
Home দৃষ্টিপাত (Visibility) > যশোর উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে ধীরগতি
এই পৃষ্ঠাটি মোট 15332 বার পড়া হয়েছে
যশোর উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে ধীরগতি

যশোরের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া বেশকিছু প্রতিশ্রুতির মধ্যে পাঁচটির কাজ শুরু হলেও বাস্তবায়নে চলছে ধীরগতি।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের গাফিলতিতে আড়াই বছর আগে দেয়া এসব প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে সময় লাগবে আরও অন্তত দু-তিন বছর।
জানা যায়, ২০১০ সালের ডিসেম্বরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস উদ্বোধন করার সময় যশোর উন্নয়নে বেশ কয়েকটি প্রতিশ্রুতি দেন। এর মধ্যে ভৈরব নদ খনন, সফটওয়্যার পার্ক নির্মাণ, সবজি হিমাগার স্থাপন, বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গঠন, কপোতাক্ষ নদ খনন, বেনাপোল বন্দর সম্প্রসারণ ছিল অন্যতম। কিন্তু এসব প্রতিশ্রুতি পূরণে কার্যক্রম অনেক আগে শুরু হলেও কর্মকর্তাদের আন্তরিকতার অভাব এবং নানা জটিলতায় কোনোটিই সম্পন্ন হয়নি। এমনকি নির্মাণকাজ শেষ হওয়া সবজি হিমাগারটিও একটি জেনারেটরের অভাবে চালু করা যাচ্ছে না। আর অন্য প্রকল্পের কাজ রয়েছে একেবারে প্রাথমিক পর্যায়ে।
জানা গেছে, চৌগাছা, ঝিকরগাছা, মনিরামপুর, কেশবপুর উপজেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া এক সময়ের খরাস্রোতা কপোতাক্ষকে আবার পুনরুজ্জীবিত করার প্রতিশ্রুতি দেন প্রধানমন্ত্রী। এজন্য তিনি কপোতাক্ষ খননে ২৬২ কোটি ৫৪ লাখ ৮৩ হাজার টাকা একনেকে অনুমোদন করেন। যার মধ্যে প্রথম কিস্তিতে ২০ কোটি ও দ্বিতীয় কিস্তিতে ১৩ কোটি টাকার কাজ শুরু হয়। কিন্তু অবশিষ্ট কাজ কবে শুরু হয়ে শেষ হবে সে জবাব মেলেনি।
প্রধানমন্ত্রীর আর একটি প্রতিশ্রুতি ছিল ভৈরব নদ সংস্কার। যশোরের বুক চিরে বয়ে যাওয়া মৃত ভৈরব নদ খননে সমীক্ষা ছাড়া আর কোনো অগ্রগতি নেই। পানি উন্নয়ন বোর্ডের যশোর অঞ্চলের নির্বাহী প্রকৌশলী মসিউর রহমান বলেন, চৌগাছার তাহেরপুর থেকে অভয়নগরের আফরা ঘাট পর্যন্ত ৯৩ কিলোমিটার খননের জন্য প্রায় ৫০০ কোটি টাকা ব্যয় নির্ধারণ করে ইনস্টিটিউট অব ওয়াটার মডেলিং (আইডব্লিউএম) সমীক্ষা শেষে পাউবোর পরিকল্পনা পরিদফতরের পরিচালক বরাবর জমা দেয়া হয়েছে। অন্যদিকে, প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুত যশোরে আইটি পার্ক নির্মাণে শহরের নাজির শঙ্করপুরে আড়াই একর জমি নির্ধারণ করে ৪৬ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হলেও এখনও কাজ শুরু হয়নি। গেল মাসে আইসিটি মন্ত্রী যশোরে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে একজন পরামর্শক নিয়োগ দিয়ে কাজ শুরু করা হয়েছে বলে জানান। প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুত আইটি পার্ক বিষয়ে গত আড়াই বছরে শুধু এটুকু অগ্রগতি হয়েছে। এছাড়া বেনাপোল বন্দর সম্প্রসারণে ২০১২ সালের ১১ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিকবিষয়ক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমানের নির্দেশে বেনাপোলে শিল্পনগরী স্থাপনের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের নির্দেশ দেয়া হয়। বিসিক শিল্পনগরী কর্মকর্তা লুৎফর রহমান বলেন, এই নির্দেশ পেয়ে ২০১২ সালের ২৯ আগস্ট শার্শা সদর মৌজায় একটি ও পাশের গ্রাম শ্যামলাগাছিতে দুটি মোট তিনটি স্থান নির্বাচন করে শিল্পনগরী স্থাপনের জন্য সংশ্লিষ্ট দফতরে প্রস্তাব পাঠানো হয়। কিন্তু পরবর্তীতে আর কোনো চিঠি আসেনি। তাই অর্থনৈতিক অঞ্চল গঠন নিয়ে বর্তমানে কি অবস্থা তা তাদের জানা নেই।