
Home দৃষ্টিপাত (Visibility) > ছেলেকে হাতুড়িপেটাঃ অবশেষে নড়াইল আদালতে গেলেন অসহায় বাবা
এই পৃষ্ঠাটি মোট 7569 বার পড়া হয়েছে
ছেলেকে হাতুড়িপেটাঃ অবশেষে নড়াইল আদালতে গেলেন অসহায় বাবা
দিনের বেলায় রাস্তার ওপর ফেলে ১০-১১ জন মানুষ হাতুড়িপেটা করে দুই পা ভেঙে দিল। সেই ঘটনায় সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে মামলা করতে এক অসহায় বাবা দুই সপ্তাহ ধরে কালিয়া থানায় ঘুরেছেন। থানার ওসি ঘটনা তদন্তে প্রমাণও পেলেন কিন্তু মামলা নিলেন না। বাধ্য হয়ে তিনি আদালতে মামলা করেছেন। বিজ্ঞ আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে জুডিশিয়াল তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারিতে তদন্ত রিপোর্ট আদালতে উপস্থাপন করতে বলা হয়েছে। জানা গেছে, কালিয়া উপজেলার পেড়লী ইউনিয়নের কদমতলা গ্রামের মেলজার বিশ্বাসের ছেলে মিরাজ বিশ্বাসকে (২৩) গত ১০ জানুয়ারি বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে উত্তর খড়রিয়া গ্রামের জুবায়ের বিশ্বাসের ইটখোটার পাশে পাকা রাস্তার ওপর সন্ত্রাসীরা হাতুড়ি ও শাবল দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। এ সময় তার ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটিও ভেঙে ফেলা হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার দুই পায়ের ও ডানহাতের হাড় ভেঙে গেছে। পেরলী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরে এ ঘটনা ঘটে।
আহত মিরাজের বাবা মেলজার হোসেন অভিযোগ করেন, কালিয়া থানায় মামলা করার জন্য ১৫ দিন ধরে থানার বারান্দায় ঘুরেছেন। কিন্তু থানার ওসি মামলা নেননি। নিরুপায় হয়ে গত রবিবার ১১ জনকে আসামি করে নড়াইলের আমলী আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলায় আসামি করা হয়েছে কদমতলা গ্রামের তমজিদ হোসেন, কাছেদ মোল্যা, ইউছুব বিশ্বাস, আছাদ বিশ্বাস, ইয়ামিন মোল্যা, আলামিন মোল্যা, মিকাইল মোল্যা, জান্নাত মোল্যা, আনোয়ার মোল্যা, মকবুল মোল্যা ও রিয়াজ মোল্যাকে।
এ ব্যাপারে কালিয়া থানার ওসি সুবাস বিশ্বাস বলেন, 'হাতুড়িপেটার প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছি। তবে তারা মামলার আসামি হিসেবে এমন কিছু লোককে অন্তর্ভুক্ত করতে চেয়েছে, যারা ঘটনার সঙ্গে যুক্ত ছিল না। তাই মামলা নেওয়া হয়নি।'
সূত্র: যশোর নিউজ ২৪