
Home নড়াইল জেলা / Narail District > নড়াইল ভিক্টোরিয়া কলেজিয়েট উচ্চ বিদ্যালয় (১৮৫৭)
এই পৃষ্ঠাটি মোট 100228 বার পড়া হয়েছে
নড়াইল ভিক্টোরিয়া কলেজিয়েট উচ্চ বিদ্যালয় (১৮৫৭)
নড়াইল শহরের প্রাণকেন্দ্রে চিত্রা নদী তীরে তাল-তমাল, নারিকেল সুপারীর পত্র পল্লব মুখরিত এক মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশে ৯.৯২ একর জমির উপর ১০ কক্ষ বিশিষ্ট দ্বিতল ভবন ও ১১ কক্ষ বিশিষ্ট পাকা পুরাতন ভবন নিয়ে নড়াইল ভিক্টোরিয়া কলেজিয়েট উচ্চ বিদ্যালয়টি অবস্থিত।
১৮৫৭ সালে সিপাহী বিদ্রোহের স্মরণীয় এক মুহুর্তে স্বনামধন্য বিদ্যোৎসাহী জমিদার রতন রায় কর্তৃক “নড়াইল ভিক্টোরিয়া স্কুল” নামে এ বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। স্কুলটি সম্ভবতঃ প্রথম অবস্থায় রূপগঞ্জ বাজারের বর্তমান যেখানে কিরণ কুণ্ডুর বাড়ী সেখানে স্থাপিত হয়। পরবর্তীতে হাসপাতাল র্নিমাণের জন্য যে ভবনটি নির্মিত হয় (হাসপাতালটি চালু না হওয়ায়) সেখানে স্কুলটিকে স্থানান্তরিত করে (বর্তমান পুরাতন কলেজ ভবন) স্থায়ীভাবে পরিচালিত করা হয়। স্কুলটি ইংল্যাণ্ডের তদানিন্তন রানী ভিক্টোরিয়ার নামে নামকরণ করা হয়।
বিদ্যালয়টি ১৮৫৭ সালে এইচ, ই (উচ্চ ইংরাজী) স্কুল হিসেবে স্থায়ীভাবে সরকারী অনুমোদন লাভ করে। পূর্বে স্কুলটি জমিদারগণ কর্তৃক পরিচালিত হত এবং জমিদারগণই ছিলের এর সম্পাদক। প্রাচীন এই বিদ্যালয়ে বহু প্রখ্যাত শিক্ষকগণ শিক্ষকতা করেছেন। যেসব প্রধান শিক্ষকগণ শিক্ষকতা করেছেন তাঁদের মধ্যে বিশেষ উল্লেখযোগ্য হলেন অমৃত রায়, রমেশ ব্যানার্জী, সত্য রায়, গোপেশ্বর লাহিড়ী, নিশি দত্ত, অনুকুল বকসী, সরেন ভট্টাচার্য্য বিশেষ স্বরণীয়। দীর্ঘদিন যাবৎ বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বে নিয়োজিত আছেন মোঃ মোসলেম উদ্দিন আহম্মদ।
১৮৮৬ সালে জমিদার রতন রায়ের পুত্র চন্দ্রকান্ত রায় কর্তৃক নড়াইল কলেজটি প্রতিষ্ঠিত হবার পর স্কুল ও কলেজ উভয় প্রতিষ্ঠান দুটি যুক্তভাবে একই ভবনে একই শিক্ষকগণ দ্বারা পরিচালিত হতে থাকে। এই জন্য এই সময় প্রতিষ্ঠানটির নামকরণ করা হয়। “নড়াইল ভিক্টোরিয়া কলেজিয়েট স্কুল”। ১৯৬০ সালের দিকে প্রতিষ্ঠানটি দুটি ভাগে বিভক্ত হয়ে যায়। এ সময় বিদ্যালয়টির উন্নয়নে জন্য ব্যাপক ভূমিকা রাখেন তৎকালীন এম এন এ আলতাফ হোসেন। একশত তেত্রিশ বৎসরের ঐতিহ্যবাহী এ বিদ্যালয়টি নড়াইল জেলার একটি আদর্শ বিদ্যাপীঠ।
তথ্য সূত্র:
শিক্ষালয়ের ইতিকথা
লেখক: কাজী শওকত শাহী
সম্পাদনা :
মোঃ হাসানূজ্জামান বিপুল
শামিউল আমিন শান্ত