
Home নড়াইল জেলা / Narail District > নড়াইল সদর উপজেলা / Narail Sadar Upazila
এই পৃষ্ঠাটি মোট 100339 বার পড়া হয়েছে
নড়াইল সদর উপজেলা / Narail Sadar Upazila
নড়াইল সদর উপজেলার দর্শনীয় স্থান
Sightseeing of Narail Sadar Upazila |
||
বিশ্ববরেণ্য চিত্র শিল্পী
এস এম সুলতানের বাসভবন ও সমাধি
চিত্রগুরু এস এম সুলতান বাংলাদেশ তথা তৎকালীন ভারত উপমহাদেশের লোক-চারুকলার ইতিহাসে অন্যতম পথিকৃৎ চিত্রশিল্পী। বাংলার গ্রামীন জীবনকে তাঁর ছবির বিষয়বস্তু করার মূলে রয়েছে এই জীবনের প্রতি তাঁর প্রচন্ড আকর্ষণ, সাধারণ মানুষের প্রতি তাঁর সীমাহীন ভালবাসা। রং-তুলি সেখানেই সক্রিয়, প্রাণবন্ত, যেখানে চাষা লাঙ্গল গরু নিয়ে জমতে যাচ্ছে, শক্ত হাতে হাল বইছে, কাস্তে হাতে ধান কাটছে, জাল দিয়ে মাছ ধরছে, মাঝি পাল তুলে ভাটিয়ালী গাইছে, পল্লীবধূ ধান ভানছে, শাপলা তুলছে, এইসব কিছুই তাঁর ছবির উপকরণ। তাঁর ছবিতে কোন কৃত্রিমতার ছাপ নেই, নেই কোন বিদেশী উপকরণ। এমনকি একাত্তরের যুদ্ধের ছবিতেও কোন বিদেশি বন্ধুক, রাইফেল, মেশিনগানের ছবি স্থান পায়নি। সেখানেও কৃষক শ্রমিকের হাতে বল্লম, শড়কি, রামদা, ঢাল দিয়েই তিনি সংগ্রামের ছবি এঁকেছেন। ১৯৪৫ সালে ভারতের সিমলাতে সুলতানের প্রথম চিত্র প্রদর্শনী হয়৷ ১৯৪৮ সালে পাকিস্তানের করাচিতে এবং ১৯৪৯ সালে লাহোরে সুলতানের চিত্র প্রদর্শনী হয়৷ ১৯৫১ সালে চিত্রশিল্পীদের একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনে পাকিস্তানের প্রতিনিধি হিসেবে যোগ দিতে তিনি আমেরিকায় যান৷ ১৯৪৬ থেকে ১৯৫১ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন দেশে তাঁর মোট বিশটি একক প্রদর্শনী হয়৷ এসব একক ও সম্মিলিত প্রদর্শনীর মাধ্যমে সুলতান প্রাচ্য এবং পাশ্চাত্যের চিত্রকলার জগতে আলোড়ন তুলেছিলেন৷ ১৯৭৬ সালে স্বাধীন বাংলাদেশে তাঁর প্রথম একক চিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করে শিল্পকলা একাডেমি। ১৯৮৭ সালে জার্মান কালচারাল ইনস্টিটিউট এবং সর্বশেষ চিত্র প্রদর্শনী হয় ১৯৯৪ সালে ঢাকার গ্যালারি 'টোনে'। শিল্পী এস এম সুলতান ১৯৮২ সালে একুশে পদক লাভ করেন৷ ১৯৮৪ সালে শিল্পকলা একাডেমি তাঁকে আবাসিক শিল্পী হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। ১৯৮৬ সালে চারুশিল্পী সংসদ শিল্পী এস এম সুলতানকে সম্মাননা প্রদান করে। ১৯৯৩ সালে তিনি স্বাধীনতা দিবস পদকে ভূষিত হন। ১৯৯৪ সালের ১০ অক্টোবর অসুস্থ অবস্থায় যশোর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এসএম সুলতান। তার জন্মস্থান নড়াইলে তাকে শায়িত করা হয়। বিস্তারিত....
অবস্থান: নড়াইল > রূপগঞ্জ বাসস্টান্ড > চিত্রা নদীর পশ্চিম পারে কুড়িগ্রাম। দূরত্ব: নড়াইল শহর থেকে প্রায় ৩/৪ কি:মি:। যাতায়াতের মাধ্যম: নড়াইল থেকে বাসে চড়ে রূপগঞ্জ বাসস্টান্ডে নেমে ভ্যান / রিক্সা / ইজিবাইক যোগে এস এম সুলতানের বাড়ীতে যাওয়া যায়। / ঢাকা-নড়াইল রোডের চিত্রা ব্রীজের পশ্জিম পাড়ে নেমে এর ১ কি: মি: উত্তর দিকে এস এম সুলতানের বাড়ী।
প্রয়োজনে ফোন করুন
মহসিন হোসাইন (কবি)-০১৫৫৬৪২৫৪০৭/০১৬৭০৭৪৯৫২৪
|
||
![]() ![]() ![]() ![]() ![]() |
||
---------------------------------------------------------------------------------------------------- | ||
![]() ![]() ![]() ![]() |
দেশবরেণ্য চারণ কবি
বিজয় সরকার-এর বাসভবন
“এ পৃথিবী যেমন আছে তেমনই ঠিক রবে, সুন্দর এই পৃথিবী ছেড়ে একদিন চলে যেতে হবে”, “তুমি জানোনা’রে প্রিয় তুমি মোর জীবনের সাধনা” বিখ্যাত এই মরমী গানের স্রষ্টা বিজয়কৃষ্ণ অধিকারী। অর্ধ শতাব্দীব্যাপী উদাত্ত মধুর সুরেলাকণ্ঠে সংগীত পরিবেশন করে মাতিয়ে রেখেছিলেন পল্লী বাংলার মানুষের মনকে। বাংলাদেশ ও পশ্চিম বাংলার বিভিন্ন স্থানে কবি গান পরিবেশন করে ব্যাপক খ্যাতি ও প্রচুর অর্থ অর্জন করেন। বাংলাদেশের কবি গানের উৎকর্ষ সৃষ্টিতে কবিয়াল বিজয় সরকারের অবদান অসামান্য। গ্রামবাংলার মানুষের হৃদয়ের আকুতিকে তিনি চমৎকার সুর ব্যঞ্জনায় তুলে ধরে সাধারণ মানুষের অন্তরে ঠাঁই নিয়েছেন। প্রচারবিমুখ ও নিভৃতচারী এই সংগীত সাধক মঞ্চে বসেই গান রচনা করে তাৎক্ষনিকভাবে সুর করে তা পরিবেশন করেছেন। দীর্ঘ সংগীত সাধনার জীবনে তিনি প্রায় দুই হাজার গান লিখেছেন। যার মধ্যে রয়েছে বিচ্ছেদিগান, শোকগান, ইসলামীগান, আধ্যাত্নিক গান, দেশের গান, কীর্তন, ধর্মভক্তি, মরমী গান, বাউল, কৃঞ্চপ্রেম, শ্রেণী সংগ্রাম ইত্যাদি। এই দেশ বরেণ্য চারণ কবি, কবিগান গায়ক বিজয় সরকার ১৯৮৫ সালে ৪ ডিসেম্বর বুধবার ৮১ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন। বিস্তারিত....
অবস্থান: নড়াইল সদর উপজেলার ডুমদী গ্রাম।
দূরত্ব: নড়াইল শহর থেকে ৯/১০ কি:মি:। সময়: ১ ঘন্টা। যাতায়তের মাধ্যম: নড়াইল থেকে বাস সার্ভিসে হুগলাডাঙ্গা নামক স্থানে নামতে হবে। এখন থেকে রিক্সা / ভ্যান / মোটরসাইকেল যোগে যেতে হবে / (বর্ষাকালে পানি পথে)। প্রয়োজনে ফোন করুন মহসিন হোসাইন (কবি)-০১৫৫৬৪২৫৪০৭/০১৬৭০৭৪৯৫২৪ |
|
---------------------------------------------------------------------------------------------------- | ||
![]() |
বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ শেখ-এর জন্মস্থান
স্বাধীনতার অমর সৈনিক বীরশ্রেষ্ঠ ল্যান্স নায়েক নূর মোহাম্মদ শেখ নড়াইল জেলার মহেশখালী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭১ সালে যশোর অঞ্চল নিয়ে গঠিত ৮ নম্বর সেক্টরে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। যুদ্ধ চলাকালীন যশোরের শার্শা থানার কাশীপুর সীমান্তের বয়রা অঞ্চলে ক্যাপ্টেন নাজমুল হুদার নেতৃত্বে পাক হানাদারদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছেন। ১৯৭১ সালের ৫ ডিসেম্বর নূর মোহাম্মদের সাথে দুইজন সহযোদ্ধা নিয়ে ছুটিপুর ঘাঁটি হতে পাকিস্তানী সৈন্যদের উপর নজর রাখা এবং নিজস্ব প্রতিরক্ষায় নিরাপত্তার দায়িত্ব পেলেন নূর মোহাম্মদ। শত্রুর উপর নজর রাখতে গিয়ে তাঁরা নিজেরাই শত্রু'র নজরে পড়ে যান। যুদ্ধরত অবস্থায় শত্রুর গোলার আঘাতে তাঁর ডান হাঁটু ভেঙ্গে চুরমার হয়ে যায়। আহত অবস্থায় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের ফলে তাঁর শরীর অবশ হয়ে আসলেও শত্রুদের ব্যাতিব্যস্ত রাখার জন্য গাছের গুঁড়িতে হেলান দিয়ে অবিরাম গতিতে গুলি করেই চলেছেন, যাতে শত্রুরা মোস্তফা ও নান্নুর দিকে মনোযোগ দিতে না পারে। অবিরাম রক্তক্ষরণে শরীর নিস্তেজ হয়ে আসতে থাকলেও সৈনিক জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত তিনি কর্তব্যবোধ থেকে বিন্দুমাত্র বিচ্যুত হননি। এই মহান বীরকে যশোরের শার্শা থানার কাশিপুর গ্রামে তাকে সমাহিত করা হয়। বিস্তারিত....
অবস্থান: নড়াইল > দত্তপাড়া > নূর মোহাম্মদ নগর (পুরাতন মহেশখালী)। নড়াইল জেলা শহর থেকে বাসে চড়ে লোহাগড়া যাবার পথে দত্তপাড়া নামতে হবে। এখান থেকে নূর মোহাম্মদ নগর যেতে হবে। দূরত্ব: নড়াইল জেলা শহর থেকে ৬ কি: মি: যাতায়াতের মাধ্যম: নড়াইল শহর হতে বাস / ইজিবাইক। |
|
---------------------------------------------------------------------------------------------------- | ||
![]() |
চারণ কবি মোসলেম উদ্দীনের জন্মস্থান
জারিগান ও কবিগানে নড়াইলের শ্রেষ্ঠ দুই ব্যক্তি জারিয়াল মোসলেম বয়াতি ও কবিয়াল বিজয় সরকারের একই মঞ্চে গান শোনার জন্যে লক্ষ শ্রোতার সমাগম আজও মানুষের মনে ছবির মত উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে আছে। সুরেলা মিষ্টি কণ্ঠের অধিকারী মোসলেম উদ্দীন গ্রাম-গঞ্জের বিভিন্ন আসরে গান শুনিয়ে ব্যাপক সুনাম অর্জন করেন। ১৯৩৬ সালে জারি গানের নিজস্ব দল গঠন করেন। এই জনপ্রিয় খ্যাতিমান জারি গায়ক কবিয়াল মোসলেম বয়াতি ভাবসঙ্গীতের ভাবরসে তন্ময় হয়ে বেঁধেছেন অনেক অনেক কালজয়ী গান। লক্ষ শ্রোতামোদীর হৃদয়ে তাঁর সুমিষ্ট কণ্ঠের প্রতিধ্বনি আজও অনুরণিত হয়। বিস্তারিত....অবস্থান: নড়াইল শহর থেকে গোবরার দিকে যেতে বাম পার্শে তারাপুর গ্রামে বয়াতী মোসলেম উদ্দিনের বাড়ী। দূরত্ব: নড়াইল শহর থেকে ৫ কি: মি: যাতায়াতের মাধ্যম: মিনিবাস / ভ্যান / ইজিবাইক / নসিমন। |
|
---------------------------------------------------------------------------------------------------- | ||
![]() |
ঐতিহাসিক নড়াইল জমিদার বাড়ী
নড়াইল জমিদারীর প্রকৃত প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন কালিশঙ্কর রায় নামে জনৈক প্রভাবশালী হিন্দু। তার পিতার নাম ছিল রূপরাম রায়। রূপরাম অল্প বয়সে নাটোর রাজ সরকারে চাকুরি নেন। ধীরে ধীরে বিশ্বাসভাজন হয়ে তিনি সরকারের উকিল হিসেবে মুর্শিদাবাদ নবাব দরবারে কাজ করতেন। এই ভাবে তিনি যথেষ্ট অর্থ সম্পাদের মালিক হন। নাটোরের রানী ভবানীর দয়ায় রূপরাম রায় নড়াইলের আলাদাতপুর তালুক কিনে নেন। এই তালুকের মধ্যে নড়াইল নামক স্থানে তিনি বসতবাড়ী নির্মাণ করেন। রূপরাম রায়ের তিন পুত্রের মধ্যে কালিশঙ্কর রায় অতি অল্প বয়সে পিতার সাথে নাটোর রাজ দরবারে প্রবেশ করেন। পিতার মত অল্প বয়সে নাটোরের রাজ সরকারের একজন কর্মচারী হিসেবে নিযুক্ত হন তিনি। এই কালিশঙ্কর ছিলেন নড়াইল জমিদারীর প্রকৃত প্রতিষ্ঠাতা। ১৭৯৩ সালে ভারতবর্ষের গভর্ণর জেনারেল লর্ড কর্ণওয়ালিশ চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত প্রবর্তিত করলে সে সময় নাটোরের বিশাল জমিদারীর বিপুল অংকের খাজনা বাকী পড়ে। খাজনার দায়ে ভাগে ভাগে নিলামে বিক্রি হতে থাকে জমিদারী। সেই সময় সুচতুর কালিশংকর ও কতিপয় কর্মচারী নাটোরের জমিদারদের বিশ্বাসের অপব্যবহার করে স্বনামে ও বেনামে নাটোর রাজ্যের জমিদারী এলাকাভূক্ত পরগণা নিলামে খরিদ করতে থাকেন। নড়াইল মৌজায় কালিশংকর রায় পিতার ছোট বসতবাড়ীতে বড় বড় দালান, কয়েকটি দীঘি, নাট্যমন্দির ও বিশাল রাজবাড়ী নির্মাণ করেন। নড়াইল জমিদার বাড়ী ছিল একটি বিরাট এলাকা জুড়ে বহু সুরম্য অট্টালিকা, নাট্যমঞ্চ, পূজামন্ডপ, কাচারী ভবন, অতিথিশালা ও বিখ্যাত বাঈজিদের সাময়িক বাসস্থানরূপে ব্যবহৃত বিশ্রামাগার এবং বহু সংখ্যক পুকুর দীঘি। তৎকালীন পূর্ববঙ্গের মধ্যে এত বড় বাড়ী আর কোন জমিদারের ছিল না বলে তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়। ১৯৪৭ সালে দ্বিজাতির ভিত্তিতে পাকিস্তান সৃষ্টি হওয়ার পর জমিদারগণ এ দেশ ছেড়ে ভারতের কোলকাতায় চলে যায়। বর্তমানে জমিদার বাড়ীর সামনে একটি মন্দির ছাড়া আর কোন স্মৃতি নেই। জমিদার বাড়ীর পুকুর দীঘি আজও ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে রয়েছে।বিস্তারিত....
অবস্থান: রূপগঞ্জ বাসস্টান্ডের দক্ষিণ-পশ্চিম পাশে নড়াইল গ্রামে এই জমিদার বাড়ী।দূরত্ব: শহর নড়াইল থেকে ৩.৫০ কি:মি: / রূপগঞ্জ বাসস্টান্ড থেকে আধা কি:মি:। যাতায়াতের মাধ্যম: নড়াইল থেকে রিক্সা / ভ্যানে চড়ে সরাসরি যাওয়া যায় / রূপগঞ্জ বাসস্টন্ডে নেমে পায়ে হেঁটে / রিক্সায়।
প্রয়োজনে ফোন করুন
মোহসিন হোসাইন (কবি)-০১৫৫৬৪২৫৪০৭/০১৬৭০৭৪৯৫২৪ |
|
---------------------------------------------------------------------------------------------------- | ||
![]() ![]() ![]() |
হাটবাড়িয়া জমিদার বাড়ী
তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা চলছে................
অবস্থান: নড়াইল জমিদার বাড়ী থেকে প্রায় ২ কি: মি: দক্ষিণ-পূর্ব দিকে চিত্রা নদীর পশ্চিম পারে। দূরত্ব: নড়াইল শহর থেকে প্রায় ৫কি: মি:।
যাতায়াতের মাধ্যম: যশোর-নড়াইল বাস সার্ভিসে রূপগঞ্জ নামতে হবে > রিক্সা / ভ্যান / মোটরসাইকেল যোগে জমিদার বাড়ী যেতে হবে। / ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে চিত্রা ব্রীজের পশ্চিম পারে হাটবাড়িয়া নেমেও এই জমিদার বাড়ীতে যাওয়া যায়।
প্রয়োজনে ফোন করুন মোহসিন হোসাইন (কবি)-০১৫৫৬৪২৫৪০৭/০১৬৭০৭৪৯৫২৪ |
|
---------------------------------------------------------------------------------------------------- | ||
![]() ![]() ![]() ![]() ![]() |
ঐতিহ্যবাহী সরকারী ভিক্টোরিয়া কলেজ
চিত্রা নদীর তীরে নারিকেল, সুপারি, বনবৃক্ষ রাজির এক মনলোভা প্রাকৃতিক পরিবেশে বিশাল জমিদারীর প্রশস্ত জমিতে বাংলাদেশের তৃতীয় প্রাচীনতম এই নড়াইল ভিক্টোরিয়া কলেজটি অবস্থিত। বাংলাদেশের প্রথম ঢাকা কলেজ, দ্বিতীয় রাজশাহী কলেজ এবং তৃতীয় নড়াইল ভিক্টোরিয়া কলেজ। জমিদার রতন বাবু ১৮৫৭ সালে সর্বপ্রথম নড়াইল কলেজিয়েট স্কুলটি প্রতিষ্ঠা করেন। পরে তাঁরই সুযোগ্য পুত্র জমিদার চন্দ্রকান্ত রায় ১৮৮৬ সালে কলেজটি প্রতিষ্ঠা করেন এবং প্রচুর জমি ও আর্থিক সাহায্য প্রদান করেন। তিনিই ছিলেন এই কলেজের প্রথম সম্পাদক। উমেশ রায় হাসপাতাল নির্মাণের জন্য বর্তমান কলেজ ভবনটি নির্মাণ করেন। তাঁর আকস্মিক মৃত্যুতে হাসপাতাল নির্মাণের পরিকল্পনা বাতিল হয়ে যায় এবং ঐ হাসপাতাল ভবনেই কলেজিয়েট স্কুলটিকে স্থানান্তরিত করা হয়। ১৮৮৬ সালে কলেজটি প্রতিষ্ঠার পর স্কুল ও কলেজ উভয় প্রতিষ্ঠান যু্ক্তভাবে একই শিক্ষকদের দ্বারা পরিচালিত হতে থাকে এবং বহু বছর ধরে যৌথ সম্পত্তির উপর একই অট্টলিকায় কার্যরত থাকে। ইংরেজ সমর্থিত জমিদারগণ ইংরেজ প্রভুদের তুষ্ঠ করার জন্য তৎকালিন ইংল্যান্ডের মহারানী ভিক্টোরিয়ার নামানুসারে এর নামকরণ করেন ‘ভিক্টোরিয়া কলেজ’। প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকেই এখানে বহু স্বনামধন্য শিক্ষকগণ শিক্ষকতা করে বহু রত্ন সৃষ্টি করেছেন, তাঁদের মধ্যে লাল রায়, গোকুল ব্যানার্জি, গুরুদাস গুপ্ত, হিতেন্দ্র মুখার্জি, দীনেশ চন্দ্র সেন, অমূল্য গুহ, বেনী মাধব ভট্টাচার্য, অধ্যাপক মোঃ শরীফ হোসেন প্রমুখ। কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ ছিলেন শ্রী যোগেন্দ্রনাথ সেন (এম, এ, বি এল)। ১৮৮৬ সালে কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট নড়াইল ভিক্টোরিয়া কলেজে এফ, এ কোর্স (তখন আই, এ, কোর্সকে এফ, এ কোর্স বলা হতো) চালুর অনুমতি প্রদান করেন। ১৮৯০ সালে স্কুল থেকে কলেজ বিভাগটি পৃথক হয়ে যায়। এবং ঐ বছর থেকেই কলেজে স্নাতক (মানবিক) বিভাগ চালু করা হয়। বিস্তারিত....
অবস্থান: নড়াইল > রূপগঞ্জ > বাজারের দক্ষিণ পাশে। দূরত্ব: নড়াইল শহর থেকে ৪ কি: মি: যোগাযোগের মাধ্যম: নড়াইল শহর থেকে বাস সর্ভিসে রূপগঞ্জ নেমে হেটেই যাওয়া যায় / রিক্সা / ভ্যান / ইজিবাইজ / মোটরসাইকেল। |
|
---------------------------------------------------------------------------------------------------- | ||
সাধক ল্যাংটা শাহার মাজার
তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা চলছে .............
অবস্থান: নড়াইল শহর হতে ৪ কি: মি: উত্তর-পশ্চিম দিকে মধুমতি তীরের দক্ষিণ পারে সাধক ল্যাংটা শাহের মাজার মাজার। দূরত্ব: কালিয়া থেকে নড়াগাতি ১৪ কি:মি: > নড়াগাতি থেকে ৪ কি:মি:। যাতায়াতের মাধ্যম: মিনিবাস / নসিমন / ইজিবাইক
(কামাল প্রতাপ গ্রাম, সদর, নড়াইল)
|
||
---------------------------------------------------------------------------------------------------- | ||
![]() |
সংগ্রহের চেষ্টা চলছে সৈয়দ নওশের আলীর বাড়ি, নড়াইল। শাহ ফজু দেওয়ানের মাজার, নিরিবিলি পার্কের পাশে, নড়াইল। সিমাখালী পার্ক, নড়াইল। |
|