
Home রাজনীতিবিদ / Politicians > মোশাররফ হোসেন এল. এল. বি / Mosarraf Hossain L.L.B
এই পৃষ্ঠাটি মোট 17636 বার পড়া হয়েছে
মোশাররফ হোসেন এল. এল. বি / Mosarraf Hossain L.L.B
মোশাররফ হোসেন এল. এল. বি
Mosarraf Hossain L.L.B
Home District: Jessore
Mosarraf Hossain L.L.B
Home District: Jessore

প্রখ্যাত রাজনীতিবিদ মোশাররফ হোসেন এল. এল. বি .............তৎকালীন যশোর জেলার বনগাঁ মহকুমার সভয়পুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। পিতার নাম ....... মাতার নাম .............। ভাই বোন .............।
শিক্ষাজীবন:
১৯..... সালে যশোর এম. এম কলেজ থেকে গ্রাজুয়েশন করে কোলকাতায় আইন পড়েন।
রাজনৈতিক জীবন:
জনাব মোশাররফ হোসেন স্কুলজীবন থেকেই রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। ৮ম শ্রেণীর ছাত্র থাকাকালীন কংগ্রেস রাজনীতিতে যোগদান করেন। ৪০ এর দশকে অবিভক্ত ভারতে বৃটিশ বিরোধী আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণের মাধ্যমে তিনি রাজনীতিতে প্রবেশ করেন। দেশ বিভক্ত হলেও তিনি জন্মভূমি পশ্চিমবঙ্গে চব্বিশ পরগনায় থেকে যান। কংগ্রেসের সাথে মতান্তর ঘটায় কংগ্রেস ত্যাগ করেন ১৯৫২ সালের প্রথম দিকে। ডাক্তার জীবন রতন ধরের প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে একবার তিনি নির্বাচনে জয়লাভ করেন, কিন্তু পরবর্তী পর্যায়ে সেই নির্বাচনী ফলাফলকে বানচাল করা হয়। ভারতের লোকসভা নির্বাচনে স্বতন্ত্রপ্রার্থী হিসেবে বনগাঁ এলাকা থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। অন্যতম বীর সৈনিক এ্যাডভোকেট মোশাররফ হোসেন এম. এল. এল. বি অবিভক্ত ভারতের প্রথম পার্লামেন্টের সদস্য নির্বাচিত হন। পাকিস্তান আন্দোলনে তাঁর বিশেষ ভূমিকা ছিল। ১৯৫৩ সালে কংগ্রেস বিরোধিতার কারণে কংগ্রেসের কিছু নেতা তাঁর প্রাণনাশের হুমকি দিতে থাকে। এক পর্যায়ে ভারত সরকার তাঁকে দেশদ্রোহী আখ্যা দিয়ে ২৪ ঘন্টার মধ্যে পূর্ব পাকিস্তান চলে আসতে বাধ্য করে। মোশাররফ হোসেন তখন যশোরে এসে স্থায়ীভাবে বসবাস। ১৯৫৪ সালে তিনি তৎকালীন আওয়ামী লীগে যোগদান করেন। মোশাররফ হোসেনের বড় ভাই এ্যাডভোকেট হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বে তিনিই প্রথম যশোর জেলার আওয়ামী লীগ সংগঠক হিসেবে কাজ করেন এবং ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠা করেন। পরে তিনি যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন। তিনি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এবং যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
পাকিস্তান আন্দোলনে তাঁর ভূমিকা ছিল উল্লেখযোগ্য। পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর তিনি যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন। তিনি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকও ছিলেন। গণঅভ্যুত্থানের সময় ছয় দফা আন্দোলনের মুখে যশোরের অনেক বড় বড় নেতা নসরুল্লাহ খানের নেতৃত্বে পিডিএফ করতে নাম লেখালে তথা অনেক আওয়ামী লীগার ভোল্ট পাল্টালেও তিনি পার্টির প্রতি বিশ্বস্ত ও আন্তরিক থেকে কাজ করেন। সে সময়ে মোশাররফ হোসেন যদি আওয়ামী লীগ থেকে সরে যেতেন তাহলে যশোর আওয়ামী লীগের অবস্থার করুণ পরিণতি ঘটতো। তাঁর এ অবদান ও ত্যাগের কথা যশোর তথা সমগ্র দেশের লোক চিরদিনের জন্য মনে রাখবে। ছয় দফা ভিত্তিক স্বাধিকার আন্দোলনে তাঁর গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা চিরদিন প্রেরণা হয়ে থাকবে। ১৯৬৬ সালে আওয়ামী লীগের দুর্দিনে তিনি দলকে সংগঠিত করতে দায়িত্ব পালন করেন। তাঁর ত্যাগের জন্যই তাঁর আরেক নাম ছিল আওয়ামী লীগের দুর্দিনের কান্ডারী। এ বছরেই তাঁকে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করার অপরাধে বহু অত্যাচর সহ্য করতে হয়েছিলো। যশোরে রাজনৈতিক কর্মকান্ডে তাঁর বিচরণ ছিল পরিচ্ছন্ন ও আন্তরিক।
বিপ্লবী শহীদ মোশাররফ হোসেন ১৯৭০ সালের নির্বাচনে যশোর কোতোয়ালী থেকে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৭১ সালের ৩ মার্চ সেদিন সমগ্র যশোর শহরে ইয়াহিয়া সরকারের বিরুদ্ধে এক বিরাট বিক্ষোভ মিছিল বের হয়েছিল। তিনি এই মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন। মিছিল শেষে স্থানীয় ঈদগাহ ময়দানে সমবেত জনতার উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন। সেদিন জনতা এত বেশি উত্তেজিত ছিল যে, তিনি কিছুতেই জনতাকে শান্ত করতে পারছিলেন না। এমন সময় শারীরিকভাবে অসুস্থতার জন্য হঠাৎ করেই তিনি বক্তৃতা দেয়া অবস্থায় অজ্ঞান হয়ে পড়েন।
স্বাধীনতা সংগ্রাম শুরুর পর তিনি ভারতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী মিসেস ইন্দিরা গান্ধীর সথে সাক্ষাৎ করেন। যশোর অঞ্চলে মোশাররফ হোসেনই প্রথম মুক্তিবাহিনী গঠন করেন এবং তার নেতৃত্ব দেন। গ্রামে গ্রামে মুক্তিবাহিনী গড়ে তোলেন এবং জনগণকে সাহস ও মনোবল দিয়ে তিনি স্বাধীনতা যুদ্ধকে ত্বরান্বিত করেন।
স্বাধীনতার পর মোশাররফ হোসেনই প্রথম এম. সি. এ যিনি আওয়ামী লীগ গণপরিষদ থেকে পদত্যাগ করেন। আওয়ামী লুটপাট, ভারতমুখী নতজানু কর্মকান্ড এবং মানুষের আর্তনাদ ও হাহাকারের মুখে আওয়ামী লীগের নিষ্ক্রিয় ভূমিকা তিনি মেনে নিতে পারেননি। মেহনতী জনতার সংগঠন জাসদকে গড়ে তোলার ব্যাপারে আত্মনিয়োগ করেন। ফলে জাসদের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও অন্যতম সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট হয়েও তাঁকে আওয়ামী লীগের কারাগারে কাটাতে হয়েছে। জুন মাসে যশোরে কার্ফ্যু দিয়ে রক্ষীবাহিনী তাঁকে বিনা কারণে গ্রেফতার করেন। দুই মাস পরে তিনি জামিনে মুক্তি পান। জুন মাসে কারারুদ্ধ থাকাকালে তিনি তাঁর মাকে হারান। স্বাধীনতার অন্যতম প্রধান সংগঠক হয়েও জেল-জুলুমের হাত থেকে তিনি রেহাই পাননি। অর্থ ও প্রতিপত্তি এবং আইন ব্যবসা প্রসার ঘটানোর প্রতি দৃষ্টি ছিল না তাঁর । সময় পেলে তিনি গ্রামে ও ইউনিয়ন পর্যায়ে সংগঠন গড়তে যেতেন। তাঁর গ্রামে গমনের ফলে হালের চাষরত কৃষক কাজ থামিয়ে এগিয়ে আসতো।
তাঁর বিচক্ষণ রাজনীতির প্রশংসা করে প্রফুল্ল সেন তাঁকে বিদ্রোহী বলতেন, ডাক্তার বিধানচন্দ্র রায় তাঁকে ইয়াং বিরেল ও হিরেন সেন তাঁকে উজ্জ্বল নক্ষত্র বলতেন।
অন্যান্য কর্মকান্ড:
খেলাধূলার ক্ষেত্রেও মোশাররফ হোসেন কৃতি পুরুষ ছিলেন। বনগাঁর এম.এম ক্লাব তাঁরই হাতে তৈরি। উক্ত ক্লাবের সদস্যরা এখনও তাঁর নাম শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে। ফুটবল ও কেরাম খেলায় তাঁর কৃতিত্ব ছিল গৌরবময়। পাখি শিকারেও তাঁর আগ্রহও ছিল অসীম।
নিউ টাউনের শহীদ প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং মুড়লীর দানবীর প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ অনেক স্কুল তাঁর বাস্তব ভূমিকায় প্রতিষ্ঠিত।
চরিত্রিক বৈশিষ্ট্য:
জননেতা মোশাররফ হোসেন ছিলেন মিষ্টভাষী, অমায়িক, পরোপকারী ও বিচক্ষণ রাজনীতিবিদ। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি সহজ সরল, নিরহংকারী ও সাদামাটা জীবনযাপনে অভ্যস্ত। মানুষকে খুব আপন করে নেবার মহৎ গুণ তাঁর মধ্যে ছিল। তাঁর বাড়ীতে আত্মীয়-অনাত্মীয় সবার জন্য দ্বার অবারিত ছিল। অবিভক্ত বাংলার দুঃখী মানুষের জন্য তিনি বার বার জওহরলাল নেহেরুর সাথে সাক্ষাৎ করতেন।
পরলোক গমন:
একজন জাঁদরেল আইনজীবী, দৃঢ়চেতা ও বলিষ্ঠ ব্যক্তিত্বের অধিকারী মোশাররফ হোসেন এল. এল. বি। স্বৈরাচার ও পুঁজিবাদ বিরোধী রাজনীতিতে তাঁর নির্ভীক পদচারণায় তৎকালীন শাসকগোষ্ঠী আতঙ্কিত হয়ে ওঠে। জামিনে মুক্তিলাভের অল্প কিছু দিন পরে ঘাতকের বুলেট তাঁকে প্রিয়জনদের মধ্য থেকে কেড়ে নিয়ে যায়। জুলিয়াস সীজার (দ্যা মাস্টার অব রোম) এর হয়তো অনেক দোষ ছিল। কিন্তু মোশাররফ হোসেনের কি দোষ ছিল ? এ কথা দেশবাসীর সবাইর প্রশ্ন। তাই তো জুলিয়াস সীজারের মৃত্যুর সাথে তাঁকে তুলনা করে জনগণ থেকে উচ্চারিত হয়েছিল-সীজারের ভাষায়-“হাই ব্রুটাস, ইউ !”
এ্যাডভোকেট আব্দুল কাদের মোশাররফ হোসেনের মৃত্যুর পর সে সময়কার স্মৃতিকথায় লেখেন, “১৯৭৪ সালের ৩ ফেব্রুয়ারী সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার সময়ে অতর্কিতে আততায়ীরা এসে নৃশংসভাবে হত্যা করলো শ্রদ্ধেয় মোশাররফ হোসেনকে। পর পর তিনটে বুলেট তাঁর বুক ভেদ করে বেরিয়ে গেল। তিনি চেয়ার থেকে ঢলে পড়লেন ঘরের মেঝেতে। বেগম মোশাররফ হোসেন ছেলেমেয়েদের নিয়ে কাঁদতে কাঁদতে নিচে এলেন। মেঝের চারিদিকে রক্ত আর রক্ত। সেই রক্তের উপরে বসে তাঁকে জড়িয়ে ধরে আছে তাঁর ছেলেমেয়েরা, তাঁর স্ত্রী আর আছে তাদের সেই গগনবিদারী কান্নার রোল।”
তাঁর মৃত্যুর পরে তাঁর ছোট কন্যা আফরোজ জাহান বীথি সেই সময়কার স্মৃতিকথা উল্লেখ করে বলেন, “১৯৭৪ সালের ৩ ফেব্রুয়ারী, আশুরা সন্ধ্যা, বাবু (আব্বা) মিটিং শেষে বাড়ী ফিরেছেন। জামা-কাপড় না খুলেই কয়েকবার বারান্দায় পায়চারী করলো। বাবুকে দেখে মনে হরো খুব চিন্তিত। বাবুকে চিন্তিত দেখে আমার অজানা আশংকায় বুক কেঁপে উঠলো, মনে হয়ে গেল বু’র ফোনের কথা, তবে কি সত্যি বাবুকে মারবার ষড়যন্ত্র হচ্ছে ? কাউকে কিছু না বলে নানান কথা চিন্তা করতে করতে টেবিলে বসলাম। এমন সময় বাবু ঘরে এসে মা'কে বললো, আমাকে ভাত দাও। মা বললো, এত তাড়া কিসের ? বাবু বললো, আজ আমি নিচেই যাবো না। শরীরটা ভালো লাগছে না। কিন্তু নিয়তি যে ডাকছে। তাই বোধ হয় কাদের চাচা বাবুকে নিচে ডেকে নিয়ে গেলেন। আমি তখনও আমার টেবিলে। এমন সময় কয়েকবার গুলির আওয়াজ হলো। মনে হলো প্রত্যেকটি গুলি আমার বুক চিরে ঢুকলো। হঠাৎ কি হলো? দেখার জন্য আমি চেয়ার ছেড়ে দাঁড়িয়েছি। সেই মুহূর্তে শুনতে পেলাম মা মাগো, চমকে উঠলাম। একি ! আমার বাবুর গলা যে ? দৌঁড়াতে দৌঁড়াতে নিচে গেলাম। চিৎকার করে বললাম, বাবু ! কে এমন করলো ?” মৃত্যুকালে তিনি জাসদের জাতীয় কমিটির অন্যতম সহ-সভাপতি ছিলেন।
মানুষের হৃদয়ে মোশাররফ হোসেন:
সভ্যতার নির্মাতা খেটে খাওয়া মানুষ আর সমাজ পরিবর্তনের ইতিহাস হলো-শ্রেণী সংগ্রামের। সংগ্রাম ও বিদ্রোহ ছাড়া পৃথিবীতে নতুন এবং সুন্দরকে প্রতিষ্ঠিত করা যায়নি। সব যুগেই ইতিহাসের রায় কার্যকরী করার জন্য অগ্রদূতেরা এগিয়ে গিয়েছিলেন জীবনকে বাজি রেখে-ফাঁসির মঞ্চে জীবনের জয় গান গেয়ে গণমানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠাই ছিল লক্ষ্য। শহীদ মোশাররফ হোসেন ছিলেন তাদেরই একজন। সামাজিক প্রতিষ্ঠা, পিছুটান এবং সমাজপতি হবার লোভ যাদের আত্মপ্রত্যয় থেকে বিচ্যূত করতে পারেনি, ব্যক্তি ও শ্রেণীর শোষণমুক্ত সমাজ গড়ার আন্দোলনে আত্মাহুতি দিয়ে বিপ্লবী উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন মোশাররফ হোসেন ছিলেন তাঁদেরই একজন। বাংলাদেশের সুদীর্ঘ গণতান্ত্রিক আন্দোলন ও সশস্ত্র স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদ মোশাররফ হোসেনের অবদান কারো পক্ষে বিস্মৃত হওয়া সম্ভব নয়। স্বাধীনতার পরে ক্ষমতাসীন সরকারের বিরুদ্ধে বলিষ্ঠ প্রতিবাদ হিসেবে তিনি মানুষের কাছে বরণীয়। ক্ষমতার সুবর্ণ সম্ভাবনা, স্বাচ্ছন্দ ও সচ্ছল জীবনযাত্রা সবকিছু প্রত্যাখ্যান করে তিনি মানুষের কাতারে এসে দাঁড়িয়েছিলেন, অথচ বাংলাদেশের প্রথম বৃহত্তম বিরোধী দলের এই নি:স্বার্থ দেশপ্রেমিক ব্যক্তিত্বকে রাতের অন্ধকারে গুপ্তঘাতকের হাতে প্রাণ দিতে হয়েছিল।
মোশারফ হোসেন প্রায়ই বলতেন, রাজনীতি করে নেতা হওয়া যায় কিন্তু জনগণের ভালবাসা পাওয়া এবং ভালবাসা বাঁচিয়ে রাখা বড় কষ্টকর। যশোরের বিপ্লবী চেতনায় জনাব মোশাররফ হোসেনের অবদানের কথা যুগ যুগ ধরে সোনার অক্ষরে লেখা থাকবে। জীবনে তিনি জনগণের ভালবাসা লাভ করেছিলেন। চিরদিন যশোরের সর্বস্তরের মানুষ তাঁদের মনের মণিকোঠায় মোশাররফ হোসেনের নাম গেঁথে রাখবে।
তথ্য সংগ্রহে:
হাবিব ইবনে মোস্তফা
সম্পাদনা:
মো: হাসানূজ্জামান (বিপুল)
সর্বশেষ আপডেট:
মার্চ ২০১২