
Home শিক্ষক / Teacher > রুহুল আমিন রোকন / Ruhul Amin Rokon (1968)
এই পৃষ্ঠাটি মোট 100074 বার পড়া হয়েছে
রুহুল আমিন রোকন / Ruhul Amin Rokon (1968)
রুহুল আমিন রোকন
Ruhul Amin Rokon
Home District: Jessoe
Ruhul Amin Rokon
Home District: Jessoe
পারিবারিক পরিচিতি:
জনাব রুহুল আমিন রোকন ১৯৬৮ সালের ৫ জুন যশোর উপশহরে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা মরহুম হানীফ বিন হুসেইন ছিলেন বিশিষ্ট সমাজসেবক ও এলাকার একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি। উত্তরাধীকার সূত্রে তিনি প্রচুর সম্পত্তির মালিক হন যার অনেকাংশ তিনি মানব কল্যাণে ব্যয় করে গেছেন। ১৯৭২ সালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। মা হাজিরা কোরায়েশী ছিলেন একজন শিক্ষিতা ও আদর্শ গৃহিণী। তিনি ‘কে. জে. এইচ. ইসলামিক একাডেমি’র প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান শিক্ষিকা ছিলেন। ১৯৭৩ সালে তিনি মারা যান। দুই ভাই ও ছয় বোনের মধ্যে রোকন সকলের ছোট। দুই বোন মারা গেছেন। বড় ভাই আব্দুল জলিল ‘কিসমত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে’র শিক্ষক।
রোকোনের ব্যক্তিগত জীবন শুরু হয় ১৯৯৪ সালের জানুয়ারী মাসে। তিন কন্যার জনক তিনি। কন্যাদের নাম শামসী তামারা সৌরী, আনুশী নাসিরা ঐশী এবং ইহ্দা হুসনাইন ইউকি।
শিক্ষাজীবন:
১৯৭৫ সালে কিসমত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তার শিক্ষাজীবন শুরু। ভাল মেধার কারণে ১ম ও ২য় শ্রেণীতে তিনি অটোপ্রমোশন পান। পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণীতে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পান। মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের দাখিল পরীক্ষায় সমগ্র বাংলাদেশে তিনি প্রথম হন। পদ্মা নদীর দক্ষিণে তিনিই সর্বপ্রথম এই কৃতিত্ব অর্জন করেন। এরপর ১৯৮৩ সালে দাখিল পরীক্ষায় তিনি প্রথম বিভাগে প্রথম এবং ১৯৮৫ সালে আলিম পরীক্ষায়ও তিনি কৃতিত্বের সাথে প্রথম বিভাগে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন।
পেশাগত জীবন:
১৯৯৩ সালের অক্টোবরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের প্রভাষক হিসেবে যোগদানের মাধ্যমে তিনি চাকরিজীবন শুরু করেন। এরপর ১৯৯৬ সালের জুন মাসে সহকারী অধ্যাপক এবং ২০০৪ সালে তিনি সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে পদোন্নতি পান।
লেখালেখি:
জনাব রুহুল আমিন রোকেনের প্রকাশিত গ্রন্থ দুইটি হচ্ছে: Development Issues and Strategies of Bangladesh: Lessons from Malaysia”; and “Bangladesh Studies”. তার লেখা বই ইতোমধ্যে অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠ্যপুস্তক হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে। দৈনিক পত্র-পত্রিকায় শতাধিক কলাম লিখেছেন। গবেষণাধর্মী প্রবন্ধ লিখেছেন অর্ধশতাধিক।
সামাজিক ও সাংগঠনিক কর্মকান্ড:
পাকিস্তান আমলের প্রথম দশকে এক নিভৃত পল্লী কিসমতে তাঁদের নিজস্ব জমিতে ও অর্থায়নে প্রতিষ্ঠিত হয় ‘কিসমত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়’ স্বাধীন বাংলাদেশে তাঁরা দুই ভাই তাদের মায়ের স্বপ্ন বাস্তবায়ন স্বরূপ বিদ্যালয়টি সমপ্রসারণ করে বর্তমানের ‘কে. জে. এইচ. ইসলামিক একাডেমি’তে উন্নীত করেন। শিক্ষকতা পেশা হলেও পাশাপাশি তিনি সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা নিয়ে সমাজ সেবামূলক কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি নিজস্ব ফান্ডে প্রতিষ্ঠা করেছেন Help Education Linkage for the Poor (HELP) নামক প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠা করেছেন Center for International Development & Security (CIDS) এবং আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্যে World Watch নামক একটি প্রতিষ্ঠান যার মাধ্যমে শিক্ষা, সামাজিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধের জাগরণের মাধ্যমে সমৃদ্ধ বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেন তিনি। আমাদের স্বকীয়তা, মূল্যবোধ, সংস্কৃতি বিষয়ে একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে তিনি তার কর্মময় জীবনে সাফল্যের সাথে এগিয়ে চলেছেন।
সম্মাননা:
শিক্ষাজীবনে স্নাতক ও স্নতকোত্তর পাঠকালীন পুরো সময়টাই তিনি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বৃত্তি পেয়েছেন। অনন্য ফলাফলের সুবাধে তিনি নড়াইল, নরসিংদী ও নিজ এলাকায় বিশাল গণসংবর্ধনা পেয়েছেন।
সাক্ষাৎকার গ্রহণে:
মানিক রক্ষিত
সম্পাদনা:
মানিক রক্ষিত
মো: হাসানূজ্জামান (বিপুল)
সর্বশেষ আপডেট:
মার্চ ২০১২
জনাব রুহুল আমিন রোকন ১৯৬৮ সালের ৫ জুন যশোর উপশহরে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা মরহুম হানীফ বিন হুসেইন ছিলেন বিশিষ্ট সমাজসেবক ও এলাকার একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি। উত্তরাধীকার সূত্রে তিনি প্রচুর সম্পত্তির মালিক হন যার অনেকাংশ তিনি মানব কল্যাণে ব্যয় করে গেছেন। ১৯৭২ সালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। মা হাজিরা কোরায়েশী ছিলেন একজন শিক্ষিতা ও আদর্শ গৃহিণী। তিনি ‘কে. জে. এইচ. ইসলামিক একাডেমি’র প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান শিক্ষিকা ছিলেন। ১৯৭৩ সালে তিনি মারা যান। দুই ভাই ও ছয় বোনের মধ্যে রোকন সকলের ছোট। দুই বোন মারা গেছেন। বড় ভাই আব্দুল জলিল ‘কিসমত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে’র শিক্ষক।
রোকোনের ব্যক্তিগত জীবন শুরু হয় ১৯৯৪ সালের জানুয়ারী মাসে। তিন কন্যার জনক তিনি। কন্যাদের নাম শামসী তামারা সৌরী, আনুশী নাসিরা ঐশী এবং ইহ্দা হুসনাইন ইউকি।
শিক্ষাজীবন:
১৯৭৫ সালে কিসমত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তার শিক্ষাজীবন শুরু। ভাল মেধার কারণে ১ম ও ২য় শ্রেণীতে তিনি অটোপ্রমোশন পান। পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণীতে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পান। মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের দাখিল পরীক্ষায় সমগ্র বাংলাদেশে তিনি প্রথম হন। পদ্মা নদীর দক্ষিণে তিনিই সর্বপ্রথম এই কৃতিত্ব অর্জন করেন। এরপর ১৯৮৩ সালে দাখিল পরীক্ষায় তিনি প্রথম বিভাগে প্রথম এবং ১৯৮৫ সালে আলিম পরীক্ষায়ও তিনি কৃতিত্বের সাথে প্রথম বিভাগে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন।
পেশাগত জীবন:
১৯৯৩ সালের অক্টোবরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের প্রভাষক হিসেবে যোগদানের মাধ্যমে তিনি চাকরিজীবন শুরু করেন। এরপর ১৯৯৬ সালের জুন মাসে সহকারী অধ্যাপক এবং ২০০৪ সালে তিনি সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে পদোন্নতি পান।
লেখালেখি:
জনাব রুহুল আমিন রোকেনের প্রকাশিত গ্রন্থ দুইটি হচ্ছে: Development Issues and Strategies of Bangladesh: Lessons from Malaysia”; and “Bangladesh Studies”. তার লেখা বই ইতোমধ্যে অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠ্যপুস্তক হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে। দৈনিক পত্র-পত্রিকায় শতাধিক কলাম লিখেছেন। গবেষণাধর্মী প্রবন্ধ লিখেছেন অর্ধশতাধিক।
সামাজিক ও সাংগঠনিক কর্মকান্ড:
পাকিস্তান আমলের প্রথম দশকে এক নিভৃত পল্লী কিসমতে তাঁদের নিজস্ব জমিতে ও অর্থায়নে প্রতিষ্ঠিত হয় ‘কিসমত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়’ স্বাধীন বাংলাদেশে তাঁরা দুই ভাই তাদের মায়ের স্বপ্ন বাস্তবায়ন স্বরূপ বিদ্যালয়টি সমপ্রসারণ করে বর্তমানের ‘কে. জে. এইচ. ইসলামিক একাডেমি’তে উন্নীত করেন। শিক্ষকতা পেশা হলেও পাশাপাশি তিনি সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা নিয়ে সমাজ সেবামূলক কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি নিজস্ব ফান্ডে প্রতিষ্ঠা করেছেন Help Education Linkage for the Poor (HELP) নামক প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠা করেছেন Center for International Development & Security (CIDS) এবং আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্যে World Watch নামক একটি প্রতিষ্ঠান যার মাধ্যমে শিক্ষা, সামাজিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধের জাগরণের মাধ্যমে সমৃদ্ধ বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেন তিনি। আমাদের স্বকীয়তা, মূল্যবোধ, সংস্কৃতি বিষয়ে একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে তিনি তার কর্মময় জীবনে সাফল্যের সাথে এগিয়ে চলেছেন।
সম্মাননা:
শিক্ষাজীবনে স্নাতক ও স্নতকোত্তর পাঠকালীন পুরো সময়টাই তিনি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বৃত্তি পেয়েছেন। অনন্য ফলাফলের সুবাধে তিনি নড়াইল, নরসিংদী ও নিজ এলাকায় বিশাল গণসংবর্ধনা পেয়েছেন।
সাক্ষাৎকার গ্রহণে:
মানিক রক্ষিত
সম্পাদনা:
মানিক রক্ষিত
মো: হাসানূজ্জামান (বিপুল)
সর্বশেষ আপডেট:
মার্চ ২০১২