
Home দৃষ্টিপাত (Visibility) > গুণি সঙ্গিত শিল্পী, সুরকার, শিক্ষক ও মুক্তিযোদ্ধা শাহ্ মোহাম্মদ মোর্শেদ ব্রেইনস্টোক রোগে আক্রান্ত হয়ে মারাত্বক অসুস্থ। তাঁর চিকিৎসা সাহায্যে কোউ এগিয়ে আসবেন ?
এই পৃষ্ঠাটি মোট 7696 বার পড়া হয়েছে
গুণি সঙ্গিত শিল্পী, সুরকার, শিক্ষক ও মুক্তিযোদ্ধা শাহ্ মোহাম্মদ মোর্শেদ ব্রেইনস্টোক রোগে আক্রান্ত হয়ে মারাত্বক অসুস্থ। তাঁর চিকিৎসা সাহায্যে কোউ এগিয়ে আসবেন ?
গুণি সঙ্গিত শিল্পী, সুরকার, শিক্ষক ও মুক্তিযোদ্ধা শাহ্ মোহাম্মদ মোরর্শেদ এ দেশ ও জাতিকে দিয়েছেন অনেক। আজ তাঁর ছেলে শাহ্ মোহাম্মদ মুনির রেজা (সুমন) গুণি এই পিতার জন্য দেশের মানুষের কাছে সাহায্যপ্রার্থী। গত ১ মে ২০১৩ তারিখে ব্রেইনস্টোক রোগে আক্রান্ত হয়ে মারাত্বক অসুস্থ তিনি। স্ত্রী কয়েক বছর আগেই পরপারের বাসিন্দা হয়েছেন। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁর পরিবারবর্গ যশোর থেকে ঢাকায় নিয়ে এসেছেন। চিকিৎসক বলেছেন অন্ততঃ ৬ মাস থেকে ১ বছর সময় লাগবে সুস্থতা ফিরিয়ে আনতে। প্রতি মাসে প্রায় ১ লক্ষ টাকা খরচ হচ্ছে। পরিবারের সঙ্গতি নেই দীর্ঘদিন যাবৎ এই খরচ বহন করা। বর্তমানে ঢাকার লালমাটিয়াতে বড় বোনের বাসায় থেকে তিনি চিকিৎসারত।
এই গুণি মানুষটির চিকিৎসা সাহায্যে এগিয়ে আসবেন এমন কেউ কি আছেন ?
ব্যাংক একাউন্ট
শাহ মোহাম্মদ মুনির রেজা
সঞ্চয়ী হিসাব নং
১০১.১০১.৫৩৭৮৫
ডাচ বাংলা ব্যাংক লিঃ
ঢাকা।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০২৭৭ (সুমন -ঢাকা)
০৪২১-৬৭২৪৪ (ইরু- যশোর)
শাহ মোহাম্মদ মুনির রেজা
সঞ্চয়ী হিসাব নং
১০১.১০১.৫৩৭৮৫
ডাচ বাংলা ব্যাংক লিঃ
ঢাকা।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০২৭৭ (সুমন -ঢাকা)
০৪২১-৬৭২৪৪ (ইরু- যশোর)
শাহ মোহাম্মদ মোর্শেদ এর সংক্ষিপ্ত জীবনী
পারিবারিক পরিচিতি:
বাংলাদেশের মধুগীতিরি প্রথম সুরস্রষ্টা শাহ্ মোহম্মদ মোর্শেদ, ১৯৪৩ সালের ১৬ জুন পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার বহরমপুর শহরে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা মরহুম শাহ্ মোহম্মদ হোসেন একজন সরকারি চাকুরিজীবি ছিলেন ও মা মরহুমা আমেনা খাতুন ছিলেন গৃহিনী। ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের পর তাঁরা সপরিবারে যশোর শহরের ষষ্টিতলা পাড়ায় স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন।
শিল্পীজীবন:
পারিবারিক সাংস্কৃতিক পরিমন্ডলেই শাহ মোহম্মদ মোর্শেদের সংগীতে হাতেখড়ি। যশোর জেলা স্কুলে পড়াকালীন তাঁর শৈল্পিক প্রতিভার বিকাশ ঘটতে থাকে। ১৯৫৫ সালে ‘রেডিও পাকিস্তান’ ঢাকায় পল্লীসম্রাট আব্বাস উদ্দীনের পরিচালনায় শিশু বিভাগে নজরুল সংগীত পরিবেশন করে তিনি সকলকে স্তম্ভিত করে দেন।
১৯৫৮ সালে তিনি যশোর ‘সুরবিতান’ এ ওস্তাদ গোপাল চন্দ্র গোস্বামীর নিকট পদ্ধতিগতভাবে সঙ্গীত শিক্ষা শুরু করেন। শিল্পী শাহ্ মোহম্মদ মোর্শেদ যশোর মাইকেল মধুসূদন মহাবিদ্যালয় অধ্যায়নকালে কলেজের প্রতিটি সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে তাঁর অংশগ্রহণ ছিল অপরিহার্য। এ সময় থেকেই তাঁর সুরেলা কণ্ঠের শৈল্পিক আবেদন কলেজের গন্ডি পেরিয়ে যশোরের বাইরেও ছড়িয়ে পড়ে। ষাটের দশকে মাইকেল মধুসূদন কালেজে পড়াকালিন প্রখ্যাত গীতিকবি মোহাম্মদ রফিকউজ্জামানের অনেক গানেই সূর করে জনপ্রিয়তা লাভ করেন। পরবর্তী সময়ে তিনি কবি মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান, কবি আজিজুল হক সহ অনেক খ্যাতিমান কবি ও গীতিকবিদের গানে সুরারোপের কৃতিত্ব প্রদর্শন করেন।
এদেশের মধুসূদনের কবিতায় সুর সংযোজনের প্রথম কাজটি করেছেন শাহ্ মোহম্মদ মোর্শেদ। ১৯৫৮ সাল থেকে অদ্যাবধি তিনি মধুসূদনের কবিতায় সুর সংযোজনা নিয়ে গবেষণা করে চলেছেন। তাঁর সুরে ১৯৮৪ সালে ‘মধুগীতি’ শীর্ষক প্রথম স্বরলিপি গ্রন্থটি এবং ২০০৫ সালে বাংলা গানের জগতে ‘জন্ম যদি তব বঙ্গে’ নামে প্রথম অডিও ক্যাসেটটি প্রকাশিত হয়।
সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব শাহ্ মোহাম্মদ মোর্শেদ ১৯৬৯ সালে খুলনা বেতারের উব্দোধনকাল থেকেই কণ্ঠশিল্পী ও সংগীত পরিচালক হিসেবে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ বেতার ও টেলিভিশনের বিশেষ শ্রেণীভূক্ত শিল্পী।
শাহ্ মোহম্মদ মোর্শেদ সুর সাধনার পাশাপাশি অনেক সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক পরিষদের সঙ্গে নিজেকে নিবিষ্টভাবে জড়িয়ে রাখেন। তিনি বাংলা একাডেমীর জীবন সদস্য এবং সুরবিতান সংগীত একাডেমীর অধ্যক্ষ সহ দীর্ঘদিন বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করার পাশাপাশি সংস্কৃতির সংস্কৃতির ও সামাজিক উন্নয়নে নিরন্তর ভূমিকা পালন করেন।
কর্মজীবন:
এই গুণি শিল্পী ১৯৬৮ সালে যশোর ক্যান্টনমেন্ট দাউদ পাবলিক হাই স্কুলে তিনি ও তাঁর স্ত্রী সুরাইয়া বেগম শিক্ষকতা শুরু করেন। পরবর্তীতে যশোর শহরের মিউনিসিপ্যাল প্রিপারেটরী স্কুলে দীর্ঘকাল সুনামের সাথে শিক্ষকতা করার পর ২০০২ সালে অবসর গ্রহণ করেন।
মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ:
বরেণ্য শিল্পী শাহ্ মোহাম্মদ মোর্শেদ ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে দেশের স্বধীনতার জন্য সর্বিশেষ অবদান রাখেন।
সম্মাননা:
সঙ্গীতজ্ঞ ও সুরকার শাহ্ মোহাম্মদ মোর্শেদ সাংস্কৃতিক অঙ্গনে তাঁর গৌরবময় অবদানের জন্য তিনি চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশে ধ্রুব পরিষদ সংগীত, সাগরদাঁড়ী মধুসূদন একাডেমী, যশোর সুরবিতান সংগীত একাডেমী, যশোর চাঁদের হাট, মুন্সি মেহেরুল্লা, কবি আব্দুর রশিদ পদক লাভ করেন। ঢাকায় জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১১২তম জন্মজয়ন্তী উৎসব ২০১১ বরিশাল ও খুলনা বিভাগের বিভাগীয় গণসংগীত উৎসবে এই শিল্পীকে গুণীজন সম্মাননা প্রদান করা হয়।