
Home ঝিনাইদহ জেলা / Jhenidah District > মহেশপুর উপজেলা / Mahespur Upazila
এই পৃষ্ঠাটি মোট 3256 বার পড়া হয়েছে
মহেশপুর উপজেলা / Mahespur Upazila
Mahespur Upazila, Jhenidaha
ভৌগোলিক অবস্থান :
৪০৫.৪৪ বর্গ কি: মি: আয়তন বিশিষ্ট মহেশপুর উপজেলা উত্তরে জীননগর ও কোটচাঁদপুর উপজেলা, দক্ষিণে চৌগাছা উপজেলা ও ভারতের পশ্চিম বঙ্গ, পূর্বে চৌগাছা উপজেলা, পশ্চিমে ভারতের পশ্চিম বঙ্গ দ্বারা বেষ্টিত।
প্রধান নদ-নদী ও বাওড় :

উল্লেখযোগ্য নদ-নদী ও বাওড়ের মধ্যে রয়েছে কপোতাক্ষ ও বেতনা নদী।
বাওড়ের মধ্যে রয়েছে বলধার বাওড়।
শহরের আয়তন ও জনসংখ্যা :
৯টি ওয়ার্ড ও ১৪টি মহল্লা নিয়ে মহেশপুর শহর গঠিত। শহরের আয়তন ১১.৪৭ বর্গ কি: মি:।
শহরের মোট জনসংখ্যা ২৩২৭৩। এর মধ্যে পুরুষ ৫১.২৬% ও মহিলা ৪৮.৭৪%। প্রতি বর্গ কি: মি: এ জনসংখ্যার ঘনত্ব ২০২৯ জন। শহরের জনগণের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৩১.৯%।
প্রশাসন :
১৯৮৩ সালে মহেশপুর থানাকে উপজেলায় রূপান্তর করা হয়। ১টি পৌরসভা, ১৫টি ইউনিয়ন পরিষদ, ১৫৯টি মৌজা এবং ১৯৪টি গ্রাম নিয়ে মহেশপুর উপজেলা গঠিত।
স্থাপত্য, ঐতিহ্য এবং পুরার্কীতি :
শিব মন্দির (৩০২ বি এইচ), খালিশপুরে নীলকুঠি, বলাই শাহের সৌধ এবং শ্রীপথ মন্দির।
ঐতিহাসিক ঘটনা :
১৯৭১ সালের ২৭ নভেম্বর পাকিস্তানী সেনাবাহিনী ও মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে প্রত্যক্ষ যুদ্ধে অনেক পাকিস্তানী সেনা ও মুক্তি সেনা নিহত হয়। এদের মধ্যে ছিল রওশন ও আব্দুল আজিজ।
মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন :
সাহারদারিতে গণহত্যার স্থান এবং মহেশপুর হাইস্কুলে শহীদ স্মৃতিসৌধ।
জনসংখ্যা :
মোট জনসংখ্যা ২৪৬৩৫০। এরমধ্যে পুরুষ ৫১.২২% ও মহিলা ৪৮.৭৮% এবং মুসলমান ৯৫.৫৯% ও হিন্দু ৪.৩১% এবং অন্যান্য ০.১০%।
ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান :
মসজিদ ৩৩৫টি এবং মন্দির ২১টি। এগুলোর মধ্যে ও উল্লেখযোগ্য হচ্ছে মহেশপুর জামে মসজিদ, শিব মন্দির এবং শ্রীপাট মন্দির।
সাক্ষরতা :
গড় সাক্ষরতা ২২.২%। এর মধ্যে পুরুষ ২৮.২% এবং মহিলা ১৫.৮%।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান :
কলেজ ৪টি, হাইস্কুল ৩০টি, মাদ্রাসা ১২টি, সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ৬৬টি, বেসরকরী প্রাথমিক বিদ্যালয় ৬৮টি এবং কারিগরী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ১টি। উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হচ্ছে মহেশপুর হাই স্কুল (১৮৬৩)।
স্থানীয়ভাবে প্রকাশিত সংবাদপত্র ও সাময়িকী :
সাপ্তাহিক সীমান্ত বাণী।
সংস্কৃতিক সংগঠন :
পল্লী ক্লাব ২০টি, প্রেস ক্লাব ১টি, গণগ্রন্থাগার ১টি, সিনেমা হল ১টি, থিয়েটার মঞ্চ ১টি এবং থিয়েটার গ্রুপ ৪টি।
প্রধান পেশা :
কৃষি ৪৭.৩৭%, কৃষি শ্রমিক ৩২.৩৬%, মজুরী শ্রমিক ১.৪৪%, ব্যবসা বাণিজ্য ৯.৪০%, চাকুরী ২.২২% এবং অন্যান্য ৭.২১%।
ভূমির ব্যবহার :
চাষযোগ্য মোট জমি ৩৩০২৯.৯৫ হেক্টর, পতিত জমি ২৪৯.২৯ হেক্টর, একক ফসল ২১.৬৬%, দ্বিফসল ৬৩.৫৫% এবং ত্রিফল ভুমি ১৪.৭৯%।
ভূমি নিয়ন্ত্রণ :
চাষীদের মধ্যে ১৬% ভূমিহীন, ৩৭% ক্ষুদ্র, ৩২% মাঝারী এবং ১৫% ধনী। মাথাপিছু আবাদযোগ্য জমি ০.১৩ হেক্টর।
প্রধান ফসল :
ধান, পাট, গম, আখ, পেঁয়াজ, বসুন ও তুলা।
বিলুপ্ত অথবা প্রায় বিলুপ্ত ফসল :
ভূরা, বার্লি, খেসারি, ছোলা, আউশ ধান ও অরহর।
প্রধান ফসল :
আম, কাঁঠাল, কলা, কালোজাম, পেঁপে, নারিকেল, তরমুজ ও জামরুল।
যোগাযোগ সুবিধা :
পাকা সড়ক ২০ কি: মি:, আধাপাকা ৪০ কি: মি:, কাঁচা রাস্তা ৭১৮ কি: মি:, জলপথ ৪ নটিকেল মাইল।
ঐতিহ্যবাহী পরিবহন :
পালকী (বিলুপ্ত), ঘোড়ার গাড়ী ও গরুর গাড়ী (প্রায় বিলুপ্তি) ও নৌকা।
শিল্প কারখানা :
বরফ কারখানা ৪টি এবং ওয়েল্ডিং ২০টি।
কুটির শিল্প :
তাঁত ৩৫টি, স্বর্ণলংকার ৪৫টি, কামার ৯৫টি, কুম্ভকার ১৫টি এবং কাঠের কাজ ১৬৫টি।
হাট, বাজার, মেলা :
হাট-বাজার মোট ৩৩টি। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হাট হচ্ছে খালিশপুর, পুরাপাড়া, তালসা, শ্যামপুর, জিন্নাতনগর, ভৈরবা, সামানতা এবং বেলেমাঠ। উল্লেখযোগ্য মেলা হচ্ছে ফতেহপুর বৈশাখি মেলা এবং মহেশপুর দুর্গাপূজা মেলা।
প্রধান রপ্তানী :
টমেটো, কলা, কাঁঠাল, আলু ও খেজুরের গুড়।
এনজিও তৎপরতা :
তৎপরতা চালাচ্ছে এমন গুরুত্বপূর্ণ এনজিওগুলো হচ্ছে ব্র্যাক, আশা, গ্রামীণ ব্যাংক, প্রশিকা, আহসানিয়া মিশন, ওয়েভ এবং আর. আই. সি. ও।
স্বাস্থ্য কেন্দ্র :
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ১টি, পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র ১১টি এবং স্যাটেলাইট ক্লিনিক ৪টি।
তথ্য সূত্র :
বাংলা পিডিয়া ওয়েবসাইট
অনুবাদ :
কামাল নাসের, আরটিভি।
সম্পাদনা :
মো: হাসানূজ্জামান বিপুল
সর্বশেষ আপডেট :
নভেম্বর ২০১১