
Home শিক্ষক / Teacher > ড. এম. এম. হাসেম / Dr. M, M, Hashem (1956)
এই পৃষ্ঠাটি মোট 99896 বার পড়া হয়েছে
ড. এম. এম. হাসেম / Dr. M, M, Hashem (1956)
ড. এম. এম. হাসেম
Dr. M. M. Hashem
Home District: Jessore, Jhikargacha
Dr. M. M. Hashem
Home District: Jessore, Jhikargacha

বাংলাদেশে প্রথম বুদ্ধিমান রোবট তৈরীর উদ্যোক্তা ড. এম. এম. হাসেম ১৯৫৬ সালের ১১ জুন যশোর জেলার ঝিকরগাছা উপজেলার দ্বিঘড়ি গ্রামে এক কৃষক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। পিতার মোঃ হাসিল আলী মোড়ল একজন ধনী কৃষক ছিলেন। মাতা মরহুমা আখিরন নেছা একজন গৃহিণী ছিলেন। ৫ ভাই ও ৪ বোন ছিলেন তাঁরা। সবাই মারা গেছেন একমাত্র তিনিই বেঁচে আছেন। তিনি স্বচ্ছল পরিবারে জন্মগ্রহণ করলেও স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় পিতা সবকিছু হারিয়ে প্রায় নিঃস্ব হন। পরবর্তীতে অনেক কষ্টে লেখাপড়া চালিয়ে যান। তৃতীয় শ্রেণীতে পড়াকালীণ স্নেহের মা মারা যান আর পিতা মারা যান ১৯৯১ সালে।
শিক্ষাজীবন:
ড. হাসেমের বাবা কৃষক হলেও ছেলের লেখা পড়ার জন্যে তাঁর আগ্রহ ছিল প্রবল। শিক্ষাজীবন শুরুতে তাঁকে ভর্তি করা হয় দ্বিগড়ী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। পরবর্তীতে ১৯৭৫ সালে তাঁকে বাকড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তি করা হয়। ক্লাসে বরাবরই তিনি প্রথমস্থান অধিকার করতেন। ১৯৭৮ সালে ৭ম শ্রেণীতে তিনি ট্যালেন্টফুলি বৃত্তি পান। ১৯৮০ সালে বাকড়া জে, কে মাধ্যমিক বিদ্যালয় হতে বিজ্ঞান বিভাগে ৭০৪ নম্বর পেয়ে এস. এস. সি পাস করেন। এইচ. এস. সি পাশ করেন যশোর সরকারী এম. এম. কলেজ হতে। এইচ. এস. সি. পরীক্ষাতেও তিনি ১ম বিভাগে উত্তীর্ণ হন। ড. হাসেম টিউশনি করে অত্যন্ত কষ্ট করে লেখাপড়া চালিয়ে যান। তিনি যশোর শিক্ষা ট্রাস্টের বৃত্তি পেয়েছিলেন। যশোর এম. এম. কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ মরহুম কামরুজ্জামান ও মরহুম শমশের স্যার তাঁকে বই দিয়ে সহযোগিতা করেছিলেন। আশা ছিল তিনি চিকিৎসক হবে। বরিশাল মেডিকেলে সুযোগও পেয়েছিলেন, কিন্তু অর্থনৈতিক দৈন্যতার কারণে ডাক্তারী পড়া আর সম্ভব হয়নি। একই সময়ে তিনি খুলনা ও রাজশাহী ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পেয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত তিনি খুলনাতেই পড়ার সিন্ধান্ত নেন। ১৯৮৬ সালে তিনি খুলনা বি. আই. টি থেকে তিনি প্রথম শ্রেণীতে প্রথম স্থান অধিকার করেন। পুরস্কার হিসেবে তিনি স্বর্ণপদক পান। ১৯৮৮ সালে তিনি খুলনা বি. আই. টি’তেই শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পান। তিন বছর শিক্ষকতা করার পর এশিয়া ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজি থাইল্যান্ডের ব্যাংককে কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ানিং এ মাস্টার্স করতে যান। কিন্তু তিনি ব্যচেলার ডিগ্রি অর্জন করেন ইলেট্রিকাল ও ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ানিং-এ। ১৯-- সালে ফিনল্যান্ড সরকারের একটা স্কলারশিপ নিয়ে এশিয়ান ইনস্টিটিউট টেকনোলজি থাইল্যান্ড ব্যাংক থেকে মাস্টার্স প্রোগ্রাম শেষ করে দেশে ফিরে আসেন। ১৯৯৩ সালের ১৬ ডিসেম্বর দেশে ফিরে বিআইটি-তে যোগ দেন সহকারী অধ্যাপক হিসেবে।
১৯-- সালে ---- বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমে তিনি জাপানে একটি ডি এইচ ডি প্রোগ্রাম পান আর্টিঢিসিয়াল ইন্টিলিজেন্স সিস্টেমের উপর। ১৯৯৬ সালে অক্টোবর মাসে তিনি ঐ প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করেন। পিএইচ ডি-তে তার পারফরমেন্স ছিল ভাল। অনেকগুলো অবলিকেশন করেছিলেন। রিসার্স আভটকামে থেকে পোস্ট গ্রাজুয়েট রিসার্স এর জন্যে একটা বই লিখলেন যেটা প্রকাশিত হয়েছে ১৯৯৪ সালে।
পেশাগত জীবন:
১৯৮৮ সালে খুলনা বিআইটিতে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগের মাধ্যমে তার চাকরিজীবন শুরু হয়। ১৯৯৩ সালে জাপানে পিএইচডি