
Home শিক্ষক / Teacher > ড. খোন্দকার মেজবাহউদ্দিন আহমেদ / D. Khandaker Mejabahuddin Ahmed (1965)
এই পৃষ্ঠাটি মোট 99981 বার পড়া হয়েছে
ড. খোন্দকার মেজবাহউদ্দিন আহমেদ / D. Khandaker Mejabahuddin Ahmed (1965)
ড. খোন্দকার মেজবাহউদ্দিন আহমেদ
D. Khandaker Mejabahuddin Ahmed
Home District: Jessore, Jhikargacha
পা

অধ্যাপক ড. খোন্দকার মেজবাহউদ্দিন আহমেদ ১৯৬৫ সালের ২৮শে ডিসেম্বর যশোর জেলার ঝিকরগাছা উপজেলার বারাকপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা খোন্দকার আবু দাউদ একজন এনজিও কর্মকর্তা ছিলেন। মাতা কাজী জোহরা বেগম একজন গৃহিণী। জনাব মেজবাহউদ্দিন আহমেদ ৩ ভাই ও ৩ বোনের মধ্যে সবার বড়। চাচা ড. খোন্দকার আবু জাফর একজন সিভিল ইঞ্জিনিয়ার। বর্তমানে তিনি খালিদ পার্টনারস্ লিমিটেড (স্ট্রাকচারাল মেকানিকস্) এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক।
১৯৯৩ সালে ১৫ ফেব্রুয়ারি যশোরের মেয়ে সায়লা খন্দকারের সাথে তিনি বিবাহ সূত্রে আবদ্ধ হন। স্ত্রী ভূগোল বিভাগ হতে এম. এস. সি করেছেন। বিবাহিতজীবনে তিনি দুই পুত্র সন্তানের জনক। বড় ছেলের নাম খোন্দকার তাজরিন ফিশান এবং ছোট খোন্দকার আরিয়ান রিশান।
শিক্ষাজীবন:
ড. মেজবাহউদ্দিন আহমেদ শিক্ষাজীবন শুরু করেন ১৯৬৯ সালে যশোরের ব্যাপ্টিস্ট চার্চ মিশনারি স্কুলে। পরবর্তীতে যশোযর মুসলিম একাডেমি, যশোর জিলা স্কুল ও ঝিকরগাছা বি. এম. হাই স্কুলে পড়াশুনা করেন। ১৯৮০ সালে তিনি ঝিকরগাছার বি. এম. উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এস. এস. সি পরীক্ষায় ১ম বিভাগ নিয়ে উত্তীর্ণ হন। ১৯৮২ সালে মাইকেল মধুসূদন মহাবিদ্যালয় হতে এইচ. এস. সি পাশ করেন। এই পরীক্ষাতেও তিনি ১ম বিভাগে উত্তীর্ণ হন। ১৯৮৫ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হতে গণিত বিষয় নিয়ে বি. এস. সি. (অনার্স) সম্পন্ন করেন। এখানে তিনি কৃতিত্বের সাথে মেধা তালিকায় ১ম শ্রেণীতে ২য় স্থান অধিকার করেন। ফলিত গণিত বিষয়ে এম. এস. সি. পাশ করেন ১৯৮৬ সালে। এখানেও তিনি কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখে ১ম শ্রেণীতে ১ম স্থান অর্জন করে। গণিতের “ডিফারেন্সিয়াল জিওমেট্রি” বিষয় নিয়ে পি. এইচ. ডি. ডিগ্রী অর্জন করেন ২০০২ সালে গ্রীসের এথেন্স বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। উল্লেখ্য যে তিনি বাংলা, ইংরেজী, আরবি ও গ্রীক ভাষায় পারদর্শিতা অর্জন করেন।
পেশাগত জীবন:
ড. আহমেদ ১৯৯১ সালের মে মাসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগে প্রভাষক হিসেবে তাঁর চাকরিজীবন শুরু করেন। এরপর ১৯৯৭ সালের জানুয়ারি থেকে সহকারী অধ্যাপক এবং অক্টোবর ২০০৪ হতে সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে পদোন্নতি পান। সেপ্টেম্বর ২০০৬ সালে তিনি গনিত বিভাগের পূর্ণাঙ্গ অধ্যাপক হিসেবে পদোন্নতি পান এবং বর্তমানে এখানেই কর্মরত। চাকরিজীবনে তিনি ভারত, গ্রীস, বাহরাইন, সংযুক্ত আরব আমিরাত প্রভৃতি দেশে ভ্রমণ করেছেন।
গবেষণা কর্ম:
জাতীয় বিভিন্ন গবেষণা ও বিজ্ঞান ভিত্তিক জার্নালে তাঁর অনেক গবেষণাধর্মী প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। তাঁর একক ও দলবদ্ধ গবেষণাধর্মী প্রবন্ধসমুহ বিভিন্ন মহলে প্রশংসিত হয়েছে। তাঁর মৌলিক ও ফলিত গণিত বিষয়ের ওপর নিবন্ধগুলো যেসব জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে- ‘জার্নাল অব দ্য বাংলাদেশ ম্যাথমেটিকাল সোসাইটি’, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বিজ্ঞান সাময়িকী, ব্রাক ইউনিভার্সিটি জার্নাল, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় বিজ্ঞান সাময়িকী, বাংলাদেশ জার্নাল অব সায়েন্টিফিক রিসার্চ প্রভৃতি।
সম্মাননা:
১৯৯৮ থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত তাঁর ‘পি এইচ ডি’ গবেষণার জন্য ‘আই কে ওয়াই’ (গ্রীসের রাষ্ট্রীয় বৃত্তি ফাউন্ডেশন) বৃত্তি পেয়েছেন গ্রীস হতে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮৫-৮৬ শিক্ষাবর্ষে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পেয়েছেন তিনি। এছাড়াও ১৯৮৩-৮৪ ও ১৯৮৪-৮৫ দুই মেয়াদে বিশ্ববিদ্যালয় হতে মেধা বৃত্তি পেয়েছেন।
সাংগঠনিক কর্মকান্ড:
বাংলাদেশ ম্যাথমেটিক্যাল সোসাইটি, বাংলাদেশ এসোসিয়েশন ফর দ্য এ্যাডভান্সমেন্ট অব সায়েন্স, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এ্যালামনাই এসোসিয়েশন প্রভৃতি সংগঠনের তিনি আজীবন সদস্য হিসেবে সম্পৃক্ত রয়েছেন। বাংলাদেশে গণিত ও বিজ্ঞান শিক্ষার সমপ্রসারণ ও সচেতনতা সৃষ্টির জন্য তিনি কাজ করে চলেছেন।
তথ্য সংগ্রহ :
মানিক রক্ষিত
সম্পাদনা :
মো: হাসানূজ্জামান (বিপুল)
মানিক রক্ষিত
সর্বোশেষ আপডেট:
মার্চ ২০১২