
Home যশোর জেলা / Jessore District > দেশের সর্ববৃহৎ বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল / The largest mural of Bangabandhu
এই পৃষ্ঠাটি মোট 99944 বার পড়া হয়েছে
দেশের সর্ববৃহৎ বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল / The largest mural of Bangabandhu
ব্রিটিশ-ভারতের অবিভক্ত বাংলার প্রথম জেলা যশোর। মহান মুক্তিযুদ্ধে দেশের প্রথম শত্রুমুক্ত জেলা যশোর। মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায়

মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই, অশোক রায় ও একরাম-উদ-দ্দৌলার ভাবনার ফসল বেসরকারি উদ্যোগে নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত এ ম্যুরাল উদ্বোধনের ফলে যশোরবাসীসহ সকল মুক্তিযোদ্ধার দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্ন পূরণ হচ্ছে আজ। গর্বিত যশোরবাসী আজ উদ্বেলিত, উচ্ছসিত।
২০০৯ সালে ১৫ আগষ্ট জাতীয় শোক দিবসে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সম্মান ও শ্রদ্ধাঞ্জলি জানাতে যশোরের চৌরাস্তায় মুক্তিযোদ্ধা অশোক রায়ের তৈরী কালো কাপড়ের উপর কাগজে আঁকা বঙ্গবন্ধুর অস্থায়ী ম্যুরাল আজ বাস্তব। সেদিন ঐ ম্যুরাল তৈরীর উদ্যোগ নিয়েছিলেন মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই, অশোক রায় ও একরাম-উদ-দ্দৌলা। দিনটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনের লক্ষ্যে একরাম-উদ-দ্দৌলাকে আহ্বায়ক ও ইসমাইল হোসেনকে সদস্য সচিব করে “মুক্তিযোদ্ধা পরিষদ” নামে একটি কমিটি গঠিত হয়। সকল মুক্তিযোদ্ধা ও যশোরবাসীর সম্মিলিত উদ্যোগে ঐ অস্থায়ী ম্যুরালে প্রাণের আবেগে গভীর মমতা আর ভালবাসায় অন্যরকম এক উন্মাদনায় স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা, স্বাধীনতার রূপকার, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমানকে স্মরণ করেন ও শ্রদ্ধাবনত চিত্তে তাকে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানান। শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন শেষে উপস্থিত জনতার সম্মিলিত দাবি, “যশোরে বঙ্গবন্ধুর স্থায়ী প্রতিকৃতি স্থাপন চাই”।
ঐদিন বিকেলে একরাম-উদ-দ্দৌলা তৎকালীন জেলা প্রশাসক মহিবুল হককে ঐ অস্থায়ী ম্যুরালের কথা বলেন। অনুপ্রানিত হয়ে জেলা প্রশাসক মহিবুল হক একরাম-উদ-দৌলাকে সাথে নিয়ে ঐ অস্থায়ী ম্যুরাল পরিদর্শন করেন। অভিভূত হয়ে তিনি ঐ অস্থায়ী ম্যুরাল স্থায়ী রূপ দেয়ার কথা বলেন। দু’দিন পরে ১৭ আগষ্ট জেলা আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভায় মনিরামপুর উপজেলা চেয়ারম্যান স্বপন ভট্টাচার্য যশোরে “বঙ্গবন্ধু স্মৃতি ম্যুরাল” স্থাপনের প্রস্তাব দেন। তাৎক্ষনিকভাবে একরাম-উদ-দ্দৌলা এ প্রস্তাব সমর্থন করেন। সমর্থন জানিয়ে বক্তব্য দেন অ্যাড. শরীফ আব্দুর রাকিবসহ উপস্থিত গণ্যমাণ্য ব্যক্তিবর্গ। সর্বসম্মতিক্রমে এ প্রস্তাব গৃহিত হয়। ম্যুরাল তৈরীর কার্যক্রম সফল করতে একটি নাগরিক কমিটি ও বাস্তবায়ন কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিতে ছিলেন তৎকালীন যশোরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বর্তমান জেলা প্রশাসক মোস্তাফিজুর রহমানসহ মুক্তিযোদ্ধা মরহুম আব্দুল হাই, রবিউল আলম, অশোক রায়, একরাম-উদ-দ্দৌলা, আলি হোসেন মনি, রাজেক আহম্মেদ, এ কে এম খয়রাত হোসেন, এ এইচ এম মুযহারুল ইসলাম মন্টু, জাহিদ হাসান টুকুন, আবু সালেহ তোতা, শামীম ইকবাল। তারই ধারাবাহিকতায় আজকের এই নান্দনিক “বঙ্গবন্ধু স্মৃতি ম্যুরাল”। যশোরের গর্ব ১৬ ফুট উচ্চতার দৃষ্টিনন্দন শৈল্পিক অবয়বের ম্যুরালের নকশা তৈরী করেছেন বুয়েটের আর্কিটেকচার বিভাগের ৫ম বর্ষের ছাত্রী তাসনিভা রহমান মুমু। ম্যুরাল শিল্পী হিসেবে কাজ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়রে চারুকলা অনুষদের সহকারী অধ্যাপক আব্দুল আজিজ। ম্যুরাল স্থাপনে ব্যায় হয়েছে ২৯ লাখ ৯ হাজার ৯৫ টাকা। এ সম্পূর্ন টাকা যশোরের ব্যবসায়ী মহল ও সাধারণ মানুষের অনুদান থেকে সংগৃহিত।
এ ম্যুরালটি ২০ ডিসেম্বর ২০১২ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধনের মাধ্যমে যশোরবাসীর দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পূরণ করেন।
সূত্র: গ্রামের কাগজ
The largest mural of Bangabandhu