
Home নড়াইল জেলা / Narail District > নড়াইল জেলার সাংবাদিক / Journalist of Narail District
এই পৃষ্ঠাটি মোট 3313 বার পড়া হয়েছে
নড়াইল জেলার সাংবাদিক / Journalist of Narail District
নড়াইল জেলার সাংবাদিক
Journalist of Narail District
শরীফ আব্দুল হাকীম :
নড়াইল জেলার সাংবাদিকতায় প্রবীণ ব্যক্তি। জেলার দারিয়াপুর গ্রামের পৈত্রিক নিবাস ছেড়ে এখন নড়াইল শহরের স্থায়ী বাসিন্দা। জন্ম ১৯৩৫ সালে। তিনি ১৯৬০ সালে থেকে দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকায় সাংবাদিকতা শুরু করেন। ১৯৬২ সাল থেকে দৈনিক ইত্তেফাকের নড়াইল জেলার নিজস্ব সংবাদদাতা হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি নড়াইল প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাকাল থেকে এখনও পর্যন্ত সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। বাংলাদেশ বেতার খুলনা কেন্দ্রের নড়াইল জেলা সংবাদদাতা হিসেবে কাজ করেছেন। তিনি দৈনিক পত্রিকা ছাড়াও বিভিন্ন পত্রিকা ও ম্যাগাজিনে অনেক প্রবন্ধ লেখেন। তিনি একজন বিশিষ্ট আইনজীবি।
মোঃ আতিয়ার রহমান :
নড়াইল জেলার সদর উপজেলার রামচন্দ্রপুর গ্রামে ১৯৫৮ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকা বিশেষ করে দৈনিক নব অভিজান, সকালের খবর, দৈনিক বাংলার নড়াইল সংবাদদাতা হিসেবে কাজ করেছেন। বর্তমানে তিনি দৈনিক ইনকিলাবের নড়াইল জেলা সংবাদদাতা। তিনি বহু কবিতা ও প্রবন্ধ লিখেছেন। সাংবাদিকতা ছাড়াও তাঁর মূল পেশা শিক্ষকতা। বর্তমানে তিনি লোহাগড়া পাইলট হাই স্কুলের শিক্ষক।
কার্তিক দাস :
নড়াইল শহরে সরকারী বালক বিদ্যালয়ের সামনে এক মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্ম। সাংবাদিকতা ছাড়াও কৃতি ফুটবল খেলোয়াড় এবং কোচ হিসাবে সমধিক পরিচিত। জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাথে জড়িত। তিনি দৈনিক তথ্য পত্রিকার নড়াইল জেলা সংবাদদাতা হিসাবে সাংবাদিকতা শুরু করেন। এছাড়া তিনি বর্তমান দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকার নড়াইল জেলা প্রতিনিধি এবং নড়াইল জেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক।
রিফাত বিক-ত্বহা :
নড়াইলের সদর উপজেলার সীমানন্দপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করন। তিনি বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন জাতীয় ও স্থানীয় সংবাদপত্রে সাংবাদিকতা করেছেন। বর্তমানে দৈনিক জনকণ্ঠ পত্রিকার নড়াইল জেলা সংবাদদাতা হিসেবে কর্মরত আছেন। নড়াইল জেলা প্রেসক্লাব ও লোহাগড়া প্রেসক্লাবের সাথে জড়িত আছেন তিনি।
সৈয়দ আকরাম :
জেলার ধলাইতলা গ্রামের সম্ভ্রান্ত এক মুসলিম পরিবারে জন্ম। খুলনার দৌলতপুর বিএল কলেজে পড়াশুনার সময় থেকে সাংবাদিকতা শুরু করেন। কলেজ জীবনে থাকাকালীন তিনি ঢাকা থেকে প্রকাশিত অধুনালূপ্ত দৈনিক আওয়াজ পত্রিকার খুলনা প্রতিনিধি ছিলেন। স্বাধীনতার পর তিনি দৈনিক আজাদ পত্রিকা ও দৈনিক জনপদ পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার ছিলেন। সরকারী ভাল চাকরি পেয়েও তিনি মহান পেশা থেকে সরে যাননি। বর্তমানে দৈনিক দিনকালের সিনিয়ার সাব-এডিটর পদে কর্মরত। এক সময় প্রগতিশীল ছাত্রনেতা ছিলেন। মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানী, কমরেড ত্বোহা, কমরেড আব্দুল হক, হাজী দানেশ সহ বহু বিশিষ্ট বামপন্থী নেতার সাথে তার গভীর সম্পর্কে ছিল।
ফকির শওকত :
জেলার লোহাগড়া উপজেলার চাচই গ্রামের অধিবাসী। বর্তমানে যশোর শহরে বসবাস করেন। ছাত্র জীবন থেকে যশোরে সাংবাদিকতা শুরু করেন। দৈনিক স্ফুলিঙ্গ পত্রিকায় দীর্ঘদিন সাংবাদিক হিসেবে কাজ করেছেন। নব্বই দশকের প্রথম দিকে তিনি বাসসের যশোর অঞ্চলের প্রতিনিধি নিযুক্ত হন। ঐ সময়ে তিনি দৈনিক দিনকালের যশোর ব্যুরো প্রধান ছিলেন। তিনি একজন পেশাদার সাংবাদিক ও সাংবাদিকদের নেতা। বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সহকারী মহাসচিব পদে বেশ কয়েক বছর দায়িত্বে ছিলেন। যশোর প্রেসক্লাবের নির্বাচিত সভাপতি। দৈনিক লোকসমাজ পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক।
শামিমুল ইসলাম টুলু :
নড়াইল জেলার মাছিমদিয়া গ্রামে জন্ম। ছাত্রজীবন থেকেই অগ্রজ আলমগীর সিদ্দিকীর দৈনিক ওশান পত্রিকায় লেখার মধ্যদিয়ে সাংবাদিকতা শুরু। তার মূল পেশা বেসরকারী কলেজে অধ্যাপনা। বর্তমানে দৈনিক সংবাদ পত্রিকার নড়াইল জেলার নিজস্ব সংবাদদাতা হিসাবে কাজ করছেন।
আঃ হালিম মন্টু :
নড়াইল জেলার সদর উপজেলার বরাশুলা গ্রামে জন্ম। সাংবাদিকতার প্রতি প্রবল ঝোঁক। যে কোন তথ্য সংগ্রহে কর্মঠ। দৈনিক জন্মভূমি পত্রিকার নড়াইল জেলা প্রতিনিধি। এছাড়া বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকেও রিপোর্টিং করেন। তিনি একজন দক্ষ আলোকচিত্র শিল্পী।
মোঃ মসিয়ার রহমান :
নড়াইল সদর উপজেলার ডৌয়াতলা গ্রামে জন্ম। দীর্ঘদিন সাংবাদিকতা করে আসছেন। বিভিন্ন স্থানীয় দৈনিক পত্রিকার প্রতিনিধি ছিলেন। বর্তমানে দৈনিক প্রভাত পত্রিকার সাংবাদিক।
সাথী তালুকদার :
নড়াইল শহরের মহিষখোলা গ্রামে বর্তমান নিবাস। দীর্ঘদিন বিভিন্ন জাতীয় ও আঞ্চলিক সংবাদপত্রের জেলা সংবাদদাতা হিসাবে যথেষ্ট পরিচিতি লাভ করেছেন।
রাজু খন্দকার :
৫০ এর দশকের সাপ্তাহিক ইত্তেফাক পত্রিকার সহ-সম্পাদক ও রাজনীতিবিদ খন্দকার আব্দুল হাফিজ এর পুত্র। পারিবারিক সূত্র ধরেই ছাত্রজীবন থেকে সাংবাদিকতার সাথে জড়িত। দৈনিক ভোরের কাগজ এবং দৈনিক লোকসমাজ সংবাদপত্রের নড়াইল জেলা সংবাদদাতা হিসেবে কিছুদিন কর্মরত ছিলেন। পরে চিত্রা বার্তা নামে একটি অনিয়মিত পত্রিকার সম্পাদনা করছেন।
ভক্ত সরকার :
শিক্ষকতার সাথে জড়িত। নড়াইল শহরে বাড়ী। ৭০ দশকের শেষের দিক থেকে ইংরেজী দৈনিক বাংলাদেশ অবজারভার পত্রিকার জেলা সংবাদদাতা হিসেবে কর্মরত আছেন।
মোঃ হাফিজুর রহমান :
নড়াইল শহরে বরাশুলায় জন্ম। নড়াইলের সাপ্তাহিক নড়াইল বার্তার সম্পাদক। এছাড়া দৈনিক জনতার সাথে সংবাদদাতা হিসাবে কাজ করছেন।
সৈয়দ আহমদ আলী :
নড়াইল জেলা সদরের আলাদাতপুর গ্রামে সৈয়দ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি দৈনিক পূর্বাঞ্চল ও বাংলার বানী পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত আছেন।
এনামুল হক টুকু :
নড়াইল শহরে রূপগঞ্জ এলাকায় বাড়ী। দৈনিক সংবাদ এর নড়াইল সংবাদদাতা হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশ টেলিভিশনের সংবাদ বার্তা হিসাবে কাজ করেছেন কয়েক বছর। নৌ-বাহিনীতেও কিছুদিন কাজ করেছেন তিনি।
আকরামুজ্জামান মিলু :
জেলার লোহাগড়া উপজেলার মহিশাহপাড়া গ্রামের ঐতিহ্যবাহী মিঞা পরিবারে ১৯৫৩ সালে জন্মগ্রহণ করেন। ছাত্র জীবনে খ্যাতনামা সাংবাদিক সৈয়দ জাফর এর অনুপ্রেরণায় দৈনিক আজাদ পত্রিকায় লেখার মধ্যে দিয়ে সাংবাদিকতায় হাতে খড়ি। বার্তা সংস্থা বিপিআই ও ইস্টার্ন নিউজ এজেন্সী (এনা) এবং একসময় বাসস এর নড়াইল মহাকুমা প্রতিনিধি হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৫ সালে শেখ মুজিব এর বাকশাল গঠনকালে মাত্র ৪টি সংবাদপত্র রেখে সকল সংবাদপত্র বন্ধ ঘোষণা করলে তিনি বিপিআই থেকে বাসস প্রতিনিধি হিসাবে দায়িত্ব পালন করতে থাকেন। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের প্রচেষ্টায় ১৯৭৮ সালে দৈনিক দেশ পত্রিকা প্রকাশিত হলে তিনি নড়াইল জেলার নিজস্ব সংবাদদাতা হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হন। দীর্ঘদিন ঐ পত্রিকায় সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮৪ সালে বাংলাদেশ টেলিভিশন এর নড়াইল জেলা সংবাদদাতা হিসেবে যোগদেন। একই সাথে তিনি দিনকাল পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি হিসেবেও কাজ করতে থাকেন। কিন্তু ১৯৯৬ সালে আওয়ামীলীগ রাষ্ট্রক্ষমতায় আসলে বিটিভি থেকে তাকে অব্যহতি দেয়া হয়। তিনি নড়াইল জেলায় সাংবাদিক হিসাবে বেশ পরিচিত। তিনি নড়াইল জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি এবং দীর্ঘদিন যাবৎ লোহগাড়া প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ভারতের শিলিগুড়ি শহরের ‘উত্তরবঙ্গ নাট্য সংস্থা’ থেকে ১৯৯৫ সালে পুরষ্কারপ্রাপ্ত। এছাড়া তিনি প্রায় তিন বছর যাবৎ নিউইয়র্কস্থ রূপসী বাংলা টেলিভিশনের ঢাকা প্রতিনিধি ছিলেন। তিনি বহু কবিতা ও প্রবন্ধ লিখেছেন। তিনি ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত এবং একপুত্র ও এক কন্যা সন্তানের জনক।
আব্দুস সালাম খান :
লোহাগড়া উপজেলার কুন্দশী গ্রামে ১৯৫৭ সালে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৮০ সালে দৈনিক সংগ্রাম পত্রিকার নাড়াইল প্রতিনিধি হিসেবে সাংবাদিকতায় হাতেখড়ি। যশোর থেকে প্রকাশিত দৈনিক লোকসমাজ পত্রিকার শুরু থেকে এখনও পর্যন্ত লোহাগড়া প্রতিনিধি হিসাবে দায়িত্ব পালন করে চলেছেন। তিনি লোহাগড়া প্রেসক্লাবে ৬ বছর সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তিনি একজন সৎ ও নিষ্ঠাবান সাংবাদিক। সাংবাদিকতার পাশাপাশি তার মূল পেশা আইন ব্যবসা।
মোঃ খায়রুল ইসলাম :
লোহাগড়া উপজেলার মোচড়া গ্রামে শেখ পরিবারে ১৯৬৮ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি লোহাগড়া স্কুল, লোহগড়া কলেজ ও নড়াইল সিটি কলেজে লেখাপড়া করেন। পরবর্তীতে হোমিওপ্যাথি বোর্ড ঢাকা থেকে লোখাপড়া শেষ করে এ চিকিৎসা পেশায় নিয়োজিত থাকেন এবং পাশাপাশি সাংবাদিকতা করেন। তিনি প্রথমে দৈনিক স্ফুলিঙ্গ পত্রিকায় এবং পরে দৈনিক পূর্বাঞ্চল পত্রিকায় নিজস্ব সংবাদদাতা হিসাবে কাজ করছেন। ৯০ দশকের পর থেকে তিনি সার্বক্ষনিক এই পেশার সাথে জড়িত। খুলনার বহুল প্রচারিত দৈনিক পূর্বাঞ্চল পত্রিকার নিজস্ব সংবাদদাতা হিসাবে কর্মরত। লোহাগড়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন তিনি। ইতোমধ্যে তিনি সাংবাদিক হিসেবে বেশ পরিচিতি লাভ করেছেন। তিনি বিবাহিত এবং এক পুত্র সন্তানের জনক।
শুশান্ত কুমার বিশ্বাস :
লোহাগড়া উপজেলার লক্ষিপাশা গ্রামে জন্ম। ছাত্র জীবন থেকেই তিনি সাংবাদিকতা করে আসছেন। সংকলন প্রকাশনার প্রকাশিত ‘শতাব্দীর আলো’ নামে একটি পাক্ষিক পত্রিকার মালিক ও প্রকাশক তিনি। ইতোপূর্বে তিনি দৈনিক রানার, পূরবী, দৈনিক লোকসমাজ পত্রিকার ষ্টাফ রিপোর্টার ছিলেন।
রূপক মুখার্জি :
লোহাগড়া উপজেলার লক্ষ্মীপাশা গ্রামে জন্ম। তিনি একজন মেধাবী ছাত্র ছিলেন। দৈনিক রানার, বাংলাবাজার পত্রিকায় ও পরে লোকসমাজ পত্রিকার লক্ষ্মীপাশা প্রতিনিধি হিসাবে কাজ করেছেন। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়ার সময় বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকায় প্রবন্ধ লিখেছেন। এছাড়া বিভিন্ন অনিয়মিত প্রকাশনা সম্পাদনার সাথে যুক্ত।
সুলতান মাহমুদ :
জেলার লোহগড়া উপজেলার আমাদা গ্রামের সম্ভ্রান্ত খান পরিবারে ১৯৭০ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি আমাদা হাইস্কুল ও লোহাগড়া কলেজে স্নাতক শ্রেণী পর্যন্ত লেখাপড়া করেন। পরবর্তীতে দৌলতপুর বি এল কলেজে বাংলা সাহিত্যে এম. এ ভর্তি হন। স্কুল ও কলেজ জীবনের তিনি মেধাবী ছাত্র ছিলেন। ৫ম শ্রেণী থেকে স্নাতক শ্রেণী পর্যন্ত সরকারী বৃত্তি নিয়ে পড়াশুনা করেন। খুলনা থেকে প্রকাশিত দৈনিক পূবাঞ্চল পত্রিকায় লেখালেখির মাধ্যমে তার সাংবাদিকতায় হাতেখড়ি। ইতিপূর্বে বহু দৈনিক এর সাথে জড়িত ছিলেন। বর্তমানে দৈনিক লোকসমাজ পত্রিকার নড়াইল ব্যুরো প্রধান হিসাবে কর্মরত আছেন।
শিমুল হাসান :
লোহাগড়া উপজেলার বসুপটি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বিভিন্ন সময়ে দৈনিক রানার, বাংলাবাজার ও দৈনিক ওশান পত্রিকার সংবাদদাতা ছিলেন। বর্তমানে ঢাকার একটি দৈনিক পত্রিকায় সাংবাদিকতা করেন।
শেখ আতাউর রহমান ফিরোজ :
লোহাগড়া উপজেলার ইতনা গ্রামে জন্ম। তিনি ইতনা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক ও দৈনিক আজকের কাগজের লোহাগড়া সংবাদদাতা হিসেবে বেশ কয়েক বছর কর্মরত ছিলেন। বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকায় লেখালেখি করেন। তিনি ইতনা গণ-গ্রন্থাগারের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক।
মোঃ সামীরুল ইসলাম :
লোহাগড়া উপজেলার মোচড়া গ্রামে জন্ম। তিনি হোমিও প্যাথিক পড়াশুনা করে প্রাকটিস করেন। দৈনিক সংগ্রাম পত্রিকার লোহাগড়া উপজেলার প্রতিনিধি হিসাবে কর্মরত।
অশোক কুন্ডু :
নড়াইল শহরে জন্ম। সাবেক পৌর কমিশনার। বিভিন্ন সংবাদ পত্রের এজেন্সী নিয়ে ব্যবসা করেন। পাশাপাশি লোকসমাজ পত্রিকার সংবাদদাতা।
তৌহিদুল ইসলাম :
নড়াইল জেলার চাচই গ্রামের সন্তান। বর্তমানে যশোর শহরে বাস করেন। লোকসমাজের সিনিয়ার স্টাফ রিপোর্টার হিসাবে কর্মরত।
দেলোয়ার হোসেন খোকন :
জেলার আমাদা গ্রামে পূর্ব-পুরুষের বাড়ী। যশোরের বহুল প্রচারিত দৈনিক লোকসমাজের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক হিসাবে কর্মরত আছেন।
নুরুল আলম :
জেলার ইতনা গ্রামের অধিবাসী। একজন বিশিষ্ট সাংবাদিক ও রাজনীতিবিদ। দৈনিক দেশহিতৈষী পত্রিকার মালিক ও সম্পাদক।
এম.এ আহাদ :
জেলার কালিয়ায় বাড়ী। দৈনিক ইত্তেফাক ও পূর্বাঞ্চল পত্রিকার সাথে সাংবাদিকতায় জড়িত। দীর্ঘদিন যাবত কালিয়া থেকে সাংবাদিকতা করছেন।
গোলাম মোর্শেদ :
জেলার পেরলী থেকে খুলনার একটি দৈনিকের সাথে জড়িত।
মিজানুর রহমান :
জেলার কালিয়া উপজেলার লোকসমাজ পত্রিকায় সংবাদদাতা হিসাবে কাজ করছেন।
নিক্সনুর রহমান :
লোহাগড়া উপজেলার গোপিনাথপুর গ্রামে জন্ম। তিনি বর্তমানে লোকসমাজ পত্রিকার লক্ষ্মীপাশা সংবাদদাতা হিসাবে কর্মরত।
সাদেক হোসেন :
জেলার পাংখারচর গ্রামে জন্ম। আশির দশকের প্রথম দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় এমএ পাশ করে ঢাকার একটি দৈনিক পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার ছিলেন। পরবর্তীতে উত্তরা ব্যাংকের গণসংযোগ অফিসার হিসেবে যোগদান করেন। বর্তমানে এ ব্যাংকেই কর্মরত আছেন।
ডঃ কাজী জাহাঙ্গীর কবির :
নড়াইল সদর উপজেলার রাজাপুর গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম। তার পিতা মরহুম কাজী আব্দুস কুদ্দুস ছিলেন মৎস বিভাগের একজন সহকারী পরিচালক। জাহাঙ্গীর কবির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় এমএ পাশ করেন। পরবর্তীতে ভারতের ব্যাঙ্গালোর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কৃষি বিষয়ে সাংবাদিকতায় পিএইচডি ডিগ্রী অর্জন করেন। বর্তমানে ঢাকায় সার্কভুক্ত দেশের কৃষি তথ্য বিভাগের পরিচালক পদে কর্মরত। বিশ্বের বহুদেশ সফর করেছেন তিনি।
বেলায়েত হোসেন :
কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন সময়ে সাংবাদিকতার পেশার সাথে জড়িত হন। আশির দশকের দৈনিক বার্তার নড়াইল মহকুমার নিজস্ব সংবাদদাতা হিসাবে কাজ করেন। পরে দৈনিক সকালের খবরের স্টাফ রিপোর্টার পদে দীর্ঘদিন কর্মরত ছিলেন। বর্তমানে দৈনিক দিনকালের সিনিয়ার স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে কর্মরত আছেন। সাংবাদিক হিসাবে তিনি একজন সৎ ও নির্ভিক। জেলার লোহাগড়া উপজেলার করফা গ্রামে পূর্ব পুরুষের বাস। বর্তমানে কাশিয়ানী উপজেলা সদরে বাড়ী।
শরীফুল ইসলাম :
লোহাগাড়া উপজেলার পারশাল নগর গ্রামে পৈত্রিক নিবাস। বর্তমানে নড়াইল শহরে স্থায়ীভাবে বসবাস। ছাত্রজীবন থেকে সাংবাদিকার প্রতি ঝোঁক। নব্বই দশকের শুরুতে পেশা হিসাবে সাংবাদিকতা শুরু করেন। বর্তমানে দৈনিক দিনকাল পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার হিসাবে কর্মরত।
মনিরুজ্জামান মোল্যা :
জেলার লোহাগড়া সদরে জন্ম। এক বিশিষ্ট ঔষধ ব্যবসায়ী। কলেজ জীবন থেকে সাংবাদিকতা শুরু করেন। তিনি দৈনিক জন্মভূমির লোহাগড়া সংবাদদাতা হিসাবে কর্মরত আছেন।
এছাড়া লোহাগড়া উপজেলায় যারা বিভিন্ন সময়ে শখ হিসাবে অনিয়মিতভাবে সাংবাদিকতার সাথে জড়িত ছিলেন তার হলেন রাধা রমন সাহা, ডাঃ সত্যেন আদিত্য, সৈয়দ আকরাম হোসেন (আকিদুল), এফ ফরিদ উদ্দিন, খোকন কুমার ঘোষ, দীপক কুমার সাহা, মোজাম্মেল হোসেন বাবলু, মাহামুদ হাসান, হীরক কুমার দে, সিদ্দিকুর রহমান, জগদীশ চন্দ্র চক্রবর্তী প্রমুখ।
তথ্য সূত্র :
নড়াইল জেলার অতীত ও বর্তমান
লেখক : আকরামুজ্জামান মিলূ
সম্পাদনা : মো: হাসানূজ্জামান বিপুল