
Home দৃষ্টিপাত (Visibility) > যশোর বিভাগ দাবিতে আর্থিক সহযোগিতায় এগিয়ে আসছে না বৃহত্তর যশোরবাসী
এই পৃষ্ঠাটি মোট 8140 বার পড়া হয়েছে
যশোর বিভাগ দাবিতে আর্থিক সহযোগিতায় এগিয়ে আসছে না বৃহত্তর যশোরবাসী
ইতিহাস-ঐতিহ্যে ভরপুর বৃহত্তর যশোর জেলা আজ চরমভাবে অবহেলিত। যশোরের গর্বজাত খুলনা আজ শুধু একটি বিভাগীয় শহরই নয় বরং বাংলাদেশে অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ সিটি। সেখানে যশোর শহরের অবস্থা দেখুন। শহরের রাস্তাগুলি দেখলেই বোঝা যায় এ জেলা উন্নয়নের দিক দিয়ে কতটা পিছিয়ে আছে। গুরুত্বপূর্ণ যেসকল প্রতিষ্ঠান আছে যশোরে তার অধিকাংশই বৃটিশ আমল ও পাকিস্তান আমলে স্থাপিত। পর্যায়ক্রমে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা বিভাগের মর্যাদা পেয়ে চলেছে অথচ যশোর বিভাগের কোন খবর নেই। জেলার উন্নয়নে কথা বলার যেন কেউ নেই।
রাজনীতিবিদ ও সাধারণ মানুষ সকলেই যেন নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত। দেশে-বিদেশে প্রচুর সংগঠন আছে। তারাও যশোর উন্নয়নে নিবর ভূমিকা পালন করে। সাবেক মন্ত্রী জনাব তরিকুল ইসলামের কাছে তাঁর এক বন্ধু জানতে চেয়েছিলেন ‘যশোরের কেন উন্নয়ন হয় না’? তিনি বলেছিলেন ‘যশোরের মানুষ উন্নয়ন চাই না’। আমরা বৃহত্তর যশোরের উপর এই ওয়েবসাইট করতে গিয়ে তাঁর সেই কথার সত্যতা খুঁজে পায়। তবে এখানে যশোরের সকল মানুষের কথা বলছি না। কিছু ভাল মানুষ আছে বলেই আমাদের ওয়েবসাইটের এই সংগঠন ১২ বছর টিকে আছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যাদের ক্ষমতা আছে কিন্তু মন নেই, আবার যাদের মন কিন্তু ক্ষমতা নেই। আবার এমন কিছু মানুষ আছে যাদের অভ্যাস পেছন দিকে টেনে ধরা। নিজে জেলার উন্নয়নে কিছু তো করবেই না, যারা কিছু করতে চেষ্টা করে তাদেরকেও নিরুৎসাহিত করে। এসব মানুষের গোড়া খুঁজলে দেখা এরা যশোরের আদি বাসিন্দা নয়। তাদের বাবা অথবা দাদা অন্য অঞ্চল হতে উঠে এসে যশোরের বাসিন্দা হয়েছেন।
এ সবকিছু চিন্তা করে আমরাই রাস্তায় নেমে পড়লাম যশোর বিভাগের দবি নিয়ে। পরবর্তী পরিকল্পনা মাগুরা, ঝিনাইদহ ও নড়াইলের উন্নয়ন। কিন্তু প্রথমেই হোঁচোট খাচ্ছি। মৌখিকভাবে সমার্থন দেয়ার মানুষের অভাব নেই, যখনই আর্থিক প্রসঙ্গ তুলি তখনই আর আমাদের সাথে থাকতে চান না। তাই নিরুপায় হয়েই আমরা কমিটির সদস্যরা চাঁদা তুলে এ দাবি বাস্তবায়নের ব্যবভার নির্বাহ করছি।
যশোরের সদরের সংসদ সদস্য’র ও মাগুরার একজন প্রভাবশাহী রাজনীতিবিদের সাথে দেখা হলো সংসদ ভবনে। এ বিষয়ে কথা বলতে চাইলে নুন্যতম কোন আগ্রহ প্রকাশ করলেন না। কিছু মানুষ সরাসরি এ কার্যক্রমের বিপক্ষে কথা বলছেন। মন্তব্য করেন ‘যশোর বিভাগ হলে খুলনার কি অবস্থা হবে’ ? ‘যশোর বিভাগ হলে কি লাভ হবে’ ?, এখন দাবি করার সময় না, দাবি করলে সরকার মাইন্ড করবে। সুতরাং এ কার্যক্রমের সাথে আমি নেই’। অথচ প্রধানমন্ত্রীর অত্যন্ত কাছের একজন উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা আমাদের বললেন ‘যশোরকে বিভাগ করা সম্ভব হবে যদি জোর আন্দোলন গড়ে তোলা যায় এবং মিডিয়াতে ব্যাপকভাবে প্রচার করা যায়’। তিনি এ বিষয়ে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দিলেন।
এখান দেখা যাক বিভাগ দাবির প্রয়োজনটা কি:
১) নড়াইলকে বৃহত্তর যশোর থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফরিদপুর বা গোপালগঞ্জ বিভাগের সাথে যুক্ত করতে চাই। দাবি না করলে এটা হয়েই যাবে, ২) অন্যদিকে কুষ্টিয়াবাসী মানববন্ধন করছে বিভাগের জন্য। মাগুরা ও ঝিনাইদহকে চাই কুষ্টিয়ার সাথে। এটা হলে বৃহত্তর যশোরের অস্তিত্ব কোথায় যাবে ? ৩) আর কিছু না হোক মর্যাদার একটা বিষয় তো আছেই। বাংলাদেশে এতগুলি বিভাগ আর যশোর আজও একটা জেলা। বিভাগীয় শহর হলে কিছু না কিছু পরিবর্তন ও সুযোগ-সুবিধার সৃষ্টি তো হবেই। ৪) বিভাগ হবার কারণে যে সকল প্রয়োজনে আমাদেরকে খুলনায় যেতে হয় সে সকল প্রয়োজন যশোরের থেকেই হবে। ৫) এই আন্দোলন সফল করতে পারলে পরবর্তীতে বৃহত্তর যশোরের সার্বিক উন্নয়নে এই ওয়েবসাইটের সংগঠনই অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে। অন্য কোন ব্যক্তি বা সংগঠনের দিকে চেয়ে থাকতে হবে না বৃহত্তরবাসীকে, ৬) প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছিলেন যে, যশোরবাসী আওয়ামী লীগ’কে সবগুলি সংসদীয় আসন দিলে প্রধানমন্ত্রী যশোরকে সিটি কর্পোরেশন করবেন। কিন্তু আজও তার খবর নেই। যশোবাসীর এই দাবিটিও বাস্তবায়নের পদক্ষেপ নেবে আমাদের এই সংগঠন। আমরা বিশ্বাস করি আগামীতে বৃহত্তর যশোর হবে বাংলাদেশের সবচেয়ে আধুনিক ও সমৃদ্ধ একটি জেলা।
জন্মভূমির যে আলো বাতাশে বেড়ে উঠেছি সেই জন্মভূমির কাছে আমরা ঋণী। জন্মভূমির এ ঋণ পরিশোষ করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। আমাদের মধ্যে অনেকেরই সুযোগ বা সামর্থ থাকা সত্ত্বেও তা করি না, বরং অপ্রয়োজনে বা তুচ্ছ প্রয়োজনে প্রচুর টাকা খরচ করি। একবার চিন্তা করি না যেকোন সময় আমরা মারা যেতে পারি এবং সবকিছু রেখেই কবরে যেতে হবে। যশোরের বিশিষ্ট সমাজসেবক অধ্যাপক মোঃ শরীফ হোসেন ভাষায় “মানুষ হয়ে জন্মেছি মানুষের মত কাজ করবো, পশু-পাখির মত কেন জীবনযাপন করবো”? আমাদের অধিকাংশ মানুষ এ ভাবে জীবনযাপন করতেই বেশী পছন্দ করি। তাই বৃহত্তর যশোরবাসীর প্রতি আহবান আমাদের এ সকল উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে পাশে এসে দাঁড়ান এবং আর্থিকভাবে সহযোগিতা করুন। যার সামর্থ কম তিনি নুন্যতম ৫০০ দিয়ে সহযোগিতা করুন। কিছুটা হলেও উপকার হবে এবং আমাদের সংগঠনের সদস্যদের উপর আর্থিক চাপ কমবে। আপনার টাকা সঠিকভাবেই বৃহত্তর যশোরের উন্নয়নে ব্যবহার করা হবে এবং ওয়েবসাইটেও আপনার ছবি ও নাম দিয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হবে। ২৮ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০ টায় ঢাকা জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধনে উপস্থিত থেকে এ দাবি সফল করুন। বিকাশ নম্বর: ০১৯১২০৭৪১২৬।
ইঞ্জি. মোঃ আব্দুস সাত্তার
আহবায়ক (ভারপ্রাপ্ত)
যশোর বিভাগ বাস্তবায়ন পরিষদ

এ সবকিছু চিন্তা করে আমরাই রাস্তায় নেমে পড়লাম যশোর বিভাগের দবি নিয়ে। পরবর্তী পরিকল্পনা মাগুরা, ঝিনাইদহ ও নড়াইলের উন্নয়ন। কিন্তু প্রথমেই হোঁচোট খাচ্ছি। মৌখিকভাবে সমার্থন দেয়ার মানুষের অভাব নেই, যখনই আর্থিক প্রসঙ্গ তুলি তখনই আর আমাদের সাথে থাকতে চান না। তাই নিরুপায় হয়েই আমরা কমিটির সদস্যরা চাঁদা তুলে এ দাবি বাস্তবায়নের ব্যবভার নির্বাহ করছি।
যশোরের সদরের সংসদ সদস্য’র ও মাগুরার একজন প্রভাবশাহী রাজনীতিবিদের সাথে দেখা হলো সংসদ ভবনে। এ বিষয়ে কথা বলতে চাইলে নুন্যতম কোন আগ্রহ প্রকাশ করলেন না। কিছু মানুষ সরাসরি এ কার্যক্রমের বিপক্ষে কথা বলছেন। মন্তব্য করেন ‘যশোর বিভাগ হলে খুলনার কি অবস্থা হবে’ ? ‘যশোর বিভাগ হলে কি লাভ হবে’ ?, এখন দাবি করার সময় না, দাবি করলে সরকার মাইন্ড করবে। সুতরাং এ কার্যক্রমের সাথে আমি নেই’। অথচ প্রধানমন্ত্রীর অত্যন্ত কাছের একজন উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা আমাদের বললেন ‘যশোরকে বিভাগ করা সম্ভব হবে যদি জোর আন্দোলন গড়ে তোলা যায় এবং মিডিয়াতে ব্যাপকভাবে প্রচার করা যায়’। তিনি এ বিষয়ে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দিলেন।
এখান দেখা যাক বিভাগ দাবির প্রয়োজনটা কি:
১) নড়াইলকে বৃহত্তর যশোর থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফরিদপুর বা গোপালগঞ্জ বিভাগের সাথে যুক্ত করতে চাই। দাবি না করলে এটা হয়েই যাবে, ২) অন্যদিকে কুষ্টিয়াবাসী মানববন্ধন করছে বিভাগের জন্য। মাগুরা ও ঝিনাইদহকে চাই কুষ্টিয়ার সাথে। এটা হলে বৃহত্তর যশোরের অস্তিত্ব কোথায় যাবে ? ৩) আর কিছু না হোক মর্যাদার একটা বিষয় তো আছেই। বাংলাদেশে এতগুলি বিভাগ আর যশোর আজও একটা জেলা। বিভাগীয় শহর হলে কিছু না কিছু পরিবর্তন ও সুযোগ-সুবিধার সৃষ্টি তো হবেই। ৪) বিভাগ হবার কারণে যে সকল প্রয়োজনে আমাদেরকে খুলনায় যেতে হয় সে সকল প্রয়োজন যশোরের থেকেই হবে। ৫) এই আন্দোলন সফল করতে পারলে পরবর্তীতে বৃহত্তর যশোরের সার্বিক উন্নয়নে এই ওয়েবসাইটের সংগঠনই অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে। অন্য কোন ব্যক্তি বা সংগঠনের দিকে চেয়ে থাকতে হবে না বৃহত্তরবাসীকে, ৬) প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছিলেন যে, যশোরবাসী আওয়ামী লীগ’কে সবগুলি সংসদীয় আসন দিলে প্রধানমন্ত্রী যশোরকে সিটি কর্পোরেশন করবেন। কিন্তু আজও তার খবর নেই। যশোবাসীর এই দাবিটিও বাস্তবায়নের পদক্ষেপ নেবে আমাদের এই সংগঠন। আমরা বিশ্বাস করি আগামীতে বৃহত্তর যশোর হবে বাংলাদেশের সবচেয়ে আধুনিক ও সমৃদ্ধ একটি জেলা।
জন্মভূমির যে আলো বাতাশে বেড়ে উঠেছি সেই জন্মভূমির কাছে আমরা ঋণী। জন্মভূমির এ ঋণ পরিশোষ করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। আমাদের মধ্যে অনেকেরই সুযোগ বা সামর্থ থাকা সত্ত্বেও তা করি না, বরং অপ্রয়োজনে বা তুচ্ছ প্রয়োজনে প্রচুর টাকা খরচ করি। একবার চিন্তা করি না যেকোন সময় আমরা মারা যেতে পারি এবং সবকিছু রেখেই কবরে যেতে হবে। যশোরের বিশিষ্ট সমাজসেবক অধ্যাপক মোঃ শরীফ হোসেন ভাষায় “মানুষ হয়ে জন্মেছি মানুষের মত কাজ করবো, পশু-পাখির মত কেন জীবনযাপন করবো”? আমাদের অধিকাংশ মানুষ এ ভাবে জীবনযাপন করতেই বেশী পছন্দ করি। তাই বৃহত্তর যশোরবাসীর প্রতি আহবান আমাদের এ সকল উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে পাশে এসে দাঁড়ান এবং আর্থিকভাবে সহযোগিতা করুন। যার সামর্থ কম তিনি নুন্যতম ৫০০ দিয়ে সহযোগিতা করুন। কিছুটা হলেও উপকার হবে এবং আমাদের সংগঠনের সদস্যদের উপর আর্থিক চাপ কমবে। আপনার টাকা সঠিকভাবেই বৃহত্তর যশোরের উন্নয়নে ব্যবহার করা হবে এবং ওয়েবসাইটেও আপনার ছবি ও নাম দিয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হবে। ২৮ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০ টায় ঢাকা জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধনে উপস্থিত থেকে এ দাবি সফল করুন। বিকাশ নম্বর: ০১৯১২০৭৪১২৬।
ইঞ্জি. মোঃ আব্দুস সাত্তার
আহবায়ক (ভারপ্রাপ্ত)
যশোর বিভাগ বাস্তবায়ন পরিষদ