
Home ব্যবসায়ী / Businessman > আহম্মদ আলী সরদার / Ahmed Ali Sardar (1910-1980)
এই পৃষ্ঠাটি মোট 100026 বার পড়া হয়েছে
আহম্মদ আলী সরদার / Ahmed Ali Sardar (1910-1980)
আহম্মদ আলী সরদার
Ahmed Ali Sardar
Home District: Jessore
বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ আহম্মদ আলী সরদার ১৯১০ সালে যশোর শহরের আরবপুরে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা মানিক সরদার ঠিকাদারি ব্যবসার সাথে জড়িত ছিলেন। মাতার নাম বেগম হাজিরন্নেছা খাতুন।
আহম্মদ আলী সরদারের প্রাতিষ্ঠানিক কোন ডিগ্রী ছিল না। ব্রিটিশ আমল থেকে ব্রিটিশ আর্মির ভিতর ঠিকাদারি ব্যবসার কাজকে পেশা হিসেবে বেছে নেন। পরবর্তীকালে ইটের ভাটার ব্যবসা শুরু করেন। তিনি সর্বপ্রথম কলকাতা থেকে তিসানি ভাটার প্রবর্তন করে বাংলাদেশে নিয়ে আসেন। তিনি ক্রমান্বয়ে ব্যবসার বিস্তার ঘটান। ঠিকাদারি কাজের মধ্যে তাঁর কয়েকটি উল্লেখযোগ্য কাজ হল পাকিস্তান আমলে নির্মিত সচিবালয়ের নয়তালা ভবন, টি. এস. ডস. ভবন কমপ্লেক্স, পাবনা মানসিক হাসপাতাল উল্লেখযোগ্য। পরবর্তীকালে চিরুনি কল, স মিল, সামুদ্রিক জাহাজ, উত্তরা ব্যাংক, আগাখানি গ্রুপ ও যশোর জুট ইন্ডাষ্টিজের পরিচালক ছিলেন। তিনি ১৯৬৭ সালে ১০০ নিজ পরিবার ভিত্তিক টেক্সটাইল মিলের প্রতিষ্ঠাতা।
আহম্মদ আলী সরদার রাজনৈতিক জীবনের প্রথম পর্যায়ে কংগ্রেসের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। ৪৭ পরবর্তী সময়ে মুসলিম লীগে যোগদান করেন। ১৯৬২ সালে সর্বপ্রথম মনিরামপুর কেশবপুর থেকে প্রথমবার এম, এন, এ নির্বাচিত হন। এসময় তিনি পুর্ব পাকিস্তান মুসলিম লীগের ভিপি ছিলেন। ৬৯ এর গণআন্দোলনের সময় তিনি রাজনীতি থেকে অবসরগ্রহণ করেন এবং পরবর্তীতে ঢাকায় স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন।
যশোর কলেজ পরবর্তীকালে এম. এম. কলেজ প্রতিষ্ঠার সময় তিনি সাধারণ সম্পাদক হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন এবং বেশ কয়েক বছর তিনি সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এ সময় তিনি অনেক উন্নয়নমুলক প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িত ছিলেন। যশোর সিটি কলেজ তিনি নিজ উদ্যোগে প্রতিষ্ঠা করেন। কিন্তু তিনি নিজের নাম ব্যাবহার করতে দেননি।
কাজী নজরুল ইসলাম ডিগ্রী কলেজের জন্য তিনি অনেক অনুদান প্রদান করেন। এছাড়া যশোর মহিলা কলেজ, পদ্ধবিলা সিনিয়র মাদ্রাসা, কেশবপুর বালিকা বিদ্যালয় ও যশোর ইনষ্টিটিউট পাবলিক লাইব্রেরীর সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও তিনি অনেক মসজিদ, মাদ্রাসা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িত ছিলেন এবং সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের সহযোগিতা প্রদান করেন। সমাজসেবামুলক কাজে অবদান রাখার জন্য তিনি তৎকালীন পাকিস্তান সরকার কর্তৃক সর্বোচ্চ খেতাব TQA (তামগায়ে কায়েদে আজম) অর্জন করেন। রাজনৈতিকজীবনে বিভিন্ন পর্যায়ে তিনি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, আবুল কাশেম ফজলুল হক, বঙ্গবদ্ধু শেখ মুজিবর রহমান, আয়ুব খান, মোনায়েম খান, খান এ সবুর, নওশের আলী প্রভৃতি রাজনীতিবিদের সাথে তাঁর গভীর সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
আহম্মেদ আলী সরদার ১৯৩৫ সালে কিসমত নওয়াপাড়া নিবাসী ইব্ররাহীম সাহেবের জৈষ্ঠ্য কন্যা বেগম রাজিয়া খাতুনের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। পারিবারিক জীবনে তিনি ৫ পুত্র ও ৬ কন্যার জনক।
জনাব সরদার ১৯৮০ সালের ১৭ জানুয়ারী কিডনিজনিত সমস্যার কারণে ঢাকা হলিফ্যামিলি হাসপাতালে মৃতুবরণ করেন। মৃতুর পর তাঁর পরিবার তাঁর নামে আহম্মদ আলী হেল্থ কমপ্লেক্স প্রতিষ্ঠা করে।
সম্পাদনা:
মো: হাসানূজ্জামান বিপুল
সর্বোশেষ আপডেট:
অক্টোবর ২০১১