
Home দৃষ্টিপাত (Visibility) > রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফোকলোর বিভাগ মাগুরার লোকসংস্কৃতির তথ্য সংগ্রহ
এই পৃষ্ঠাটি মোট 4009 বার পড়া হয়েছে
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফোকলোর বিভাগ মাগুরার লোকসংস্কৃতির তথ্য সংগ্রহ
মাগুরার ইতিহাস-ঐতিহ্য ও লোকসংস্কৃতির তথ্য সংগ্রহের জন্য রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফোকলোর বিভাগের দুই জন অধ্যাপকসহ

শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় স্থানীয় এশিয়া মহিলা কলেজ হোস্টেলে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ তথ্য দিয়েছেন দল প্রধান রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফোকলোর বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন ও সহকারী অধ্যাপক ড. অনুপম হীরা ম-ল ।
অধ্যাপক ড. অনুপম হীরা ম-ল ও ড. জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, ফোকলোর বিভাগের অনার্স শেষ বর্ষের এসব শিক্ষার্থী সমীক্ষার ক্ষেত্র হিসেবে মাগুরা জেলা সফর করছে। গত ৫ সেপ্টেম্বর থেকে শিক্ষার্থীদের নিয়ে তারা এ জেলার ইতিহাস-ঐতিহ্যের বিভিন্ন বিষয় সংগ্রহের কাজ শুরু করেছেন যা আগামী ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে। তারা জেলার লোকসংস্কৃতির বিষয় যেমন ছড়া, ধাঁধা, প্রবাদ-প্রবচন, লোককাহিনী, লোকক্রীড়া, লোকশিল্পসহ বিভিন্ন বিষয় সংগ্রহ করবেন। এ থেকে হাতেকলমে ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষা নিয়ে জেলার ইতিহাস ও ঐতিহ্য সম্পর্কে যে ধারণা পাচ্ছে, তা ফোকলোর বিভাগে সংরক্ষণ করা হবে ও সেসব বিষয় নিয়ে মাগুরা জেলার ইতিহাস-ঐতিহ্যের ওপর একটি সংকলন গ্রন্থ প্রকাশ করা হবে।
তারা জানান, বাঙালি সংস্কৃতি হাজার বছরের সংস্কৃতি। বর্তমান যান্ত্রিক যুগে মানুষ প্রতিনিয়ত নিজেদের সংস্কৃতি সম্পর্কে বিমুখ হয়ে পড়ছে। এই উদাসীনতা দূর করার জন্য একটি দেশের আঞ্চলিক সাংস্কৃতিক ধারা খুবই উপকারী হতে পারে। শিক্ষার পূর্ণতা লাভের জন্য ঐতিহ্যগত জ্ঞানার্জন অত্যন্ত গরুত্বপূর্ণ। এ কারণে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফোকলোর বিভিগের শিক্ষার্থীদের প্রতি বছর ঐতিহ্যিক জ্ঞান আহরণের জন্য দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সরজমিন অনুসন্ধানে যেতে হয়। মাগুরাতেও এই কর্মসূচির অংশ হিসেবে সমীক্ষা পরিচালিত হচ্ছে।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফোকলোর বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী জান্নাতুন নাহার, ফিরোজা খাতুন, আয়েন উদ্দিনসহ অন্যরা বলেন, ‘এই সমীক্ষার মাধ্যমে লোকজ সংস্কৃতির পূর্ণতা লাভের জন্য মাগুরার বিভিন্ন সাংস্কৃতিক উপাদন সংগ্রহ করতে আমাদের খুবই ভালো লাগছে। এর মধ্যদিয়ে যেমন মাগুরা জেলাসহ দেশের ঐতিহ্য সম্পর্কে নিজেরা অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারব, তেমনি অন্যদেরও ইতিহাস-ঐতিহ্য সম্পর্কে সচেতন করে তোলা সম্ভব হবে বলে আমাদের বিশ্বাস।