
Home কৃষি ও শিল্প (Agriculture and Industry) > পৃষ্ঠপোষকাতার অভাবে ঝিকাগাছার পাম চাষ বন্ধ হতে চলেছে
এই পৃষ্ঠাটি মোট 2950 বার পড়া হয়েছে
পৃষ্ঠপোষকাতার অভাবে ঝিকাগাছার পাম চাষ বন্ধ হতে চলেছে
![]() |
||
![]() |
![]() |
|
![]() |
|
![]() |
![]() |
||
যশোরের ঝিকরগাছা শহর থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে বেনেয়ালীতে ১ একর ৬০ জমিতে পাম গাছ চাষ করা হচ্ছে। ২০০৮ সালের ২১ আগষ্ট বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ঝিকরগাছা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ আবু বকর ছিদ্দিকী-এর পরামর্শে সবুজ নামে জনৈক ব্যক্তি পাইলট প্রকল্পের আওতায় পাম বাগানটি গড়ে তেলেন। তৎকালীন সেনাবাহিনীর জিওসি প্রধান তানভীর রহমান ও মেজর আশরাফ এ কাজে সরকারীভাবে যাবতীয় খরচ বহন করাসহ সার্বিক তত্ত্বাবধান করবে বলে প্রতিশ্রুতি দেয়। বিটিভিসহ কয়েকটি টিভি চ্যানেলে তাদের পাম বাগানের উপর প্রতিবেদন প্রচারিত হয়। কিন্তু এত কিছুর পরেও পাম চাষে সবুজের ভাগ্য সুপ্রসন্ন হয়নি। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা গ্রহনের পর পাম চাষী সবুজ একপ্রকার অসহায় হয়ে পড়ে। তার পাম চাষকে লাভের পর্যায়ে নিতে সরকারী কোন সহযোগিতা মিলছে না। বরং ঝিকরগাছার সেই কৃষি কর্মকতা মোঃ আবু বকর ছিদ্দিকী সবুজকে পাম গাছ মেরে ফেলার পরামর্শ দিচ্ছেন।
বর্তমানে এ পাম গাছে প্রচুর পরিমান ফল এসেছে। কিন্তু এই মূল্যবান ফলগুলো কিভাবে বাজারজাত করবে সবুজ তা জানে না। প্রতি বছর এই পাম গাছে প্রচুর পরিমানে ফল হয় কিন্তু চাষীর অজ্ঞতা ও কৃষি বিভাগের অসহযোগিতার কারণে প্রতি বছর গুনতে হচ্ছে প্রায় ৪ লড়্গ টাকার লোকসানের বোঝা।
কেবল সরকারী পৃষ্ঠপোষকতায় সবুজ পাম চাষকে লাভের পর্যায়ে নিতে পারেন। আর তখন সবুজকে অনুস্মরণ করবে এলাকার মানুষ। এক পর্যায়ে বাংলাদেশ পাম-ওয়েল তেল উৎপাদনে সমৃদ্ধি লাভ করবে।
যোগাযোগ : ০১১৯০-৭৩৫৮৫৯