
Home শিক্ষক / Teacher > মোঃ আব্দুল আযীয / Mohammad Abdul Aziz (1974)
এই পৃষ্ঠাটি মোট 99882 বার পড়া হয়েছে
মোঃ আব্দুল আযীয / Mohammad Abdul Aziz (1974)
মোঃ আব্দুল আযীয
Mohammad Abdul Aziz
Home District: Jhenaidah, Maheshpur
Mohammad Abdul Aziz
Home District: Jhenaidah, Maheshpur
পারিবারিক পরিচিতি:
মো: আব্দুল আযীয ১৯৭৪ সালের ২ আগস্ট বর্তমান ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর থানার সামন্তা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা মোঃ সিরাজুল ইসলাম পেশায় ধনী কৃষক। কৃষিতে বিশেষ অবদানের জন্য তিনি ঝিনাইদহ থেকে কৃষি মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রদত্ত ‘প্রেসিডেন্ট গোল্ড মেডেল’ পান। এছাড়াও তিনি একজন বিশিষ্ট সমাজসেবক। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সেবামূলক সংগঠনের পৃষ্ঠপোষকতা করে থাকেন। মা হালিমা খাতুন একজন আদর্শ গৃহিণী। ছয় ভাই ও চার বোনের মধ্যে তিনি ৪র্থ সন্তান। ভাইদের মধ্যে দ্বিতীয়। বড় ভাই মো: শরিফ উদ্দিন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত আছেন। ছোট ভাই পড়াশুনা করছেন এবং অন্য ভাইয়েরা ব্যবসা করেন। এম. এ. আযীয ২০০৯ সালের ৭ জুন বিবাহ করেন রাজশাহী শহরের বালিয়া পুকুরে। স্ত্রী আয়েশা আক্তার রুবী রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাস বিষয়ে মাস্টার্সে ১ম শ্রেণীতে ১ম স্থান অধিকার করেন।
শিক্ষাজীবন:
জনাব এম. এ. আযীযের পড়াশুনা শুরু হয় জন্মভূমি সামন্তা গ্রামেরই প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। সামন্তা মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ১৯৮৯ সালে এসএসসি পরীক্ষায় দ্বিতীয় বিভাগে উত্তীর্ণ হন। একই বছর তিনি প্রাক-ব্যাচেলর অব ফাইন আর্টস (প্রি-বিএফএ -এ ভর্তি হন রাজশাহী আর্ট কলেজে। এখান থেকে ১৯৯১ সালে দ্বিতীয় শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হন। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইন্সটিটিউট-এ ভর্তি হন ১৯৯২ সালে। ব্যাচেলর অব ফাইন আর্টস ১৯৯৪ সালে সম্পন্ন করেন। এখানে তিনি ২য় শ্রেণীতে ১ম স্থান অধিকার করেন। তারপর ১৯৯৭ সালে কৃতিত্বের সাথে মাস্টার্স অব ফাইন আর্টস-এ ১ম শ্রেণীতে ১ম স্থান অধিকার করেন।
পেশাগত জীবন:
শিল্পী আযীয মাস্টার্সে পড়াশুনা চলাকালীন ‘দৈনিক বাংলার বাণী’-তে অংকন শিল্পী হিসেবে কাজ করেছেন দুই বছর। তারপর দৈনিক ইত্তেফাক-এ খন্ডকালীন চিত্রশিল্পী হিসেবে কাজ করেন। তাছাড়াও ‘বেতার বাংলা’ (মাসিক পত্রিকা) ও বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থাতে খন্ডকালীন কাজ করেছেন। ২০০৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইন্সটিটিউট-এ প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন। ২০০৭ সাল থেকে তিনি ‘সহকারী অধ্যাপক’ পদ অলংকৃত করে আছেন। বর্তমানে তিনি ‘বাংলা একডেমী’ এবং ‘বাংলাদেশ চারুশিল্পী সংসদ’ এর সম্মানিত সদস্য।
অধ্যাপনার পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় লেখালেখি করে থাকেন। ‘দৈনিক আমাদের সময়’ পত্রিকায় প্রকাশিত তাঁর লেখা ‘ঝিনাইদহের ঐতিহ্য ও শিল্প-সাহিত্য’ নামে তথ্যবহুল নিবন্ধ তার মধ্যে অন্যতম।
কৃতিত্ব:
অধ্যাপক এম. এ. আযীয সংবাদের শিরোনাম হয়েছেন অনেকবার। বাংলাদেশের ইতিহাসে তিনিই সর্বপ্রথম বায়ান্ন’র মহান ভাষা শহীদদের সম্মাননায় সৃজন করেছেন এক বিষ্ময়কর ম্যুরালচিত্র। দীর্ঘ এক মাস অক্লান্ত পরিশ্রম করে বিনা পারিশ্রমিকে তিনি নির্মাণ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসু সংগ্রহশালার দেয়ালে শোভিত সালাম, বরকত, রফিক ও জব্বারের প্রতিকৃতি। এর আগে ডাকসু’র গোপাল দাসের অনুরোধে ১৯৯২ সালে ডাকসু’র দেয়ালে সর্বপ্রথম তিনি মহান ভাষা শহীদদের প্রতিকৃতি অংকন করেন। পরবর্তীতে এটাকে স্থায়ী রূপ প্রদানের জন্যই এই ম্যুরালচিত্র সৃজন করেন। ইতোপূর্বে ১৯৯১ সালে ডাকসুর জন্য ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানের নায়ক শহীদ আসাদের বড় আকারের একটি প্রতিকৃতি এঁকে দেন; যা আজও ডাকসু সংগ্রহশালায় রয়েছে। যশোরে ডিসি অফিসের সন্নিকটে বকুলতলায় অবস্থিত বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালটি তারই সৃষ্টি। তাঁর আঁকা ছবি যৌথভাবে দেশের বিভিন্ন চিত্রশালায় প্রদর্শিত হয়। এছাড়াও ২০০২ ও ২০০৮ সালে ভারতে, ২০০৭ সালে ইরানে এবং ২০০০ সালে লন্ডনে যৌথভাবে তাঁর ছবি প্রদর্শিত ও বিক্রি হয়।
শিল্পী এম. এ. আযীয তাঁর চিত্রকর্মে আবহমান বাংলার ইতিহাস, সৌন্দর্য ও ঐতিহ্যকে ফুটিয়ে তুলেছেন অসাধারণ দক্ষতায়। তাঁর মধ্যে দেশ ও মানুষের প্রতি সামাজিক দায়বদ্ধতাবোধ আরও সাহসী পদক্ষেপ নিয়ে এগিয়ে যেতে প্রেরণা যোগায়।
সাক্ষাৎকার গ্রহণে:
মানিক রক্ষিত
ছাত্র, একাউন্টিং বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
সম্পাদনা:
মানিক রক্ষিত
মো: হাসানূজ্জামান (বিপুল)
সর্বোশেষ আপডেট:
মার্চ ২০১২