
Home নড়াইল জেলা / Narail District > চাচুড়ী পুরুলিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়
এই পৃষ্ঠাটি মোট 100015 বার পড়া হয়েছে
চাচুড়ী পুরুলিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়
আর্ন্তজাতিক খ্যাতি সম্পন্ন চিত্র শিল্পী এস. এম. সুলতান বিংশ শতাব্দীর পঞ্চাশের দশকে এই বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেন। ৭.৭৭ একর জমির উপর অবস্থিত বিদ্যালয়টিতে মোট ১০টি কক্ষ বিশিষ্ট সেমিপাকা ভবন আছে। বিদ্যালয়টির প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক উপেন্দ্রনাথ দাস (বি.এ)।
নড়াইল জেলার কালিয়া উপজেলার দুইটি প্রাচীন গ্রাম চাচুড়ী ও পুরুলিয়া। এখানে কোন এক অজ্ঞাত নামা ব্যক্তির বহুপ্রাচীন ভবন স্তুপাকারে জঙ্গলাচ্ছাদিত ছিল। বিখ্যাত চিত্রশিল্পী ইউরোপের বহুদেশে পরিভ্রমণ করে দেশে ফিরে আসেন এবং নিজ চেষ্টায় একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ার স্বপ্ন দেখেন। সৌভাগ্যক্রমে পুরুলিয়া গ্রামের ঐ জঙ্গলাচ্ছাদিত প্রাচীন ভবনটি তার দৃষ্টিগোচর হয়। তিনি এই ভবনটি সংস্কার করে একটি প্রতিষ্ঠান র্নিমানের পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। এ কাজে তিনি সক্রিয় অংশ গ্রহণ করেন এবং তাকে বিশেষভাবে সাহায্য সহযোগিতা করেন চাচুড়ী পুরুলিয়া গ্রামের অধিবাসীবৃন্দ এবং তৎকালনী নড়াইলের মহাকুমা প্রশাসক ওয়ারেশ আলী চৌধুরী। এই সর্প আশ্রিত ভুতুড়ে পাকা বাড়ীটিকে কিছুদিনের মধ্যেই সংস্কার সাধন করেই তিনি প্রতিষ্ঠা করলেন ‘নন্দন কানন দ্বি স্কুল অব ফাইন আর্টস” এবং এর সংগে সংগে চলতে থাকে প্রাথমিক শিক্ষাদানের পাঠ্য কার্যক্রম। এ সময় বিদ্যালয়টির শুভ উদ্ভোদ্বন করেন তৎকালীন যশোর জেলার জেলা প্রশাসক মোঃ গিয়াসউদ্দীন ও নড়াইলের মহকুমা প্রশাসক ওয়ারেশ আলী চৌধুরী।
পরবর্তী পর্যায়ে এস, এম সুলতানের অনুপস্থিতিতে বিদ্যালয়টির শ্রেণি কার্যক্রম ব্যহত হয় এবং বিদ্যালয়টি অচল হয়ে পড়ে। ১৯৬১ সালে এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ বিদ্যালয়টিকে পুনরায় নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় হিসাবে চালু করেন। বিদ্যালয়টি ১৯৬৩ সালে মাধ্যমিক পর্যায়ে উন্নীত হয়ে যশোর শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক স্বীকৃতি লাভ করে। বিদ্যালয়টি এই এলাকার বিদ্যার্থীদের জ্ঞান দানের একটি উল্লেখযোগ্য বিদ্যাপীঠ।
তথ্য সূত্র:
শিক্ষালয়ের ইতিকথায় যশোর
লেখক: কাজী শওকত শাহী
সম্পাদনা:
মোঃ হাসানূজ্জামান বিপুল
শামিউল আমিন শান্ত