
Home দৃষ্টিপাত (Visibility) > হাঁসের খামার করে স্বাবলম্বী নড়াইলের ইরান শেখ
এই পৃষ্ঠাটি মোট 8485 বার পড়া হয়েছে
হাঁসের খামার করে স্বাবলম্বী নড়াইলের ইরান শেখ
পরিকল্পিতভাবে হাঁসের খামার করে স্বাবলম্বী হয়েছেন নড়াইলের ইরান শেখ। জেলার কালিয়া উপজেলার পেড়লী পশ্চিমপাড়ায় তার বাড়ি। তার সাফল্যে অনুপ্রাণিত হয়ে আশপাশের অনেকেই হাঁসের খামার গড়ে তুলেছেন।
ইরান শেখ ছয় বছর আগে খামারের কাজ শুরু করেছিলেন। নিজ বাড়ির পাশে মাত্র ৩৫ শতাংশ জায়গার ওপর তিনি হাঁসেঁর খামার স্থাপন করেন। শুরু থেকেই এই খামারের মাধ্যমে তিনি লাভবান হচ্ছেন। গত এক বছর যাবৎ প্রতি তিন মাস অন্তর অন্তর সব খরচ বাদ দিয়ে তিনি লাভ করছেন প্রায় ২ লাখ টাকা। অথচ তার বিনিয়োগ মাত্র সাড়ে ৩ লাখ টাকা।
ইরান শেখের হাঁসের খামারটি নড়াইল-খড়রিয়া-পেড়লী সড়কের পাশে কয়েকটি গাছের নিচে সুতার তৈরি জালের বেড়া দিয়ে ঘেরা। সম্পূর্ণ খামার এলাকার অর্ধেকাংশে একটি ডোবা (পুকুরাকৃতির) রয়েছে। রয়েছে ছোট একটি শেড।
সেখামারে কর্মরত নূর মোহাম্মদ মোল্যা (৫৫) জানান, তিনি ও তার একজন সহযোগীসহ দু’জন মিলেই খামারের পরিচর্যা করেন। ঋতু ভেদে খামারে দু’ধরনের হাঁস পালন করা হয়। এর একটি মাংসভিত্তিক এবং অপরটি ডিম উৎপাদনের জন্য। এ মুহূর্তে তারা মাংস উৎপাদনের জন্য উন্নত প্রজাতির একদিন বয়সী ২ হাজার হাঁসের বাচ্চা এনে লালন-পালন শুরু করেছেন। প্রতিটি বাচ্চা কেনা হয় ৩০ টাকায়। খামারে এসব হাঁসের বাচ্চার বয়স এখন দু’মাস। এসব লালন-পালন করা হবে ৩ মাস বয়স পর্যন্ত। এসময় প্রতিটির গড় ওজন হবে ২ কেজি, বাজারে যার বর্তমান মূল্য সাড়ে ৩শ’ টাকা।
নূর মোহাম্মদ আরও জানান, খামারে বাচ্চার বয়স অনুসারে ফিসমিল, ধান ও গম ব্যবহার করা হয়। বর্ষা মৌসুমে সুযোগমত পাশের খালবিলে নিয়ে প্রাকৃতিক খাবারও খাইয়ে আনা হয়। তখন তৈরি করা খাবার দেয়া লাগে না। তিনি বলেন, হাঁসের খামারে সতর্কতার সাথে পরিচর্যা করতে হয়। কারণ অসতর্ক হলেই হাঁস বার্ডফ্লু, কলেরা ও ডার্কপ্লে রোগে আক্রান্ত হতে পারে। এজন্য আগে ভাগে তাদের খামারের হাঁসগুলোকে নিয়মিত ভ্যাকসিন দেয়া হয়।
খামার মালিক ইরান শেখ জানান, প্রায় ৬ বছর আগে তিনি খামারে হাঁস পালন শুরু করেছেন। তবে হাঁসের পরিচর্যায় পরামর্শ প্রদানে এ পর্যন্ত কোন প্রতিষ্ঠানই এগিয়ে আসেনি।
তিনি বলেন, আমার অনেক ইচ্ছা আরো বড় আকারে খামারটি গড়ে তুলবো। আশা আছে প্রজনণ কেন্দ্র গড়ে তোলারও। তাই তার প্রয়োজন সরকারি কিংবা বেসরকারি পৃষ্ঠপোষকতা। আর তা পেলে বিশাল আকারের একটি হাস খামার ও প্রজণন কেন্দ্র গড়ে তুলে ডিম, বাচ্চা ও মাংশের চাহিদা অনেকাংশে পূরণ করতে পারবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন ইরান শেখ।