
Home উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা / High Ranking officers > এ কিউ সিদ্দিকী / A. Q. Siddiqui (1938) {Chairman, Bangladesh Commerce Bank}
এই পৃষ্ঠাটি মোট 19075 বার পড়া হয়েছে
এ কিউ সিদ্দিকী / A. Q. Siddiqui (1938) {Chairman, Bangladesh Commerce Bank}
আব্দুল কাদের সিদ্দিকী
Abdul Quader Siddiqui
{Chairman, Bangladesh Commerce Bank}
Home District: Jhenidah

বিশিষ্ট ব্যাংকার জনাব এ কিউ সিদ্দিকী (আব্দুল কাদের সিদ্দিকী) ১৯৩৮ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর ঝিনাইদহ জেলার সদর থানার দূর্গাপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা মরহুম ফজলুর রহমান সিদ্দিকী পেশায় শিক্ষক ছিলেন। মা মরহুমা হালিমা খাতুন ছিলেন একজন গৃহিণী। দুই ভাই ও ছয় বোনের মধ্যে জনাব সিদ্দিকী ৪র্থ এবং দুই ভাইয়ের মধ্যে ছোট। বড় ভাই জিল্লুর রহমান সিদ্দিকী দেশের একজন স্বনামধন্য ব্যক্তিত্ব। তিনি একধারে একজন শিক্ষাবিদ, সাহিত্যিক ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক শিক্ষা উপদেষ্টা।
জনাব সিদ্দিকী ১৯৬২ সালে নাটোর জেলার ছাতার বাড়ীয়ার তৎকালীন ডেপুটি ম্যজিস্ট্রেট জনাব হাসমতুল্লা শাহ’র ছোট কন্যা হোসনে আরা’র সাথে পরিণয় সূত্রে আবদ্ধ হন। স্ত্রী হোসনে আরা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনে মেধা তালিকায় প্রথম হয়ে মাস্টার্স ডিগ্রী লাভ করেন। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি এক ছেলে ও এক মেয়ের পিতা। ছেলে ড. শাহরিয়ার হাসান কানাডার থম্পসন রিভার বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করছেন এবং মেয়ে সাবরিনা সিদ্দিকী গুলশানের Sir John Willson নামক একটি বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা হিসাবে কর্মরত।
শিক্ষাজীবন:
জনাব সিদ্দিকী’র শিক্ষাজীবন শুরু হয় ১৯৪৩ সালে নিজ গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। এখানে তিনি চতুর্থ শ্রেণী পর্যন্ত লেখাপড়া করেন। চাকরিজীবি পিতার বদলীর কারণে পরিবারের অন্য সদস্যদের সাথে তাঁকে যশোর যেতে হয়। যশোর জিলা স্কুলে তাঁকে চতুর্থ শ্রেণীতে ভর্তি করা হয়। এখানে ৬ষ্ঠ শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশুনা (১৯৪৭-১৯৫০) করার পর পিতা আবার বগুড়া জেলায় বদলি হন। বগুড়া জিলা স্কুলে তিনি ৬ষ্ঠ হতে ৮ম শ্রেণী পর্যন্ত (১৯৫০-১৯৫২) লেখাপড়া করেন। সর্বশেষ ১৯৫৫ সালে তিনি ঝিনাইদহ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ম্যাট্রিকুলেশন পাশ করেন। ১৯৫৫-১৯৫৯ সাল পর্যন্ত সময়ের মধ্যে তিনি রাজশাহী কলেজ হতে উচ্চ মাধ্যমিক ও বিএ অনার্স (অর্থনীতি) শেষ করেন। ১৯৬০ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হতে অর্থনীতিতে অধ্যায়নকালে চাকরিজীবনে প্রবেশ করেন।
পেশাগত জীবন:
১৯৬০ সালে তিনি প্রথম পাকিস্তানের করাচীতে “হাবিব ব্যাংক লিঃ” এ অফিসার পদে নিয়োগের মধ্য দিয়ে পেশাগত জীবন শুরু করেন। এরপর এদেশের বিভিন্ন সরকারি ব্যাংকে বড় বড় পদে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৬৩ সালে "IDBP (Industrial Development Bank of Pakistan)", ১৯৭২ সালে “সোনালী ব্যাংকে” Assistant General Manager, ১৯৮০ সালে “বাংলাদেশ ব্যাংকে” RCPD (Director Rural Credit Project Division), ১৯৮২ সালে “সোনালী ব্যাংকে” General Manager, ১৯৮৪ থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত স্ট্যান্ডার চাটার্ড ব্যাংক, ব্রাক ব্যাংক ও বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক কর্মরত ছিলেন। ১৯৯২ সালে “জনতা ব্যাংকে” Deputy Managing Director, ১৯৯৪ সালে “অগ্রণী ব্যাংকে” Managing Director এবং ১৯৯৬ সালে তিনি “সোনালী ব্যাংকে” Managing Director হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এরপর ১৯৯৯ সালে তিনি "পল্লী দারিদ্র বিমোচন ফাউন্ডেশনে (PDBF)" যোগ দেন। সর্বশেষ ২০০৪ সাল হতে বর্তমান সময় পর্যন্ত (২০০৯) তিনি সুইজারল্যান্ডের "Habib Bank AG Zurich" এর Chief Country Representative (CRR) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এর পাশাপাশি তিনি ২০০৭ সাল থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত "বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক লিঃ" এ Chairman হিসাবে নিযুক্ত আছেন।
সাহিত্যচর্চা:
রাজশাহী কলেজে পড়াকালীন কলেজের সাপ্তাহিক পত্রিকা “চারপাতা”তে মাঝে মধ্যে লেখালেখি করতেন। পাকিসত্মান আমলে “Young Observer” নামক একটি ম্যাগাজিনে নিয়মিত লিখতেন। এছাড়াও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যাগাজিনে লিখতেন। বর্তমানে দৈনিক ইত্তেফাক এর পাঠকের কলামে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে নিয়মিত লেখালেখি করেন।
সম্মাননা:
জনাব এ কিউ সিদ্দিকী সমাজসেবামূলক কর্মকান্ডের জন্য ১৯৯৪ সালে তিনি নড়াইল জেলা থেকে সুলতান পদক পেয়েছেন। Canadian International Rural Development (CIDA) থেকে ২০০৪ সালে Rural Development এর জন্য সম্মাননা পান। এছাড়াও বিভিন্ন সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান হতে বহুবার সম্মানসূচক পদক পেয়েছেন।
সেবামূলক কর্মকান্ড :
১৯৬৬ সাল থেকে তিনি রোটারী ইন্টারন্যাশনাল’র সাথে সমাজসেবামূলক কর্মকান্ডের সাথে যুক্ত আছেন। এছাড়াও UCEP (Underprivileged Children Education Program) নামক একটি সমাজসেবামূলক প্রতিষ্ঠানের সাথে ১৯৯৭ সাল থেকে জড়িত। সেখানে বেশ কিছুদিন তিনি পরিচালক হিসাবে কাজ করেছেন। বর্তমানে তিনি Vice Chairman হিসেবে UCEF Welfare Trust এর সাথে সেবামূলক কাজে নিয়োজিত আছেন।
১৯৭১ সালে তিনি সপরিবারে খুলনাতে ছিলেন। এখানে থেকে যুদ্ধকালীন সময়ে তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করেছেন।
সাক্ষাৎকার গ্রহণে :
রাজিব কুমার রক্ষিত
সম্পাদনা :
মো: হাসানূজ্জামান বিপুল
রাজিব রক্ষিত
বদরুদ্দোজা মাহমুদ তুহীন
সর্বশেষ আপডেট:
মে ২০১২