
Home দৃষ্টিপাত (Visibility) > যশোর-৪ আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশীরা
এই পৃষ্ঠাটি মোট 4403 বার পড়া হয়েছে
যশোর-৪ আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশীরা
যশোর-৪ আসনে দলীয় মনোনয়ন পেতে সম্ভাব্য প্রার্থীরা দৌড়ঝাঁপ শুরু করে দিয়েছেন। একাধিক নতুন মুখ তদবির-লবিং-গ্রুপিং চালিয়ে যাচ্ছেন। বড় দুই দলের পাশাপাশি অন্যান্য ছোটখাটো দলের বেশকিছু নেতার প্রচারে সরগরম হয়ে উঠেছে এ অঞ্চল।
যশোর-৪ আসনটির সীমানা পুনঃনির্ধারিত হওয়ায় কেশবপুর উপজেলাকে বাদ দিয়ে বাঘারপাড়া উপজেলা ও যশোর সদরের বসুন্দিয়া ইউনিয়ন যুক্ত হওয়ায় পাল্টে গেছে এ আসনের ভোটের হিসাব-নিকাশ। বেড়ে গেছে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সংখ্যা। তাই এ আসনে অন্তত এক ডজন প্রার্থীকে গণসংযোগে মাঠে নামতে দেখা গেছে। মনোনয়ন প্রত্যাশীদের দৌড়ে রয়েছে আওয়ামী লীগের ৪ জন, বিএনপিতে ৩ জন, জাতীয় পার্টির (নাফি) ১ জন, জামায়াতের ১ জন, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির ১জন, ওয়ার্কার্স পার্টির ১জন। সীমানা পুনঃনির্ধারণ এবং প্রার্থী আধিক্যের বিষয়টিকে মাথায় রেখেই জোট-মহাজোটে আসনটি নিয়ে চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা। এ পরিস্থিতিতে উভয় জোটেই নতুন মুখ আসলেও অবাক হওয়ার কিছুই থাকবে না বলে ধারণা করছেন স্থানীয় রাজনীতি বিশ্লেষকরা।
আওয়ামী লীগের দুর্গখ্যাত এ আসনটি দীর্ঘদিন আওয়ামী লীগের দখলে থাকলেও ২০০১ সালে এ আসনে বর্তমান বিরোধী দলের জোটভুক্ত জাতীয় পার্টির (নাফি) প্রার্থী এম এম আমীন উদ্দিন জয়লাভ করেন। পরবর্তীতে ২০০৮ সালের নির্বাচনের পূর্বে এ আসনটিকে ভেঙে অভয়নগর উপজেলাকে কেশবপুর উপজেলার সঙ্গে সংযুক্ত করে যশোর-৬ আসন গঠিত হয়। বাঘারপাড়া উপজেলা ও যশোর সদর উপজেলার ৪টি ইউনিয়নকে নিয়ে যশোর-৪ আসন ঘোষণা করা হয়। ফলে ২০০৮ সালের নির্বাচনে দুটি আসনেই আওয়ামী লীগের প্রার্থী বিজয়ী হন। অভয়নগর ও কেশবপুর (যশোর-৬) আসনে ৪৫ হাজার বেশি ভোট পেয়ে জয়লাভ করেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী অধ্যক্ষ শেখ আবদুল ওহাব, যিনি বর্তমানে জাতীয় সংসদের হুইপ। অপরদিকে বাঘারপাড়া ও সদর উপজেলার একাংশ নিয়ে গঠিত যশোর-৪ আসনে নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগ প্রার্থী রণজিত কুমার রায়।
এবার সংসদীয় আসনের সীমানা পুনঃনির্ধারণে এ আসনটিকে পুনরায় পূর্বের যায়গায় ফিরিয়ে নেয়ায় ভোটের নতুন মেরুকরণ সৃষ্টি হয়েছে। ফলে আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচিত ওই দুই জন সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ শেখ আবদুল ওহাব এবং রণজিত কুমার রায়ের সঙ্গে মনোনয়ন প্রত্যাশায় পাল্লা দিয়ে দৌড়াচ্ছেন নওয়াপাড়া পৌরসভার সাবেক মেয়র ও অভয়নগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ এনামুল হক বাবুল। কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় নেতা শিল্পপতি আমজাদ হোসেনও মনোনয়নপ্রাপ্তির আশায় চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন, তবে তার তেমন একটা পরিচিতি নেই। এছাড়া মহাজেটের শরিক দল জাতীয় পার্টি থেকে মনোনয়নের জন্য দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন অ্যাডভোকেট জাকির হোসেন এবং অপর শরিক দল ওয়ার্কার্স পার্টি থেকে রয়েছেন ইকবাল কবির জাহিদ।
অপরদিকে বিএনপি থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশায় নানা তদবির ও জনসমর্থন আদায়ের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও বাঘারপাড়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি প্রকৌশলী টিএস আইয়ুব, ফুলতলা উপজেলার জামিরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ড. মামুন রহমান, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও অভয়নগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ফারাজী মতিয়ার রহমান। সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ছুটছেন জোটের শরিক দল বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি অভয়নগর উপজেলা সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য এম এম আমিন উদ্দিন। আরও রয়েছেন অপর শরিক দল জামায়াতের অধ্যাপক গোলাম রসুল। তবে গুঞ্জন রয়েছে দলীয় কোন্দল মেটাতে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলাম যশোর সদরের পাশাপাশি এ আসনেও প্রার্থী হতে পারেন। লে. কর্নেল (অব.) সাব্বির আহমেদও যে কোনো দল থেকে মনোনয়ন পেতে চেষ্টা করছেন বলে জানা গেছে।
তবে বড় দু’দল বিএনপি ও আওয়ামী লীগ কেউই হাতছাড়া করতে চান না এ আসনটি। ফলে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি থেকেই প্রার্থী বাছাই করা হতে পারে বলে ধারণা করছেন রাজনীতিবিদরা।
Jessore News 24