা চাষ করা হচ্ছে। গাছ হয় ফুল ফলও ধরে। কিন্তু জিরা হয়না। দেশে গোল মরিচ চাষে সফলতা এলেও লাভজনক এ মশলার উৎপাদন প্রসারে মাগুরা কেন্দ্রের কোন উদ্যোগ নেই। শ্রীলংকা ও ইন্দোনেশিয়া থেকে আনা জাত পরীক্ষা নীরিক্ষার পর বাংলাদেশে চাষযোগ্য গোল মরিচের জাত উদ্ভাবন করা হয়। যার থেকে প্রতি বছর প্রতি গাছ থেকে দেড় কেজি ফলন পাওয়া সম্ভব। অথচ মাগুরা মশলা গবেষনা কেন্দ্র এ ক্ষেত্রে সম্পুর্ন ব্যর্থতার পরিচয় দিয়ে যাচ্ছে । রোপনের ৫-৬ বছরের মধ্যে ফল দিতে শুরু করে এবং ২০ বছর পর্যন্ত ফল দিয়ে থাকে। লবঙ্গর গাছ তৈরিতে সফল হলেও লবঙ্গ তৈরিতে কোন সফলতা দেখাতে পারেনি মশলা গবেষনা কেন্দ্রগুলো। ১৭৭০ সালে ফরাসীগন প্রথম মরিসাসে লবঙ্গ চাষে সফল হয়। বর্তমানে ৯০ ভাগ লবঙ্গ তানজানিয়া সরবরাহ করে থকে। দারুচিনি চাষে এতদিন মাগুরা মশলা গবেষনা কেন্দ্র সফলতা দাবি করে আসছিল। এ কেন্দ্রে দারুচিনি গাছ রোপন করে পরিচর্যার মাধ্যমে বড় করে তোলা হয়।কিন্তু শেষ পর্যন্ত উক্ত গাছ থেকে দারুচিনি হয়নি। আসলে এ গাছগুলো দারুচিনির গাছ নয়।অথচ এক যুগ ধরে এর পিছনে বিপুল পরিমান অর্থ ব্যয় করা হয়েছে যা কোন কাজেই আসেনি।জানা গেছে, সিরিয়া থেকে জিরার একটি জাত সংগ্রহ করা হয়েছে। জিরা চাষে সফলতা সম্ভব তবে এর জন্য প্রয়োজন দায়িত্বে নিয়োজিতদের আন্তরিকতা। তেমনি দারুচিনি লবঙ্গ ও এলাচের ভাল জাত সংগ্রহের মাধ্যমে দেশে চাষযোগ্য জাত উদ্ভাবন সম্ভব । মসলার উন্নত জাত উদ্ভাবন এবং দেশে আবাদ যোগ্য মসলা চাষে মসলা গবেষনা কেন্দ্র সমুহের কার্যক্রম তদারকির জন্য উদ্ধতন কতৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী।
এব্যাপারে মসলা গবেষনা কেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মনিরুজ্জমান আর্থিক অপচয়ের কথা অস্বীকার করে জানান,পিয়াজ ,হলুদ, ধনিয়া, মেথী ও আদার বেশ কয়েকটি উন্নত জাত উদ্ভাবন সম্ভব হয়েছে। অন্যান্য বিদেশী মসলার উন্নাত জাত উদ্ভাবনের কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।