
Home যশোর জেলা / Jessore District > কেশবপুর উপজেলা / Keshabpur Upazila
এই পৃষ্ঠাটি মোট 100266 বার পড়া হয়েছে
কেশবপুর উপজেলা / Keshabpur Upazila
কেশবপুর উপজেলার দর্শনীয় স্থান
Sightseeing of Keshabpur Upazila |
||
![]() ![]() ![]() |
মাইকেল মধুসুধনের জন্মস্থান সাগরদাড়ী
১৮২৪ সালের ২৫ জানুয়ারী এ বাড়িতে কবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৬৫ সালে ২৬ অক্টোবর তদানীন্তন সরকার বাড়িটি পুরাকীর্তি হিসেবে ঘোষণা করে। ১৯৬৮ সালে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ বাড়িটি সংস্কার করে। ১৯৯৬-২০০০ সালে এলাকাটি দেয়াল বেষ্টিত করে একটি কুটিরের আদলে গেট, একটি মঞ্চ, দুটি অভ্যর্থনা স্থাপনা নির্মাণ করা হয়। এ সময় বাড়ির সমুদয় স্থাপনাকে পুনঃসংস্কার করে বর্তমান রূপ দেয়া হয়। মধুসূদনকে ঘিরে এখানে গড়ে উঠেছে জেলা পরিষদের ডাকবাংলো, সাগরদাঁড়ী পর্যটন কেন্দ্র, মধুসূদন মিউজিয়াম ইত্যাদি। কপোতাক্ষের পাড়ে কবির স্মৃতি বিজড়িত কাঠবাদাম গাছ ও বিদায় ঘাট পর্যটকদের আকর্ষক করে। মধুসূদনের পরিবারের ব্যবহার্য কিছু আসবাবপত্র অন্যান্য স্মৃতিচিহৃ নিয়ে এ বাড়িতেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছে মধুসূদন জাদুঘর। স্থাপিত হয়েছে লাইব্রেরী। সাগরদাঁড়ীতে রয়েছে অতিথিশালা ও পিকনিক কর্ণার। কবির জীবনী.... / ফটোগ্যালারী.... অবস্থান: সাগরদাড়ী, কেশবপুর, যশোর। দুরত্ব: যশোর জেলা শহর হতে কেশবপুরের দূরত্ব ৩০ কি:মি:। কেশবপুর শহর থেকে সাগরদাড়ীর দুরত্ব ৫ কি:মি। প্রায় দু্ই-আড়াই ঘণ্টা পথ। সরাসরি ঢাকা থেকে ৬ ঘন্টায় কেশবপুর আসা যায়। ঢাকা-কেশবপুর দূরত্ব ৩০৩ কিলোমিটার। যাতায়াতের মাধ্যম: যশোর-কেশবপুর বাস সার্ভিস। কেশবপুর শহর হতে ভ্যান / ইজিবাইক / ভাড়া করা মোটরসাইকেল / মাইক্রোবাস / ব্যক্তিগত যানবহন। থাকার ব্যবস্থা: দত্তবাড়ির কাছেই আছে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের রেস্টহাউস। সেখানে থাকতে পারেন অথবা থাকতে পারেন কেশবপুর উপজেলা ডাকবাংলোতে। তবে আগে থেকেই কথা বলে রাখতে হবে। |
|
---------------------------------------------------------------------------------------------------- | ||
![]() ![]() ![]() |
কেশবপুরের বিরল প্রজাতির হনুমান গত কয়েকশ’ বছর যাবৎ কেশবপুর সদর ও পার্শ্ববতী এলাকার ১০-১৫ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে বিরল প্রজাতির এই হনুমান বসবাস করছে। বেসরকারি সংস্থা পিসের হিসেব মতে, বর্তমানে ওই এলাকায় প্রায় ৪০০ হনুমান রয়েছে। ৩০/৪০ বছর আগে প্রায় ৫ সহস্রাধিক হনুমান কেশবপুরের গ্রামাঞ্চলে গাছের ডালে, জঙ্গলে নির্ভয়ে চলাচল করতো। কিন্তু এই সংখ্যা এখন ৪/৫ শ’তে নেমে এসেছে। কেশবপুরে বিরল প্রজাতির কালোমুখো হনুমান (কমন ল্যাংগার) আজ বিলুপ্তির পথে। প্রকট খাদ্যভাব, অভয়ারণ্যের অভাবে মিলনের অন্তরায় ও প্রজনন ক্ষমতা হ্রাসের কারণে কেশবপুরের হনুমানের সংখ্যা দিন দিন কমছে। এদের সংরক্ষণে গৃহীত হচ্ছে না কোন সরকারী উদ্যোগ। তাই কেশবপুরের এই হনুমান রক্ষায় কাল বিলম্ব না করে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়া দরকার। তা না হলে এই বিরল প্রজাতিটি বিলুপ্ত হয়ে যাবে। আর এজন্য সরকারের পাশাপাশি আমাদেরও রয়েছে নৈতিক দায়িত্ব। বিস্তারিত.... অবস্থান: কেশবপুর বাজারের সাহাপাড়া, পশু হাসপাতাল, উপজেলা অফিস, শ্রীগঞ্জ বাজার, ব্রহ্মকাঠি, রামচন্দ্রপুর প্রভৃতি এলাকা হনুমানদের বিচরণক্ষেত্র। দূরত্ব: কেশবপুর শহর ও আশপাশের ১০/১৫ কি: মি: এলাকা। যাতায়াতের মাধ্যম: ভাড়া করা মোটরসাইট / ইজিবাইক / ভ্যান / ব্যক্তিগত যানবহন। |
|
---------------------------------------------------------------------------------------------------- | ||
![]() |
শেখপুর জামে মসজিদ মধুসূদন ১৮৩০ সালে শেখপুরা গ্রামের জনৈক মৌলভী সাহেবের কাছে বাংলা ও ফরাসি শিখেছেন। সাগরদাঁড়ির প্রবীণ ব্যক্তিদের ভাষ্য হচ্ছে, শেখপুরা গ্রামের জামে মসজিদ পাঠশালাটিই হচ্ছে কবির প্রথম লেখাপড়ার হাতেখড়ির স্থান। এই মসজিদের ইমাম মৌলভী লুৎফুল হক কবির প্রথম শিক্ষাগুরু। তিনি কবিকে বাংলা ও ফরাসি শিখিয়েছেন। সে সময় মক্তবভিত্তিক যে পাঠশালা ছিল, জামে মসজিদটি তার অন্যতম। সাগরদাঁড়ি গ্রামের পাশেই শেখপুরা গ্রাম। রাস্তার পাশেই কবির প্রথম পাঠশালা সেই লাল রঙের মসজিদটি আজও স্মৃতি হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে। তিন গম্বুজবিশিষ্ট এই মসজিদটি ঐতিহাসিক। ১৬০০ খ্রিস্টাব্দে মৌলভী সৈয়দ বিরাজতুল্লাহ এ মসজিদটি প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি আরব থেকে ধর্ম প্রচারের জন্য এসে শেখপুরা গ্রামে বসবাস শুরু করেন। এখানেই তিনি মারা যান। পরবর্তীকালে তাঁর প্রতিষ্ঠিত মসজিদের সামনে তাঁকে সমাহিত করা হয়। ২০০০ সালে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ মসজিদটি তাদের দখলে নিয়ে চার লাখ টাকা ব্যয়ে সংস্কার করেছে। ইট-সুরকির গাঁথুনির এই মসজিদে স্থানীয় মুসলি্লরা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করেন। ধর্মীয় দিক দিয়ে মসজিদটি যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি মধুসূদনের প্রথম পাঠশালা হিসেবে এই মসজিদটি ঐতিহাসিক। বিস্তারিত.... অবস্থান: শেখপুরা, কেশবপুর, যশোর। দূরত্ব: কেশবপুর শহর থেকে প্রায় ১০ কি: মি: দূরে মধু কবির জন্মস্থান সাগরদাড়ী যাবার পথে এই মসজিদ। যাতায়াতের মাধ্যম: ভ্যান / ভাড়া করা মোটরসাইকেল / ব্যক্তিগত যানবহন। |
|
---------------------------------------------------------------------------------------------------- | ||
![]() |
ভরতের দেউল দেউলটি গুপ্ত যুগের খ্রিষ্টীয় ২য় শতকে নির্মিত হয়েছে বলে অনুমান করা হয়। প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ ১৯৮৪ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত দেউলের খনন কাজ চালাই। এর প্রথম অংশে আকারের স্থাপনা, দ্বিতীয় অংশে একটি মঞ্চ, তৃতীয় অংশে মূল মন্দির। খননের ফলে দেউলের ভিত থেকে চূড়া পর্যন্ত ৯৪টি কক্ষ দৃষ্ট হয়। স্থাপনাটির ৪ পার্শ্বে বর্ধিত আকারে ১২পিট কক্ষ। বাকী ৮২টি কক্ষ ক্রমান্বয়ে উপরের দিকে উঠে গেছে। দেউলটির চূড়ায় ৪পিট কক্ষ এবং পার্শ্বে ৮টি কক্ষ রয়েছে। খনন কালের মধ্যে পোড়া মাটির তৈরী নারীর মুখমন্ডল, দেবদেবীর নৃত্যের দৃশ্য সম্বলিত টেরাকোটার ভগ্নাংশ পাওয়া গেছে। বাংলাদেশের এ যাবত প্রাপ্ত টেরাকোটার মধ্যে এটি বৃহৎ আকৃতির। তাছাড়া নকসা করার ইট, মাটির ডাবর, পোড়া মাটির গহনার মূর্তি পাওয়া গেছে। এ অঞ্চলে অন্য কোন পুরকীর্তিতে এত বড় আকারের ইট ব্যবহৃত হয়নি। বিস্তারিত.... অবস্থান: কেশবপুর উপজেলা সদর হতে ১৯ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্ব কোন ভদ্রানদীর তীরে গৌরিঘোনা ইউনিয়নের ভরতভায়না গ্রামে। দূরত্ব: কেশবপুর সদর উপজেলা হতে ১৯ কিঃ মিঃ যাতায়াতের মাধ্যম: |
|
---------------------------------------------------------------------------------------------------- | ||
![]() ![]() ![]() |
|
হাম্মান খানা (মীর্জা নগর, ত্রিমোহনী) বিভিন্ন সূত্রে জানা যায় ১৬৪৯ খ্রি: সম্রাট আওঙ্গজেবের আমলে বাংলার সুবেদার শাহ শুজার শ্যালকপুত্র মীর্জা সাফসি খান যশোর ফৌজদার নিযুক্ত হন। তিনি যশোরের কেশবপুর উপজেলার সদর থেকে ৭ কি. মি.পশ্চিমে কপোতাক্ষ নদ ও বুড়িভদ্রা নদীর সঙ্গমস্থল ত্রিমোহিনী নামক স্থানে বাস করতেন। তার নাম অনুসারে এলাকাটির নাম হয় মীর্জানগর। উক্ত স্থানে কিল্লাবাড়ি স্থাপন করেন। সুবিস্তৃত পরিখা খনন করে এবং ৮/১০ ফুট উচ্চ প্রাচীর বেষ্টিত করে এটাকে মতিঝিল নামকরন করেন। এর এক অংশে বতকখানা, জোনানাসহ হাম্মামখানা (গোসল খানা) ও দূর্গের পূর্বদিকে সদর তোরণ নির্মাণ করেছিলেন। কামান দ্বারা দূর্গটি সুরক্ষিত ছিল, যে কামানটি বর্তমানে যশোরের মনিহার মোড়ে শহীদদের বেদিতে সংরক্ষিত আছে। বর্তমানে সেখানে হাম্মামখানা বাদে কিছু অক্ষত নেই। পূর্ব-পশ্চিমে লম্বা ৪ কক্ষ বিশিষ্ট একটি কুপ সমেত হাম্মামখানাটি মোগল স্থাপত্য শৈলীর অনুকরণে নির্মিত হয়। স্থাপনাটি ৪ গম্বুজ বিশিষ্ট। এর পশ্চিম দিকে পরপর দু’টি কক্ষ। পূর্ব দিকের কক্ষ দু’টি উচু চৌবাচ্চা হিসাবে ব্যবহার করা হত। স্থাপনাটির দক্ষিণ পার্শ্বে একটি চৌবাচ্চা এবং সুড়ঙ্গ রয়েছে যা তোষাখানা ছিল বলে ধারনা করা হয়। ১৯৯৬ সালে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ এটিকে পুরার্কীতি হিসাবে ঘোষণা করে। যশোরের কেশবপুরের মীর্জানগর হাম্মামখানায় দশনাথী ও পর্যটকদের ভীড় লক্ষ্য করা যায়। আজও বিভিন্ন স্থান থেকে পর্যটক ও ভ্রমণ বিলাসী মানুষ ছুটে আসেন তার হাম্মখানা দেখতে এবং পোড়ামাটির গন্ধ নিতে। বিস্তারিত.... অবস্থান: কেশবপুর থেকে ৮ কিলোমিটার পশ্চিমে কপোতাক্ষ ও বুড়িভদ্রা নদীর সঙ্গমস্থলে মির্জানগর গ্রামে অবস্থিত নবাব বাড়ির হাম্মাম খানার ভগ্নাস্তুপ। দুরত্ব: যাতায়াতের মাধ্যম: |
---------------------------------------------------------------------------------------------------- | ||
![]() |
চলচ্চিত্র অভিনেতা ধীরাজ ভট্টাচার্যের বাড়ী: পঞ্চাশ দশকের গোড়ার দিকে ভারতীয় বাংলা চলচ্চিত্রে অসামান্য শৈল্পিক প্রতিভায় লক্ষ নরনারীর হৃদয় রাজ্যে হয়ে উঠেছিলেন এক রূপকথার খলনায়ক ধীরাজ ভট্টাচার্য। এই প্রতিভাবান অভিনেতা ১৯০৫ সালে যশোর জেলার কেশবপুর থানার পাঁজিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। যে সমস্ত নির্বাক ছবিতে অভিনয় করে ধীরাজ বাবু তাঁর অসাধারণ প্রতিভার স্বাক্ষর রাখেন, সেগুলি ‘সতীলক্ষ্ণী’, ‘গিরিবালা’, ‘বাসবদত্ত’, ‘কালপরিণয়’, ‘মৃণালিনী’, এবং রবীন্দ্রনাথের কাহিনী অবলম্বনে ‘নৌকাডুবি’। সবাক যুগে ধীরাজ বাবুর প্রথম ছবি ‘কৃষ্ণকান্তের উইল’। এরপর অভিনয় করেন পৌরাণিক ও ধর্মমূলক ছবিতে। ‘যমুনা পুলিন’, ‘চাঁদ সদাগার’, ‘দক্ষযক্ষ’, ‘রাজ নটি’, ‘বসন্তসেনা’, ‘বাসব দত্তা’, ‘নরনারায়ণ’, ‘কৃষ্ণসুদামা’ ইত্যাদি। ১৯৫০ সালে নরেশ মিত্রের ‘কঙ্কাল’ ছবির পর ধীরাজ বাবু বাংলা সিনেমার সর্বোপেক্ষা ভয়াবহ খলনায়ক হিসাবে একের পর এক ভিলেন চরিত্র করে যেতে লাগলেন। ‘মরণের পরে’, ‘হানাবাড়ী’, ‘ডাকিনলার চর’, ‘রাত একটা’, ‘ধূমকেতু’- এই সব ছিল ধীরাজ বাবুর অভিনীত তখনকার ছবির নাম। এই কালজয়ী চিত্র অভিনেতা ধীরাজ ভট্টাচার্য ১৯৫৯ সালে চুয়ান্ন বছর বয়সে পৃথিবী ছেড়ে চলে গেলেন আর রেখে গেলেন একরাশ স্মৃতি। বিস্তারিত.... অবস্থান: দূরত্ব: যেভাবে যেতে হবে: |
|
---------------------------------------------------------------------------------------------------- | ||
সংগ্রহের চেষ্টায় : মির্জানগর মসজিদ বিদ্যানন্দকাঠি গ্রামে প্রাচীন দুর্গের ধ্বংসাবশেষ নওয়াব মীর জুমলার বসতবাড়ী (১৭ শতাব্দী) |
||