
Home দৃষ্টিপাত (Visibility) > যশোর-১ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী অনেক
এই পৃষ্ঠাটি মোট 7537 বার পড়া হয়েছে
যশোর-১ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী অনেক
যশোর-১ ( শার্শা ) আসনে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী দু’জন হলেও বিএনপির অনেক। দেশের বৃহত্তম স্থল বন্দর বেনাপোল,

গত সংসদ নির্বাচনে জেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি ও আকিজ গ্রুপের অন্যতম পরিচালক বিশিষ্ট ব্যবসায়ী শেখ আফিল উদ্দিন ৯৪ হাজার ৫শ’ ৫৬ ভোট পেয়ে এমপি নির্বাচিত হন। ৪ দলীয় জোটের প্রার্থী জেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা আজিজুর রহমান ৮৮ হাজার ৭শ’ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে ছিলেন। এ নির্বাচনে ৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও বাকি দু’জনের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়। নির্বাচনের আগে শেখ আফিল উদ্দিন জনসভা ও জনসংযোগে এলাকার উন্নয়নে বেশ কিছু প্রতিশ্রুতি প্রদান করেন। নাভারণ স্কুল মাঠে নির্বাচনী শেষ জনসভায় শার্শাকে নতুনভাবে এবং বেনাপোলকে আধুনিক মডেল নগরী হিসেবে গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। এলাকার বেকারত্ব ও সন্ত্রাস দূরীকরণে সর্বাত্মক চেষ্টার ঘোষণা দেন। শেষ সময়ে এখন হিসাব মেলাচ্ছেন এলাকার জনগণ। এলাকাবাসীর অভিযোগ, নির্বাচনের পর শেখ আফিল উদ্দিন বেমালুম তার প্রতিশ্রুতির কথা ভুলে গেছেন। এলাকার উন্নয়নে চোখে পড়ার মতো তেমন কোনো কাজই হয়নি। বেনাপোল স্থল বন্দর আধুনিকায়ন না হলেও দলীয়করনে রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে। সশস্ত্র ক্যাডারদের দাপটে এলাকার মানুষ অতিষ্ঠ। ভীত সন্ত্রস্ত কয়েক হাজার মানুষ এখনো এলাকা ছাড়া। গত ৪ বছরে শার্শায় কমপক্ষে ৩০ জন খুন হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছেন সাংবাদিক জামাল হোসেন, বিএনপি নেতা খালেক, কৃষক রমজান, পুটখালীর বাবু। গোটা উপজেলা জুড়ে চলে তাণ্ডব। আর এসব খবর লিখতে গিয়ে সন্ত্রাসীদের হাতে নির্যাতিত হন বেশকিছু সাংবাদিক। অবশ্য আওয়ামীলীগের কর্মী সমর্থকদের ভাষ্য হচ্ছে শেখ আফিল উদ্দিন এমপি হওয়ার পর শার্শার চেহারা পাল্টে গেছে। রাজনৈতিক সহিংসতা নেই। এলাকার উন্নয়নে এমপি মহোদয় রাষ্ট্রীয় বরাদ্ধের পাশাপাশি ব্যক্তিগত তহবিল থেকেও বরাদ্ধ করেছেন। শিক্ষার মানোন্নয়নে যুগান্তকারী ভূমিকা পালন করছেন।
এদিকে আগামী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এ আসনে মাঠ গরম করতে শুরু করেছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা। বর্তমান এমপি শেখ আফিল উদ্দিন আগামী নির্বাচনেও নৌকার টিকিট পাচ্ছেন এমন আভাস দিচ্ছেন দলের মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীরা। তবে দলের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত নিরাপত্তা ইনচার্জ পুলিশের সাবেক আইজিপি মাহাবুবুর রহমান এবার নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করার আগ্রহ নিয়ে এলাকায় জনসংযোগ চালাচ্ছেন।
অন্যদিকে ধানের শীষের টিকিট পেতে দলের ৫ জন নেতা চেষ্টা তদবির চালাচ্ছেন। এলাকায় জনসংযোগ বা সভা সমাবেশ না করলেও দলের হাই কমান্ডের সাথে তারা নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করতেন। এরা হচ্ছেন- উপজেলা বিএনপির সভাপতি খায়রুজ্জামান মধু, সেক্রেটারী জহির হাসান, জেলা বিএনপির সহসভাপতি আলহাজ্ব শামছুর রহমান, সাবেক এমপি আলী কদর ও জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের কেন্দ্রীয় নেতা মহাসিন কবীর। এছাড়া জামায়াত নির্বাচনের সুযোগ পেলে গত নির্বাচনে ৪ দলীয় জোটের প্রার্থী জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা আজিজুর রহমান ফের জোটের মনোনয়ন লাভের চেষ্টা করবেন।
এছাড়া নির্বাচনকে সামনে করে এলাকায় জনসংযোগ শুরু করেছেন বিএনপির সাবেক কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক ও দলের বহিস্কৃত নেতা মফিকুল হাসান তৃপ্তি। তিনিও চেষ্টা করছেন ফের দলে স্থান পেতে ও দলীয় মনোনয়ন লাভের জন্য।
Jessorenews24.com