
Home চিকিৎসক / Medical officer > প্রফেসর ডা. মো. আব্দুল ওয়াহাব / Prof Dr. Said. Abdul Wahab (1944)
এই পৃষ্ঠাটি মোট 100313 বার পড়া হয়েছে
প্রফেসর ডা. মো. আব্দুল ওয়াহাব / Prof Dr. Said. Abdul Wahab (1944)
প্রফেসর ডা. মো. আব্দুল ওয়াহাব
Prof. Dr. Md. Abdul Wahab
Home District: Jessore, Monirampur
Prof. Dr. Md. Abdul Wahab
Home District: Jessore, Monirampur
পারি
বারিক পরিচিতি:
ডা. মো. আব্দুল ওয়াহাব ১৯৪৪ সালের ৭ই জানুয়ারী যশোর জেলার মনিরামপুর উপজেলায় হাসাডাঙ্গা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। পিতার নাম মরহুম হাজী মো. ফজলুল করিম এবং মা বেগম জয়গুন বেগম ছিলেন। পিতা-মাতার ছয় সন্তানের মধ্যে ডা. ওয়াহাব সবার বড়। ছোট দুই ভাই গ্রামের বাড়ী যশোরে থাকেন।
শিক্ষা ও কর্মজীবন:
ডা. ওয়াহাব ১৯৬১ সালে কেশবপুর হাইস্কুল থেকে ম্যাট্রিকুলেশন, ১৯৬৩ সালে যশোর মাইকেল মধুসূদন কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট এবং ১৯৬৯ সালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ থেকে এম. বি. বি. এস ডিগ্রী লাভ করেন। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে মেডিসিনের উপর ৬ মাসের ইন্টার্নি শেষ করে ঢাকায় চলে আসেন। এরপর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সার্জারিতে ইন্টার্নি করেন। স্বাধীনতা যুদ্ধ আরম্ভ হলে এক জুট মিলে চাকরি নেন। ১৯৭৩ সালের জুন মাসে উচ্চ শিক্ষা লাভের জন্যে তিনি বিলেত গমন করেন। সেখানে একটি চাকরি নেন এবং চাকরির পাশাপাশি পড়াশোনা চালিয়ে যেতে থাকেন। রয়েল কলেজ থেকে MRCP DC পাশ করার পর University of oils tuberculosis Ges Chest diesis এ ডিপ্লোমা শেষ করে ১৯৮১ সালের নভেম্বরে দেশে ফিরে আসেন। দেশে ফিরে সরকারি চাকরির জন্য নিয়মিতভাবে তিনি Heloy Department এ যোগাযোগ করতে থাকেন। হলিফ্যামিলি হাসপাতালে একজন কনসালটেন্টের পদ খালি হলে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সাবেক চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জনাব শাহাবুদ্দিন তাঁকে ঐ কনসালটেন্ট পদে নিয়োগ দিয়েছিলেন। বর্তমানে ডা. ওয়াহাব এই মেডিকেল কলেজের প্রফেসর অব মেডিসিন হিসেবে কর্মরত।
সাংগঠনিক কর্মকান্ড:
ডা. ওয়াহাব বাংলাদেশ মেডিকেল এ্যসোসিয়েসনের কোষাধ্যক্ষ ও পুরাতন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ স্টুডেন্ট এ্যাসোসিয়েসনের ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে বেশ কয়েক বছর দায়িত্ব পালন করছেন। গত কয়েক বছর আগে তিনি ও তাঁর কয়েকজন সহযোগি যৌথভাবে ৯/এ ধানমন্ডির একটা ভাড়া বাড়ীতে National Kidney foundation স্থাপন করেছেন। উদ্দেশ্য হচ্ছে, দেশের দুঃস্থ মানুষ যারা কিডনী রোগে ভুগছেন তাদেরকে বিনা অথবা স্বল্প খরচে চিকিৎসা সেবা দেয়া। ভবিষ্যতে এটা বাংলাদেশের একটা বড় ধরণের হাসপাতালে রূপান্তর হবে বলে তারা আশাবাদী। তিনি এই কিডনী ফাউন্ডেশনের ভাইস্ প্রেসিডেন্ট।
সেবামূলক কর্মকান্ড:
ডা. ওয়াহাব নিজ এলাকায় একজন দানশীল, পরোপকারী ও সমাজসেবক হিসেবে যথেষ্ট পরিচিতি লাভ করেছেন। এলাকার মানুষের কাছ থেকে তিনি কখনও চিকিৎসা ফি গ্রহণ করেন না। গত ২৫ বছর যাবৎ তিনি নিয়মিত কয়েক মাস পর পর গ্রামের বাড়ীতে যান। সেখানে তাঁর চাচার প্রতিষ্ঠা করা একটি হাই স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে বহুদিন যাবৎ দায়িত্ব পালন করে আসছেন। তাঁর নেতৃত্বে স্কুলের নিয়ম সৃঙ্খলা অত্যন্ত কঠোর ও সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হওয়ায় গ্রাম্য এই স্কুল থেকে কয়েকজন ছাত্র যশোর বোর্ডে মেধা তালিকায় স্থান পেয়েছে। প্রত্যেক বছর এই স্কুল হতে এস. এস. সি. পরীক্ষাতে যে সবচেয়ে বেশী নম্বর পেয়ে উত্তীর্ণ হয় ডা. ওয়াহাব নিজ খরচে তাকে করিম বকস্ মেমোরিয়াল গোল্ড মেডেল পুরষ্কারে ভূষিত করে ছেলে মেয়েদেরকে ভাল রেজাল্ট করতে উদ্বুদ্ধ করেন।
ডা. আব্দুল ওয়াহাব নিজ গ্রামে আধুনিক সব ধরণের সুযোগ সুবিধা সম্বলিত একটি মসজিদ এবং মসজিদ সংলগ্ন একটি হাফেজিয়া মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেছেন। এছাড়াও তিনি দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও মাদ্রাসায় নিয়মিত আর্থিক অনুদানে অংশগ্রহণ করে থাকেন।
তিনি গ্রামের বাড়ীতে থাকাকালীন সময়ে শত শত মানুষকে বিনা মূল্যে চিকিৎসা দিয়ে থাকেন। জটিল রোগীদেরকে ঢাকা আসবার পরামর্শ দেন এবং তাদেরকে চিকিৎসা বিষয়ক নানা ধরণের সহযোগিতা করেন। দেশে দুরারোগ্য ক্যান্সারে আক্রান্ত দুঃস্থ রোগীদের চিকিৎসার্থে আর্থিক সাহায্য সংস্থা আছে- জনাব ওয়াহাব সেই সংস্থার উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
লেখালেখি:
মেডিসিনের উপর লেখা তাঁর বেশ কিছু প্রবন্ধ আছে যা Natural মেডিক্যাল জার্নালে প্রকাশ পেয়েছে।
ভ্রমণ:
ডা. ওয়াহাব লন্ডন, আয়ারল্যান্ড, রাশিয়া, দুবাই, ইন্ডিয়া, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, মালেশিয়া, নেপাল, সৌদি আরব প্রভৃতি দেশ ভ্রমণ করেছেন।
বৈবাহিক জীবন:
ডা. ওয়াহাব ১৯৬৬ সালের ৬ই এপ্রিল ছাত্র অবস্থায় যশোর শহরের সে সময়কার বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ও শিল্পপতি জনাব আহম্মদ আলী সরদারের একমাত্র কন্যা রেহেনা বানুর সাথে তাঁর পারিবারিক জীবন শুরু হয়। পারিবারিক জীবনে তাঁদের এক মেয়ে এবং দুই ছেলে। একমাত্র মেয়ে রেজিনা, স্বামী ডা. শফিউল্ল্যাহ চিটাগাং ডেন্টাল কলেজের সহযোগী অধ্যাপক। বড় ছেলে ডা. ওয়াহিদ ইবনে ওয়াহাব ও তাঁর স্ত্রী ডা. সাদিয়া অধ্যায়নরত।
সাক্ষাৎকার গ্রহণ ও সম্পাদনা:
মো: হাসানূজ্জামান বিপুল
সর্বশেষ আপডেট
মার্চ ২০১২

ডা. মো. আব্দুল ওয়াহাব ১৯৪৪ সালের ৭ই জানুয়ারী যশোর জেলার মনিরামপুর উপজেলায় হাসাডাঙ্গা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। পিতার নাম মরহুম হাজী মো. ফজলুল করিম এবং মা বেগম জয়গুন বেগম ছিলেন। পিতা-মাতার ছয় সন্তানের মধ্যে ডা. ওয়াহাব সবার বড়। ছোট দুই ভাই গ্রামের বাড়ী যশোরে থাকেন।
শিক্ষা ও কর্মজীবন:
ডা. ওয়াহাব ১৯৬১ সালে কেশবপুর হাইস্কুল থেকে ম্যাট্রিকুলেশন, ১৯৬৩ সালে যশোর মাইকেল মধুসূদন কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট এবং ১৯৬৯ সালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ থেকে এম. বি. বি. এস ডিগ্রী লাভ করেন। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে মেডিসিনের উপর ৬ মাসের ইন্টার্নি শেষ করে ঢাকায় চলে আসেন। এরপর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সার্জারিতে ইন্টার্নি করেন। স্বাধীনতা যুদ্ধ আরম্ভ হলে এক জুট মিলে চাকরি নেন। ১৯৭৩ সালের জুন মাসে উচ্চ শিক্ষা লাভের জন্যে তিনি বিলেত গমন করেন। সেখানে একটি চাকরি নেন এবং চাকরির পাশাপাশি পড়াশোনা চালিয়ে যেতে থাকেন। রয়েল কলেজ থেকে MRCP DC পাশ করার পর University of oils tuberculosis Ges Chest diesis এ ডিপ্লোমা শেষ করে ১৯৮১ সালের নভেম্বরে দেশে ফিরে আসেন। দেশে ফিরে সরকারি চাকরির জন্য নিয়মিতভাবে তিনি Heloy Department এ যোগাযোগ করতে থাকেন। হলিফ্যামিলি হাসপাতালে একজন কনসালটেন্টের পদ খালি হলে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সাবেক চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জনাব শাহাবুদ্দিন তাঁকে ঐ কনসালটেন্ট পদে নিয়োগ দিয়েছিলেন। বর্তমানে ডা. ওয়াহাব এই মেডিকেল কলেজের প্রফেসর অব মেডিসিন হিসেবে কর্মরত।
সাংগঠনিক কর্মকান্ড:
ডা. ওয়াহাব বাংলাদেশ মেডিকেল এ্যসোসিয়েসনের কোষাধ্যক্ষ ও পুরাতন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ স্টুডেন্ট এ্যাসোসিয়েসনের ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে বেশ কয়েক বছর দায়িত্ব পালন করছেন। গত কয়েক বছর আগে তিনি ও তাঁর কয়েকজন সহযোগি যৌথভাবে ৯/এ ধানমন্ডির একটা ভাড়া বাড়ীতে National Kidney foundation স্থাপন করেছেন। উদ্দেশ্য হচ্ছে, দেশের দুঃস্থ মানুষ যারা কিডনী রোগে ভুগছেন তাদেরকে বিনা অথবা স্বল্প খরচে চিকিৎসা সেবা দেয়া। ভবিষ্যতে এটা বাংলাদেশের একটা বড় ধরণের হাসপাতালে রূপান্তর হবে বলে তারা আশাবাদী। তিনি এই কিডনী ফাউন্ডেশনের ভাইস্ প্রেসিডেন্ট।
সেবামূলক কর্মকান্ড:
ডা. ওয়াহাব নিজ এলাকায় একজন দানশীল, পরোপকারী ও সমাজসেবক হিসেবে যথেষ্ট পরিচিতি লাভ করেছেন। এলাকার মানুষের কাছ থেকে তিনি কখনও চিকিৎসা ফি গ্রহণ করেন না। গত ২৫ বছর যাবৎ তিনি নিয়মিত কয়েক মাস পর পর গ্রামের বাড়ীতে যান। সেখানে তাঁর চাচার প্রতিষ্ঠা করা একটি হাই স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে বহুদিন যাবৎ দায়িত্ব পালন করে আসছেন। তাঁর নেতৃত্বে স্কুলের নিয়ম সৃঙ্খলা অত্যন্ত কঠোর ও সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হওয়ায় গ্রাম্য এই স্কুল থেকে কয়েকজন ছাত্র যশোর বোর্ডে মেধা তালিকায় স্থান পেয়েছে। প্রত্যেক বছর এই স্কুল হতে এস. এস. সি. পরীক্ষাতে যে সবচেয়ে বেশী নম্বর পেয়ে উত্তীর্ণ হয় ডা. ওয়াহাব নিজ খরচে তাকে করিম বকস্ মেমোরিয়াল গোল্ড মেডেল পুরষ্কারে ভূষিত করে ছেলে মেয়েদেরকে ভাল রেজাল্ট করতে উদ্বুদ্ধ করেন।
ডা. আব্দুল ওয়াহাব নিজ গ্রামে আধুনিক সব ধরণের সুযোগ সুবিধা সম্বলিত একটি মসজিদ এবং মসজিদ সংলগ্ন একটি হাফেজিয়া মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেছেন। এছাড়াও তিনি দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও মাদ্রাসায় নিয়মিত আর্থিক অনুদানে অংশগ্রহণ করে থাকেন।
তিনি গ্রামের বাড়ীতে থাকাকালীন সময়ে শত শত মানুষকে বিনা মূল্যে চিকিৎসা দিয়ে থাকেন। জটিল রোগীদেরকে ঢাকা আসবার পরামর্শ দেন এবং তাদেরকে চিকিৎসা বিষয়ক নানা ধরণের সহযোগিতা করেন। দেশে দুরারোগ্য ক্যান্সারে আক্রান্ত দুঃস্থ রোগীদের চিকিৎসার্থে আর্থিক সাহায্য সংস্থা আছে- জনাব ওয়াহাব সেই সংস্থার উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
লেখালেখি:
মেডিসিনের উপর লেখা তাঁর বেশ কিছু প্রবন্ধ আছে যা Natural মেডিক্যাল জার্নালে প্রকাশ পেয়েছে।
ভ্রমণ:
ডা. ওয়াহাব লন্ডন, আয়ারল্যান্ড, রাশিয়া, দুবাই, ইন্ডিয়া, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, মালেশিয়া, নেপাল, সৌদি আরব প্রভৃতি দেশ ভ্রমণ করেছেন।
বৈবাহিক জীবন:
ডা. ওয়াহাব ১৯৬৬ সালের ৬ই এপ্রিল ছাত্র অবস্থায় যশোর শহরের সে সময়কার বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ও শিল্পপতি জনাব আহম্মদ আলী সরদারের একমাত্র কন্যা রেহেনা বানুর সাথে তাঁর পারিবারিক জীবন শুরু হয়। পারিবারিক জীবনে তাঁদের এক মেয়ে এবং দুই ছেলে। একমাত্র মেয়ে রেজিনা, স্বামী ডা. শফিউল্ল্যাহ চিটাগাং ডেন্টাল কলেজের সহযোগী অধ্যাপক। বড় ছেলে ডা. ওয়াহিদ ইবনে ওয়াহাব ও তাঁর স্ত্রী ডা. সাদিয়া অধ্যায়নরত।
সাক্ষাৎকার গ্রহণ ও সম্পাদনা:
মো: হাসানূজ্জামান বিপুল
সর্বশেষ আপডেট
মার্চ ২০১২